ভাইরাস নিজে যে কোনওভাবে নিজেকে বৃদ্ধি করতে পারে না কারণ এটি জীবন্ত কোষের বাইরে সক্রিয় থাকে না। তারা বংশবৃদ্ধি বা প্রজনন করতে পারে শুধুমাত্র জীবন্ত কোষের ভিতরে, যেখানে তারা কোষের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে নিজস্ব অনুবংশ তৈরি করে।
- ভাইরাসে নিজের পুষ্টি গ্রহণ করার বা সক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি করার ক্ষমতা থাকে না। - জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর তারা কোষের DNA বা RNA নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে কোষ নিজেই নতুন ভাইরাস কণিকা তৈরি করে। - ভাইরাসগুলি সাধারণত প্রাণী, উদ্ভিদ বা ব্যাকটেরিয়ার জীবন্ত কোষে সংক্রমণ ঘটিয়ে তাদের মধ্যেই বংশবৃদ্ধি করে।
সুতরাং, ভাইরাসের প্রজননের জন্য প্রয়োজন হয় জীবন্ত কোষের, যা ভাইরাসকে নিজস্ব জীবনচক্র সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়। কেবল মৃত কোষ, জল বা মাটির নিচে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি সম্ভব নয়।
কলেরা একটি জ্বর জনিত সংক্রামক রোগ যা Vibrio cholerae নামক জীবাণুর দ্বারা সৃষ্ট। এই জীবাণু মূলত দূষিত জল ও খাবারের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। তাই কলেরা জীবাণুর জীবনধারণের প্রধান মাধ্যম হলো দূষিত জল ও খাবার।
- কলেরা জীবাণু ময়লা-পানি, অশুদ্ধ খাবার এবং দূষিত পরিবেশে বৃদ্ধি পায় ও বেঁচে থাকে। - মানুষের অন্ত্রের মাধ্যমে এই জীবাণুটি দেহে প্রবেশ করে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। - বায়ু কিংবা পোকামাকড়ের কামড় কলেরার সংক্রমণের প্রধান মাধ্যম নয়। - মাটিতে সাধারণত এই জীবাণুর বেঁচে থাকা বাড়ে না, তাই মাটি কলেরার প্রধান মাধ্যম নয়।
এই কারণগুলোর জন্য কলেরার সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সুপাচ্য, পরিষ্কার জল ও খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
- নিউমোনিয়া বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে, যার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অন্যতম প্রধান কারণ। - অ্যাডিনোভাইরাসও নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে, তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের তুলনায় কম সাধারণ। - রাইনো ভাইরাস সাধারণ সর্দি-কাশির কারণ হলেও মাঝে মাঝে নিউমোনিয়াতেও ভূমিকা রাখে। - রেট্রো ভাইরাস সাধারণত HIV ধরনের ভাইরাস যা নিউমোনিয়ার সরাসরি কারণ নয়।
২০০৯ সালের মার্চে মেক্সিকোতে পাঁচ বছরের শিশু এডগার হার্নানদেজ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার লক্ষণগুলো ছিল জ্বর, মাথা ব্যাথা এবং গলা ব্যাথা। ডাক্তাররা তার অসুখকে সাধারণ ঠান্ডা জনিত বলে চিহ্নিত করেন। পরবর্তিতে তার স্যাম্পল কানাডাতে পাঠানো হয়। সেখানে বিজ্ঞানীরা এডগারে স্যাম্পলে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস খুজে পান, যেটা মূলত শূকর হতে এসেছিল (সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা)।
- ফ্লাজেলা হলো সাইটোপ্লাজমের বহিঃস্তর থেকে সৃষ্টি হওয়া সুক্ষ্ম দীর্ঘ সুতার মতো একটি অংশ। - এটি কোষঝিল্লি ও কোষপ্রাচীর ভেদ করে বাইরে প্রসারিত হয় যা ব্যাকটেরিয়ার চলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে।
ব্যাকটেরিয়া হলো এক ধরনের ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীব। - গ্রিক শব্দ Bakterion থেকে ব্যাকটেরিয়া শব্দটির উৎপত্তি। - ওলন্দাজ বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক ১৬৭৫ সালে সর্বপ্রথম ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। - তিনি এর নাম দেন ক্ষুদ্র প্রাণী। - তাঁকে ব্যাকটেরিওলজির জনক বলা হয়। - ১৮২৯ সালে জার্মান বিজ্ঞানী এরেনবার্গ ব্যাকটেরিয়া নামকরণ করেন। - ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ব্যাকটেরিয়ার ওপর ব্যাপক গবেষণা এবং ব্যাকটেরিয়া তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেন। - জার্মান চিকিৎসক রবার্ট কচ অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করেন যে, প্রাণীর বহু রোগের কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া। তিনি যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন এবং এ জন্য তাঁকে ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ব্যাকটেরিয়া (অণুজীব) মূলত একটি আদি নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট এককোষী জীব। এরা প্রধানত গোলাকার, লম্বা বা প্যাঁচানো আকৃতির ও ক্লোরোফিলবিহীন। ১৬৭৫ সালে নেদারল্যান্ডস এর বিজ্ঞানী এন্টনি ভন লিউয়েন হুক ব্যাকটেরিয়া (অণুজীব) আবিষ্কার করেন। এ জন্য তাকে ব্যাকটেরিওলজির জনক বলা হয়।
