মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ (49 টি প্রশ্ন )
- চাঁদের অভিকর্ষজনিত ত্বরণের মান প্রায় পৃথিবীর ১/৬ ভাগ।
- বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর উপর নির্ভর করে।
- চাঁদে ২ নিউটন বস্তুর ওজন পৃথিবীতে হবে ১২ নিউটন (N)।
কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে তাকে বস্তুর ওজন বলে। কোনো বস্তুর ভর m এবং পৃথিবীর কোনো স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ g হলে ঐ স্থানে বস্তুর ওজন W হবে, W = mg
ওজনের একক হলো বলের একক অর্থাৎ নিউটন।
মহাকর্ষ বল:
- মহাবিশ্বের যেকোন দুইটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে।

নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র:
’মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজ দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুনফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এই বল বস্তু কণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

আপেলের আকর্ষণ বল f, পৃথিবীর আকর্ষণ বল F হলে,
F = f = GMm/R2
এখানে,
M = পৃথিবীর ভর,
m = আপেলের ভর,
R = মধ্যবর্তী দূরত্ব
- এই সৃষ্টিজগতের সকলবস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বল দিয়ে আকর্ষণ করে, সেটাই হচ্ছে মহাকর্ষ বল।
- এই মহাকর্ষ বলের কারণে গ্যালাক্সির ভেতরে নক্ষত্ররা ঘুরপাক খায় কিংবা সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী ঘোরে, পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।

বস্তুর ভাসা ও ডোবার শর্ত :
ধরা যাক একটি বস্তুর ওজন (বস্তুর উপর অভিকর্ষজ ত্বরণ জনিত বল) W নিউটন। ঐ বস্তুটিকে পানিতে ডোবানো হল।
বস্তুটির উপর পানির প্লবতা (ঊর্ধ্বচাপ জনিত বল) W1 নিউটন। এখন -
১. W > W1 হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন থেকে বেশি হলে বস্তুটি পানিতে ডুবে যাবে।
২. W < W1 হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন থেকে কম হলে বস্তুটি পানিতে ডুববে না, ভেসে থাকবে।
৩. W = W1 হলে, অর্থাৎ বস্তুর ওজন অপসারিত পানির ওজন সমান হলে বস্তুটি পানিতে ডুবে ডুবে ভাসবে।
- পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যে মধ্যাকর্ষণ শক্তি শূন্য হয়ে যায় কারণ পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চারপাশে সমান পরিমাণে পৃথিবীর ভর রয়েছে।
- একটি বস্তুর উপর পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে সমস্ত দিক থেকে সমানভাবে মধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রয়োগ হয়, যার ফলে তারা একে অপরকে পরস্পর বিপরীত দিকে টানতে থাকে।
- এর ফলে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যে বস্তুর উপর কোনও নিদিষ্ট আকর্ষণশক্তি (gravity) থাকে না এবং বস্তুর ওজন শূন্য হয়ে যায়।

• প্রবল জোয়ারের কারণ, এ সময়- সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী এক সরল রেখায় থাকে।
• পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী চন্দ্র ও সূর্য প্রায় একই সরলরেখায় অবস্থান করে।
• চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণের জন্য জোয়ারের পানি খুব বেশি ফুলে ওঠে। ফলে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়। একে তেজ কটাল বলে।



ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বলে। দুটি বস্তুকণার মধ্যকার এ আকর্ষণ বলের মান শুধু বস্তুদ্বয়ের ভর এবং এদের মধ্যকার দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। বস্তুদ্বয়ের ভর বেশি হলে, আকর্ষণ বলও বেশি হয় আর তাদের মধ্যে দূরত্ব বেশি হলে বল কম হয়। এ আকর্ষণ সম্পর্কে নিউটনের একটি সূত্র আছে, যা নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত।

সূত্র :  মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

তাই সুত্র অনুসারে, সমানুপাতে বৃদ্ধি পায় হবে। একটি বস্তুর ভর যে পরিমাণ বাড়বে, মহাকর্ষের আকর্ষণ বলও একই পরিমাণ বাড়বে।


- যখন কোনো বস্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি মুক্তভাবে (free fall) পড়ে, তখন সেটি শুধুমাত্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পড়ে এবং অন্য কোনো বাহ্যিক শক্তি (যেমন বায়ুর বাধা) কাজ করে না ধরে নেওয়া হয়।

