|
|
- আলাওল সপ্তদশ শতকের( ১৬০৭-১৬৮০)কবি। - তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। - মহাকবি আলাওলের সমসাময়িক আরাকানের রাজা ছিলেন রাজা সুধর্মা। - আলাওল মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা। তাঁর মোট কাব্যসংখ্যা সাত।
-আরাকানের প্রধান অমাত্য মাগন ঠাকুর তাকে কাব্যরচনায় উৎসাহিত করেছেন।
সেগুলির মধ্যে আখ্যানকাব্য হচ্ছে - পদ্মাবতী (১৬৪৮), - সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী (১৬৫৯), - সপ্তপয়কর (১৬৬৫), - সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল (১৬৬৯) ও - সিকান্দরনামা (১৬৭৩);
নীতিকাব্য - তোহফা (১৬৬৪) সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য - রাগতালনামা।
|
|
| |
|
|
|
- খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের আদি নিদর্শন 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন', যা কবি বড়ু চণ্ডীদাস ভাগবতের কৃষ্ণলীলা সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে, জয়দেবের গীতগোবিন্দ কাব্যের প্রভাব স্বীকার করে, লোকসমাজে প্রচলিত রাধা-কৃষ্ণের প্রেম সম্পর্কিত গ্রাম্য গল্প অবলম্বনে ৪১৮টি পদ, ১৬১টি শ্লোক ও ১৩টি খণ্ডের মাধ্যমে রচনা করেন। - ১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এটি উদ্ধার করেন। - পরে তিনি ১৯১৬ সালে 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে এটি প্রকাশ করেন।
|
|
| |
|
|
|
- খনা ছিলেন জ্যোতির্বিদা, কৃষিবিদ্যা ও গণিত পারদর্শী এক প্রাচীন কিংবদন্তী মহিলা। ধারণা করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব। কিংবদন্তী অনুযায়ী তাঁর বসবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাতের দেউলি গ্রামে। পিতার নাম অটনাচার্য।
- শুভক্ষণে জন্ম হওয়ায় তার নাম হয় খনা, প্রকৃত নাম লীলাবতী। অন্যমতে, খনা অর্থ বোবা। জিহ্বা কর্তনের পর লীলাবতির নাম হয় খনা। অন্য কিংবদন্তীতে রয়েছে - খনা সিংহল রাজের কন্যা।
- উজ্জয়িনী রাজ্যের নবরত্নের অন্যতম প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ বরাহের পুত্র মিহিরের সাথে খনার বিয়ে হয়। কৃষিকাজে ছিল খনার অগাধ জ্ঞান এবং গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দিতে পারতেন। রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে রাজ্যের দশম রত্ন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পুত্রবধূর সুনামের আড়ালে পড়ে যাওয়ায় রাজ্যে শ্বশুর বরাহের মূল্য কমে যায় । ঈর্ষাপরায়ণ বরাহ চতুর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুত্রকে আদেশ দেন খনার জিহ্বা কেটে ফেলতে যাতে চিরতরে স্তব্দ হয়ে যায় তার কণ্ঠ। পুত্র সে আদেশ পালন করে। [রাজা আকাশে নক্ষত্র কত জানতে চাইলে পিতা-পুত্র তা নির্ধারণে অক্ষম হয়ে খনার সাহায্যে কৃতকার্য হন। এতে সম্মানহানির ভয়ে মিহির খনার জিহ্বা কেটে ফেলে]।
|
|
| |
|
|
|
- ১৮০০ সালের ৪ মে ভারতে কর্মরত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মীদের শিক্ষাদানের জন্য ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। - ১৮০১ সালে কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হলে উইলিয়াম কেরি, দুইজন পন্ডিত ও ছয়জন সহকারী শিক্ষকের সাথে যোগদান করেন। - চন্ডীচরণ মুন্সী ছিলেন এই সহকারী শিক্ষকদের একজন। - তার রচিত গ্রন্থের নাম "তোতা ইতিহাস"। - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। - কলেজটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মীদের ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া। - বাংলা বিভাগ ছিল কলেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিভাগগুলির মধ্যে একটি। - চন্ডীচরণ মুন্সী ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ। - "তোতা ইতিহাস" ছিল বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম ইতিহাস বই।
