কৃষিজ সম্পদ (440 টি প্রশ্ন )
- 'রূপকথা' হল ধানের একটি জাত।

- 'রূপকথা' নামের ধান জাতটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দেশি ধানের মধ্যে একটি।
- এটি একটি সুগন্ধি ও সুন্দর স্বাদযুক্ত ধানের জাত, যা বেশ কিছু অঞ্চলে চাষ হয়।
- এই জাতের ধানটির মধ্যে অনেক অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল।
- দেশি জাতের ধানের সংরক্ষণ ও চাষাবাদের মাধ্যমে রূপকথা প্রভৃতি জাতগুলো হারিয়ে যেতে থাকলেও, কিছু অঞ্চলে এখনও এগুলো চাষাবাদ করা হয়।
- 'ক্ষীরশাপাতি' বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু আমের উন্নত জাত।
- এটি মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়।

এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
- স্বাদ ও গন্ধ: ক্ষীরশাপাতি আম তার মিষ্টি স্বাদ এবং চমৎকার সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত। এর আঁশ খুবই কম এবং এটি বেশ রসালো।
- ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য: ২০১৯ সালে 'ক্ষীরশাপাতি' আম বাংলাদেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা এবং লবণাক্ততার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশগুলোতে এর প্রভাব আরও প্রকট। IDCC এর গবেষণায় দেখা গেছে যে এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য, বিশেষ করে ধান, গম এবং ভুট্টার উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত -

- জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত হলোঃ ব্রি ধান ৬২।
- এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধানের জাতঃ বিআর ৫।
- লো জিআই বা নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স গুণ সম্পন্ন ধানের জাতঃ বিআর ৪৬ এবং বিআর ২৫।
- খরা সহিষ্ণু ধানের জাত সমূহ হলোঃ ব্রি ধান ৪৩, ব্রি ধান ৫৫, ব্রি ধান ৫৬, ব্রি ধান ৫৭, ব্রি ধান ৬৬, ব্রি ধান ৭১।
- জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জাতঃ ব্রি ধান ৫১।

- বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত ধান হলো বোরো ধান।
- এটি শীতকালীন মৌসুমে চাষ করা হয় এবং সেচনির্ভর হওয়ায় এর উৎপাদনশীলতা অন্যান্য ধানের তুলনায় বেশি।
- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, বোরো ধানের উৎপাদন পরিমাণ প্রায় ১৯১.৯২ লক্ষ মেট্রিক টন, যা আমন ও আউশ ধানের তুলনায় অনেক বেশি।
- বোরো ধানের চাষ সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় এবং এপ্রিল থেকে মে মাসে ফসল কাটা হয়।
- উচ্চ ফলনশীল জাত (HYV) এবং হাইব্রিড জাতের ব্যবহার বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 
- 'জিএইউ গম-১' গমের নতুন জাতটি উদ্ভাবন করেছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. ময়নুল হক ও অধ্যাপক ড. মো. মসিউল ইসলামের নেতৃত্বে দীর্ঘ গবেষণা ও মাঠপর্যায়ের পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ লবণসহিষ্ণু ও উচ্চফলনশীল এই নতুন গমের জাত 'জিএইউ গম-১' উদ্ভাবিত হয়েছে।
- এটি বাংলাদেশের প্রথম লবণাক্ততা সহনশীল গমের জাত, যা বিশেষভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত মাটিতে চাষের জন্য উপযোগী।
- জাতীয় বীজ বোর্ড ২০২৫ সালের ১৭ জুন 'জিএইউ গম-১' জাতটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
- এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত জাতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১টি, যা দেশের কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
- আউশ ধান সাধারণত আষাঢ় মাসে বপন করা হয় এবং এর জীবনকাল প্রায় ৯৫-১১০ দিন হয়। তাই আউশ ধানের কাটা সময় হয় বর্ষাকালের শেষ দিকে, অর্থাৎ মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত।
- আউশ ধান যখন শীষের অগ্রভাগের ৮০% চাল শক্ত ও স্বচ্ছ হয়ে যায়, তখন ধান কর্তন করা উচিত। এই সময় সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে পড়ে।
- আউশ ধানের বপন সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে হয় এবং ৩-৪ মাস পর ধান কাটা হয়। তাই সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের সময় আউশ ধান কর্তনের জন্য দেরি হয়ে যায়।
- "আইলসা" এবং "চমক" হলো বাংলাদেশের উন্নত আলুর জাতের নাম।

