অধাতব রসায়ন (120 টি প্রশ্ন )
- গ্যাসীয় অধাতব: হাইড্রোজেন (H₂), অক্সিজেন (O₂), নাইট্রোজেন (N₂), হিলিয়াম (He), ক্লোরিন (Cl₂)।

- কঠিন অধাতব: কার্বন (C), সালফার (S), ফসফরাস (P), আয়োডিন (I₂)।

- তরল অধাতব: ব্রোমিন (Br₂)।
- সোডিয়াম, পটাসিয়াম, এবং জিংক ধাতু। এগুলো বিদ্যুৎ এবং তাপের পরিবাহী, ধাতব দ্যুতিসম্পন্ন, নমনীয়, এবং তুলনামূলকভাবে বেশি ঘনত্বের।
- অধাতু সাধারণত বিদ্যুৎ এবং তাপের অপরিবাহী, ধাতব দ্যুতিহীন, নমনীয় নয়, এবং তুলনামূলকভাবে কম ঘনত্বের হয়।

কিছু অধাতুর উদাহরণ:
- হাইড্রোজেন (H)
- কার্বন (C)
- অক্সিজেন (O)
- সালফার (S)
- ক্লোরিন (Cl)
ফরমালিন:
- মিথান্যালের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে।
- পরিমাণ হিসেবে 40% মিথান্যাল, 52% পানি ও 8% মিথাইল অ্যালকোহলের মিশ্রিত থাকে।

রেকটিফাইড স্পিরিট:
- 95.6% ইথানল ও 4.4% পানির মিশ্রণকে রেকটিফাইড স্পিরিট বলে।

ভিনেগার:
- 6 -10% ইথানোয়িক এসিডের জলীয় দ্রবণকে ভিনেগার বলে।

ক্লোরোফরম:
- ইথানল, ব্লিচিং পাউডার ও পানির মিশ্রণকে পাতন করলে ক্লোরোফরম পাতিত তরল রূপে সংগৃহীত হয়।
অ্যালকেনের সাধারণ সংকেত CnH2n + 2

ডেকেন হলে, n = 10

CnH2n + 2
= C10 H2 × 10 + 2
= C10H22
বন্ধন প্রকৃতি অনুযায়ী অ্যালিফেটিক যৌগসমূহকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়, যথা- (i) সম্পৃক্ত যৌগ ও (ii) অসম্পৃক্ত যৌগ।

