জাতীয় অর্থের অভিভাবক ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হচ্ছে -

A জাতীয় সংসদ

B প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

C অর্থ মন্ত্রণালয়

D রাষ্ট্রপতির কার্যালয়

Solution

Correct Answer: Option A

জাতীয় সংসদ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রক্ষমাতর অধিাকরী। এটি বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার মুখপাত্র। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় আইনসভার প্রাধান্য স্বীকৃত। আইনসভা সার্বভৌম। আইনসভার নিকট শাসন বিভাগ দায়ী না থাকলে তাকে সংসদীয় সরকার বলা যায় না। দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতীয় সংসদের কার্যাবলিকে প্রধানত ছয়টি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে:
১. আইন প্রণয়ন;
২. সরকারের তহবিল নিয়ন্ত্রণ;
৩. শাসন বিভাগ নিয়ন্ত্রণ;
৪. বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ক্ষমতা;
৫. নির্বাচনী কার্য; এবং
৬. সংবিধান সংক্রান্ত্

সরকারি তহবিল নিয়ন্ত্রণঃ জাতীয় সংসদ জাতীয় তহবিলের অভিভাবক। সংসদের অনুমতি ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রাকর কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাবে না (অনুচ্ছেদ: ৮৩)। সরকার প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের অনুমিত হিসাব সংবলিত একটি বাজেট সংসদে উপস্থাপিত করবেন [অনুচ্ছেদ ৮৭ (১)]। বাজেট সংযুক্ত তহবিলের ওপর ধার্য ব্যয়সমূহ সংসদে আলোচিত হবে, কিন্তু এর ওপর ভোট গ্রহণ করা যাবে না [অনুচ্ছেদ ৮৯ (১১)]।

এরূপ ব্যয়গুলো হলো রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, মহা-হিসাব নিয়ন্ত্রক, কর্মকমিশনের সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ, এটর্নি জেনারেল, নির্বাচন কমিশনার ও কর্মচারীবৃন্দ, সরকারের আর্থিক ঋণ, সুদ, আদালত কর্তৃক আরোপিত ব্যয় ইত্যাদি। অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত ব্যয় মঞ্জুরি দাবির আকারে সংসদে উপস্থাপিত হবে এবং সংসদ এরূপ মঞ্জুরি দাবি অনুমোদন কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে বা এতে নির্ধারিত অর্থ হ্রাস করতে পারবে [অনুচ্ছেদ ৮৯ (২)] । কিন্তু রাষ্ট্রপতির সুপারিশ ব্যতীত অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত কোনো বিল বা মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করা যায় না [অনুচ্ছেদ ৮৯ (৩)]।

Practice More Questions on Our App!

Download our app for free and access thousands of MCQ questions with detailed solutions