Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
ব্রিটিশ শাসনামল (479 টি প্রশ্ন )
- ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে ১ম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়।কিন্তু ১৯১১ সালে, প্রচণ্ড গণআন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়।

- দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয় ১৯৪৭ সালে। এর ফলে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানে এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতে যুক্ত হয়।

- এই পূর্ববঙ্গই পরবর্তীকালে পাকিস্তানের কাছ থেকে এক রক্তক্ষয়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে।

- বঙ্গভঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে যখন হিন্দু সমাজের একটি বৃহৎ অংশ এর বিরোধিতা করে স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা করেছিল, তখন মুসলমানদের মধ্যে এই প্রস্তাবটি সম্পর্কে দ্বিধাবিভক্ত মনোভাব দেখা যায়।
- শুরুতে অনেক মুসলিম নেতা ও সংগঠন বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করলেও, পরবর্তীতে অনেকেই এর পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন।
- এরই ধারাবাহিকতায়, মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি ১৯০৫ সালে সাতজন প্রভাবশালী মুসলিম নেতার স্বাক্ষরযুক্ত একটি প্রকাশ্য লিখিত ঘোষণা প্রকাশ করে। এই ঘোষণার মাধ্যমে, তারা সমগ্র মুসলিম সমাজকে শর্তহীনভাবে বঙ্গভঙ্গ সমর্থনের আহ্বান জানায়।
- মোসলেম ক্রনিকল শুরুতে বিভক্তির বিরোধিতা করেছিল, পরে মত পরিবর্তন করে।

উৎস- বাংলাপিডিয়া।


- ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর বেশিরভাগ মুসলমান বঙ্গভঙ্গের পক্ষেই মত দেয়, কারণ তারা মনে করেছিল নতুন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশে মুসলমানদের উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে। তবে মুসলমান সমাজের একটি উদারপন্থী অংশ তখনও হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের পক্ষে ছিল এবং বঙ্গভঙ্গকে ভারতের জাতীয় ঐক্যবিরোধী মনে করত।
- এই ধারার অন্যতম মুখ্য নেতা ছিলেন খাজা আতিকুল্লাহ, যিনি ছিলেন নওয়াব খাজা সলিমুল্লাহর সৎ ভাই।
- তিনি ১৯০৬ সালের কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভঙ্গ বর্জনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

উৎস- বাংলাপিডিয়া
- ১৮৩৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট (Charter Act of 1833) ব্রিটিশ ভারতের প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে।
- এই আইনের মাধ্যমে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও দাসপ্রথা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয় ১৮৪৩ সালের আইন (Act V of 1843) দ্বারা, ১৮৩৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট দাসপ্রথা হ্রাস করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়।
- এটি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল এবং ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার উন্নয়নের সূচনা করে।
- বাংলাদেশে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হয় ১৯৫০ সালে।
- এটি সম্ভব হয়েছিল "পূর্ববঙ্গ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০" (East Bengal State Acquisition and Tenancy Act, 1950) প্রণয়নের মাধ্যমে।
- এই আইনটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা প্রণীত হয়।
- আইনটি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে জমিদারদের ভূমি অধিকার বিলুপ্ত হয় এবং ভূমির মালিকানা সরাসরি কৃষকদের হাতে চলে যায়।
- জমিদারদের মধ্যস্বত্বভোগী ভূমিকা বাতিল করে সরকার নিজেই জমির একমাত্র মালিক হয়ে ওঠে।
- এর ফলে কৃষকরা সরাসরি সরকারের প্রজা হিসেবে ভূমির মালিকানা লাভ করে।
- জমিদারী প্রথা মূলত ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (Permanent Settlement) প্রথার মাধ্যমে চালু হয়েছিল।
- জমিদাররা কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করত এবং এর একটি অংশ ব্রিটিশ সরকারকে প্রদান করত।
- ১৯৫০ সালের এই আইনটি কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং জমিদারদের শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
ভারত শাসন আইনের (১৯৩৫) বিষয়বস্তু : 
- পাশ: ১৯৩৫ সালের ২ আগষ্ট
- কার্যকর: ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল
- প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার পদ্ধতি ও প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন
- ধারা: ১৪ টি