(i) সম্পৃক্ত যৌগ : যে সব যৌগের কার্বন শিকলের কার্বন পরমাণুসমূহ পরস্পর একক বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে তাদেরকে সম্পৃক্ত যৌগ বলে। যেমন-  মিথেন, ইথানল ইত্যাদি।
(ii) অসম্পৃক্ত যৌগ: যে সব যৌগের কার্বন শিকলে অন্তত দুটি কার্বন পরমাণু দ্বি-বন্ধন বা ত্রি-বন্ধন দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে তাদেরকে অসম্পৃক্ত যৌগ বলে । যেমন- ইথিন, প্রোপাইন ইত্যাদি।
-নিষ্ক্রিয় গ্যাস: হিলিয়াম (He), নিয়ন (Ne), আর্গন (Ar), ক্রিপটন (Kr), জেনন (Xe) ও রেডন (Rn) এ ছয়টি মৌল পর্যায় সারণিতে 18তম গ্রুপের মৌল।
- সাধারণত এরা যৌগ গঠন করে না বলে এরা নিষ্ক্রিয় গ্যাস বা নোবেল গ্যাস হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
- সমগোত্রীয় শ্রেণির মৌলসমূহ অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত।
- একটি সাধারণ সংকেত দ্বারা সমগোত্রীয় শ্রেণির মৌলসমূহকে প্রকাশ করা যায়।- প্রত্যেক সমগোত্রীয় শ্রেণির একটি নির্দিষ্ট কার্যকরীমূলক থাকে।
- সমগোত্রীয় শ্রেণির মৌলসমূহের রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
-প্লাস্টার অফ প্যারিস (POP), একটি দ্রুত কঠিনে পরিণত হওয়া সাদা গুঁড়ো (ক্যালসিয়াম সালফেট হেমিহাইড্রেট) সমন্বিত জিপসাম প্লাস্টার, যা আর্দ্র হয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পরে শক্ত হয়।
-এটি প্লাস্টার অফ প্যারিস হিসাবেও পরিচিত, কারণ POP তৈরির জন্য, ফ্রান্সের রাজধানী শহর প্যারিসের নিকটে প্রচুর পরিমাণে জিপসাম পাওয়া যায়।
-কার্বন একটি অধাতু এবং বিজারক।
- কার্বনের বহুরূপতা ধর্ম দেখা যায়।
- এটির একটি রুপভেদ হলো হীরক বা ডায়মন্ড।
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হীরক।
- হীরক কাচ কাটতে ব্যবহৃত হয়।
- শিল্প কারখানায় অত্যন্ত শক্ত পদার্থ কাটার জন্য ডায়মন্ড ব্যবহৃত হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
যোশেফ প্রিস্টলি ১৭৩৩ সালের ১৩ই মার্চ ইংল্যান্ডের লীডসে জন্ম নেন। তিনি যাজক ছিলেন। তিনি কার্বন ডাই অক্সাইড আবিষ্কার করেন। তিনি ১৭৭৪ সালের ১লা আগস্ট অক্সিজেন তৈরি করেন। ১৭৯১ সালে লন্ডন থেকে বিতাড়িত হন। তিনি এর পর কার্বন মনোক্সাইড তৈরি করেন।
প্রকৃতিতে কিছু মৌলের দুই বা ততোধিক রূপে অবস্থান করার বৈশিষ্ট্যকে বহুরূপতা (Allotropy) বলে। মৌলের এ রূপগুলো (Allotropes) পরস্পর হতে কাঠামো, কেলাস, বর্ণ, ঘনত্ব ইত্যাদি ভৌত ধর্মে এবং রাসায়নিক সক্রিয়তার মাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন হয়।

কার্বন, অক্সিজেন, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি মৌল বহুরূপতা প্রদর্শন করে।
বহুরূপতার কারণ: 
১. সমান সংখ্যক পরমাণু দ্বারা গঠিত একই মৌলের অণুসমূহে পরমাণুর বিন্যাসগত পার্থক্যের কারণে বহুরূপতার সৃষ্টি হয়। ২. একই মৌলের অণুর মধ্যে পরমাণুর সংখ্যাভিন্নতা বা অভ্যন্তরীণ শক্তির ভিন্নতার কারণে বহুরূপতা পরিলক্ষিত হয়।

কার্বনের বিভিন্ন রূপভেদগুলোকে প্রধানত দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা: 

১. দানাদার কার্বন : প্রধানত দু’প্রকার। যথা: ক. হীরক, খ. গ্রাফাইট।

২. অদানাদার কার্বন : প্রধানত তিন প্রকার। যথা:ক. চারকোল বা অঙ্গার, খ. ভূসা কয়লা এবং গ. কোল।


- ড্রাই আইস তৈরিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO.) গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
- কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO.) গ্যাসকে -78.5°C তাপমাত্রায় শীতল করলে এটি তরল না হয়ে সরাসরি কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
- একে শুদ্ধ বে বা ড্রাই আইস বলা হয়; কিন্তু এটি আসলে বরফ নয়।
- নাট্যমঞ্চে ধোঁয়া তৈরি ও হিমায়ক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।
- যে পানিতে সহজে সাবানের ফেনা উৎপন্ন হয় না, প্রচুর সাবান খরচ করার পর ফেনা উৎপন্ন হয় তাকে খর পানি বলে।
- খর পানিতে ক্যালসিয়াম সালফেট, ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, অ্যালুমিনিয়াম জাতীয় লবণ দ্রবীভূত থাকে।
- ডিটারজেন্ট হলো লবণ জাতীয় জৈব ও অজৈব পদার্থের মিশ্রণ।
- এটি খর পানিতেও উত্তম ফেনা দেয়।