|
|
| |
|
|
|
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর: - বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি, মঙ্গলকাব্যের সর্বশেষ শক্তিমান কবি এবং অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। - কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ভারতচন্দ্র ৩টি খণ্ডে বিভক্ত 'অন্নদামঙ্গল' (১৭৫২-৫৩) কাব্য রচনা করেন। - এ কাব্যে দেখা যায়, দেবী অন্নপূর্ণা ভবানন্দ গৃহে যাওয়ার সময় নারীরূপ ধারণ করে নদী পার হতে ঈশ্বরী পাটুনির নৌকায় উঠেছিলেন। - নৌকায় উঠলে দেবীর পায়ের ছোয়ায় নৌকা স্বর্ণে পরিণত হয়। ততক্ষণে পাটুনি বুঝে গেছেন, এ কোন সাধারণ নারী নয়, স্বয়ং দেবতা। - নৌকায় ওঠার আগেই দেবী বলেছিলেন, "বর মাগ মনোনীত যাহা চাহ দিব। - নদী পার হওয়ার পর ঈশ্বরী পাটুনি বর চাইলেন, 'প্রণমিয়া পাটুনি কহিছে যোড় হাতে। / আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। - 'সত্য পীরের পাঁচালী (১৭৩৭-৩৮), 'রসমঞ্জরী', 'নাগাষ্টক', 'গঙ্গাষ্টক', 'চণ্ডীনাটক' (নাটক) প্রভৃতি ভারতচন্দ্র রচিত সাহিত্যকর্ম ।
|
|
| |
|
|
|
আলাওল: - তিনি বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর রচিত "পদ্মাবতী" একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য, যা হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির মিলন ঘটায়। - আলাওল সপ্তদশ শতকের (১৬০৭-১৬৮০)কবি। - তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। - মহাকবি আলাওলের সমসাময়িক আরাকানের রাজা ছিলেন রাজা সুধর্মা। - আলাওল মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা। তাঁর মোট কাব্যসংখ্যা সাত। - আরাকানের প্রধান অমাত্য মাগন ঠাকুর তাকে কাব্যরচনায় উৎসাহিত করেছেন।
সেগুলির মধ্যে আখ্যানকাব্য হচ্ছে - পদ্মাবতী (১৬৪৮), - সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী (১৬৫৯), - সপ্তপয়কর (১৬৬৫), - সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল (১৬৬৯) ও - সিকান্দরনামা (১৬৭৩);
নীতিকাব্য - তোহফা (১৬৬৪) সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য - রাগতালনামা।
|
|
| |
|
|
|
বিদ্যাপতি: - তিনি ছিলেন মৈথিলি ভাষার কবি হলেও তাঁর রচিত প্রেমের গীতি বা পদাবলীতে বাংলা সাহিত্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর পদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম বিষয়ক গীতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। - তিনি ছিলেন পঞ্চদশ শতকের কবি। - তিনি ব্রজবুলি ভাষায় কাব্য রচনা করতেন। - শৈব বংশে জন্ম বলে তিনি বহু শৈবসঙ্গীতও রচনা করেন। তবে বিদ্যাপতির সংস্কৃত ভাষায় কয়েকটি গ্রন্থ হচ্ছেঃ - কীর্তিলতা, - পুরুষপরীক্ষা - গঙ্গাবাক্যাবলী, - বিভাগসার।
|
|
| |
|
|
|
আরকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য ১. আরাকানের অধিবাসিরা সাধারনভাবে বাংলাদেশে পরিচিত - মগ নামে। ২. আরাকান রাজসভায় প্রথম বাঙ্গালী কবি, আদি কবি ও লৌকিক কাহিনীর আদি রচয়িতার নাম - দৌলত কাজী। ৩. রাজসভার কবিদের মধ্যে যাদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য - দৌলত কাজী, আলাওল, কোরেশী মাগন ঠাকুর, মরদন, আব্দুল করীম খন্দকার, শমশের আলী। ৪. মাগন ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় আলাওল রচনা করেন - পদ্মাবতী। ৫. দৌলত কাজীর যে কাব্যটি হিন্দি কবি সাধন এর মৈনাসত কাব্য অবলম্বনে রচনা করেন - সতীময়না ও লোরচন্দানী। ৬. রাজসভার সর্বশ্রেষ্ঠ কবির নাম - আলাওল। ৭. রোসাঙ্গ রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং আলাওলের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন - কোরেশী মাগন ঠাকুর। ৮. কোরেশী মাগন ঠাকুর রচিত একটি কাব্য গ্রন্থের নাম - চন্দ্রাবতী। ৯. আলাওল যেসব কাব্য রচনা করেন - পদ্মাবতী, হপ্তপয়কর, তোহফা সেকান্দর নামা। ১০. আলাওলের তোহফা যে ধরনের কাব্য - নীতিবাক্য।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা সাহিত্যে তিন ধরনের গীতিকা রয়েছে। যথা : - নাথ গীতিকা - মৈমনসিংহ-গীতিকা - পূর্ববঙ্গ গীতিকা
• পূর্ববঙ্গ গীতিকা নামে পরিচিত গীতিকাগুলোর কিছু পূর্ব ময়মনসিংহ থেকে এবং অবশিষ্ট গীতিকা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সংগৃহীত এ সকল গীতিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
এর সংগ্রাহক— ড. দীনেশচন্দ্র সেন ও চন্দ্রকুমার দে।
গীতিকাসমূহের নাম— ‘নিজাম ডাকাতের পালা’, ‘কাফন চোরা’, ‘ আয়না বিবি’, ‘কমলা রাণীর গান’, ‘চৌধুরীর লড়াই’, ‘ভেলুয়া’, ‘কমল সরদার’ ইত্যাদি।
‘ভেলুয়া’ পালায় নারী হৃদয়ের আর্তি প্রকাশ পেয়েছে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
ফারসি থেকে বাংলায় অনূদিত ♦ ইউসুফ ওয়া জুলাইখা(মূল গ্রন্থ) --অনুবাদক গ্রন্থঃ ইউসুফ-জোলেখা (শাহ মুহম্মদ সগীর, আবদুল হাকিম, গরীবুল্লাহ )
♦ লাইলা ওয়া মাজনুন(মূল গ্রন্থ) --অনুবাদক গ্রন্থঃ লায়লী-মজনু (দৌলত উজির বাহরাম খান, মুহম্মদ খায়ের)
♦ তাজুলমূলক গুল-ই-বকাওলী(মূল গ্রন্থ) --অনুবাদক গ্রন্থঃ গুলে বকাওলী (নওয়াজিস খান, মুহম্মদ মুকীম)
♦ অনুবাদক গ্রন্থঃ হাতেম তাই (সদতুল্লাহ, সৈয়দ হামজা) ♦ অনুবাদক গ্রন্থঃ জঙ্গনামা (ফকির গরীবুল্লাহ) ♦ অনুবাদক গ্রন্থঃ নূরনামা(আবদুল হাকিম) ♦ হপ্তপয়কর(মূল গ্রন্থ) --অনুবাদক গ্রন্থঃ সিকান্দরনামা হপ্তপয়করম (আলাওল) ♦ সফফুলমূলক-বদিউজ্জামাল(মূল গ্রন্থ) -- অনুবাদক গ্রন্থঃসফফুলমূলক-বদিউজ্জামাল (আলাওল)
|
|
| |
|
|
|
- ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর আঠারো শতকের বাঙালি কবি। - তাঁর পিতার নাম নরেন্দ্রনারায়ণ রায়। - তিনি ছিলেন নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার সভাকবি। - রাজা তাঁকে ‘রায়গুনাকর’ উপাধি প্রদান করেন। - তাঁর বিখ্যাত কাব্যের নাম অন্নদামঙ্গল কাব্য। - এর তিনটি ভাগ হলঃ ‘অন্নদামঙ্গল’, ‘বিদ্যাসুন্দর’ এবং ‘ভবানন্দ-মানসিংহ কাহিনী’। - বাংলা ভাষার বেশকিছু প্রচলিত বাক্য বা প্রবাদ ভারতচন্দ্রের রচনা। - যেমনঃ আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন, নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়
|
|
| |
|
|
|
