|
|
| |
|
|
|
উপজাতিদের উৎসব - চাকমা - বিজু (বর্ষবরণ), বৌদ্ধ পূর্ণিমা, ফাল্গুনী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, কঠিন চীবর দান।
ত্রিপুরা - বৈসুক (বর্ষবরণ); সাঁওতাল - সোহরাই, বাহা, ঝুমুর নাচ, ঝিকা নাচ, দোন;
গারো - ওয়ানগালা রাখাইন - সান্দ্রে, জলকেলি;
মুরং - ছিয়াছত মারমা - সাংগ্রেইন (বর্ষবরণ), ল্যাব্রে;
সাঁওতাল - সোহরাই, ফাগুয়া, ঝুমুর গান। খিয়াং - সাংলান;
ওঁরাও - ফাগুয়া
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশে মোট ৫০টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বসবাস করে। - এদের মধ্যে হাজং উপজাতির বসবাস শেরপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়। - সিলেট জেলায় বসবাসকারী উপজাতি হলো খাসি (খাসিয়া), গারো, কুর্মি, নায়েক, পাত্র, বীন, বোনাজ, মুণ্ডা, মণিপুরী ও ভূমিজ। হাজং ছাড়াও ময়মনসিংহ জেলায় গারো, বর্মণ ও ডালু উপজাতির বসবাস রয়েছে। - রাজবংশী ও কোচ উপজাতি বাস করে শেরপুর জেলায়।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের এক-দশমাংশ আয়তনজুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা-রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি নিয়ে গঠিত। চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকা পাহাড় ও উপত্যকায় পূর্ণ বলে এর নামকরণ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এই তিনটি জেলার মোট আয়তন ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা প্রধান নদী হলো কর্ণফুলী। এই নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাইয়ে গড়ে তোলা কাপ্তাই হ্রদে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুনর্দখল করেন এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। বর্তমান নৃগোষ্ঠীগুলোর নাম (যেমন- মারমা), বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিভাষা (যেমন-'মাং' মানে গভর্নর, 'পো-মাং' মানে মহান অধিনায়ক বা 'রুয়াসা' বা 'রোয়াজা' মানে গ্রাম নেতা) মায়ানমারের সঙ্গে এ অঞ্চলের আদান-প্রদান প্রমাণ করে। মোগল ও প্রারম্ভিক ব্রিটিশ নথিপত্রে অঞ্চলের নাম জুমবঙ্গ, জুমমহল ও কপাসমহল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোগল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ থেকে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবাহ বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্তে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসেবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসেবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে পার্বত্য। চট্টগ্রামকে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায়। বিভক্ত করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতির স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও তার সশস্ত্র উগ্র সংগঠন শান্তি বাহিনী ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। - পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়িদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। - এতে সরকারে পক্ষে স্বাক্ষর করে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও শান্তি বাহিনীর পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
|
|
| |
|
|
|
চেয়ারম্যান - জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা - নির্মল কান্তি চাকমা। নির্বাহী কর্মকর্তা - সুবর্না চাকমা। চেয়ারম্যানের সহকারী একান্ত সচিব - বিশ্বজিৎ চাকমা।
|
|
| |
|
|
|
- পাহাড়ের ঢালে বন উজাড় করে ও তা আগুনে পুড়িয়ে জমিকে চাষের উপযোগী করার মাধ্যমে যে চাষাবাদ করা হয় তারই নাম জুম চাষ। - পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) প্রায় ৫৪৮০ বর্গ কি.মি বনভূমির সিংহভাগ জুড়েই জুম চাষ করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বৈসাবি হলো অন্যতম বড় উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন মিলে এই তিন দিন ধরে তারা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে।
- বৈসু: ত্রিপুরা সম্প্রদায় এই উৎসবকে বৈসু বলে।
- সাংগ্রাই: মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই নামে এই উৎসব পালন করে।
- বিজু: চাকমা সম্প্রদায় বিজু নামে এই উৎসবকে অভিহিত করে।
