ধাতব রসায়ন (211 টি প্রশ্ন )
- তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি মূলত সক্রিয় ধাতুসমূহ, যেমন ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু (যেমন ক্যালসিয়াম বা Ca) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- এই ধাতুগুলি তাদের যৌগ থেকে সহজে বিজারিত হয় না, কারণ তারা অত্যন্ত সক্রিয়। তাই, তাদের গলিত লবণের তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজারণ সম্পন্ন করা হয়।
- অপরদিকে, Ag (রূপা), Au (সোনা) এবং Cu (তামা) তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় ধাতু।
- এই ধাতুগুলি অন্য পদ্ধতিতেও নিষ্কাশিত হতে পারে, এবং Ag ও Au খুব কম সক্রিয় হওয়ায় প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায়ও পাওয়া যায়।
- যদিও তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি এদের বিশুদ্ধকরণের জন্য ব্যবহার করা হয় (তড়িৎ-পরিশোধন), কিন্তু আকরিক থেকে বিজারণের জন্য এটি একমাত্র পদ্ধতি নয়, যেমনটা ক্যালসিয়ামের মতো সক্রিয় ধাতুর ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।
(1) পিতল [Brass] :- তামা [Cu] 60-80% এবং দস্তা [Zn] 40-20 % -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।
ব্যবহার : বাসনপত্র, নল, টেলিস্কোপ, মূর্তি, ব্যারোমিটার, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ, জলের কল প্রভৃতি প্রস্তুতিতে পিতলের ব্যবহার হয় ।

(2) কাঁসা [Bell Metal]:- তামা [Cu] 80% এবং টিন [Sn] 20% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।
ব্যবহার : থালা, গ্লাস, মুদ্রা, বাটি, মূর্তি, ঘন্টা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে কাঁসার ব্যবহার হয় ।

(3) ব্রোঞ্জ [Bronze]:- তামা [Cu] 75-90% এবং টিন [Sn] 25-10% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।
ব্যবহার : মূর্তি, থালা, যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ, বাসনপত্র, মেডেল, মুদ্রা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্রোঞ্জের ব্যবহার হয় ।টেলিস্কোপ
• ধাতব কার্বনেট + এসিড = লবণ +পানি + কার্বন ড্রাইঅক্সাইড। 
• যেমন: Na₂CO₃ + HCl = NaCl + H₂O + CO₂। 
• সুতরাং সঠিক উত্তর সবগুলো। 

- ক্যালসিয়াম (Ca) পর্যায় সারণির গ্রুপ 2 এর ক্ষারীয় ধাতুগুলির মধ্যে একটি ।
- এটি পৃথিবীর ভূত্বকের পঞ্চম সর্বাধিক প্রচুর উপাদান ।
- এর পারমাণবিক সংখ্যা ২০
- গলনাঙ্ক ৮৪২° সে. এবং স্ফুটনাঙ্ক ১৪৮৪° সে.
- ক্যালসিয়াম মুক্ত অবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না।
যে খনিজ থেকে সহজে এবং লাভজনক উপায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌলিক পদার্থ আহরণ করা যায় তাকে ঐ মৌলের আকরিক বলে। লেড এর আকরিক-গ্যালেনা (PbS)