- রুবেলা ভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস। - এটি টোগাভিরিডি (Togaviridae) পরিবারের রুবীভাইরাস (Rubivirus) গণের অন্তর্গত। - আরএনএ ভাইরাস হলো সেই ভাইরাস, যার জেনেটিক উপাদান হিসেবে রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (RNA) থাকে। - রুবেলা ভাইরাস রুবেলা রোগের কারণ। - রুবেলাকে জার্মান হাম বা তিন দিনের হামও বলা হয়। - এটি একটি সংক্রামক রোগ, যা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। - গর্ভাবস্থায় রুবেলা সংক্রমণ হলে গর্ভের শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে, যাকে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (Congenital Rubella Syndrome) বলে। - এই রোগ প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ করা জরুরি।
- উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপক যন্ত্রের নাম 'অক্সানোমিটার ' - রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিক্রিয়া তাপ পরিমাপক ক্যালোরিমিটার(calorimeter) - রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্রের নাম 'স্ফিগমোম্যানোমিটার' - তাপ পরিমাপক যন্ত্রের নাম 'ক্যালরিমিটার ' - পটোমিটার ব্যবহার করা হয় একটি উদ্ভিদের ট্রান্সপিরেশন রেট পরিমাপ করার জন্য।
- HMPV-এর পূর্ণরূপ হলো Human Metapneumo virus, যা একটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস। - এটি মূলত শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। - ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এই ভাইরাস ঠান্ডা-জাতীয় উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, এবং কখনো কখনো নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর সমস্যা।
নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় দেখা দেয়। এটি মূলত শূকর খামারিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরেও ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রাদুর্ভাবে ২৬৫ জন আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা হয় মালয়েশিয়ার সুংগাই নিপাহ নামক একটি গ্রামে, যার নাম অনুসারে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস, যা বাদুড় এবং শূকরের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।
- মানব ইনসুলিন উৎপাদনে বর্তমানে E. coli ব্যাকটেরিয়া ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। - মানুষের ইনসুলিন তৈরির জিনটি E. coli-তে থাকা প্লাজমিডে স্থানান্তরিত করা হয়। - এরপর, এই প্লাজমিডটি ব্যাকটেরিয়াতে প্রবাহিত করা হয়, যার ফলে বিপুল পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়। - প্রতিটি ব্যাকটেরিয়াম কোষে প্রায় দশ লক্ষ ইনসুলিন অণু তৈরি হয়। - কৃত্রিমভাবে ইনসুলিন উৎপাদনের মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে নানা জৈবিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
- র্যাবিস ভাইরাস (Rabies virus) একটি মারাত্মক ভাইরাস যা সাধারণত কুকুর বা অন্য প্রাণীর কামড়ে মানব শরীরে প্রবেশ করে এবং জলাতঙ্ক (Rabies) রোগ সৃষ্টি করে। - এই রোগটি সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের উপর আক্রমণ করে এবং এর ফলস্বরূপ আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুবিক সমস্যা যেমন অত্যধিক আতঙ্ক, বমি, মাংসপেশীতে খিঁচুনি, এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হতে পারে। - র্যাবিস ভাইরাসটি সাধারণত আক্রান্ত প্রাণীর মুখ বা লালার মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে। এটি সাধারণত মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে, যা গুরুতর হয়ে ওঠে এবং প্রাণঘাতী হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পর ৩-৭ দিন স্থায়ী হয়। এ সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, এবং ত্বকের ফুসকুড়ি অনুভব করতে পারে। প্রথমদিকে জ্বর খুব তীব্র হয় এবং ধীরে ধীরে তা কমে আসে।
