রোগের কারন ও প্রতিকার (84 টি প্রশ্ন )
- দাদ একটি বহুল পরিচিত ছত্রাকজনিত রোগ, যা ত্বকের উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়।
- এটি 'ডার্মাটোফাইট' নামক এক প্রকার ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে।
- এই রোগে ত্বকের ওপর গোলাকার লালচে র‍্যাশ দেখা যায় এবং চুলকানি হয়।
- অন্যদিকে, টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়াজনিত, পোলিও ভাইরাসজনিত এবং স্কার্ভি ভিটামিন-সি এর অভাবজনিত রোগ।
- হুপিং কাশি 'বোর্ডেটেলা পার্টুসিস' নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি তীব্র সংক্রামক রোগ।
- এটি মূলত শ্বাসনালীর একটি রোগ, যা মারাত্মক কাশির উদ্রেক করে।
- কাশির শেষে শ্বাস নেওয়ার সময় 'হুপ' এর মতো শব্দ হয় বলে এর নাম হুপিং কাশি।
- এটি কোনো ভাইরাস, ছত্রাক বা বংশগত রোগ নয়।
- কলেরা একটি পানিবাহিত রোগ, যা 'ভিব্রিও কলেরি' নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়।
- এই ব্যাকটেরিয়া দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে।
- ফলে ডায়রিয়া, বমি এবং মারাত্মক পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
- অন্যদিকে হাম ও ইনফ্লুয়েঞ্জা বায়ুবাহিত এবং ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ।
- টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ, যা 'সালমোনেলা টাইফি' নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়।
- এই রোগের জীবাণু মূলত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।
- এর ফলে অন্ত্রে প্রদাহ এবং ঘা হতে পারে, যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- যকৃত, ফুসফুস বা কিডনিও प्रभावित হতে পারে, তবে মূল সংক্রমণ অন্ত্রেই ঘটে।
- ধনুষ্টংকার রোগের ইংরেজি নাম হলো টিটেনাস (Tetanus)।
- এটি 'ক্লোস্ট্রিডিয়াম টিটানি' নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়।
- এই রোগে মাংসপেশিতে খিঁচুনি হয় এবং শরীর ধনুকের মতো বেঁকে যায়।
- একারণেই এই রোগের বাংলা নাম ধনুষ্টংকার।
- হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা বায়ুর মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
- আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে এই রোগের ভাইরাস বাতাসে ছড়ায়।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সেই ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
- জন্ডিস, ম্যালেরিয়া এবং পোলিও বায়ুবাহিত রোগ নয়।
পোলিও ভাইরাস হলো একধরনের এন্টারোভাইরাস ও পিকর্নাভাইরিডি পরিবারের সদস্য। এটা মানব শরীরে পোলিওমায়েলাইটিস রোগ সৃষ্টি করে যা সাধারণত পোলিও নামে পরিচিত। পোলিও ভাইরাস একটি RNA জিনোম ও একটি প্রোটিন ক্যাপসিড নিয়ে গঠিত। পোলিও ভাইরাস হচ্ছে এন্টারোভাইরাস গ্রুপের সদস্য। এন্টারোভাইরাসগুলো ৩৭ ডি.সে. তাপমাত্রায় রেপ্লিকেশন করতে পারে। এরা অ্যাসিড সহনশীল হওয়ায় পাকস্থলীর অ্যাসিডিক পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। পোলিও ভাইরাস আবরণবিহীন ভাইরাস হওয়ায় পরিবেশে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারে ফলে মল বা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
ডিপিটি টিকা তিনটি গুরুতর সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। এই টিকার নামের প্রতিটি অক্ষর নির্দিষ্ট একটি রোগের নাম নির্দেশ করে: D অর্থাৎ ডিপথেরিয়া, P অর্থাৎ হুপিংকাশি (Pertussis), এবং T অর্থাৎ টিটেনাস

- ডিপথেরিয়া একটি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়াল রোগ যা গলায় সঙ্কোচন ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে।
- হুপিংকাশি বা pertussis শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী কাশি হয় যা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক।
- টিটেনাস একটি প্রাণঘাতী রোগ যা ক্ষতস্থলে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার মাধ্যমে সঙ্কোচন ও পেশীর কঠোরতা সৃষ্টি করে।

