Correct Answer: Option C
পদার্থকে ভৌত অবস্থার এবং রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। সাধারণ পরিবেশে ভৌত অবস্থাভেদে পদার্থ আমরা প্রধানত তিনটি অবস্থায় পাই। যথা- কঠিন, তরল এবং বায়বীয়।
কঠিন পদার্থ- যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার এবং আয়তন আছে তাকে কঠিন পদার্থ বলে। কঠিন পদার্থে কণা বা অণুগুলোর আন্তঃআণবিক শক্তি খুব বেশি থাকে এবং আন্তঃআণবিক দূরত্বও অপেক্ষাকৃত অন্য দুই অবস্থার থেকে অনেক কম। যেমন: সোনা, রূপা, তামা, পাথর, কাঠ, বালি, লবণ ইত্যাদি
তরল পদার্থ- যে ভৌত অবস্থায় পদার্থ নির্দিষ্ট আয়তন প্রদর্শন করে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার থাকে না। যে পাত্রে রাখা হয় তার আকার ধারণ করে, তাকে তরল পদার্থ বলে। এই পদার্থের অণুগুলো পরস্পরের সাথে শিথিল আন্তঃআণবিক শক্তির মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। তাই তারা নির্দিষ্ট আকার বা আকৃতি প্রদর্শন করে না। যেমন: জল, দুধ, অ্যালকোহল ইত্যাদি
বায়বীয় পদার্থ- বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থে আন্তঃআণবিক শক্তি প্রায় থাকে না বললেই চলে। থাকলেও তা খুবই দূর্বল। তাই এর অণুগুলো প্রায় স্বাধীন ভাবে এবং দ্রুত নড়াচড়া করতে পারে। এজন্য বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার তো নেইই, সেইসাথে এর কোন নির্দিষ্ট আয়তনও থাকে না। যে পাত্রেই রাখা হোক না কেন, সেই পাত্রেরই পুরো আয়তন জুড়ে বিরাজ করে। সুতরাং বলা যায় যে-
যে ভৌত অবস্থায় কোন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন থাকে না তাকেই বায়বীয় পদার্থ বলে।
যেমন: অক্সিজেন, বায়ু, হাইড্রোজেন, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি
Download our app for free and access thousands of MCQ questions with detailed solutions