- এই আইনের ফলে :
- বার্মা (মিয়ানমার) উপমহাদেশ থেকে পৃথক হয় (কার্যকর:১৯৩৭)
- বিহার ও উড়িষ্যা নামে নতুন দুটি প্রদেশ গঠিত হয়।
- প্রাদেশিক নির্বাচনের সূচনা ঘটে।
- উপমহাদেশে নারীরা প্রথম ভোটাধিকার পায় (ভোট প্রদান: ১৯৩৭)
নীল কমিশন:
- গঠন: ১৮৬০ সালের ৩১ মার্চ (সূত্র: বাংলাপিডিয়া)
- চেয়ারম্যান: ডব্লিউ এস সিটনকার
- একমাত্র বাঙালি সদস্য: জমিদার চন্দ্রমোহন চ্যাটাজি
- রিপোর্ট প্রকাশ: ১৮৬১
- কমিশনের উদ্দেশ্য: নীল উৎপাদন ব্যবস্থা তদন্ত
- রিপোর্টের বিষয়: নীল চাষ কৃষকদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে
- নীল বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে: উত্তরবঙ্গ, ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে
- বাংলায় নীল বিদ্রোহের সম্পূর্ণ অবসান: ১৯০০ সালের মাঝামাঝি (নিশ্চিন্তপুরের নীল কুঠি উঠে যাওয়ার মাধ্যমে)
- কৃত্রিম নীল আবিষ্কার: ১৮৯২
- নীল চাষের নামে জেলার নামকরণ: নীলফামারী।
ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলন:
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্ষমতা লাভের পর সর্বপ্রথম যে আন্দোলন হয়েছিল ইতিহাসে তা ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলন নামে পরিচিত।
- সময়কাল: ১৭৬০ থেকে ১৮০০
- বিদ্রোহের কারণ: ইংরেজরা ফকির-সন্ন্যাসীদের চলাচলে বাধা নিষেধ অরোপ করে এবং ভিক্ষা ও মুষ্টি সংগ্রহকে বেআইনি ঘোষণা করে।
- ফকির বিদ্রোহের নামকরণ করেন: ভারতের বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস
- ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করে: ফকির-সন্ন্যাসীরা
- ফকিরদের নেতা: মজনু শাহ্ (সুফি সাধক)
- সন্ন্যাসীদের নেতা: ভবানী পাঠক
- উত্তরবঙ্গে বিদ্রোহ হয়: মজনু শাহের নেতৃত্বে
- সন্ন্যাসীদের প্রথম বিদ্রোহ: ১৭৬০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে
- মজনু শাহ্ প্রথম আন্দোলন করে: রংপুরে
- মজনু শাহ্ উত্তরবঙ্গে তৎপরতা শুরু করে: ১৭৭১ সালে
- আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যস্থল: কোম্পানির কুঠি, ইংরেজ শাসক অনুগতদের কাচারি এবং জমিদার আমলাদের আবাসস্থল
- মজনু শাহের নেতৃত্বে বিদ্রোহের স্থান: রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর
- ইংরেজ বাহিনী ফকিরদের উপর আক্রমণ করে: ১৭৭১ সালে ঘোড়াঘাট ও রংপুরের গোবিন্দগঞ্জের পথে
- মজনু শাহের উত্তরসূরী: মুসা শাহ্, চেরাগ আলী শাহ্, করিম শাহ্, সোবহান শাহ্, মাদার বখস প্রমুখ ফকির।
- ফকির-সন্ন্যাসীরা অনুপ্রেরণা পেত: বন্দেমাতরম গানটি গেয়ে
- গানটির রচয়িতা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে নেয়া)
- বিদ্রোহ নিয়ে উপন্যাস: আনন্দমঠ (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
- ১৭৮৭ সালে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতা ভবানী পাঠক নিহত হলে সন্ন্যাসী আন্দোলনেরও অবসান ঘটে।
- লর্ড ডালহৌসি (১৮৪৮-১৮৫৬) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল, যিনি আধুনিক ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পরিচিত।
- তার শাসনামলে, ১৮৫৩ সালে কলকাতা থেকে আগ্রা পর্যন্ত প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন করা হয়।
- এটি ছিল ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