মধ্যযুগের সাহিত্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শাখা হলো মঙ্গলকাব্য। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে ধর্মনির্ভর বিশেষ এক শ্রেনির আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। মঙ্গলকাব্য দুই প্রকার- পৌরানিক ও লৌকিক। এর প্রধান শাখা তিনটি। যথা- মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল। মঙ্গলকাব্যের মূল উপজীব্য হলো দেবদেবীর গুণগান - সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি, কাহিনী ইত্যাদি নিয়ে রচিত কাব্য মনসামঙ্গল। একে পদ্মাপুরাণ নামেও অভিহিত করা হয়। - চণ্ডী দেবী শক্তির দেবী হিসেবে পরিচিত, যিনি ভক্তদের রক্ষা করেন এবং শত্রুদের দমন করেন। - তাঁর মাহাত্ম্যবিষয়ক কাব্য মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (কবি কঙ্কণ) রচিত চণ্ডীমঙ্গল। এখানে প্রধানত দেবী চণ্ডীর উপাসনা, তাঁর ভক্তদের কাহিনি এবং দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার বর্ণনা রয়েছে। - আদি কবি - কানাহরি দত্ত; - শ্রেষ্ঠ কবি হিসাবে বিবেচনা করা হয় - দ্বিজ বংশীদাশকে। - এই কাব্যের চরিত্রঃ বেহুলা, লক্ষীন্দর, চাঁদ সওদাগর, দেবী মনসা প্রমুখ।
|
|
| |
|
|
|
আলাওল - তিনি বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর রচিত "পদ্মাবতী" একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য, যা হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির মিলন ঘটায়। - আলাওল সপ্তদশ শতকের (১৬০৭-১৬৮০)কবি। - তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। - মহাকবি আলাওলের সমসাময়িক আরাকানের রাজা ছিলেন রাজা সুধর্মা। - আলাওল মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা। তাঁর মোট কাব্যসংখ্যা সাত। - আরাকানের প্রধান অমাত্য মাগন ঠাকুর তাকে কাব্যরচনায় উৎসাহিত করেছেন।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি, মঙ্গলকাব্যের সর্বশেষ শক্তিমান কবি এবং অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। - কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ভারতচন্দ্র ৩টি খণ্ডে বিভক্ত 'অন্নদামঙ্গল' (১৭৫২-৫৩) কাব্য রচনা করেন। - এ কাব্যে দেখা যায়, দেবী অন্নপূর্ণা ভবানন্দ গৃহে যাওয়ার সময় নারীরূপ ধারণ করে নদী পার হতে ঈশ্বরী পাটুনির নৌকায় উঠেছিলেন। - নৌকায় উঠলে দেবীর পায়ের ছোয়ায় নৌকা স্বর্ণে পরিণত হয়। ততক্ষণে পাটুনি বুঝে গেছেন, এ কোন সাধারণ নারী নয়, স্বয়ং দেবতা। - নৌকায় ওঠার আগেই দেবী বলেছিলেন, "বর মাগ মনোনীত যাহা চাহ দিব। - নদী পার হওয়ার পর ঈশ্বরী পাটুনি বর চাইলেন, 'প্রণমিয়া পাটুনি কহিছে যোড় হাতে। / আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।।' 'সত্য পীরের পাঁচালী (১৭৩৭-৩৮), 'রসমঞ্জরী', 'নাগাষ্টক', 'গঙ্গাষ্টক', 'চণ্ডীনাটক' (নাটক) প্রভৃতি ভারতচন্দ্র রচিত সাহিত্যকর্ম ।
|
|
| |
|
|
|
- বৈষ্ণব পদাবলির বিকাশ ষোড়শ শতাব্দীতে ঘটে। - এই সময় শ্রীচৈতন্যদেবের ভাব আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব সাহিত্যের জন্ম হয়। - এই সময় বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, রায়শেখর, বলরামদাস প্রমুখ বৈষ্ণব পদকর্তার আবির্ভাব ঘটে। তাদের হাত ধরেই বৈষ্ণব পদাবলী চরম উৎকর্ষ লাভ করে। - বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যর সূচনা চতুর্দশ শতকে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস-এর সময়ে হলেও ষোড়শ শতকে এই সাহিত্যের বিকাশ হয়। - বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
|
|
| |
|
|
|