- অ্যালুমিনিয়াম এর আকরিকঃ বক্সাইট (Al2O3.2H2O), কোরান্ডাম, ক্রায়োলাইট।
- আয়রন এর আকরিকঃ ম্যাগনেটাইট, হেমাটাইট, আয়রন পাইরাইটস, লিমোনাইট।
- চালকোসাইট হলো তামার আকরিক।
- সোডিয়ামের আকরিক হলো রকসল্ট,চিলি সল্টপিটার,ন্যাট্রোন,বোরাক্স।
সোনা,রুপা,প্লাটিনাম,রোডিয়াম,প্যালাডিয়াম প্রভৃতি ধাতুসমূহ বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা সহজে জারিত হয়না অর্থাৎ বেশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে ,তাই এদের মরিচা পড়ে না।ফলে এদের অভিজাত ধাতুও বলা হয়।
ধাতুকল্প বা অর্ধধাতু অথবা উপধাতু হল একধরনের মৌলিক পদার্থ, যা ধাতু ও অধাতুর মাঝামাঝি বা একই সাথে উভয়ের ধর্ম প্রকাশ করে। উপধাতু ৬ টি। যথা-
১.বোরন (B),
২.সিলিকন (Si),
৩.জামেনিয়াম (Ge),
৪.আরসেনিক (As),
৫.আনটিমনি (Sb),
৬.টেলুরিয়াম (Te)।
- দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।
- যেমন- পিতল হলো তামা (কপার) ও দস্তার (জিঙ্ক) সংকর ধাতু।
- কাঁসা বা ব্রোঞ্জ হলো তামা (কপার) ও টিনের সংকর ধাতু।
- কার্বন একটি অধাতু এবং বিজারক পদার্থ।
- কার্বনের দানাদার রূপভেদ হলো- গ্রাফাইট ও হীরক।
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত বা কঠিন পদার্থ হীরক।হীরক কাচ কাটতে ব্যবহৃত হয়।
- উল্লেখ্য, প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত ধাতু টাংস্টেন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।

(1) পিতল [Brass] :- তামা [Cu] 60-80% এবং দস্তা [Zn] 40-20 % -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।

ব্যবহার : বাসনপত্র, নল, টেলিস্কোপ, মূর্তি, ব্যারোমিটার, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ, জলের কল প্রভৃতি প্রস্তুতিতে পিতলের ব্যবহার হয়  ।

(2) কাঁসা [Bell Metal]:- তামা [Cu] 80% এবং টিন [Sn] 20% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর । 

ব্যবহার : থালা, গ্লাস, মুদ্রা, বাটি, মূর্তি, ঘন্টা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে কাঁসার ব্যবহার হয়  ।

(3) ব্রোঞ্জ [Bronze]:- তামা [Cu] 75-90% এবং টিন [Sn] 25-10% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর । 
ব্যবহার : মূর্তি, থালা, যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ, বাসনপত্র, মেডেল, মুদ্রা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্রোঞ্জের ব্যবহার হয় ।


✔ডিটারজেন্ট হল একটি কৃত্রিম জৈব যৌগ। এটি হল লম্বা শৃঙ্খলযুক্ত বেঞ্জিন সালফিউরিক অ্যাসিডের একটি  সোডিয়াম লবণ। এ
   এর জামা-কাপড় পরিস্কার করার ক্ষমতা সাবানের চেয়ে বেশি।
✔[i] ডিটারজেন্ট বস্তুটি গন্ধহীন, বর্ণহীন অনুদ্বায়ী কঠিন পদার্থ ।
 [ii] এটি কঠিন ও তরল উভয় প্রকারের হয় এবং এটি একটি জৈব লবণ যা জলে সম্পূর্ণ দ্রবণীয় ।
 [iii] সাধারণ অবস্থায় ডিটারজেন্ট প্রশম পদার্থ কিন্তু জলে দ্রবীভূত করলে ক্ষারীয় হয় । এটি খর পানিতে ব্যবহার করা উত্তম।
• অ্যালুমিনিয়াম ধাতুকে মুক্ত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় না।
• যৌগরূপে এই ধাতুকে প্রকৃতির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
•  ভূ - পৃষ্ঠের সব ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৭% - ৮%।
• দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লোহা ৫%।

 

 


-ইস্পাত লোহা এবং কার্বনের একটি সংকর ধাতু, যেখানে কার্বনের পরিমাণ সাধারণত ওজন অনুসারে ০.০২% এবং ২.১% এর মধ্যে থাকে।
-ইস্পাতে কার্বনের নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ এটিকে সাধারণ লোহা থেকে আলাদা করে, যা সাধারণত ০.০০৮% এর কম কার্বন ধারণ করে।
-ইস্পাতের কার্বন সামগ্রী তার শক্তি, কঠোরতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে।

 

∎ বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি ও হিটারে ব্যবহৃত হয়---নাইক্রোম তার।



- খনি থেকে উত্তোলিত সোনাকে শিল্পকারখানায় যখন বিশুদ্ধ করা হয় ,তখন এতে কোন খাদ বা ভেজাল থাকে না ।