- আলু চাষে এই জাতগুলো উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী হিসেবে পরিচিত।

- আলুর বিভিন্ন জাতের মধ্যে আইলসা ও চমক জাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
আমন ধান মূলত বর্ষা মৌসুমের ফসল। বাংলাদেশে সাধারণত আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস (যা ইংরেজি ক্যালেন্ডারে জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত বিস্তৃত) আমন ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। এই সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়, যা আমন ধান চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমন ধানের চারা রোপণের পর সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ফসল কাটা হয়।
বাংলাদেশ রাইচ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (BRRI)-এর সদর দপ্তর গাজীপুর জেলায় অবস্থিত ।এটি ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়।
গুরুত্তপুর্ণ  বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের যাত্রাঃ
==========================
১৯৫২- এশিয়াটিক সোসাইটি
১৯৫৫- বাংলা একাডেমি (৩ ডিসেম্বার)।
১৯৫৯- BARD
১৯৬৮-উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী (সত্যেন সেন)
১৯৭০- BRRI
১৯৭২- পেট্রোবাংলা / নায়েম
১৯৭৩- FBCCI
১৯৭৪- আর ডি এ(বগুড়া)
১৯৭৭- NIPORT আজিমপুর
১৯৭৮- ICDDR'B / NAPE
১৯৮০- BIRDEM
১৯৮২- বিশ সাহিত্য কেন্দ্র।
১৯৮৪- পিএটিসি।
১৯৮৫- নজরুল ইন্সটিটিউট।
১৯৮৬- বিকেএস পি।
২০১০- IMLI.
......................./////..............
১৭৮১- কলকাতা মাদ্রাসা।
১৭৯১- সংস্কৃত কলেজ।
১৭৯৯- ব্যাপিস্ট মিশন ও ছাপাখানা।
১৮০০- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।
১৮১৮- শ্রীরামপুর কলেজ।
১৮৫৭- কলকাতা বিশবিদ্যালয়।
১৯৭৪- শিল্পকলা একাডেমী।
১৯৭৭- শিশু একাডেমী।
........///////////............
বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার
===============
১৯৬০- বাংলা একাডেমি পুরস্কার
১৯৭৩- বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক (রাষ্ট্রপতি পদক)।
১৯৭৬- একুশে পদক / জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার/ জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার।
১৯৭৭- স্বাধীনতা পুরস্কার।
১৯৯৩- প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার।
====================

- সাতক্ষীরা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা।
- এই জেলার উপকূলীয় এলাকা কাঁকড়া চাষের জন্য বিখ্যাত।
- সাতক্ষীরা জেলায় বাংলাদেশের একমাত্র কাঁকড়া হ্যাচারি অবস্থিত, যা কাঁকড়া চাষে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- হ্যাচারি হল একটি প্রজনন কেন্দ্র যেখানে কাঁকড়ার ডিম পাড়া থেকে শুরু করে বাচ্চা কাঁকড়া উৎপাদন পর্যন্ত সব ধরণের কাজ করা হয়।
- কাঁকড়া হ্যাচারির মাধ্যমে কাঁকড়ার উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং চাষিদের জন্য নতুন চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

সারাংশে, সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত কাঁকড়া হ্যাচারি কাঁকড়া চাষে বিশেষ অবদান রাখছে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
-এটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
-এর সদর দপ্তর ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত।
-গবেষণায় অবদানের জন্য সরকার ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘একুশে পদক' প্রদান করে।

-বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে পাঁচটি কেন্দ্র আছে-
স্বাদু পানি কেন্দ্ৰ - ময়মনসিংহ
নদী কেন্দ্ৰ - চাঁদপুর
লোনা পানি কেন্দ্ৰ - খুলনা
সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র - কক্সবাজার
চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্ৰ - বাগেরহাট।
- চিংড়ি চাষ আইনটি "চিংড়ি চাষ অভিকর আইন, ১৯৯২" নামে পরিচিত।
- এটি ১৯৯২ সালের ১০ নভেম্বর প্রণীত হয়। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল চিংড়ি চাষ এলাকার উপকৃত জমির উপর অভিকর আরোপ করা এবং চিংড়ি চাষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
- আইনটি চিংড়ি চাষের উন্নয়ন এবং চাষিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ - ২০২২
প্রকাশ : মে ২০২৩
● উৎপাদনে শীর্ষ জেলা
● ধান - ময়মনসিংহ 
● মাছ - ময়মনসিংহ
● পাট - ফরিদপুর 
● পেঁয়াজ - ফরিদপুর
● তুলা - ঝিনাইদহ 
● গম - ঠাকুরগাঁও
● আলু - বগুড়া 
● চিংড়ি - সাতক্ষীরা
● কাঠাল - গাজীপুর 
● তামাক - কুষ্টিয়া
● আম- রাজশাহী 
● সয়াবিন- লক্ষ্মীপুর
● লিচু- দিনাজপুর

-ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগলের একটি জাত ,যা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ,চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় ।
-বিশ্ববাজারে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া 'কুষ্টিয়া গ্রেড ' নামে পরিচিত ।

- বাংলাদেশে কৃষি খাতে শাকসবজির মধ্যে আলু সর্বাধিক উৎপাদিত ফসল।
- এটি দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য এবং শাকসবজি হিসেবে বিবেচিত।
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আলুর উৎপাদন প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আলুর জনপ্রিয়তার কারণ:

- এটি সারা বছর চাষ করা যায় এবং সংরক্ষণ করা সহজ।
- আলু থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়, যা মানুষের খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- এটি রপ্তানিযোগ্য একটি পণ্য, যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে।

- ২০২৫ সালের কৃষি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলু বাংলাদেশের শাকসবজির মধ্যে সর্বোচ্চ উৎপাদিত ফসল হিসেবে শীর্ষে রয়েছে।
প্রধান রপ্তানি পণ্য
- তৈরি পোশাক: এটি এখনও রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮০%। নিট পোশাক ও ওভেন পোশাকে যথাক্রমে ১৩% এবং ১৮% প্রবৃদ্ধি হয়েছে। (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)

- কৃষিপণ্য: কৃষি ও খাদ্য পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি ৯.৩১% বৃদ্ধি পেয়ে ৫৯.৫৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)

- আসবাবপত্র: ২০২৫ সালে আসবাবপত্রকে "বর্ষপণ্য" হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়নে সরকার ৮% নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। (সূত্র: জাগো নিউজ)

