Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
সরকার ব্যবস্থা (353 টি প্রশ্ন )
- বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্লোগান হলো "বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত"।
- এই স্লোগানটি বাংলাদেশের আকাশসীমা রক্ষার প্রতিশ্রুতি এবং দায়িত্বকে প্রতিফলিত করে।
- এটি বিমানবাহিনীর মূল লক্ষ্য এবং দায়িত্বের প্রতীক, যা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আকাশসীমাকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকারকে নির্দেশ করে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ৬ ধারায় বণিত কমিশনারগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৭ অনুসারে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো সরকার। সরকার রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।
যথাঃ
- আইন বিভাগ,
- শাসন বিভাগ ও
- বিচার বিভাগ।
আইন বিভাগঃ 
ক) আইন প্রণয়ন, পরিবর্ধন, সংশোধন করে। [সংবিধানের ৬৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যস্ত]
খ) সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে। [ #অনুচ্ছেদ ৫৫(৩) অনুসারে মন্ত্রিসভা যৌথ ভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকবে]
গ) কিছু কিছু নির্বাচনমূলক কাজ। [ #অনুচ্ছেদ ৪৮(১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি, #অনুচ্ছেদ ৭৪(১) অনুসারে স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন ইত্যাদি ]

∎ নিচের তথ্যগুলো জেনে রাখুনঃ
• আইন ও অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্যঃ
আইন- সংসদে বিল আকারে যে প্রস্তাব পাশ হয় তা-ই হল আইন।
অধ্যাদেশ- দেশে যখন কোন জরুরি অবস্থা চলতে থাকে এবং আইন পাশ করার দরকার পরে কিন্তু সংসদের কোনো অধিবেশন থাকে না তখন প্রেসিডেন্টের মুখ নি:সৃত বাণীকেই অধ্যাদেশ বলে।কিন্তু পরবর্তী সংসদ অধিবেশন শুরু হবার ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে হয় নতুবা তা বাতিল হয়ে যায়।

• পরিচালক ও মহাপরিচালকের মধ্যে পার্থক্যঃ
পরিচালক - পরিচালক একজন উপসচিব সমমর্যাদা সম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা।
মহাপরিচালক - মহাপরিচালক একজন অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম সচিবেরর সমমর্যাদা সম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা। মহাপরিচালক সাধারণত অধিদপ্তরের প্রধানের দায়িত্ব থাকেন।যেমন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইত্যাদি।

জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা।
- এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০;
- যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং
- অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
- সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন।
- সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন-
- ১৯৭২ এর মূল সংবিধান আসন সংখ্যান ১৫ ও মেয়াদ ১০ বছর ছিল।
- ৫ম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৩০ -এ উন্নতি করা হয় ও মেয়াদ ১৫ বছর।
- ১০ম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৩০ ও মেয়াদ ১০ বছর।
- ১৪তম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৪৫ -এ উন্নতি করা হয় ও মেয়াদ ১০ বছর।
- ১৫তম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৫০ -এ উন্নতি করা হয় ও মেয়াদ ১০ বছর।
- ১৭তম সংশোধনীতে আসন সংখ্যা ৫০ ও মেয়াদ ২৫ বছর করা হয়।
- বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন প্রদান করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
- সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এবং ১১৯ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে এবং এটি রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন, নির্বাচন পরিচালনা, এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্ব পালন করে।
- ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার পর, নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে আসছে। নিবন্ধনের জন্য দলগুলোকে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়,
যেমন:
- দলের গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটি থাকতে হবে।
- দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলায় কার্যকর কমিটি থাকতে হবে।
- ১০০টি উপজেলা বা থানায় কমপক্ষে ২০০ জন ভোটারের সমর্থন থাকতে হবে।
- বিচার বিভাগকে নাগরিক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বলা হয় কারণ এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- বিচার বিভাগ আইন ও সংবিধানের ভিত্তিতে কাজ করে এবং শাসন ও আইন বিভাগের যেকোনো অন্যায় বা স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়।
- বিচার বিভাগ শাসন ও আইন বিভাগের প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করে।
- বিচার বিভাগ নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক, এমনকি রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিরাও আইনের অধীন।
- শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ বা প্রশাসনিক বিভাগও বলা হয়।
- এটি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আইন বিভাগ কর্তৃক প্রণীত আইন বাস্তবায়ন এবং দেশের শাসন কার্য পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।
- শাসন বিভাগ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা, জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা, এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করে।
- মন্ত্রিপরিষদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা শাসন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। তাই শাসন বিভাগের অপর নাম প্রশাসনিক বিভাগ।
- সংসদীয় ব্যবস্থায় মন্ত্রিসভা গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। তবে এটি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করা হয়।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সেই সংসদ সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন, যিনি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন। এরপর প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রস্তাব করেন, এবং রাষ্ট্রপতি সেই অনুযায়ী মন্ত্রিসভা গঠন করেন
- এটি একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া, যেখানে রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করলেও কার্যত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শই মূল ভূমিকা পালন করে।
- বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলে কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হয়।
- এছাড়াও, প্রতিটি কার্যালয়ে অন্তত ২০০ জন ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হবে।
- এই শর্ত রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের বিস্তৃতি ও সংগঠনের শক্তি নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: নির্বাচন কমিশন, প্রথম আলো। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- ভূমি সেবা হটলাইন হচ্ছে ১৬১২২
- এই নম্বরে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে, পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে।
- এটি ২০১৯ সালে চালু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।



- বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারি হটলাইন নম্বর ৩৩৩।
- এটি ২০২১৯ সালে চালু হয়।
- এই নম্বরে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাল্যবিবাহের তথ্য জানানো যায়।
- (জুন ১, ২০১৬ তারিখে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভাগ করে দুটি বিভাগ করা হয়েছে- একটি জননিরাপত্তা বিভাগ এবং অন্যটি সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
- জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে রাজনৈতিক ও আইসিটি, পুলিশ, আনসার ও সীমান্ত, আইন ও শৃঙ্খলা, প্রশাসন ও অর্থ এবং উন্নয়ন বিভাগ রয়েছে এবং
- সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিরাপত্তা ও এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার), অগ্নি ও মাদকদ্রব্য, আইন ও শৃঙ্খলা, বহিরাগমন, কারা ও সমন্বয়, প্রশাসন ও অর্থ এবং উন্নয়ন বিভাগ থাকবে।
- ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
- সচিবালয় থেকে ১৯৭২ সালে এ মন্ত্রণালয়টি হাইকোর্ট ভবনে এবং ১৯৯৩ সালে শের-ই-বাংলা নগরের গণভবন কমপ্লেক্সে বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
- প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪টি দপ্তর/সংস্থা নিয়ে গঠিত হলেও বর্তমানে ২৫টি দপ্তর/সংস্থা নিয়ে এ মন্ত্রণালয় পরিচালিত হচ্ছে।
- মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে পূর্বের ২২৪ টি পদ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট পদসংখ্যা হয়েছে ২৩২ টি।
- MRP বা Machine Readable Passport হলো একটি ভ্রমণ নথি, যেখানে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত তথ্য অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (OCR) ফরম্যাটে এনকোড করা থাকে।
- এটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO) দ্বারা নির্ধারিত মান অনুযায়ী তৈরি, যা দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে তথ্য যাচাই করতে সহায়তা করে।
পরিকল্পনা কমিশনঃ
- বাংলাদেশ পরিকল্পানা কমিশন হল বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক পাবলিক পলিসি প্রতিষ্ঠান। 
- এটি গঠিত হয় ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে। 
- এর প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- এর প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী
- ১৯৭৩ সালে পুর্ণগঠিত পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- Executive Committee of the National Economic Council (ECNEC) হলো বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন একটি নির্বাহী কমিটি।
- ১৯৮২ সালে ECNEC গঠিত হয়।
- এটি বড় উন্নয়ন প্রকল্পের যাচাই-বাছাই (২৫ লাখ টাকার উপরে প্রকল্প হলে), নীতিমালা প্রণয়ন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন প্রদান করে।
- একনেক কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী এবং তার অনুপস্থিতিতে সভায় বিকল্প চেয়ারম্যান থাকবেন অর্থমন্ত্রী।

- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ-
১. আত্মরক্ষা।
২. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
৩. অন্য রাষ্ট্রের তুলনায় নিজের জাতীয় শক্তিকে রক্ষা ও প্রয়োজনে বৃদ্ধি করা।
৪. নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা।
৫. জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করা।
পদাধিকারবলে প্রধানমন্ত্রী নিচের সংগঠনের প্রধানঃ
 - জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ
 - জাতিয় প্রসাশন পুণর্গঠন, সংস্কার/বাস্তবায়ন কমিটি
 - রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি
 - জাতীয় পর্যটন পরিষদ
 - বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা
 - বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড
 - জাতীয় পরিবেশ কমিটি
 - জাতীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন পরিষদ
- ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
- এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান।
- পরিকল্পনায় দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের উপর জোর দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
- এটি ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০১৭ সালে সংশোধিত হয়েছিল।
রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো সরকার। সরকার রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।
যথাঃ
- আইন বিভাগ,
- শাসন বিভাগ ও
- বিচার বিভাগ।
আইন বিভাগঃ 
ক) আইন প্রণয়ন, পরিবর্ধন, সংশোধন করে। [সংবিধানের ৬৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যস্ত]
খ) সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে। [ #অনুচ্ছেদ ৫৫(৩) অনুসারে মন্ত্রিসভা যৌথ ভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকবে]
গ) কিছু কিছু নির্বাচনমূলক কাজ। [ #অনুচ্ছেদ ৪৮(১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি, #অনুচ্ছেদ ৭৪(১) অনুসারে স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন ইত্যাদি ]