- এই পরিস্থিতিতে বস্তুর উপর যে ত্বরণ ঘটে, তাকে বলা হয় মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (acceleration due to gravity), যার মান সাধারণভাবে:

g = 9.8 m/s² (বা, m/sec²)

এই মানটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি অঞ্চলে নির্ধারিত। এটি একটি গড় মান; ভৌগোলিক অবস্থান ও উচ্চতার ভেদে একটু পার্থক্য হতে পারে, কিন্তু পরীক্ষার জন্য g = 9.8 m/s² ধরা হয়।

অতএব, সঠিক উত্তর: A) 9.8 m/sec² 

সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌছাতে কত সময় লাগে?
এক কথায় বলতে গেলে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগে।
অর্থাৎ বলাই যায় যদি সূর্য কোন কারণে অদৃশ্য হয়ে যায় আপনার বুঝতে ৮ মিনিট সময় লেগেই যাবে।
কিভাবে?

সূর্য থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার।
আর আলোর বেগ ৩০০,০০০।

এখন,
s=vt
বা, t=s/v

মান বসিয়ে হিসাব করলে ৫০০ সেকেন্ড অর্থাৎ ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পাওয়া যাবে। এটা একটা গড় ফল। মনে রাখতে হবে,পৃথিবী সূর্যকে একটি উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে যার দূরত্ব ১৪৭ মিলিয়ন কি.মি. থেকে ১৫২ মিলিয়ন কি.মি. পর্যন্ত হয়। সেই হিসাবে কাছাকাছি দূরত্ব ৪৯০ সেকেন্ডের মত আর সর্বাধিক দূরত্ব ৫০৭ সেকেন্ডের মত লাগে।




ব্যক্তির ভর m এবং ঐ স্থানে অভিকর্ষজ g ত্বরণ হলে, ব্যক্তির ওজন হবে, W = mg। এক ব্যক্তি লিফটে সমবেগে ওপরে উঠলেবা নিচে নামলে তার ওজন কোন পরিবর্তন হবে না। কিন্তু লিফটে a ত্বরণের উপর উঠলে ব্যক্তির ওজন অনুভব করবে, W = m (g+a) অর্থাৎ বেশি ওজন অনুভব করবে। আবার a ত্বরণে নিচে নামলে ব্যক্তির ওজন অনুভব করবে, W = m (g-a) অর্থাৎ কম ওজন অনুভব করবে।

এক ব্যক্তি দালানের দশ তলা একটি লিফটে দাঁড়িয়ে আছে। তার কোন স্প্রিং নিস্কি থেকে ঝুলানো একটি বস্তু 10 নিউটনের ওজন নির্দেশ করেছে। হঠাৎ লিফটের তার ছিঁড়ে লিফটের মুক্তভাবে নিচে পড়তে থাকলে স্প্রিং নিস্কিতে ওজন 0 নিউটন নির্দেশ করবে। কারণ মুক্তভাবে পড়ন্ত লিফটের ত্বরণ হবে g এবং সে ক্ষেত্রে বস্তুর ত্বরণ হবে (g- g) = 0 নিউটন। সুতরাং বস্তর ওজন হবে W = m ⤫ 0 = 0 নিউটন। মহাশূন্যচারীর মহাশূন্যযানে পৃথিবীর প্রদক্ষিণরত থাকার সময় নিজেকে ওজনহীন মনে করেন কারণ মহাশূন্যচারীর মহাশূন্যযানের করে পৃথিবী কে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে থাকে। এই বৃত্তাকার গতির জন্য মহাশূন্যযানের পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ঐ উচ্চতায় g এর মানের সমান মানের একটি ত্বরণ হয়। এই অবস্থায় মহাশূন্যযানের দেয়ালের সাপেক্ষে মহাশূন্যচারীর ত্বরণ (g - g) = 0 হয় এবং মহাশূন্যচারী মহাশূন্যযানের দেওয়াল বা মেঝেতে কোন বল প্রয়োগ করে না। ফলে তিনি তার ওজনের বিপরীত কোন প্রতিক্রিয়া বলও অনুভব করে না। তাই তিনি ওজনহীনতা অনুভব করেন।