- লোহার সাথে কার্বন ( C ), আয়রন ( Fe ), ক্রোমিয়াম ( Cr ) ও নিকেল ( Ni ) মিশিয়ে সংকর ধাতু -ইস্পাত তৈরি করা যায় ।
- ইস্পাতে কার্বনের শতাংশ ইস্পাতের ধরন এবং গ্রেডের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
- সাধারণত, ইস্পাতে কার্বনের পরিমাণ ওজন অনুসারে 0.02% থেকে 2.1% পর্যন্ত হতে পারে।

- উদাহরণস্বরূপ, কম কার্বন ইস্পাত (হালকা ইস্পাত নামেও পরিচিত) ওজন দ্বারা 0.3% কম কার্বন ধারণ করে, যখন উচ্চ কার্বন ইস্পাত 2.1% পর্যন্ত কার্বন ধারণ করতে পারে।

- স্ট্রাকচারাল স্টিল, স্টেইনলেস স্টীল এবং টুল স্টিলের মতো সর্বাধিক ব্যবহৃত ইস্পাত সাধারণত ওজন অনুসারে 0.05% এবং 1.5% কার্বন ধারণ করে।

- এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে ইস্পাতের কার্বন উপাদান ইস্পাতের শক্তি, কঠোরতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

প্লাস্টার অফ প্যারিস এর রাসায়নিক সংকেত (CaSO4)2.H2O
-প্লাস্টার অফ প্যারিস জিপসাম স্ফটিকগুলিকে গরম করে ক্যালসিয়াম সালফেট ডিহাইড্রেট দিয়ে তৈরি একটি নরম খনিজকে শুকনো গুঁড়োতে পরিণত করার মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

-যখন এটি জলের সাথে মিশ্রিত হয় তখন এটি জিপসামের পেস্টে পরিবর্তিত হয়, যা প্রাচীর surfacing এবং ফায়ারপ্রুফিং বা ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম তৈরির জন্য একটি বিল্ডিং উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

-তাছাড়াও এটি ঢালাই প্রক্রিয়ার প্লাস্টার মোল্ডে ব্যাবহার করা হয়৷

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

রেকটিফাইড স্পিরিট হলো ৯৫.৬% ইথাইল অ্যালকোহল ও ৪.৪% পানির সমস্ফুটন মিশ্রণ। এর স্ফুনাংক ৭৮.১০ সে. । রেকটিফাইড স্পিরিট ডাক্তারি কাজে ও দ্রাবকরুপে ব্যবহৃত হয়। এ স্পিরিট থেকে বিশুদ্ধ অ্যালকোহল প্রস্তুত করা হয়।
-চকের বেশ কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন প্রাকৃতিক চক ও কৃত্রিম চক। প্রাকৃতিক চক তৈরি হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCo3) থেকে। পানির নীচে বছরের পর বছর জমে থাকার ফলে এই ক্যালসিয়াম কার্বনেটের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন হয়ে কালক্রমে চকে রূপান্তরিত হয়। প্রায় একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় লাইমস্টোন এবং মার্বেল।

-তবে বর্তমানে কৃত্রিম চক বা লেখার চক তৈরি হয় জিপসাম (ক্যালসিয়াম সালফেট CaSO4)থেকে।


- কার্বনিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, সালফিউরাস এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি হলো অজৈব অম্ল।

- ফরমিক এসিড, এসিটিক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড, পামিটিক এসিড, এসকরবিক এসিড, সাইট্রিক এসিড ইত্যাদি হলো জৈব অম্ল।






ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
কার্বনের দানাদার রুপভেদ হলো গ্রাফাইট ও হীরক।হীরকের কার্বনের sp3 সঙ্করন হয় কিন্তু গ্রাফাইটে কার্বনের sp2 সংকরন হয় বিধায় 2pz অরবিটালটি মুক্ত অবস্থায় থাকে, ফলে গ্রাফাইটে প্রতিটি কার্বন পরমাণুর অসংকরিত অরবিটাল মিলে পুরো গ্রাফাইট জুড়ে ইলেক্ট্রনের সঞ্চরনশীলতা তৈরী করে, তাই গ্রাফাইট বিদ্যুৎ পরিবাহী।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0