এই তিন রোগ একসাথে প্রতিরোধ করতে ডিপিটি টিকা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য অপশনগুলো ভিন্ন ভিন্ন রোগের নাম উল্লেখ করেছে যা এই টিকার আওতাধীন নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো: ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, টিটেনাস।
শিশুদের টিকার নামঃ
BCG - যক্ষ্মা (শিশু জন্মের পরপর/১৪ দিনের মধ্যে)
RV-1, RV-5 - শিশুদের ‘রোটা’ ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া প্রতিরোধে
MMR - হাম (Mealses), মাম্পস (Mumps) ও রুবেলা (Rubella)
DPT - Pentavalent ভ্যাকসিন, ডিপথেরিয়া (D), পারটুসিস (P), টিটেনাস (T), হেপাটাইটিস B এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি B
OPV - পোলিও
TT - টিটেনাস

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ম্যালেরিয়ার জীবাণু বা Plasmodium parasite মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে প্রথমে লিভারে (যকৃৎ) চলে যায় এবং সেখানে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এরপর এটি লোহিত রক্তকণিকাগুলোর ভিতরে ঢুকতে থাকে এবং সেখানে পরাগঁঠিত হয়। এই অবস্থায় জীবাণুটি রক্তকণিকাগুলোকে ধ্বংস করে করে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ সৃষ্টি করে যেমন জ্বর, ঠান্ডা লাগা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হলো লোহিত রক্তকণিকা এবং যকৃৎ কারণ এখানেই জীবাণুটি বৃদ্ধি এবং বংশবিস্তার করে।

- Plasmodium জীবাণু প্রথমে যকৃৎ (liver) এ প্রবেশ করে বৃদ্ধি পায়।
- পরে এটি লোহিত রক্তকণিকায় (red blood cells) আশ্রয় নেয় এবং বিবর্তন ঘটে।
- এই পর্যায়ে রক্তকণিকা ধ্বংস হয়, যার ফলে ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো সৃষ্টি হয়।
- অন্য অঙ্গ যেমন ফুসফুস, মস্তিষ্ক, কিডনি প্রাথমিক জীবাণুর অবস্থানের জন্য নয়, যদিও সংক্রমণের ফলে গম্ভীর ক্ষেত্রে অন্য অঙ্গেও সমস্যা হতে পারে।