লর্ড ডালহৌসির সময়কালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়, যেমন:

- ১৮৫৩ সালে ভারতের প্রথম রেলপথ চালু (বোম্বে থেকে থানে পর্যন্ত)।
- ১৮৫৪ সালে ভারতের প্রথম ডাকটিকিট চালু।
- গণপূর্ত বিভাগ (Public Works Department) প্রতিষ্ঠা।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- 'বাংলা গেজেট' ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র।
- এটি ১৭৮০ সালে প্রকাশিত হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জেমস অগাস্টাস হিকি।
- এই সংবাদপত্রটি মূলত 'হিকি'স বেঙ্গল গেজেট' নামে পরিচিত ছিল।
- এটি ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র হিসেবেও খ্যাত।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল (১৭৭৩-১৭৮৫)।
- তার শাসনামলেই এই সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হয়। যদিও এটি ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করায় পরে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৮৬-১৭৯৩):

- ভারতের সিভিল সার্ভিসের জনক।
- কর্নওয়ালিস কোড চালু।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশ সেনাপতি ছিলেন।
- দশশালা বন্দোবস্ত চালু (১৭৮৯)।
তিতুমীরের সংগ্রাম:
- উনিশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলিম সমাজে দুটি ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এর একটি ছিল ওয়াহাবি বা মুহাম্মদীয়া আন্দোলন, অপরটি ছিল ফরায়েজি আন্দোলন।
- উভয় আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল: ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করে মুসলিম সম্প্রদায়কে সঠিক পথে নির্দেশ করা।
- মুহাম্মদীয়া আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন: পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার বারাসাত মহকুমার মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর।
- তিতুমীরের নেতৃত্বে পরিচালিত ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল: উত্তর ভারতের সৈয়দ আহমদ শহীদের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
• ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্র ধারণ করেন- তিতুমীর
• তিতুমীরের রাষ্ট্রের বা ‘বাঁশের কেল্লার’ সামরিক প্রধান ছিলেন- গোলাম মাসুম ওরফে মাসুম খাঁ
• তিতুমীরের ঘোষিত রাষ্ট্র- চব্বিশ পরগনা, নদীয়া ও ফরিদপুরের কিছু অংশ নিয়ে
• তিতুমীরের বিদ্রোহের অপর নাম- বারাসাত বিদ্রোহ
• তিতুমীরের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- মঈনুদ্দিন
• তিতুমীরের মুজাহিদ সংখ্যা ছিল- ৫০০০ জন।
নীল কমিশন :

- গঠন : ১৮৬০ সালের ৩১ মার্চ (সূত্র : বাংলাপিডিয়া)
- চেয়ারম্যান : ডব্লিউ এস সিটনকার
- একমাত্র বাঙালি সদস্য : জমিদার চন্দ্রমোহন চ্যাটার্জি
- রিপোর্ট প্রকাশ : ১৮৬১
- কমিশনের উদ্দেশ্য : নীল উৎপাদন ব্যবস্থা তদন্ত
- রিপোর্টের বিষয় : নীল চাষ কৃষকদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে
- নীল বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে : উত্তরবঙ্গ, ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে
- তিতুমীর ছিলেন একজন কৃষক নেতা যিনি ১৮৩১ থেকে ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। 
- তিনি বাংলার নদীয়া জেলার বারাসত মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
- তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং তিনি ব্রিটিশদের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেন। 
- তিতুমীরের নেতৃত্বে কৃষকরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল যুদ্ধে জয়লাভ করে।
- তিনি ব্রিটিশদের কাছ থেকে বেশ কিছু এলাকা দখল করেন এবং তিনি সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।
- তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সেনাবাহিনী গঠন করেন এবং তিনি সেই সেনাবাহিনীকে সশস্ত্র করেন।

