রক্ত ও রক্ত সংবহন তন্ত্র (55 টি প্রশ্ন )
- রক্তচাপ পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক হলো মিলিমিটার পারদ (mm Hg)।
- যন্ত্রের পারদস্তম্ভ কত মিলিমিটার উপরে ওঠে, তার ওপর ভিত্তি করে এই পরিমাপ করা হয়।
- রক্তচাপের দুটি মান থাকে—সিস্টোলিক (উচ্চচাপ) এবং ডায়াস্টোলিক (নিম্নচাপ)।
- প্যাসকেল চাপের একক, ক্যালরি শক্তির একক এবং লিটার আয়তনের একক।
- লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে।
- হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান হলো আয়রন বা লৌহ, যা অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়।
- অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে এই হিমোগ্লোবিনই রক্তকে উজ্জ্বল লাল বর্ণ প্রদান করে।
- শ্বেত রক্তকণিকা বর্ণহীন এবং অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
- একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ তার মোট শারীরিক ওজনের প্রায় ৭%।
- অর্থাৎ, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির শরীরে প্রায় ৫ লিটারের কাছাকাছি রক্ত থাকে।
- রক্ত দেহের কোষগুলোতে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে।
- এই পরিমাণ বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
- রক্তরস বা প্লাজমার প্রধান উপাদান হলো পানি, যা এর প্রায় ৯০-৯২ শতাংশ গঠন করে।
- রক্তরস হলো রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশ, যা রক্তের মোট আয়তনের প্রায় ৫৫ শতাংশ।
- এই পানিতেই রক্তকণিকাগুলো ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং সারা দেহে বাহিত হয়।
- পানি ছাড়াও রক্তরসে বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থ যেমন প্রোটিন, গ্লুকোজ, খনিজ লবণ, হরমোন ইত্যাদি দ্রবীভূত থাকে।
- শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইট দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।
- এদের প্রধান কাজ হলো দেহে প্রবেশকারী ক্ষতিকর রোগ-জীবাণু, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাককে ধ্বংস করা।
- শ্বেত রক্তকণিকা 'ফ্যাগোসাইটোসিস' প্রক্রিয়ায় জীবাণুকে ভক্ষণ করে ফেলে, তাই এদেরকে 'দেহের প্রহরী' বা 'সৈনিক' বলা হয়।

অন্যদিকে,
- লোহিত রক্তকণিকার প্রধান কাজ হলো অক্সিজেন পরিবহন করা।
- অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।
- রক্তরস হলো রক্তের তরল অংশ যা রক্তকণিকা ও অন্যান্য পদার্থ বহন করে।
- কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা সরাসরি রক্ত সরবরাহ পায় না।
- এটি বাতাসের সংস্পর্শে থাকে এবং বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করে।
- এছাড়াও, চোখের ভেতরের জলীয় রস (অ্যাকুয়াস হিউমার) থেকে এটি পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে।
- রক্তনালী না থাকার কারণেই কর্নিয়া স্বচ্ছ থাকে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অপরিহার্য।
- রেটিনা, মস্তিষ্ক এবং অগ্ন্যাশয়—এই তিনটি অঙ্গই অত্যন্ত সক্রিয় এবং এদের কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন ও পুষ্টি প্রয়োজন, যা রক্তের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
রক্ত দুই ভাগে বিভক্ত: তরল অংশ (প্লাজমা) এবং কঠিন অংশ (রক্তকণিকা বা Blood cells)। রক্তকণিকার মধ্যে রয়েছে লোহিত কণিকা (RBC), শ্বেত কণিকা (WBC) এবং রক্তকণা (Platelets)। এই অংশগুলো রক্তকে ঘন এবং কঠিন রূপ দেয়।
- রক্তে মোট কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ mg/dL এর মধ্যে হওয়াই সুস্থ এবং ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়।
- এটি বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, তাই নিয়মিত চেকআপ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা জরুরি।
- খারাপ LDL কোলেস্টেরল ideally ১০০ mg/dL এর নিচে থাকা উচিত।
- ভালো HDL কোলেস্টেরল ৫০ mg/dL অথবা তার থেকে বেশি হওয়া ভালো।
- হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের লোহিত কণিকায় বিদ্যমান এক প্রকার রঞ্জক পদার্থ।
- এটি এক প্রকার সংযুক্ত প্রোটিন (আমিষ)।
- এর প্রধান দুটি উপাদান হলো হিম বা আয়রন (৪%) এবং গ্লোবিন বা হিস্টন জাতীয় প্রোটিন (৯৬%)।
- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ১০০ মিলি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১৩-১৬ গ্রাম।
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সবস্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
মানবদেহের পরিণত লোহিত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসবিহীন দ্বি-অবতল ও চাকতি আকৃতির। এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে লাল বর্ণের হয়।
- রক্তের লোহিত কণিকা তার আয়ু শেষে প্লীহায় জমা হতে থাকে।
- প্লীহায় উপস্থিত ম্যাক্রোফেজ মেয়াদোত্তীর্ণ লোহিত রক্তকণিকাকে ভক্ষণ করে।
- যার ফলে হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্তকণিকা থেকে বাইরে বের হয়ে আসে এবং বিলিরুবিন নামক রঞ্জক পদার্থে রূপান্তরিত হয়।
- এই রঞ্জক পদার্থ যকৃতে যেয়ে আরো রূপান্তরিত হয়ে বিলিরুবিন হয় এবং পিত্তরস এর মাধ্যমে দেহ থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়।
- রক্ত দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । লোহিত রক্তকণিকা অক্সিহিমোগ্লোবিনরূপে কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে ।
- শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে দেহকে রক্ষা করে ।
- অনুচক্রিকা দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং দেহের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে ।
বিভিন্ন ব্যক্তির লোহিত রক্ত কণিকায় A এবং B নামক দুই ধরনের এন্টিজেন (Antigen) থাকে এবং রক্তরসে a ও b দুই ধরনের অ্যান্টিবডি (Antibody) থাকে।
এই Antigen ও Antibody-র উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে ১৯০১ সালে বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার মানুষের রক্তকে A. B. AB ও O চারটি গ্রুপে ভাগ করেন।