- এদেরকে ২৪ ক্যারেট হিসেবে বাজারজাত করা হয়। এদের দ্বারা কোন গহনা তৈরি করা যায় না । স্বর্ণমুদ্রা ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয় ।
তরল পদার্থগুলোর মধ্যে পারদ সর্বাপেক্ষা ভারী।পারদ সর্বাপেক্ষা নিম্নগলনাঙ্কবিশিষ্ট ধাতু।অল্প তাপে এর আয়তন অনেক বৃদ্ধি পায়।তাই থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহার করা হয় ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
 

 


 

 


 

 


গ্যালভানাইজেশন বা গ্যালভানিকরণ হলো মরিচা প্রতিরোধ করার জন্য ইস্পাত বা লোহাতে দস্তার প্রলেপ প্রয়োগ করার প্রক্রিয়া। সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি হল উত্তপ্ত-নিমজ্জিত গ্যালভানাইজেশন, এতে প্রলেপ দেওয়ার মত বস্তুগুলি গলিত গরম দস্তাতে নিমজ্জিত করে নেওয়া হয়।

উত্তপ্ত-নিমজ্জিত গ্যালভানাইজেশন পদ্ধতিতে ইস্পাতের বস্তুর পৃষ্ঠতলে দস্তা লোহার মিশ্রধাতুর একটি ঘন, শক্তিশালী স্তর জমা হয়। গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে, যেখানে অতিরিক্ত আলংকারিক রঙের আবরণ প্রয়োগ করা হবে, সেখানে একটি পাতলা তড়িৎ প্রলেপন প্রয়োগ করা হয়।
গ্যালভানাইজেশন বা গ্যালভানিকরণ হলো মরিচা প্রতিরোধ করার জন্য ইস্পাত বা লোহাতে দস্তার প্রলেপ প্রয়োগ করার প্রক্রিয়া। সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি হল উত্তপ্ত-নিমজ্জিত গ্যালভানাইজেশন, এতে প্রলেপ দেওয়ার মত বস্তুগুলি গলিত গরম দস্তাতে নিমজ্জিত করে নেওয়া হয়।

উত্তপ্ত-নিমজ্জিত গ্যালভানাইজেশন পদ্ধতিতে ইস্পাতের বস্তুর পৃষ্ঠতলে দস্তা লোহার মিশ্রধাতুর একটি ঘন, শক্তিশালী স্তর জমা হয়। গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে, যেখানে অতিরিক্ত আলংকারিক রঙের আবরণ প্রয়োগ করা হবে, সেখানে একটি পাতলা তড়িৎ প্রলেপন প্রয়োগ করা হয়।




প্রকৃতিতে ফ্লোরিন প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান হলেও এটি পৃথক মৌল হিসেবে থাকে না। রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় বলে সবসময়ই এটি অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সাথে মিলে যৌগ আকারে বিরাজ করে। সমুদ্র, নদী বা হ্রদের পানি, প্রাণীদের অস্থিতে ও দাঁতে এবং সকল উদ্ভিদে ফ্লোরিন পাওয়া যায়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
✔দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।

 ✔পিতল  :- তামা [Cu] 60-80% এবং দস্তা [Zn] 40-20 % -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।

 ব্যবহার : বাসনপত্র, নল, টেলিস্কোপ, মূর্তি, ব্যারোমিটার, বিভিন্ন যন্ত্রের অংশ, জলের কল প্রভৃতি প্রস্তুতিতে পিতলের ব্যবহার হয়  ।

✔ কাঁসা :- তামা [Cu] 80% এবং টিন [Sn] 20% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।

ব্যবহার : থালা, গ্লাস, মুদ্রা, বাটি, মূর্তি, ঘন্টা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে কাঁসার ব্যবহার হয়  ।

✔ ব্রোঞ্জ :- তামা [Cu] 75-90% এবং টিন [Sn] 25-10% -এর মিশ্রিত ধাতু সংকর ।

ব্যবহার : মূর্তি, থালা, যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ, বাসনপত্র, মেডেল, মুদ্রা প্রভৃতি প্রস্তুতিতে ব্রোঞ্জের ব্যবহার হয় ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0