- উপমহাদেশের সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন। তার শাসনামলে ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন হয়।
- ৩ জুন ,১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ ভাইসরস লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারত ভাগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ।
- ১৮ জুলাই,১৯৪৭ সালে মাউন্টব্যাটেন এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারত স্বাধীনতা আইন পাশ হয় ।
- এই আইনের ফলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় ।
- ফলে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত নামে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় ।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল। তিনি ১৭৭২ সালে কলকাতায় রাজধানী স্থাপন করেন। 
- ১৭৬৫ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা ও বিহারের দেওয়ানি লাভ করে।
- এই দেওয়ানি লাভের ফলে ব্রিটিশদের ভারতে শাসন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
- হেস্টিংস বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতে ব্রিটিশ শাসন পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন।
- তিনি কলকাতায় একটি কেন্দ্রীয় সরকার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন।

- কিংবদন্তিতুল্য কৃষক নেত্রী ইলা মিত্রের নেতৃত্বে ১৯৪৯-৫০ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত নাচোল উপজেলার জমিদারদের বিরুদ্ধে সাঁওতাল কৃষকদের বিদ্রোহ সংঘটিত হয় যা ইতিহাসে নাচোল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
- সাঁওতালরা বংশপরম্পরায় একই জমি চাষ করে আসলেও তার স্বত্বাধিকার স্বীকৃত হয়নি। বরঞ্চ প্রথা অনুযায়ী কৃষক প্রতি কুড়ি আড়ি ফসল কাটার বিনিময়ে মাত্র তিন আড়ি ধান পেত। পরে আন্দোলনরত কৃষকরা দাবি করে কুড়ি আড়ি ধান প্রতি সাত আড়ি ধান লাভের অধিকার ।আন্দোলন দিকে দিকে তীব্রতর হতে থাকে।
- এরই মধ্যে ১৯৫০ সালে প্রণীত ' পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন' এর আওতায় সাঁওতাল চাষিদের জমির উপর অধিকার প্রদান করা হয় এবং এতে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়।

- লর্ড মাউন্টব্যাটেন (মেয়াদকাল ১৯৪৫-১৯৪৭) ভারতবর্ষকে ভেঙে ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ ভারত নামে ‍দুটি রাষ্ট্র গঠন করেন।
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর তার ভাইসরয় উপাধি বিলুপ্ত হয়ে গভর্নর জেনারেল উপাধিতে রূপান্তরিত হয়।
- ফলে তিনি ভারতের শেষ ভাইসরয় ও প্রথম গভর্নর জেনারেলে পরিণত হন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

১৯৪৬ সালের কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা ছিল ব্রিটিশ সরকারের একটি উদ্যোগ, যার মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি ফেডারেশন গঠন করা, যা ভারতকে ঐক্যবদ্ধ রাখবে এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের (বিশেষত হিন্দু ও মুসলিম) স্বার্থ রক্ষা করবে।

কেবিনেট মিশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো ছিল:

  1. ভারতের ঐক্য বজায় রাখা: মিশন চেয়েছিল ভারতকে বিভক্ত না করে একটি ফেডারেল কাঠামোর মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ রাখা।
  2. সংবিধান প্রণয়ন: একটি সংবিধান সভা (Constituent Assembly) গঠন করা, যেখানে ভারতীয় নেতারা মিলে দেশের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ করবেন।
  3. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: প্রদেশগুলোকে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
  4. মুসলিম লীগের পাকিস্তান দাবির প্রত্যাখ্যান: মিশন পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং একটি ফেডারেল কাঠামোর মাধ্যমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোর স্বার্থ রক্ষার প্রস্তাব দেয়।
  5. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন: একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা, যা ব্রিটিশ শাসনের অবসান পর্যন্ত প্রশাসন পরিচালনা করবে।
কেবিনেট মিশন পরিকল্পনার মূল প্রস্তাব:
- একটি তিন-স্তরের শাসনব্যবস্থা প্রস্তাব করা হয়: কেন্দ্র, প্রাদেশিক গ্রুপ এবং প্রদেশ।
- কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি এবং যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো পরিচালনা করবে।
- প্রদেশগুলোকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়:
     গ্রুপ A: হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ (যেমন: মাদ্রাজ, বোম্বে, বিহার)।
     গ্রুপ B: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ (যেমন: পাঞ্জাব, সিন্ধু)।
     গ্রুপ C: বাংলা ও আসাম।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল:

কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা ভারতের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এটি ভারতের বিভাজন এড়ানোর চেষ্টা করেছিল এবং একটি ফেডারেল কাঠামোর মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করতে চেয়েছিল। তবে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, যা পরবর্তীতে ভারত বিভাজনের (Partition) দিকে নিয়ে যায়।


- ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে ১ম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়।কিন্তু ১৯১১ সালে, প্রচণ্ড গণআন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়।

- দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয় ১৯৪৭ সালে। এর ফলে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানে এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতে যুক্ত হয়।

- এই পূর্ববঙ্গই পরবর্তীকালে পাকিস্তানের কাছ থেকে এক রক্তক্ষয়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে।
- ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা কার্যকর হলে হিন্দু জনগোষ্ঠী এর তীব্র প্রতিবাদ করে।
- তাদের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী সংরাম এক সময় সহিংস আন্দোলনে রুপ নেয় ।
- হিন্দুদের প্রতিবাদের মুখে ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সম্রাট পঞ্চম জর্জ ঐতিহাসিক দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের কথা ঘোষণা করেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসঃ ভারতীয় প্রজাতস্ত্রের একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল । থিওজোফিক্যাল সোসাইটির কিছু ‘অকাল্ট’ সদস্য কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন ।
তারা হলেনঃ 
- অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, 
- দাদাভাই নওরোজি, 
- উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, 
- দিনশ এদুলজি ওয়াচা, 
- সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, 
- মোনমোহন ঘোষ, 
- মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন প্রমুখ । ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব দান করেছিল ।
- ১৯৪৭ ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে, কংগ্রেস দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সেই থেকে মূলত নেহেরু-গান্ধী কংগ্রেসকে নেতৃত্ব করতে থাকেন ।

- ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলার নবাব সিরাজ উদ্দৌলার সাথে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর বরার্ট ক্লাইভ আলিনগর সন্ধি স্বাক্ষর করেন।

এই সন্ধির শর্তানুসারে,
(১) নবাব ১৭১৭ সালের ফারুখ শিয়ারের ফরমানে প্রদত্ত সকল সুবিধা ইংরেজদেরকে দেবেন।
(২) কোম্পানির দস্তক এর আওতায় বাংলার ভেতর দিয়ে যেসব পণ্যদ্রব্য অতিক্রম করবে সেগুলির ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিতে হবে।
(৩) নবাব বিনা বাধায় কলকাতার ইংরেজ দুর্গটিকে সুরক্ষিত করার অনুমতি দেবেন।এবং
(৪) কলকাতায় ইংরেজগণ স্বাধীনভাবে মুদ্রাঙ্কন করতে পারবে


ভারত শাসন আইনের (১৯৩৫) বিষয়বস্তু : 
- পাশ: ১৯৩৫ সালের ২ আগষ্ট
- কার্যকর: ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল
- প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার পদ্ধতি ও প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন
- ধারা: ১৪ টি

