বলবিদ্যা (27 টি প্রশ্ন )
ঘর্ষণ বল একটি অসংরক্ষণশীল বলের উদাহরণ। কারণ, ঘর্ষণ বলের কারণে যেকোনো বস্তুর উপর কাজ করলে সেই কাজের শক্তি সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় না; বরং তা তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে, মাধ্যাকর্ষণ বল, তড়িৎ বল ও চৌম্বক বল—এগুলো সংরক্ষণশীল বল, অর্থাৎ এদের দ্বারা করা কাজ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
- সময়ের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর সরণের হারকে বেগ (Velocity) বলা হয়।
- এটি একটি ভেক্টর রাশি, যার মান এবং দিক উভয়ই থাকে।
- সরণ হলো কোনো বস্তুর প্রাথমিক অবস্থান থেকে চূড়ান্ত অবস্থানের মধ্যে সরলরেখায় অতিক্রান্ত দূরত্ব।

- দ্রুতি: দ্রুতি (Speed) হলো স্কেলার রাশি, যা কেবলমাত্র অতিক্রান্ত দূরত্বের হার নির্দেশ করে।
- কাজ: কাজ হলো বল এবং সরণের গুণফল। এটি বেগের সাথে সম্পর্কিত নয়।
- ভর: ভর হলো বস্তুতে থাকা পদার্থের পরিমাণ, যা বেগের সাথে সম্পর্কিত নয়।
এটি জড়তার সূত্র নামেও পরিচিত। এই সূত্র অনুসারে, কোন বস্তু তার বর্তমান অবস্থা (স্থির বা গতিশীল) বজায় রাখতে চায় যতক্ষণ না কোন বাহ্যিক বল তার উপর প্রযুক্ত হয়।
কোনো বস্তু যে পরিমাণ বল দ্বারা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষিত হয় তাকে তার ওজন বলে।
আমরা জানি, W = mg
এখানে, g= অভিকর্ষজ ত্বরণ যার মান 9.8 ms-2।
m = বস্তুর ভর।
- অভিকর্ষজ ত্বরণের মান ভূপৃষ্ঠে সর্বোচ্চ। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত নিচে/উপরে যাওয়া যায় এর মান তত কমতে থাকে।
- এজন্য g এর মান পাহাড়ে বা খনির ভেতরে কম।
- মেরু অন্ঞলে g এর মান বিষুব অঞ্চলের চেয়ে বেশি।
- পৃথিবীর কেন্দ্রে g এর মান শূন্য।
দেওয়া আছে বস্তুর ভর m =২০কেজি এবং ত্বরণ a=২ মি/সে2 
আমরা জানি, বল(F)=ভর(m) ×ত্বরণ(a) 
               বল (F)=(২০×২) N (মান বসিয়ে)  
               বল(F) =৪০ N 
প্রযুক্ত বলের মান ৪০ নিউটন।

লিভার হলো একটি সরল যন্ত্র যা একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর চারদিকে সহজেই ঘুরতে বা দুলতে পারে। ওই বিন্দুটিকে বলে ফালক্রাম। লিভারের সাহায্যে বড় বড় ভারী জিনিস বা বাধাকে অল্প বলপ্রয়োগে তোলা বা অতিক্রম করা যেতে পারে।

নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অতিক্রান্ত মোট দৈর্ঘ্য হলো- দূরত্ব।
- গতিশীল বস্তুর এক সময়ে অতিক্রান ্ত দূরত্বকে বলা হয়- দ্রুতি।
- সময়ের সাথে বেগ বৃদ্ধির হারকে বলা হয়- ত্বরণ।

ভারী ধাতু সাধারণত সেই ধাতুসমুহ যাদের ঘনত্ব, পারমাণবিক ভর অথবা পারমাণবিক সংখ্যা অনেক বেশি।
যে মৌলের ঘনত্ব ৫ গ্রাম/সে.মি.৩ এর বেশি তারাই ভারী ধাতু। সবচেয়ে কাছের পরিচিত ভারী ধাতুগুলো লোহা, তামা ও টিন আর দামী ভারী ধাতুগুলো হল রুপা, সোনা ও প্লাটিনাম।
১৮০৯ সালের আগে থেকে হালকা ধাতু যেমন, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও টাইটানিয়াম এবং পাশাপাশি ভারী ধাতু যেমন, গ্যালিয়াম, থ্যালিয়াম ও হ্যাফনিয়াম আবিষ্কৃত হয়েছিল। 
সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু প্লাটিনাম। সবচেয়ে মূল্যবান পদার্থ হীরক।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- স্থিতি জড়তা হল একটি বস্তু তার স্থির অবস্থা বা গতিতে থাকতে চায় এমন প্রবণতা।
- যখন কোন বস্তুতে একটি বাহ্যিক বল প্রয়োগ করা হয়, তখন জড়তা বস্তুটিকে তার স্থির অবস্থা বা গতিতে পরিবর্তন করতে প্রতিরোধ করে।

- লাঠি যখন কোটকে আঘাত করে, এটি কোটের উপর একটি বল প্রয়োগ করে। কোটের উপর থাকা ধূলিকণাগুলি স্থির অবস্থায় থাকে। স্থিতি জড়তার কারণে, ধূলিকণাগুলি তাদের স্থির অবস্থা বজায় রাখতে চায়। যখন লাঠি কোটকে আঘাত করে, তখন কোট স্থানচ্যুত হয়। ধূলিকণাগুলি কোটের সাথে সংযুক্ত থাকে না, তাই কোট স্থানচ্যুত হওয়ার সাথে সাথে ধূলিকণাগুলি পিছনে পড়ে যায় এবং মাটিতে পড়ে যায়।

নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে আমরা দুটি বিষয় জানতে পারি (i) পদার্থের জড়তা বা জাড্য এবং (ii) বলের সংজ্ঞা।

পদার্থের জড়তা বা জাড্য: প্রথম সূত্রের আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই, স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম স্থির থাকা এবং সচল অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম তার গতি বজায় রাখা। স্থির বস্তু নিজে থেকে চলতে পারেনা এবং গতিশীল বস্তু নিজে থেকে থামতে পারেনা। উভয়ক্ষেত্রেই বস্তু নিজে থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে অক্ষম। পদার্থের এই অক্ষমতাকে বলা হয় জড়তা বা জাড্য। এই কারণে নিউটনের প্রথম সূত্রকে জড়তা-এর সূত্র (Law of Inertia) বলা হয়। পদার্থের জড়তা ভরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত – যে পদার্থের ভর যত বেশি, তার জড়তা তত বেশি। জড়তা বা জাড্য সংজ্ঞাস্বরূপ বলা হয় – পদার্থের যে ধর্মের জন্য কোনো স্থির বস্তু বা গতিশীল বস্তু যে অবস্থায় আছে সে সেই অবস্থায় বজায় রাখার চেষ্টা করে, সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা বলে।

বল (Force) – নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে জানা যায় স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে কিংবা গতিশীল বস্তুর বেগ পরিবর্তন করতে বাইরে থেকে বস্তুটির উপর বল প্রয়োগ করতে হয়। সুতরাং, প্রথম সূত্র বলের সংজ্ঞা নির্দেশ করে।






সুষমবেগে চলন্ত রেলগাড়ির কামরায় বসে একটি ছেলে উপরের দিকে একটি বল ছুঁড়ে দিলে বলটি ছেলেটির হাতে এসে পড়বে কারণ বলটি উপরের দিকে ছুঁড়ে দেয়ার সময় রেলগাড়ির সমান গতিবেগ প্রাপ্ত হয় ফলে গতি জড়তার কারণে বলটি পুনরায় হাতে এসে পড়বে । 




- রি-অ্যাকশন ধরনের ইঞ্জিন।
- জেট ইঞ্জিন নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে কাজ করে, যা বলে যে "প্রতিটি ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে"( "For any action, there is an equal and opposite reaction.")।
- জেট ইঞ্জিনে, জ্বালানী দহন করে উত্তপ্ত গ্যাস তৈরি করা হয়। এই গ্যাসকে উচ্চ চাপে ইঞ্জিনের পেছনের দিকে নির্গত করা হয়।
- গ্যাসের নির্গমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে যা ইঞ্জিনকে সামনের দিকে ধাক্কা দেয়। এই ধাক্কা জেট বিমানকে সামনের দিকে চালিত করে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-নিউটনের প্রথম সূত্র: বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির থাকবে এবং সমবেগে চলতে থাকা বস্তু সমবেগে চলতে থাকবে। উদাহরণঃ চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

-নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র: বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার তার উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং যেদিকে বল প্রয়োগে করা হয় ভরবেগের পরিবর্তনও ঘটে সেদিকে।

-নিউটনের তৃতীয় সূত্র: যখন একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর ওপর বল প্রয়ােগ করে, তখন সেই বস্তুটিও প্রথম বস্তুটির ওপর বিপরীত দিকে সমান বল প্রয়োগ করে। উদাহরণঃ
বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়া হলে পেছনের দিকে বন্দুক চালনাকারীকে ধাক্কা দিবে।
একজন মাঝি নৌকা চালানোর সময় নিউটনের তৃতীয় সূত্র প্রয়োগ করে।
মহাকাশযান উৎক্ষেপিত হয় নিউটনের তৃতীয় সূত্রের নীতিতে।
মহাকাশযানকে উৎক্ষেপ করার জন্য যে নীতির উপর ভিত্তি করে রকেট নির্মিত হয় তা নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র
আইজ্যাক নিউটনের গতিসূত্রগুলি হল প্রকৃতির তিনটি নিয়ম, যা চিরায়ত বলবিদ্যার ভিত্তি স্বরূপ। এই নিয়মগুলি বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং তার দরুন সৃষ্ট গতির মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করে।

সংহত শক্তির পরিমাণ= √(x2+y2+2xyCosθ)
=√(52+52+2.5.5Cos120)
 =√{(25+25+50 × (-1/2)}
=√(50-25)
=5

ভর হলো কোনো বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণ। বস্তু পৃথিবীতে থাকুক অথবা চন্দ্রে থাকুক এতে বস্তুর ভরের কোনো পরিবর্তন হবে না। সুতরাং, পৃথিবী পৃষ্ঠে বস্তুর ভর ৪৯ কেজি হলে চন্দ্রপৃষ্ঠেও ঐ বস্তুর ভর ৪৯ কেজি হবে। 
-যে সকল ভৌত রাশিকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য মান ও দিক উভয়ের প্রয়ােজন হয় তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে।
 সরণ, ওজন, বেগ, ত্বরণ, বল, তড়িৎ প্রাবল্য, চৌম্বক তীব্রতা ইত্যাদি হল ভেক্টর রাশি।

-যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দ্বারা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায়, দিক নির্দেশের প্রয়ােজন হয় না তাদেরকে স্কেলার রাশি বলে।
দৈর্ঘ্য,সময়,তাপমাত্রা, ভর, দ্রুতি, কাজ, তড়িৎ বিভব ইত্যাদি স্কেলার রাশির উদাহরণ।

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0