রক্তের O গ্রুপকে সর্বজনীন দাতা এবং AB গ্রুপকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়।
- শ্বেত কণিকার গড় আয়ুষ্কাল ১-১৫ দিন।
- মানুষের শরীরে শ্বেতকণিকা এবং লোহিত কণিকার অনুপাত ১: ৭০০।
শ্বেত কণিকা দুই প্রকার হয় যথা:
১. দানাদার শ্বেত কণিকা/গ্রানুলোসাইট (নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল, বেসোফিল)।
২. অদানাদার শ্বেত কণিকা/ অ্যাগ্রানুলোসাইট (লিম্ফোসাইট, মনোসাইট)। 

- শ্বেত রক্তকণিকা বহিরাগত রোগ জীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
- নিউট্রোফিল জাতীয় শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে।
- লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি গঠন করে এবং এই অ্যান্টিবডির দ্বারা দেহে প্রবেশ করা রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে।
- ভিটামিন-কে এর রাসায়নিক নাম ফাইলোকুইনোন।
- এটি প্রোথ্রোম্বিন নামক প্রোটিন তৈরি করে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
- এছাড়াও ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমেও ভিটামিন কে ব্যবহার করা হয়।
- ভিটামিন-কে রক্ত তঞ্চন (Blood Clotting) করার প্রয়োজনীয় প্রোটিন ফিব্রিনোজেন তৈরি করে।
- এর অভাবে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়। 
- ভিটামিন কে এসেনশিয়াল ফ্যাটসলিউবল ভিটামিন।
- এটি হাড় ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
- ক্ষতস্থান হতে রক্তপড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
- সবুজ রঙের শাকসবজি, লেটুসপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডিমের কুসুম প্রভৃতি ভিটামিন কে এর উৎস।
- ভিটামিন- ডি এর অভাবে রিকেটস ও অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ হতে পারে।
- ভিটামিন- এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে।
অ্যান্টিবডি (Antibody):
- অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনের বিপরীত বস্তু বা নিজস্ব বস্তু বা কণিকা বা কোষ অথবা কোষগুচ্ছ।
- অ্যান্টিবডি প্রধানত অ্যান্টিজেনের সাড়ায় দেহের B-লিম্ফোসাইট থেকে উৎপাদিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ
- এরা রক্তের প্লাজমা ও কলারসে বর্তমান থাকে।
- এরা অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত (combine) হতে পারে এবং ক্লোনাল নির্বাচন (colonal selection) দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং দেহের প্রধান সৈনিক বা রক্ষণাবেক্ষণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
- অ্যান্টিবডিগুলো অনুপ্রবেশকারী বা বহিরাগত অ্যান্টিজেনকে ভক্ষণ করে, কখনো বিনষ্ট করে, কখনো মেরে ফেলে, কখনো বাইরে নিক্ষেপ করে।
- অ্যান্টিজেন হচ্ছে non-self আর অ্যান্টিবডি হচ্ছে self বস্তু।

