ভূমির পার্থক্য ও গঠনের দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
(১) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ;
(২) প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ;
(৩) সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ৮% এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। আনুমানিক ২৫০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়। এ সময়ের আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্ত্বরভূমি গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের প্লাইষ্টোসিনকালের চত্বরসমূহ মেঘনা ও যমুনা নদীপ্রণালী দ্বারা তিন ধারায় বিভক্ত হয়েছে ।
প্রথমটি হলো 'বরেন্দ্রভূমি' যা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯,৩২০ বর্গ কিমি. এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ।
দ্বিতীয় হলো 'মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়' । টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় মধুপুর এবং গাজীপুর জেলায় ভাওয়ালের গড় অবস্থিত যার আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিমি. ।
তৃতীয়টি হলো 'লালমাই পাহাড়' যা কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলমিটার পশ্চিমে লালমাই পাহাড় থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত । এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গ কিলোমিটার ।