ডেঙ্গুর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যেতে পারে, যা গুরুতর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে (যেমন ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম)। তাই জ্বরের পরেও কয়েকদিন সতর্কতার সাথে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
এই ৩-৭ দিনের সময়কালে বিশ্রাম নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময়েই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থতার দিকে অগ্রসর হয়।
ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ভিন্ন স্ট্রেইন (serotypes) রয়েছে, যা যথাক্রমে DENV-1, DENV-2, DENV-3, এবং DENV-4 নামে পরিচিত। প্রতিটি স্ট্রেইনই ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করতে পারে। একবার কোন একটি স্ট্রেইন দ্বারা আক্রান্ত হলে ওই স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। কিন্তু অন্য স্ট্রেইন দ্বারা পরবর্তীতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
একাধিক স্ট্রেইন দ্বারা সংক্রমণ হওয়া ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS)-এর মতো জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এজন্য ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত থাকতে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- মাঙ্কিপক্স একটি বিরল কিন্তু গুরুতর ভাইরাল রোগ যা সাধারণত সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। - ভাইরাসটি গুটিবসন্তের মতো একই পরিবারের অন্তর্গত, তবে এটি কম মারাত্মক। - ভাইরাসটি নাইজেরিয়ায় উদ্ভূত হয়েছিল এবং মনে করা হয় যে ভাইরাসটি নাইজেরিয়া থেকে ভ্রমণকারীদের দ্বারা ইউরোপে এসেছে। প্রাদুর্ভাবটি ইউরোপে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি এখন আফ্রিকার বাইরে সবচেয়ে বড় মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব।
- মাঙ্কিপক্স সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে বা দূষিত পদার্থের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে। - ভাইরাসটি ভাঙা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ: সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ এবং ফুসকুড়ি। এগুলি সাধারণত 2-4 সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
- পোলিও এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। - এই রোগের পুরো নাম পোলিওমাইলাইটিস। - ১৮৪০ সালে জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন সর্বপ্রথম পোলিওমাইলিটিস আবিষ্কার করেন। - মানুষ হচ্ছে পোলিও ভাইরাসের একমাত্র প্রাকৃতিক পোষক। - পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে অন্য সুস্থ ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। - ভাইরাসটি মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে এবং মাংসপেশিকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুকোষকে আক্রান্ত করে। এর ফলে ব্যক্তির শরীর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়। - আক্রান্ত স্থানটি সাধারণত পায়ে হয়ে থাকে। - পোলিও শিশুদেরই অধিক আক্রান্ত করে, তাই এটি অপরিপক্ব পক্ষাঘাত নামেও পরিচিত।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- জৈব সার ও জৈব গ্যাস উৎপাদনে (c) Clostridium ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা রয়েছে। - Clostridium ব্যাকটেরিয়া অ্যানারোবিক (অক্সিজেন অনুপস্থিতিতে কাজ করে) এবং সেলুলোজ-বিধ্বংসী (cellulose-degrading)। এরা জৈব পদার্থকে ভেঙে জৈব সার ও জৈব গ্যাস (মিথেন) তৈরি করে। - জৈব সার: Clostridium ব্যাকটেরিয়া জৈব পদার্থকে ভেঙে অ্যামোনিয়াম, নাইট্রেট, ফসফেট এবং পটাশিয়াম-এর মতো পুষ্টি উপাদান তৈরি করে যা উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয়। - জৈব গ্যাস: Clostridium ব্যাকটেরিয়া জৈব পদার্থকে ভেঙে মিথেন (CH₄) এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) তৈরি করে। মিথেন জৈব গ্যাসের প্রধান উপাদান।