অ্যান্টিবডির প্রকার:
- মানবদেহের রক্তে পাঁচ রকমের ইমিউনোগ্লোবিউলিন অর্থাৎ অ্যান্টিবডি দেখা যায়।
যথা- IgG, IgA, IgM, IgD ও IgE।
- এগুলো মানবদেহের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পাঁচ প্রকার অ্যান্টিবডির মধ্যে IgG রক্তরসে সর্বাধিক মাত্রায় থাকে এবং IgD ও IgE সবচেয়ে কম পরিমাণে থাকে।

উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
• রক্তশূন্যতা - Anemia
• স্মৃতিভ্রষ্টতা - স্মৃতি লোপ পাওয়া বা ভুলে যাওয়া (Amnesia)
• নিদ্রাহীনতা - ঘুমের অভাব বা অনিদ্রা (Insomnia)
- লোহিত রক্তকণিকার পূর্ণতা প্রাপ্তি এবং সঠিকভাবে উৎপাদনের জন্য ভিটামিন বি১২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- এটি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
- ভিটামিন বি১২ এর অভাবে মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামক একটি রোগ হতে পারে, যেখানে লোহিত রক্তকণিকা সঠিকভাবে পরিপক্ক হতে পারে না।
- ভিটামিন বি১২ এর প্রধান উৎস হলো প্রাণিজ খাদ্য, যেমন মাছ, মাংস, ডিম, এবং দুগ্ধজাত খাবার।
রক্তের গ্রুপ: A, B, AB এবং O
রক্তের গ্রুপ হল রক্ত কণিকার প্লাজমা মেমব্রেনে অবস্থিত বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাস।

চার ধরনের রক্তের গ্রুপ আছে:
A: A অ্যান্টিজেন
B: B অ্যান্টিজেন
AB: A এবং B উভয় এন্টিজেন
O: A বা B এন্টিজেন নেই

অ্যান্টিজেন হল কোষের পৃষ্ঠে থাকা প্রোটিন বা কার্বোহাইড্রেট যা ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে। অ্যান্টিবডি হল রক্তের প্লাজমায় থাকা প্রোটিন যা অ্যান্টিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে।

রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ:
A রক্তের গ্রুপে A অ্যান্টিজেন এবং Anti-B অ্যান্টিবডি থাকে।
B রক্তের গ্রুপে B অ্যান্টিজেন এবং Anti-A অ্যান্টিবডি থাকে।
AB রক্তের গ্রুপে A এবং B উভয় এন্টিজেন থাকে, কিন্তু কোন অ্যান্টিবডি থাকে না।
O রক্তের গ্রুপে A বা B এন্টিজেন থাকে না, কিন্তু Anti-A এবং Anti-B উভয় অ্যান্টিবডি থাকে।

O রক্তের গ্রুপ "সার্বজনীন দাতা" হিসেবে পরিচিত কারণ এতে A বা B এন্টিজেন নেই।
AB রক্তের গ্রুপ "সার্বজনীন গ্রহীতা" হিসেবে পরিচিত কারণ এতে Anti-A বা Anti-B অ্যান্টিবডি নেই।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

হিমোগ্লোবিন:

হিমোগ্লোবিন একটি অক্সিজেনবাহী লৌহসমৃদ্ধ মেটালো প্রোটিন যা মেরুদণ্ডী প্রাণিদের লোহিত কণিকা এবং কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণির কলায় পাওয়া যায়।

স্তন্যপায়ী প্রাণিদের ক্ষেত্রে লোহিত কণিকার শুষ্ক ওজনের ৯৬-৯৭%ই হয় হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন অংশ, এবং পানিসহ মোট ওজনের তা ৩৫%। হিমোগ্লোবিন ফুসফুস হতে অক্সিজেন দেহের বাকি অংশে নিয়ে যায় এবং কোষীয় ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করে। এটি অন্যান্য গ্যাস পরিবহনেও অবদান রাখে, যেমন এটি কোষকলা হতে CO2 পরিবহন করে ফুসফুসে নিয়ে যায়।

প্রতি গ্রাম হিমোগ্লোবিন ১.৩৬ হতে ১.৩৭ মিলিলিটার অক্সিজেন ধারণ করতে পারে, যা রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা ৭০গুণ বাড়িয়ে দেয়।