- এই আইনের ফলে :
- বার্মা (মিয়ানমার) উপমহাদেশ থেকে পৃথক হয় (কার্যকর:১৯৩৭)
- বিহার ও উড়িষ্যা নামে নতুন দুটি প্রদেশ গঠিত হয়।
- প্রাদেশিক নির্বাচনের সূচনা ঘটে
- উপমহাদেশে নারীরা প্রথম ভোটাধিকার পায় (ভোট প্রদান: ১৯৩৭)
- ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলায় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কংগ্রেস, মুসলিমলীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মুসলিমলীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি কোয়ালিশন সরকার গঠন করে
- এই সরকারে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।
- তিনি (১৯৩৭-১৯৪১) এবং (১৯৪১-১৯৪৩) দুটো মন্ত্রিসভায় ‍মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
- উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হাজী শরীয়তউল্লাহ ফরায়েজি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল। ১৮৪০ সালে হাজী শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ মুহসিন উদ্দিন ওরফে দুদু মিয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেনা। 
- ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন— মাওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী।
- দার-উল-হরব কথাটির অর্থ— বিধর্মীর রাজ্য/যে রাজ্য ইসলামী অনুশাসন দ্বারা পরিচালিত হয় না।
- দুদু মিয়ার আসল নাম 'পীর মুহসীনউদ্দীন আহমদ'।
- দুদু মিয়ার নেতৃত্বে ফরায়েজী আন্দোলন রূপ নেয় 'সশস্ত্র সংগ্রামে'।
- মক্কা যাওয়ার পথে দুদু মিয়া সাক্ষাৎ করেছিলেন 'বাংলার সংগ্রামী নেতা তিতুমীরের সাথে'।
- দুদু মিয়াকে সমাহিত করা হয় 'ঢাকার বংশালে '।
- জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী—এ উক্তি দুদু মিয়ার ।
- ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বলতে মূলত আঠারো শতকের শেষের দিকে (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাতে ফকির ও সন্ন্যাসী বা মুসলিম ও হিন্দু তাপসদের তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বোঝায়।
- মজনু শাহের নেতৃত্বে ফকিরগণ রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইংরেজ বিরোধী তৎপরতা শুরু করে।
- ফকিরগণ বগুড়ার মহাস্থানে ১৭৬৬ সালে একটি দুর্গ নির্মাণ করে।
- পরবর্তীকালে এই দুর্গ থেকেই এ স্থানের নাম হয় মহাস্থানগড়।
- এই দুর্গই বহুদিন পর্যন্ত ফকির বাহিনীর অভিযান পরিচালনার কেন্দ্ররূপে ব্যবহৃত হয়।
- ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন হল এই ফকির সন্যাসী বিদ্রোহ।
- বাংলার নীল চাষিরা ১৮৫৯-৬২ সালে ইউরোপীয় নীলকরদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন গড়ে তোলে তাকে নীল বিদ্রোহ বলা হয়।
- খ্রিস্টান মিশনারি জার্মান লুথারপন্থি প্রোটেস্টট্যান্টি, এদর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রেভারন্ড জে জি লিংক নীল বিদ্রোহীদের পক্ষে কয়েকজন বিদেশি অবস্থান নেন।
- ১৮৫৯ সালে বাংলাদেশে নীল খামারের সংখ্যা ছিল ১৪৩টি।
- ১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহ কখন তুঙ্গে ওঠে।
- নীল চাষিদের ওপর অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে দিনবন্ধু মিত্র রচিত গ্রন্থের নাম নীলদর্পণ।
- নীল বিদ্রোহ সশস্ত্র রূপ লাভ করে ১৮৫৯-৬০ সালে।
- নীল বিদ্রোহ প্রথম ছড়িয়ে পড়ে- যশোর জেলার চৌগাছায়।
নীল বিদ্রোহের প্রথম প্রবাদ পুরুষ— সর্দার বিশ্বনাথ ।
- নীল বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজ সরকার গঠন করেন নীল কমিশন।
- নীল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাস।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলায় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কংগ্রেস, মুসলিমলীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মুসলিমলীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি কোয়ালিশন সরকার গঠন করে।
- এই সরকারে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।
- তিনি (১৯৩৭-১৯৪১) এবং (১৯৪১-১৯৪৩) দুটো মন্ত্রিসভায় ‍মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। 
- বিবিসি বাংলার জরিপে চতুর্থ স্থানে আছেন এ কে ফজলুল হক। 
- বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি ১৯১৩ সালে এবং ১৯১৬ থেকে ১৯২১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি।
- ওই একই সময়ে পাশাপাশি তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
- অবিভক্ত বাংলার সর্বশেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0