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ পাঁচ বছরের গবেষণার মাধ্যমে ফুল থেকে টিস্যু কালচার পদ্ধতি ব্যবহার করে ৫টি উন্নত জাতের কলার চারা উদ্ভাবন করেন। এই উদ্ভাবিত জাতগুলো অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, উচ্চ ফলনশীল এবং কম সময়ে ফলন দেয়। এটি দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উন্নতমানের ফসলের জাতঃ
» মরিচ - যমুনা।
» পুঁইশাক - সবুজ, চিত্রা। 
» আলু - ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, কুফরী, সিন্দুরী।
» বাঁধাকপি - ড্রামহেড, কে ওয়াই ক্রস, অ্যাটনাম- ৭০, গোল্ডেন ক্রস, গ্রীন এক্সপ্রেস।
» তরমুজ - পদ্মা, মধুবালা (হলদে জাতের তরমুজ)।
» বেগুন - শুকতারা, খটখটিয়া, দোহাজারী, কাজলা, নয়নতারা, উত্তরা, তারাপুরী, শিংনাথ, ইসলামপুরী। 
» কলা - অগ্নিশ্বর, কানাইবাসী, মোহনবাসী, বীটজবা, অমৃতসাগর,বেহুলা, মন্দিরা, কাপাসি, কাঁঠালী,  চিনিচম্পা, মৃতসাগর, সবরী, চাঁপা, কবরী, সিঙ্গাপুরী, এটে বা বিচিকলা, বারি কলা-১, মেহেরসাগর, চোয়ালপাউশ, আনাজী।
» আম - ল্যাংড়া, গোপালভোগ, মোহনভোগ, মহানন্দা।
» পেয়ারা - বারি-৪, কাজি।
১।আলুর উন্নত জাত – ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, কুফরী ও সিন্দুরী ।
২। কলার উন্নত জাত – অগ্নিশ্বর (৩৬ তম বিসিএস), মোহনবাঁশি, কানাইবাঁশি, সিঙ্গাপুরী, বীজটবা । (১০ম বিসিএস)
৩। ভুট্টার উন্নত জাত - বর্ণালী ও শুভ্র (৩৫তম বিসিএস), উত্তরণ
৪। গমের উন্নত জাত – বলাকা (২৬ তম বিসিএস), দোয়েল (২৬, ৩২ তম বিসিএস), সোনালিকা (৩২ তম বিসিএস), আকবর (৩২ তম বিসিএস), আনন্দ, কাঞ্চন, শতাব্দী ।
৫। ধানের উন্নত জাত – ইরাটম (২৬ তম বিসিএস), মুক্তা, আশা, মালা, ময়না, ইরি, প্রগতি, সোনার বাংলা-১, নারিকা-১, আলোক-৬২১০ ।
৬। তুলার উন্নত জাত - রুপালী ও ডেলফোজ ।
৭। তামাকের উন্নত জাত - সুমাত্রা, ম্যানিলা ।
৮। টমেটোর উন্নত জাত - বাহার, মানিক, রতন, মিন্টো, ঝুমকা, সিঁদুর, শ্রাবণী ।
৯। বেগুনের উন্নত জাত - শুকতারা, তারাপুরী, ইওরা ।
১০। আমের উন্নত জাত - মোহনভোগ, মহানন্দা, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপলি, ক্ষীরসাপাতি (চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত আমের নাম; যার অপর নাম ‘হিমসাগর’) ।
১১। মিষ্টি কুমড়ার উন্নত জাত - ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ ।
১২। সরিষার উন্নত জাত - ‘সফল’ ও ‘অগ্রণী’ ।
১৩। তরমুজের উন্নত জাতের নাম - ‘মধুবালা’ ও ‘পদ্মা’ ।
* বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য শস্য/কৃষিজ পণ্য— ধান
* বর্তমানে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে— তৃতীয়।
* দেশের মোট জমির শতকরা ৭০% জমিতে ধান উৎপাদন হয়।
* বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বোরো ধান।
* দেশে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয়- রংপুরে।
* কিছু উন্নত জাতের ধানের মধ্যে- বাংলামতি, সোনার বাংলা, ব্রিশাইল, ব্রি-৬২, ব্রি-৮১ থেকে ব্রি— ৮৫, ইরাটম— ২৪, ষ্টীয় ময়না, মুক্তা, মোহিনি, আশা, সুফলা, চান্দিনা অন্যতম।
* বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) উদ্ভাবিত প্রথম জিংক সমৃদ্ধ ধান- ‘ব্রি- ৬২।
* বাংলাদেশের প্রধান প্রধান ধানের মধ্যে- বোরো, আউশ, আমন, হীরা ইত্যাদি অন্যতম।
* আমন ধান কাঁটার সময় কার্তিক-অগ্রহায়ণ।
* উত্তরবঙ্গের মঙ্গা এলাকার জন্য উপযোগী- বি-আর৩৩ ।
* দক্ষিণ বঙ্গের লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধান- বিনা-৮।
* দেশে সোনালি ধান উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
* সবচেয়ে বেশি চালকল আছে- নওগাঁ জেলায়।
* এক ধানে দুই চাল আবিষ্কারক- মকবুল হোসেন (ঝিনাইদহ)।
* সাধারণত সেচ নির্ভর ধান বোরো ধান। [বাংলাদেশের প্রধান ধান]
* বোরো ধান বোনা হয় কার্তিক মাসে ও কাটা হয় বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে।
* আউশ ধান কাঁটার সময় বর্ষাকাল বলে একে আষাঢ়ী ধানও বলা হয়। [বুনন চৈত্র-বৈশাখ
* আমন ধান দুই প্রকার। যথা: ১) রোপা আমন ও ২) বোনা আমন।
প্রকাশ: ৯ জুন ২০২৫ (BBS)

উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ও বিভাগ

- গম: (জেলা- ঠাকুরগাঁও ও বিভাগ- রাজশাহী)

- ভুট্টা: (জেলা- দিনাজপুর ও বিভাগ- রংপুর)

- সয়াবিন: (জেলা- লক্ষ্মীপুর ও বিভাগ- চট্টগ্রাম)

- আলু: (জেলা- রংপুর ও বিভাগ- রংপুর)

- পেঁয়াজ: (জেলা- পাবনা ও বিভাগ- ঢাকা)

- আম: (জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বিভাগ- রাজশাহী)

- কাঁঠাল: (জেলা- গাজীপুর ও বিভাগ- ঢাকা)

- পাট: (জেলা- ফরিদপুর ও বিভাগ- ঢাকা)

- তুলা: (জেলা- ঝিনাইদহ ও বিভাগ- খুলনা)

- শিমুল তুলা: (জেলা- কুমিল্লা ও বিভাগ- ঢাকা)

- তামাক: (জেলা- কুষ্টিয়া ও বিভাগ- খুলনা)

- পেয়ারা: (জেলা- চট্টগ্রাম ও বিভাগ- চট্টগ্রাম)

- বোরোধান: (জেলা- ময়মনসিংহ ও বিভাগ- রাজশাহী)

- ধান (আউশ+আমন+বোরো): (জেলা- ময়মনসিংহ ও বিভাগ- রাজশাহী)

বিশেষ তথ্য:
- চিংড়ি মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলা সাতক্ষীরা, বিভাগ খুলনা।
- নদীর মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ভোলা, বিভাগ বরিশাল।
- পুকুরের মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ময়মনসিংহ এবং বিভাগ চট্টগ্রাম।
কৃষি উৎপাদনে শীর্ষ বিভাগসমূহ

- ধান উৎপাদন: রংপুর
- গম উৎপাদন: রাজশাহী
- ভূট্টা উৎপাদন: রংপুর
- আলু উৎপাদন: রংপুর
- পাট উৎপাদন: ঢাকা
- তুলা উৎপাদন: খুলনা
- তামাক উৎপাদন: খুলনা
- চা উৎপাদন: সিলেট

(তথ্যসূত্র: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৩)
» কৃষিশুমারি ২০১৯ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে কৃষির উপর নির্ভরশীল পরিবার- ৪৬.৬১%
» কৃষিশুমারি ২০১৯ জরিপ মতে বাংলাদেশে মোট খানা- ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার
» কোনো ধরনের জমি নাই- ১১.৩৪ শতাংশ খানার
» দেশে সবচেয়ে কৃষি নির্ভর পরিবার- বরিশাল বিভাগে
» নিজের জমি নেই এমন পরিবার সবচেয়ে বেশি রয়েছে- ঢাকা বিভাগে।
কৃষিশুমারিতে কৃষি অন্তভুর্ক্ত বিষয় ৩টি যথাঃ শস্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ
 
১৯৭৭ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কৃষিশুমারী
১৯৮৬ দ্বিতীয় কৃষিশুমারী
১৯৯৭ তৃতীয় কৃষিশুমারী
২০০৮ চর্তুথ দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃষিশুমারী যা শহর ও গ্রাম একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৯ পঞ্চম কৃষিশুমারি

তবে স্বাধীনতার আগে ১৯৬০ কৃষি শুমারি হয়।
- প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদানগুলোর মধ্যে মিথেন ৮০- ৯০%, ইথেন ১৩%, প্রোপেন ৩%।
- এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেনে কিছু পরিমাণ মিথেন থাকে।
- বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫- ৯৯% । যা বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান।
- মিথেন গ্যাসকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি পোড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রতিবছর ২ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ইলিশ মূলত সারা বছরই ডিম দেয়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর—এই দুই মাসের চারটি অমাবস্যা-পূর্ণিমায় ডিম পাড়ে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0