অতএব, Plasmodium জীবাণুর প্রধান বাসস্থান ও বিকাশের স্থান হলো যকৃৎ ও লোহিত রক্তকণিকা
- থাইরয়েড গ্রন্থির সবচেয়ে পরিচিত রোগগুলির মধ্যে অন্যতম হলো গলগন্ড (Goiter)।
- এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায় এবং গলায় ফোলাভাব দেখা যায়।
- যদিও গলগন্ড নিজেই সবসময় থাইরয়েডের কার্যকারিতার সমস্যা নির্দেশ করে না (এটি হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম বা স্বাভাবিক থাইরয়েড ফাংশন সহ হতে পারে), তবে এটি থাইরয়েড গ্রন্থির একটি সাধারণ দৃশ্যমান সমস্যা।
- বিশ্বব্যাপী, আয়োডিনের অভাব গলগন্ডের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
- আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান।
- আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে পারে না, ফলে এটি আরও হরমোন তৈরির চেষ্টা করে বড় হতে থাকে, যার ফলে গলগন্ড হয়।
- ইনসুলিন(ইংরেজি: Insulin), হলো অগ্ন্যাশয়ের প্রধান হরমোন,এক ধরণের পলিপ্যাপটাইড, যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করা নিয়ন্ত্রণ করে।
- ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো (আইল্যেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স-এর বিটা কোষ) থেকে নিঃসৃত হয়।
- মূলত ডায়েবেটিস মেলাইটাস এ ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
-  ইনসুলিন খুব পুরানো প্রোটিন যা কয়েক বিলিয়ন বছর আগে উদ্ভাবিত হয়েছে।
- হিমোফিলিয়া একটি বংশগত রক্তজনিত রোগ, যেখানে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন বা ক্লটিং ফ্যাক্টরের অভাব থাকে।
- এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে রক্তক্ষরণ হলে তা সহজে বন্ধ হয় না।
- সাধারণত, রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ১৩টি ফ্যাক্টর কাজ করে, তবে হিমোফিলিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর VIII (হিমোফিলিয়া A) বা ফ্যাক্টর IX (হিমোফিলিয়া B) এর অভাব থাকে।
- ফলস্বরূপ, সামান্য আঘাত বা কেটে গেলে দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- এমনকি অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হতে পারে, যা অস্থিসন্ধি (জয়েন্ট), পেশি বা মস্তিষ্কে গুরুতর ক্ষতি করতে পারে।
- এই রোগের প্রধান সমস্যা হলো রক্ত জমাট বাঁধতে না পারা, যা জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ায়।
- ইন্টারফেরন একটি প্রোটিন যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- এটি ইমিউনোথেরাপির অংশ হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- ইন্টারফেরন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে, তাদের বিভাজন বন্ধ করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে।
- এটি বিশেষত লিউকেমিয়া, মেলানোমা এবং কিছু ভাইরাসজনিত ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- পোলিও রোগ, যা পোলিওমাইলাইটিস নামেও পরিচিত, একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ।
- এটি প্রধানত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং মেরুদণ্ডের মোটর নিউরনগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- এর ফলে পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস) সৃষ্টি হতে পারে।
- পোলিও সাধারণত শরীরের নিচের অংশ, বিশেষ করে পায়ের পেশিকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- পোলিও আক্রান্তদের মধ্যে পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে পড়া বা সম্পূর্ণ অবশ হয়ে যাওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
- যদিও এটি মস্তিষ্ক বা অন্যান্য অঙ্গেও প্রভাব ফেলতে পারে, পোলিওর প্রধান লক্ষণ হলো পায়ের পঙ্গুত্ব।
- HMPV-এর পূর্ণরূপ হলো Human Metapneumo virus, যা একটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস।
- এটি মূলত শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
- ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এই ভাইরাস ঠান্ডা-জাতীয় উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, এবং কখনো কখনো নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর সমস্যা।
- ডাউন সিন্ড্রোম- ট্রাইসোমি ২১ নামেও পরিচিত।
- এটি একটি জেনেটিক রোগ যেখানে ২১ নং ক্রোমোজোমে আরেকটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোম বিদ্যমান।
- এই রোগে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে।
- এইডস এর জীবাণুর নাম এইচ আই ভি।
- ডেঙ্গু এর জীবাণুর নাম এডিস ইজিপ্টি।
- কলেরা রোগের জন্য দায়ী জীবাণু ভিব্রিও কলেরা।
- যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী জীবাণু মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস।



a) যক্ষ্মা:(বায়ুবাহিত)
- যক্ষ্মা রোগী কাশি, হাঁচি, বা কথা বলার সময় বায়ুতে ক্ষুদ্র বিন্দু (droplet) ছড়িয়ে দেয়। সুস্থ ব্যক্তি যদি এই ক্ষুদ্র বিন্দু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে তাহলে সংক্রমিত হতে পারে।

b) গনোরিয়া: (যৌন সংক্রামিত রোগ (STD)
- সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।
- গর্ভবতী মায়ের থেকে জন্মের সময় শিশুতেও এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
- আরও কিছু যৌন সংক্রামিত রোগ: সিফিলিস, হারপিস, এইচআইভি, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV), হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি।

c) টাইফয়েড:(দূষিত খাবার ও পানিবাহিত)
- টাইফয়েড রোগীর মল ও মূত্রে সালমোনেলা টাইফি জীবাণু থাকে।
- দূষিত খাবার ও পানি খাওয়ার মাধ্যমে এই জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

d) ম্যালেরিয়া: (মশাবাহিত)
- ম্যালেরিয়া বাহক মশা (আনোফিলিস) মানুষের রক্ত পান করার সময় প্যারাসাইট (প্লাজমোডিয়াম) মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ইন্টারফেরন হল প্রোটিনের একটি পরিবার যা ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

- ভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসা করতে ইন্টারফেরন ব্যবহার করা হয়, যেমন হেপাটাইটিস সি এবং এইচআইভি।

- ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ইন্টারফেরন ব্যবহার করা হয়, যেমন মেলানোমা এবং ল্যুকেমিয়া।