● গীতিকা হলো আখ্যানধর্মী লোকসাহিত্য। প্রাচীনকালে ইউরোপে নাচের সাথে যে কবিতা গীত হতো, তাকেই গীতিকা বলা হতো। বাংলাদেশে তিন ধরনের গীতিকা বিদ্যমান। যথা: - নাথ গীতিকা, - মৈমনসিংহ গীতিকা ও - পূর্ববঙ্গ গীতিকা। নেত্রকোনা জেলার আইথর/রাঘবপুর গ্রামের অধিবাসী চন্দ্রকুমার দের সহযোগিতায় ড. দীনেশচন্দ্র সেন নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে গীতিকাগুলো সংগ্রহ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানুকূল্যে ১৯২৬ সালে 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' নামে তিন খণ্ডে প্রকাশ করেন। 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা'য় অন্তর্ভুক্ত ধোপার হাট, মইষাল বন্ধু, কমলা রাণীর গান, দেওয়ান ঈশা খাঁ, ভেলুয়া, আয়না বিবি ও গোপিনী কীর্তন প্রভৃতি পালাগান চন্দ্রকুমার দে সংগ্রহ করেন।
|
|
| |
|
|
|
- মঙ্গলকাব্যের সর্বশেষ কবি ও অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর । - তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন । - তাঁর কবিত্ব শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাকে 'রায়গুণাকর ' উপাধি দেন । - কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি 'অন্নদামঙ্গল কাব্য ' রচনা করেন। - এ কাব্যের দ্বিতীয় অংশ 'বিদ্যাসুন্দর ' । সত্য পীরের পাঁচালী তাঁর রচিত অন্যতম গ্রন্থ ।
|
|
| |
|
|
|
মধ্যযুগের সাহিত্য দুই ভাগে বিভক্ত।
১. মৌলিক রচনা- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব পদাবলি, মঙ্গলকাব্য, জীবনীসাহিত্য (চৈতন্য), মর্সিয়া সাহিত্য, নাথ সাহিত্য,লোকসাহিত্য।
২. অনুবাদ সাহিত্য- সংস্কৃত হতে রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবত এবং অন্যান্য ভাষা হতে রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানী
|
|
| |
|
|
|
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণীর ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতে হয় অমঙ্গল;যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলকাব্য।
- মঙ্গলকাব্যের মধ্যে প্রাচীনতম শাখা মনসামঙ্গল। সর্প দেবী মনসা/পদ্মাবতীর কাহিনী অবলম্বনে রচিত। - দ্বিজ বংশীদাস মনসামঙ্গল কাব্য ধারার কবি। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর পিতা। - ক্ষেমানন্দ ছিলেন মনসামঙ্গলের জনপ্রিয় কবি। - মঙ্গলকাব্য প্রধানত ২ প্রকার। যথাঃ পৌরাণিক মঙ্গল ও লৌকিক মঙ্গল। - মঙ্গলকাব্যের অংশ ৫টি যথাঃ বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড, শ্রুতিফল। কোন কোন মতে মঙ্গল কাব্যের বিষয়বস্তু ৪টি অংশে বিভক্ত। যথা- বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড এবং নরখণ্ড ও আখ্যায়িকা। - মঙ্গলকাব্যের প্রভাব বেশি মনসা ও চণ্ডী দেবতার, তবে এর মূলধারা মনসা, চণ্ডী, অন্নদামঙ্গল। - এর অপ্রধান শাখা আছে- ২টি যথাঃ ধর্মমঙ্গল, শিবমঙ্গল/ কালিকামঙ্গল।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি, মঙ্গলকাব্যের সর্বশেষ কবি, মধ্যযুগের সর্বশেষ কবি এবং অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ১৭১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ৩টি খণ্ডে বিভক্ত 'অন্নদামঙ্গল কাব্য' (১৭৫২-৫৩) রচনা করেন। - এ কাব্যের দ্বিতীয় অংশ 'বিদ্যাসুন্দর'। - তাঁর রচিত কাব্যে সংস্কৃত, আরবি, ফারসি ও হিন্দুস্থানি ভাষার আশ্চর্য সংমিশ্রণ লক্ষ করা যায়; যা আধুনিক যুগের সাহিত্যের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে পরিগণিত হয়। - ১৭৬০ সালে তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে।