- রক্তের লোহিত কণিকা তার আয়ু শেষে প্লীহায় জমা হতে থাকে।
- প্লীহায় উপস্থিত ম্যাক্রোফেজ মেয়াদোত্তীর্ণ লোহিত রক্তকণিকাকে ভক্ষণ করে।
- যার ফলে হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্তকণিকা থেকে বাইরে বের হয়ে আসে এবং বিলিরুবিন নামক রঞ্জক পদার্থে রূপান্তরিত হয়।
- এই রঞ্জক পদার্থ যকৃতে যেয়ে আরো রূপান্তরিত হয়ে বিলিরুবিন হয় এবং পিত্তরস এর মাধ্যমে দেহ থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়।
- যকৃতের ডানদিকের অংশে পেয়ালার মতো পিত্তরস ধারণকারী একটি থলে থাকে, একে পিত্তথলি বলে।
- পিত্তথলি ৭-৮ সে.মি. লম্বা। পিত্তথলি থেকে পিত্ত ডিওডেনামে উন্মুক্ত হয়। পিত্তরস স্নেহ জাতীয় খাবার পরিপাক করে থাকে।
অ্যান্টিবডি (Antibody):
- অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনের বিপরীত বস্তু বা নিজস্ব বস্তু বা কণিকা বা কোষ অথবা কোষগুচ্ছ।
- অ্যান্টিবডি প্রধানত অ্যান্টিজেনের সাড়ায় দেহের B-লিম্ফোসাইট থেকে উৎপাদিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ।
- এরা রক্তের প্লাজমা ও কলারসে বর্তমান থাকে।
- এরা অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত (combine) হতে পারে এবং ক্লোনাল নির্বাচন (colonal selection) দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং দেহের প্রধান সৈনিক বা রক্ষণাবেক্ষণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
- অ্যান্টিবডিগুলো অনুপ্রবেশকারী বা বহিরাগত অ্যান্টিজেনকে ভক্ষণ করে, কখনো বিনষ্ট করে, কখনো মেরে ফেলে, কখনো বাইরে নিক্ষেপ করে।
- অ্যান্টিজেন হচ্ছে non-self আর অ্যান্টিবডি হচ্ছে self বস্তু।

অ্যান্টিবডির প্রকার:
- মানবদেহের রক্তে পাঁচ রকমের ইমিউনোগ্লোবিউলিন অর্থাৎ অ্যান্টিবডি দেখা যায়।
যথা- IgG, IgA, IgM, IgD ও IgE।
- এগুলো মানবদেহের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পাঁচ প্রকার অ্যান্টিবডির মধ্যে IgG রক্তরসে সর্বাধিক মাত্রায় থাকে এবং IgD ও IgE সবচেয়ে কম পরিমাণে থাকে

উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
রক্ত:
- প্রাণীদেহের রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের অস্বচ্ছ, আন্তঃকোষীয় লবণাক্ত এবং খানিকটা ক্ষারধর্মী তরল যোজক টিস্যু।
- একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে প্রায় ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে, যা মানুষের দেহের মোট ওজনের প্রায় ৮%।
- মানুষ এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীদেহের রক্ত লাল রঙের।
- রক্তের রসে লাল রঙের হিমোগ্লোবিন নামে লৌহ-ঘটিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকায় রক্তের রঙ লাল হয়।
- হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে অক্সিজেন পরিবহন করে।
- কিছু পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে ফুসফুসে পরিবাহিত হয়, তবে কার্বন ডাই-অক্সাইডের সিংহভাগ বাইকার্বনেট আয়ন হিসেবে রক্ত দ্বারা ফুসফুসে পরিবাহিত হয়।

উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
অ্যান্টিবডি (Antibody):
- অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনের বিপরীত বস্তু বা নিজস্ব বস্তু বা কণিকা বা কোষ অথবা কোষগুচ্ছ।
- অ্যান্টিবডি প্রধানত অ্যান্টিজেনের সাড়ায় দেহের B-লিম্ফোসাইট থেকে উৎপাদিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ।
- এরা রক্তের প্লাজমা ও কলারসে বর্তমান থাকে।
- এরা অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত (combine) হতে পারে এবং ক্লোনাল নির্বাচন (colonal selection) দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং দেহের প্রধান সৈনিক বা রক্ষণাবেক্ষণের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
- অ্যান্টিবডিগুলো অনুপ্রবেশকারী বা বহিরাগত অ্যান্টিজেনকে ভক্ষণ করে, কখনো বিনষ্ট করে, কখনো মেরে ফেলে, কখনো বাইরে নিক্ষেপ করে।
- অ্যান্টিজেন হচ্ছে non-self আর অ্যান্টিবডি হচ্ছে self বস্তু।