অন্যদিকে, - Nitrosomonas: মাটিতে নাইট্রোজেন স্থাপন করে। - Rhizobium: শিম জাতীয় উদ্ভিদের গোঁড়ায় নাইট্রোজেন স্থাপন করে। - Bacillus thuringiensis: পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক হিসেবে কাজে লাগে।
• হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের টিকা তৈরি করা হয় ঈস্টের সাহায্যে। • ঈস্টের কোষে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের S (surface) অ্যান্টিজেন তৈরি করা হয়। • এই অ্যান্টিজেনগুলো সংগ্রহ করে টিকা তৈরি করা হয়।
- ডায়াবেটিস (Diabetes) একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। - দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো 'ডায়াবেটিস' বা 'বহুমূত্র রোগ'। - তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। - ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। - ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। - আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।
- পোলিও এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। - এই রোগের পুরো নাম পোলিওমাইলাইটিস। - ১৮৪০ সালে জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন সর্বপ্রথম পোলিওমাইলিটিস আবিষ্কার করেন। - মানুষ হচ্ছে পোলিও ভাইরাসের একমাত্র প্রাকৃতিক পোষক। - পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে অন্য সুস্থ ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। - ভাইরাসটি মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে এবং মাংসপেশিকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুকোষকে আক্রান্ত করে। এর ফলে ব্যক্তির শরীর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়। - আক্রান্ত স্থানটি সাধারণত পায়ে হয়ে থাকে। - পোলিও শিশুদেরই অধিক আক্রান্ত করে, তাই এটি অপরিপক্ব পক্ষাঘাত নামেও পরিচিত।
ভাইরাসে জীব বৈশিষ্ট্য - ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA বা RNA থাকে। - পোষক কোষের অভ্যন্তরে এরা সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। - এতে জেনেটিক রিকম্বিনেশন ঘটতে দেখা যায়। - ভাইরাস মিউটেশন ঘটাতে এবং প্রকরণ তৈরি করতে সক্ষম। - নতুন সৃষ্ট ভাইরাসে মূল ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে অর্থাৎ একটি ভাইরাস তার অনুরূপ ভাইরাস জন্ম দিতে পারে।
ভাইরাসে জড় বৈশিষ্ট্য - ভাইরাস অকোষীয়। এদের সাইটোপ্লাজম, কোষ ঝিল্লী, কোষ প্রাচীর, রাইবোসোম, মাইটোকন্ড্রিয়া, নিউক্লিয়াস ইত্যাদি থাকে না। - এদের বিপাকীয় এনজাইম এবং পুষ্টি প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। - এদের কোন জৈবিক কার্যকলাপ যেমন প্রজনন অন্য সজীব কোষ ছাড়া ঘটতে পারে না। - ভাইরাসকে কেলাসিত করা যায়, সেন্ট্রিফিউজ করা যায়, ব্যাপন করা যায়, পানির সাথে মিশিয়ে সাসপেনশন তৈরি করা যায় এবং তলানিও করা যায়। - জীবকোষের বাইরে ভাইরাস রাসায়নিক কণার ন্যায় নিষ্ক্রিয় থাকে।
- গো-বসন্ত ভাইরাস (ভ্যাক্সিনিয়া) সর্বাপেক্ষা বৃহদাকার ভাইরাস। - গো-বসন্ত ভাইরাস হল একটি বৃহদাকার, ডিম্বাকৃতির ভাইরাস যা গো-বসন্ত রোগের কারণ। - এটি প্রায় 250-400 ন্যানোমিটার ব্যাস বিশিষ্ট এবং এটিকে একটি ডিএনএ ভাইরাস।
মানুষের অধিকাংশ মারাত্মক রোগগুলিই ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে। মানুষের যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, কলেরা, ডিপথেরিয়া, আমাশয়, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। এ ছাড়াও এনথ্রাক্স, মেনিনিজাইটিস, কুষ্ঠ, আনডিউলেটেড ফিভার ইত্যাদি রোগও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
বিভিন্ন প্রকার ভাইরাসের গঠন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। সাধারণভাবে প্রতিটি ভাইরাস প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। যথা - - প্রােটিন আবরণ তথা ক্যাপসিড ও - নিউক্লিক এসিড।
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।