এই তিনটি নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবেই বৈসাবি শব্দটি এসেছে।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবের নাম বৈসাবি। - প্রতিবছর চৈত্রের শেষ দুদিন বর্ষবিদায় ও পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের এ মহোৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) পালিত হয়। - বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের এ উৎসবকে ত্রিপুরাদের ভাষায় বৈসুক, মারমাদের ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমাদের ভাষায় বিঝু বলা হয়। - পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিন সম্প্রদায়ের প্রাণের এ উৎসবের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত এই উৎসবকে বলা হয় 'বৈসাবি' উৎসব।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- রেংমিটো একটি বিপন্ন ভাষা। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্রো বা মুরং সম্প্রদায়ের একটি ভাষার নাম। - এরা আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজ্য থেকে বান্দরবান জেলায় এসে বসতি স্থাপন করে। - বান্দরবান জেলায় বর্তমানে ২৮ হাজারের অধিক মুরং জনগোষ্ঠী বাস করে যা সংখ্যায় বান্দরবানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়। - বর্তমানে বাংলাদেশে এই ভাষার ৩০ থেকে ৪০ জন ভাষী বা অর্ধভাষী জীবিত আছে। ভাষাটি তাদের দুই-তিন প্রজন্ম শেখেইনি।
|
|
| |
|
|
|
ছিয়াছত: এটি মুরংদের বর্ষবাকার উৎসব। বছরের শুরুতে, মুরংরা নতুন ফসল কাটার আনন্দে এই উৎসব পালন করে। উৎসবের সময়, তারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে, নৃত্য পরিবেশন করে এবং বিশেষ খাবার খায়।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
কয়েকটি উপজাতির অবস্থান:
- চাকমারা : পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
- সাওতাল : বৃহত্তর রাজশাহী ও রংপুর
- ত্রিপুরা/টিপরা : পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা।
- রাখাইন : পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, কক্সবাজার।
- খাসী/খাসিয়া : বৃহত্তর সিলেট - গারো : বৃহত্তর সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ, টাঙ্গাইল।
- পাঙন : মৌলভীবাজার - মণিপুরী : বৃহত্তর সিলেট
- খিয়াং : বান্দরবন - তঞ্চঙ্গ্যা : পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার
- ম্রো : বান্দরবান - ওরাও : বৃহত্তর রাজশাহী
- পলিয়া : রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী
- মাহাতো : বৃহত্তর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ
- রবিদাস : সিলেট, হবিগঞ্জ, নওগাঁ।
- হাজং : বৃহত্তম ময়মনসিংহ
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- ওরাওঁ বাংলাদেশের একটি নৃগোষ্ঠী। - এদের বাসস্থান বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে। - নৃবিজ্ঞানীদের মতে, তারা অস্ট্রিক এবং ভাষাতাত্ত্বিক সূত্রে দ্রাবিড়। - এ কারণে অধিকাংশ গবেষক মনে করেন যে, ওরাওঁরা দ্রাবিড়ভাষী কুড়ুখ জাতির উত্তর পুরুষ। - বর্তমানে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমণিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় বসবাস করছে।
- ওরাওঁরা জড়োপাসক, তাদের ভগবানের নাম ধরমী বা ‘ধার্মেশ’ বা ‘ধরমেশ’।
- ওরাওঁরা বিভিন্ন গোত্রের বিভক্ত। যেমন: লাকড়া, তিগগ্যা, তিরকী, বিন্ডো, বাড়ো বা বাড়োয়া, খাঁ খাঁ, করকেটা, টপ্য, এক্কা, খালকো, লিন্ডা, মিনজী, বাকলা, বাড়া, ক্ষেস, গান্না, বেক ও কিসপট্টা।
- ওরাওঁদের ভাষার নাম কুরুক। এ ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই। তাদের সাহিত্য মৌখিক। কুরুক ভাষার দিক দিয়ে গায়ের উপরে নিচে এরা দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। একটি কুরুক অপরটি শাদরী।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- পাখাংবা ছিলেন মণিপুরের প্রথম রাজা (৩৩-১৫৪ খ্রিষ্টাব্দ)
- মৈতৈ হল একটি ভাষাগোষ্ঠী বা জাতিগোষ্ঠীর নাম, পূর্বপুরুষের নাম নয়। মৈতৈ শব্দটি এসেছে "মি" (মানুষ) + "থৈ" (আলাদা/স্বতন্ত্র) থেকে।
- ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরের প্রথম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পাখাংবা, যিনি একজন সর্পপুরুষ হিসেবে পরিচিত।
- মণিপুরী ভাষার প্রথম প্রচলন হয় মহারাজ পাখাংবার আমলে।
তাই উত্তরটি হবে B) পাখাংবা। মৈতৈ হল একটি জাতিগোষ্ঠীর নাম, পূর্বপুরুষের নাম নয়।
|
|
| |
|