মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?

A স্বরবৃত্ত ছন্দ

B অক্ষরবৃত্ত ছন্দ

C মাত্রাবৃত্ত ছন্দ

D গৈরিশ ছন্দ

Solution

Correct Answer: Option B

-কবিতার পঙ্ক্তির শেষে মিলহীন ছন্দকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে।
-এ ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
-অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতায় চরণের অন্ত্যমিল থাকে না।
-প্রতি পঙ্ক্তিতে ১৪ অক্ষর থাকে, যা ৮+৬ পর্বে বিভক্ত।
-একে প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দও বলে।
-অক্ষরবৃত্ত ছন্দের প্রত্যেক চরণ দুই পর্বের এবং চরণের মাত্রা বিন্যাস ৮+৬ = ১৪।
-অমিত্রাক্ষর ছন্দেরও প্রত্যেক চরণের মাত্রা ৮+৬ পর্বে বিভক্ত।
-অক্ষরবৃত্ত ছন্দের পূর্বরূপ পয়ার। পয়ারে দুইটি চরণ এবং প্রতি চরণে দুইটি পর্ব থাকে। প্রথম পর্বের মাত্রা সংখ্যা আট এবং দ্বিতীয় পর্বের মাত্রা সংখ্যা ছয়। ১৪ মাত্রার চরণ দুইটি পরস্পর মিত্রাক্ষর হয়। এতে প্রতি চরণের শেষে ভাবের আংশিক বা সামগ্রিক পরিসমাপ্তি ঘটে এবং পূর্ণযতি চিহ্ন পড়ে।
-কিন্তু অমিত্রাক্ষর ছন্দে পক্তির শেষে মিল নেই। এ ছন্দে এক পঙ্ক্তিতে বক্তব্য শেষ না হলে অন্য পঙ্ক্তিতে গড়ানো যায়। ফলে যতিচিহ্ন ব্যবহারের স্বাধীনতা থাকার কারণে বড় ধরনের ভাব প্রকাশ করা সহজ হয়। সে লক্ষ্যেই মাইকেল মধুসূদন দত্ত অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব-রূপায়ণ ঘটান অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের মাধ্যমে।

-অক্ষরবৃত্ত ছন্দের উদাহরণ:
মরিতে চাহি না আমি / সুন্দর ভুবনে (৮+৬)
মানবের মাঝে আমি / বাঁচিবারে চাই (৮+৬)
                                  -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদাহরণ:
সম্মুখ-সমরে পড়ি, বীর চূড়ামণি
বীর বাহু চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি,
কোন বীরবরে রবি সেনাপতি পদে,
পাঠাইলা, রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি
        রাঘবারি।
                             -মাইকেল মধুসূদন দত্ত

Practice More Questions on Our App!

Download our app for free and access thousands of MCQ questions with detailed solutions