- অটোইমিউন রোগের চিকিৎসার জন্য ইন্টারফেরন ব্যবহার করা হয়, যেমন মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস।
- মা এবং শিশুকে টিটেনাস থেকে রক্ষার জন্য টিটেনাস টক্সেয়েড (tetanus toxoid) ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
- ভ্যাকসিনেশনের জাতীয় কর্মসূচিতে নিম্নোক্ত ছক অনুযায়ী টিকা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।


- ২০ বছরের আগে অথবা ৩৫ বছরের পরে সন্তান ধারণজনিত কারণে মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২০ বছরের আগে:
- এই বয়সে মায়ের শরীর সন্তান ধারণ এবং প্রসবের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে না।
- এর ফলে, গর্ভাবস্থা জটিলতা, অল্প ওজনের শিশু এবং প্রসবকালীন মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩৫ বছরের পরে:
- এই বয়সে, ডিম্বাণুর গুণমান হ্রাস পায় এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
- গর্ভাবস্থা জটিলতা, জিনগত ত্রুটিযুক্ত শিশু এবং প্রসবকালীন মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
- আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে আর্সেনিকোসিস নামক রোগ হতে পারে।
- আর্সেনিকোসিসের প্রধান লক্ষণ হলো ত্বকের ক্যান্সার, বিশেষ করে হাত-পা, তালু, এবং পায়ের পাতায়।

অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-ত্বকের রঙ পরিবর্তন (hyperpigmentation)
-হাত-পায়ের তালুতে শক্ত গুটি (keratosis)
-পানিশূন্যতা (dehydration)
-পেট খারাপ
-মাথাব্যথা
-দুর্বলতা
-শ্বাসকষ্ট
• কিটোসিস হলো একপ্রকার বিপাকীয় অবস্থা যেখানে শরীর শক্তির উৎস হিসেবে চর্বি ব্যবহার করে।
• যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা থাকে না, তখন শরীর চর্বি ভেঙে কেটোন তৈরি করে।
• কেটোন শরীরের বিভিন্ন টিস্যুর জন্য শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• তবে, দীর্ঘ সময় ধরে কিটোসিস অবস্থায় থাকলে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
• এসিড বৃষ্টিতে থাকা অ্যাসিড বায়ুতে দ্রবীভূত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
• ফুসফুসে অ্যাসিডের প্রবেশের ফলে শ্বাসনালীর প্রদাহ হতে পারে।
• শ্বাসনালীর প্রদাহের ফলে অ্যাজমা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:
- শ্বাসকষ্ট
- কাশি
- বুকে শ্বাসের আওয়াজ
- শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা জমা
• এইডস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অধিকতর কার্যকরী হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি।
• HIV এর পূর্ণরূপ Human Immunodeficiency Virus .অর্থাৎ HIV এক ধরণের ভাইরাস ।
• শরীরে HIV পজেটিভ হলে AIDS রোগ হয় ।

- ভিটামিন সি-এর অভাবে মাড়ি দিয়ে পুঁজ ও রক্ত পড়তে পারে।
- ভিটামিন সি হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা টিস্যুর ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- এটি কোলাজেন গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- কোলাজেন হলো একটি প্রোটিন যা ত্বক, হাড়, মাড়ি এবং অন্যান্য টিস্যুকে শক্তিশালী করে।
- ভিটামিন সি-এর অভাবে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে মাড়ি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সংক্রমণের ফলে মাড়ি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং রক্ত ও পুঁজ বের হতে পারে।
-স্যালাইন শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে। 
-কলেরার জীবাণু দ্বারা ডায়রিয়া হলে প্রতিদিন শরীর থেকে ২০-৩০ লিটার পানি বের হয়ে যায়;
- যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
- ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাবার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য কোনো বিশুদ্ধ পানীয় পান করালে শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি কমবে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা যকৃত বা লিভার কে আক্রমণ করে, যারা কারনে জন্ডিস দেখা যায়। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) এর আক্রমণে এ রোগ হয়। অনেক সময় সংক্রমণের প্রথম দিকে কোন লক্ষন প্রকাশ পায় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, চামড়া হলুদ হওয়া, ক্লান্তি, পেট ব্যাথা, প্রস্রাব হলুদ হওয়া প্রভৃতি লক্ষন দেখা যায়।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0