∎ নিচের তথ্যগুলো জেনে রাখুনঃ
• আইন ও অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্যঃ
আইন- সংসদে বিল আকারে যে প্রস্তাব পাশ হয় তা-ই হল আইন।
অধ্যাদেশ- দেশে যখন কোন জরুরি অবস্থা চলতে থাকে এবং আইন পাশ করার দরকার পরে কিন্তু সংসদের কোনো অধিবেশন থাকে না তখন প্রেসিডেন্টের মুখ নি:সৃত বাণীকেই অধ্যাদেশ বলে।কিন্তু পরবর্তী সংসদ অধিবেশন শুরু হবার ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে হয় নতুবা তা বাতিল হয়ে যায়।

• পরিচালক ও মহাপরিচালকের মধ্যে পার্থক্যঃ
পরিচালক - পরিচালক একজন উপসচিব সমমর্যাদা সম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা।
মহাপরিচালক - মহাপরিচালক একজন অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম সচিবেরর সমমর্যাদা সম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা। মহাপরিচালক সাধারণত অধিদপ্তরের প্রধানের দায়িত্ব থাকেন।যেমন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইত্যাদি।

- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় হয়েছিল তিন দশকেরও বেশি সময় আগে, আরেক সংকটময় সময়ে ১৯৯০ সালে।

- সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

- এরশাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাকে সরকারের প্রধান করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের আইনকানুন সমূহকে প্রধানত তিন শ্রেণীতে চিহ্নিত করা যায়; 
- বাংলাদেশ দন্ডবিধি, 
- ফৌজদারী কার্যবিধি, এবং 
- দেওয়ানী দন্ডবিধি। 
 
ফৌজদারী কার্যবিধি এবং দন্ডবিধিকে আলাদাভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন নয়, এগুলো একে অপরের উপর নির্ভরশীল। অবশ্য এসব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষ আইন তৈরি হয়েছে। কিভাবে অপরাধের তদন্ত করতে হবে, গ্রেফতার-জমিনের বিধান এবং বিচারকার্য কিভাবে পরিচালনা করা হবে সেটা ফৌজদারী কার্যবিধি থেকে জানা যায়। ফৌজদারী কার্যবিধিতে মোট ৫৬৫টি ধারা আছে, এসব ধারাগুলোর অনেকগুলোর আবার উপধারা আছে। ১৮৬২ সালের ১লা জানুয়ারী হতে ফৌজদারী কার্যবিধি বলবৎ হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংশোধনী আনা হয়, আবার কিছু ধারা আবার বিভিন্ন সময়ে বাতিলও করা হয়।

- ৫ আগস্ট ২০২৪ এ সাধারণ ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তোপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
- তারপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রয়েছে ১০টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
- ১৬ আগস্ট নতুন করে উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বন্টন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
- মিজ্‌ শারমীন এস মুরশিদ কে  সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
- নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ করা হয় ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর।
- মাজদার হোসেন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রদত্ত রায়ের মাধ্যমে (৫২ ডিএল আর ২০০০)।
- এ রায়ে ঘোষণা করা হয় যে, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিচার) সদস্য হিসেবে গণ্য না করে এদের একটি পৃথক সার্ভিস হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদেরও প্রশাসনিক ক্যাডার থেকে পৃথক করতে হবে।
- নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ কার্যকর হয় ২০০৭ সালে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভার দুজন নারী সদস্য বেগম বদরুন্নেসা আহমদ ও বেগম নূরজাহান মুর্শিদ

বদরুন্নেসা আহমদঃ ৬১ ও ’৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি গোপনে তাঁর রাজনৈতিক কার্যকলাপ চলতে থাকে। ’৬৬ সালে আওয়ামী লীগ মহিলা শাখার চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। ’৬৮ সালে গঠন করেন ‘গণসংস্কৃতি পরিষদ’। ’৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  ১৯৭২-৭৩ পর্যন্ত বদরুন্নেসা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। ’৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এমপি হন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।

নূরজাহান মুর্শিদঃ তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন পঞ্চাশের দশকে। ’৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের হয়ে প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য বা এমএলএ নির্বাচিত হন এবং পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ’’৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এমপি হন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0