উপজাতি (184 টি প্রশ্ন )

- সাওতালরা বৃহত্তম রাজশাহী ও রংপুর অবস্থান করেন এদের কোন ধর্ম নেই।
- প্রধান উৎসব সোহরাই
- এদের দেবতাদের নাম-সিং বোঙ্গা,মারাং বকু,ওয়াক মোরেইকো ।
- রাখাইন উপজাতি মূলত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাস করে।
- তাদের প্রধান বসতি কক্সবাজার জেলায়।
- রাখাইনরা ১৮ শতকের শেষের দিকে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসে।
- কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলে তারা বসতি স্থাপন করে এবং এখানেই তাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
- 'আচিক মান্দি' নামে পরিচিত আদিবাসী জনগোষ্ঠী হল গারো সম্প্রদায়।
- গারোরা নিজেদেরকে 'আচিক মান্দি' বা 'মান্দি' অর্থাৎ পাহাড়ের মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়।
- গারোদের প্রধান ভাষা 'মান্দি' এবং তাদের উপ-ভাষা 'আচিক' নামে পরিচিত।
- গারোরা মূলত বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, মধুপুর গারো পাহাড় সংলগ্ন ও সিলেট অঞ্চলে বসবাস করে এবং তারা তিব্বত-বর্মী ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
- 'আচিক' শব্দের অর্থ গারো ভাষায় 'পাহাড়' এবং গারোদের মাতৃভাষা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
- খিয়াং জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসবের নাম হলো 'হেনেই'।
- এই 'হেনেই' উৎসবকেই নবান্ন উৎসব বলা হয়।
- তারা নতুন ফসল ঘরে তোলার পর এই উৎসব পালন করে।
- এটি জুমের ধান রোপণের সময় বা ধান কাটার পরেও অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং এটি বছরে অন্তত তিনবার পালিত হয়।
- এই উৎসবে গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে গরু বা মহিষ বধ করে এবং সেই মাংস রান্না করে ভোজের আয়োজন করে।
- ১৫-২০ জুন, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতি যথাক্রমে- চাকমা (৪৮৩২৯৯ জন), মারমা (২২৪২৬১ জন), ত্রিপুরা (১৫৬৫৭৮ জন) ও সাঁওতাল (১২৯০৪৯ জন)।
- চাকমা : প্রধান উৎসব বিজু
- সাওতাল : প্রধান উৎসব সোহরাই
- ত্রিপুরা/টিপরা : প্রধান উৎসব : বৈসুক
- রাখাইন : প্রধান উৎসব সাংগ্রাং
- খাসী/খাসিয়া : প্রধান উৎসব বড়দিন
- গারো : প্রধান উৎসব ওয়ানগালা
- পাঙন : প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর ও অাজহা
- মণিপুরী : প্রধান উৎসব রাসোৎসব
- খিয়াং : প্রধান উৎসব সাংলান
- তঞ্চঙ্গ্যা : প্রধান উৎসব বিষু
- ম্রো : প্রধান উৎসব ক্লবপাই
- ওরাও : প্রধান উৎসব কারাম
- পলিয়া : প্রধান উৎসব দূর্গাপূজা
- মাহাতো : প্রধান উৎসব সহরায়
- রবিদাস : প্রধান উৎসব মাঘীপূর্ণিমা
- সাংগ্রাই বাংলাদেশী মারমা এবং রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসবের নাম, যা প্রতিবছর এপ্রিলের ১৩ থেকে ১৫ তারিখে পালিত হয়।
- যদিও এটি মারমাদের অন্যতম প্রধান একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান, তবে রাখাইনরাও নিজস্ব নিয়মে সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে নেয়।
- ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে মোট ৭২টি ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- এই চুক্তি বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (PCJSS)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। - চুক্তিটি চারটি খণ্ডে বিভক্ত ছিল।
- চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে, এবং বাকিগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
উপজাতিদের উৎসব -
চাকমা - বিজু (বর্ষবরণ), বৌদ্ধ পূর্ণিমা, ফাল্গুনী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, কঠিন চীবর দান।
ত্রিপুরা - বৈসুক (বর্ষবরণ); 
সাঁওতাল - সোহরাই, বাহা, ঝুমুর নাচ, ঝিকা নাচ, দোন;
গারো - ওয়ানগালা
রাখাইন - সান্দ্রে, জলকেলি; 
মুরং - ছিয়াছত
মারমা - সাংগ্রেইন (বর্ষবরণ), ল্যাব্রে; 
সাঁওতাল - সোহরাই, ফাগুয়া, ঝুমুর গান।
খিয়াং - সাংলান; 
ওঁরাও - ফাগুয়া