অ্যান্টিবডির প্রকার:
- মানবদেহের রক্তে পাঁচ রকমের ইমিউনোগ্লোবিউলিন অর্থাৎ অ্যান্টিবডি দেখা যায়।
যথা- IgG, IgA, IgM, IgD ও IgE।
- এগুলো মানবদেহের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পাঁচ প্রকার অ্যান্টিবডির মধ্যে IgG রক্তরসে সর্বাধিক মাত্রায় থাকে এবং IgD ও IgE সবচেয়ে কম পরিমাণে থাকে।

উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
- ‘O’গ্রুপের রক্তে কোন অ্যান্টিজেন থাকে না যার কারণে যেকোন গ্রুপের রক্তকেই ‘O’ গ্রুপের রক্ত দেওয়া যায়। এজন্যে ‘O’ গ্রুপকে সার্বজনীন দাতা গ্রুপ বলে।
- 'AB' গ্রুপের রক্তের সিরামে কোন অ্যান্টিবডি না থাকায় সকল গ্রুপের রক্তই 'AB' গ্রুপ নিতে পারে বিধায় 'AB'গ্রুপকে বলা হয় সার্বজনীন গ্রহীতা গ্রুপ।

সূত্রঃ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণী।
-অগ্ন্যাশয়ের অভ্যন্তরে আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস নামক এক প্রকার গ্রন্থি আছে, যে গ্রন্থিতে ইনসুলিন নামক হরমোন তৈরি হয়।
-এ হরমোন শরীরে শর্করা পরিপাক কার্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
-অগ্ন্যাশয়ে যদি প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি না হয় তখন রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজ প্রসাবের সাথে নির্গত হওয়ার দরুন যে রোগ হয় তাকে ডায়াবেটিস বলে।
-কার্ল লান্ডষ্টাইনার একজন অস্ট্রীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত রকাফেলার ইনস্টিটিউটে (Rockefeller Institute) গবেষণা করতেন।
 -১৯০০ সালে তিনি প্রধান ব্লাড গ্রুপসমূহ আবিষ্কার করেন ।
 -১৯৩০ সালে রক্তের গ্রুপ আবিস্কার করার জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেণ।

-হৃৎপিণ্ড দেহের গুরুত্বপূর্ণ পেশিবহুল একটি অঙ্গ। 
-হৃৎপিণ্ড শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ কার্ডিয়া থেকে। 
-একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে প্রতি মিনিটে হৃৎপিণ্ড সংকুচিত ও প্রসারিত হয় ৭০ থেকে ৮০ বারএবং গড় হিসাবে ৭৫ বার। 
-পূর্ণ বয়স্ক মানুষের হৃৎপিণ্ডের ওজন প্রায় ২৫০-৩৫০ গ্রাম। 
-হৃৎপিণ্ড ৩ স্তর বিশিষ্ট পেশি দ্বারা গঠিত – এপিকার্ডিয়াম, মায়োকার্ডিয়াম এবং এন্ডোকার্ডিয়াম। 
-পেরিকার্ডিয়াম নামের আরেকটি পর্দায় ঢাকা থাকে পুরো হৃৎপিণ্ড। 
- মানুষের হৃৎপিণ্ডে প্রকোষ্ঠের সংখ্যা চারটি। 
  যথা- ডান অলিন্দ (Right atrium) ডান নিলয় (Right ventricle) বাম অলিন্দ (Left atrium) বাম নিলয় (Left ventricle)

-মানবদেহের পরিণত শ্বেত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনবিহীন অনিয়তাকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ। এরা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে লিস্ফোসাইট তৈরি করে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
 এই জন্য এদেরকে দেহের আণুবীক্ষণিক সৈনিক বলে। অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। 
- আকারের ভিত্তিতে এরা আবার দুই প্রকার যথা: ১/লিম্ফোসাইট ২/মনোসাইট 
-নিউক্লিয়াসের আকারের ভিত্তিতে এরা আবার তিন প্রকার ১/নিউট্রোফিল ২/ইওসিনোফিল ৩/বেসোফিল

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের আবিষ্কারের কৃতিত্ব একজন ইংরেজ চিকিৎসক এবং শারীরতত্ত্ববিদ উইলিয়াম হার্ভেকে দেওয়া হয়। 1628 সালে, হার্ভে "Exercitatio Anatomica de Motu Cordis et Sanguinis in Animalibus" (An Anatomical Essay on the Motion of the Heart and Blood in Animals) নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যাতে তিনি মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের বর্ণনা দেন। হার্ভের কাজ মানুষের শারীরবৃত্তির বোঝার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এবং আধুনিক ওষুধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0