পৃথিবীতে ৪৯ কেজি ভরের কোনো বস্তুর ভর চাঁদেও অপরিবর্তিত থাকে, কারণ ভর স্থান নিরপেক্ষ। তবে, মহাবিশ্বের সব বস্তুই যে আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরকে টানে, যাকে মহাকর্ষ বল বলা হয়, তা স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়। চাঁদের মহাকর্ষ বল পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ছয় গুণ কম। এর প্রধান কারণ হলো চাঁদের ভর ও আকার পৃথিবীর চেয়ে অনেক ছোট। যেহেতু মহাকর্ষ বল বস্তুর ভর ও আকারের উপর নির্ভরশীল, তাই চাঁদে মহাকর্ষ বল কম হওয়ার কারণে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর তুলনায় এক-ষষ্ঠাংশ হয়। সুতরাং, পৃথিবীতে কোনো ব্যক্তির ওজন যা-ই হোক না কেন, চাঁদে তা ছয় ভাগের এক ভাগ হবে, কিন্তু তার ভর উভয় স্থানেই একই থাকবে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-কোনো বস্তুর ভর ১০ কেজি হলে বস্তুর ওজন - ৯৮ নিউটন।
-অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
-একে 'g' দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-অভিকর্ষজ ত্বরণ এর আদর্শ মান 9.81ms - 2।
-বস্তুর ওজন w = mg = 10×9.8 = 98 নিউটন।

পাহাড়ে ওঠার সময় আমাদের সামনের দিকে ঝুঁকে বল বাড়াতে হয়। কারণ আমরা যখন উপরের দিকে উঠে তখন আমাদের অভিকর্ষজ ত্বরণের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। যার ফলে পেছনের দিকে হেলে পড়া রোধ করা সম্ভব।

 - অভিকর্ষ বলের প্রভাবে বস্তুর যে ত্বরণ হয় তাকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বলা হয়।
- অভিকর্ষজ ত্বরণকে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

 ধরা যাক, পৃথিবীর ভর = M, বস্তুর ভর = m, বস্তু ও পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব = d
তাহলে মহাকর্ষ সূত্রানুসারে অভিকর্ষ বল, F = GMm/d2
- অভিকর্ষজ ত্বরণ বস্তুর ভরের ওপর নির্ভর করে না। যেহেতু G এবং পৃথিবীর ভর M ধ্রুবক, তাই g-এর মান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর দূরত্ব d-এর ওপর নির্ভর করে।
- অর্থাৎ g-এর মান বস্তু নিরপেক্ষ হলেও স্থান নিরপেক্ষ নয়। g-এর   মানের ভিন্নতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয়।

 g -এর মান নিম্মে দেওয়া হলঃ
মেরু অঞ্চল- ৯.৮৩২১৭ ms-2
বিষুব অঞ্চল- ৯.৭৮০৩৯ ms-2



পৃথিবী ঘূর্ণনের কারণে আমদের উপর একধরণের কেন্দ্রবর্হিমুখী বল প্রযুক্ত হয়, ফলে আমরা ছিটকে পড়ার উপক্রম হই।কিন্তু পৃথিবী তার নিজের দিকে প্রচন্ড বলে আমাদেরকে আকর্ষণ করছে, যে কারনে আমরা কোনো বস্তু উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে সেটা কিছুদূর গিয়ে পৃথিবীর আকর্ষনের কারনে আবার নিচের দিকে ফিরে আসে।এখন পৃথিবীর এই আকর্ষণ বল এর ঘূর্ণনজনিত কারণে সৃষ্ট বহির্মুখী বলের তুলনায় অনেক বেশি। তাই আমরা ছিটকে পড়ি না।
টাইটান হচ্ছে শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ। এটি সৌর জগতের একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ যাতে ঘন বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আবার পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের একমাত্র এই বস্তুর পৃষ্ঠেই তরল পদার্থের সন্ধান মিলেছে। টাইটানের আকৃতি এলিপসয়ডাল, অর্থাৎ অনেকটা উপবৃত্তীয় গোলক।

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ভুপৃষ্ঠের সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট গতিতে চালনা করা হয় ।কিন্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে ঐ গতি নিয়েই সে বৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ।কারণ ঐ বলের প্রভাবে পৃথিবী তাকে কেন্দ্রের দিকে টানে তাই সে ঐ সমান্তরাল অবস্থায় থাকতে পারে না।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বিজ্ঞানী হেস মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য । ১৯৩৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান । মহাশূন্য থেকে আগত রশ্মি বা কণাকে কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মি বলে ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0