- বাংলাদেশে মোট ৫০টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বসবাস করে।
- এদের মধ্যে হাজং উপজাতির বসবাস শেরপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়।
- সিলেট জেলায় বসবাসকারী উপজাতি হলো খাসি (খাসিয়া), গারো, কুর্মি, নায়েক, পাত্র, বীন, বোনাজ, মুণ্ডা, মণিপুরী ও ভূমিজ। হাজং ছাড়াও ময়মনসিংহ জেলায় গারো, বর্মণ ও ডালু উপজাতির বসবাস রয়েছে।
- রাজবংশী ও কোচ উপজাতি বাস করে শেরপুর জেলায়।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের এক-দশমাংশ আয়তনজুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা-রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি নিয়ে গঠিত। চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকা পাহাড় ও উপত্যকায় পূর্ণ বলে এর নামকরণ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এই তিনটি জেলার মোট আয়তন ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা প্রধান নদী হলো কর্ণফুলী। এই নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাইয়ে গড়ে তোলা কাপ্তাই হ্রদে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুনর্দখল করেন এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। বর্তমান নৃগোষ্ঠীগুলোর নাম (যেমন-
মারমা), বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিভাষা (যেমন-'মাং' মানে গভর্নর, 'পো-মাং' মানে মহান অধিনায়ক বা 'রুয়াসা' বা 'রোয়াজা' মানে গ্রাম নেতা) মায়ানমারের সঙ্গে এ অঞ্চলের আদান-প্রদান প্রমাণ করে। মোগল ও প্রারম্ভিক ব্রিটিশ নথিপত্রে অঞ্চলের নাম জুমবঙ্গ, জুমমহল ও কপাসমহল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোগল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ থেকে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবাহ বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্তে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসেবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসেবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে পার্বত্য। চট্টগ্রামকে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায়। বিভক্ত করা হয়।






ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতির স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও তার সশস্ত্র উগ্র সংগঠন শান্তি বাহিনী ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
- পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়িদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।
- এতে সরকারে পক্ষে স্বাক্ষর করে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও শান্তি বাহিনীর পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
চেয়ারম্যান - জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। 
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা - নির্মল কান্তি চাকমা।
নির্বাহী কর্মকর্তা - সুবর্না চাকমা।
চেয়ারম্যানের সহকারী একান্ত সচিব - বিশ্বজিৎ চাকমা।
জুম চাষ:
- জুম চাষ হলো একটি প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি, যেখানে পাহাড়ের ঢালে বন উজাড় করে এবং তা আগুনে পুড়িয়ে জমিকে চাষের উপযোগী করা হয়।
- এটি "স্ল্যাশ অ্যান্ড বার্ন" পদ্ধতি নামেও পরিচিত।

- পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) মিলে প্রায় ৫৪৮০ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি রয়েছে। এর সিংহভাগ অংশে জুম চাষ করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বৈসাবি হলো অন্যতম বড় উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন মিলে এই তিন দিন ধরে তারা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে।

  • বৈসু: ত্রিপুরা সম্প্রদায় এই উৎসবকে বৈসু বলে।
  • সাংগ্রাই: মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই নামে এই উৎসব পালন করে।
  • বিজু: চাকমা সম্প্রদায় বিজু নামে এই উৎসবকে অভিহিত করে।

এই তিনটি নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবেই বৈসাবি শব্দটি এসেছে।



- পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবের নাম বৈসাবি।
- প্রতিবছর চৈত্রের শেষ দুদিন বর্ষবিদায় ও পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের এ মহোৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) পালিত হয়।
- বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের এ উৎসবকে ত্রিপুরাদের ভাষায় বৈসুক, মারমাদের ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমাদের ভাষায় বিঝু বলা হয়।
- পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিন সম্প্রদায়ের প্রাণের এ উৎসবের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত এই উৎসবকে বলা হয় 'বৈসাবি' উৎসব।
- রেংমিটো একটি বিপন্ন ভাষা। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্রো বা মুরং সম্প্রদায়ের একটি ভাষার নাম।
- এরা আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজ্য থেকে বান্দরবান জেলায় এসে বসতি স্থাপন করে।
- বান্দরবান জেলায় বর্তমানে ২৮ হাজারের অধিক মুরং জনগোষ্ঠী বাস করে যা সংখ্যায় বান্দরবানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়।
- বর্তমানে বাংলাদেশে এই ভাষার ৩০ থেকে ৪০ জন ভাষী বা অর্ধভাষী জীবিত আছে। ভাষাটি তাদের দুই-তিন প্রজন্ম শেখেইনি।


ছিয়াছত: এটি মুরংদের বর্ষবাকার উৎসব। বছরের শুরুতে, মুরংরা নতুন ফসল কাটার আনন্দে এই উৎসব পালন করে। উৎসবের সময়, তারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে, নৃত্য পরিবেশন করে এবং বিশেষ খাবার খায়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0