|
|
| |
|
|
|
- জঙ্গনামা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ঐতিহ্যভিত্তিক যুদ্ধবিষয়ক কাব্য। ফারসি ‘জঙ্গ’ শব্দের অর্থ যুদ্ধ, আর ‘জঙ্গনামা’ শব্দের অর্থ তদ্বিষয়ক গ্রন্থ বা রচনা। বিশেষত হযরত মুহম্মাদ (স.) ও তাঁর স্বজনদের যুদ্ধই এ শ্রেণীর কাব্যের মূল বিষয়। যেসব যুদ্ধের ঘটনা ও পরিণাম অত্যন্ত করুণ ও মর্মান্তিক, সাধারণত সেসব যুদ্ধের কথাই মানুষকে বেশি আলোড়িত করে। তাই আরবি-ফারসি সাহিত্যে যেমন, বাংলা সাহিত্যেও তেমনি ‘জঙ্গনামা’ বলতে বিশেষভাবে কারবালার যুদ্ধ ও তার বিষাদময় ঘটনাবলি সংক্রান্ত রচনাকেই বোঝায়।
- কারবালা-কেন্দ্রিক কাব্যের অপর নাম মর্সিয়া সাহিত্য। আরবি ‘মর্সিয়া’ শব্দের অর্থ শোক। শোকবিষয়ক রচনাকে মর্সিয়া সাহিত্য বা শোককাব্য বলা হয়। জঙ্গনামা ও মর্সিয়া সাহিত্য প্রথমত আরবে, পরে পারস্যে বিকাশ লাভ করে এবং মধ্যযুগে মুসলিম শাসনামলে এ সাহিত্যধারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
|
|
| |
|
|
|
- মধ্যযুগের সাহিত্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শাখা হলো মঙ্গলকাব্য। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে ধর্মনির্ভর বিশেষ এক শ্রেনির আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। - মঙ্গলকাব্য দুই প্রকার- পৌরানিক ও লৌকিক। - এর প্রধান শাখা তিনটি। যথা- মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল। - সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যের সাধারনত ৫ টি অংশ থাকে। যথাঃ বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখন্ড, মর্ত্যখন্ড, শ্রুতিফল - মঙ্গলকাব্যের মূল উপজীব্য হলো দেবদেবীর গুণগান। - মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন মনসা, চন্ডী ও ধর্মঠাকুর। এদের মধ্যে মনসা ও চন্ডী এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি। এই তিনজনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলকাব্যের প্রধান তিনটি ধারা গড়ে উঠেছে মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল।
|
|
| |
|
|
|
- আলাউদ্দিন হােসেন শাহের পৃষ্ঠপােষকতায় বরিশালের কবি বিজয়গুপ্ত 'পদ্মপুরাণ' রচনা করেন। - তার সেনাপতি পরাগল খানের পষ্ঠপােষকতায় কবীন্দ্র পরমেশ্বর বাংলায় সর্বপ্রথম 'মহাভারত' অনুবাদ করেন ও পরাগল খানের পুত্র ছুটি খানের উৎসাহে শ্রীকর নন্দী মহাভারতের ‘অশ্বমেধ পর্ব' বাংলায় অনুবাদ করেন।
|
|
| |
|
|
|
- কারবালা ও ইসলামি বিয়ােগান্তক কাহিনি নিয়ে মূলত মুসলমানদের রচিত সাহিত্যই মর্সিয়া সাহিত্য। - মর্সিয়া সাহিত্যের আদিকবি হলেন শেখ ফয়জুল্লাহ। - তার গ্রন্থের নাম জয়নাবের চৌতিশা (১৫৭০)। - মর্সিয়া সাহিত্যে একজন হিন্দু কবি হলেন রাধারমণ গোপ ৷ - তাঁর গ্রন্থ: ইমামগণের কেচ্ছা, আফৎনামা। - 'মুক্তল হোসেন' হলো মুহম্মদ খান রচিত পারসি থেকে অনূদিত বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
- ফিরিঙ্গি, এন্টনি (?-১৮৩৬) কবিয়াল। প্রকৃত নাম হেনসম্যান এন্টনি (Hensman Anthony)। - তিনি জাতিতে ছিলেন পর্তুগিজ এবং ধর্মে খ্রিস্টান। পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের ফরাসডাঙায় তিনি বসবাস করতেন। - পূর্বে এদেশে মগরা নিন্দার্থে ‘হার্মাদ’ ও পর্তুগিজরা ‘ফিরিঙ্গি’ নামে পরিচিত ছিল। - এন্টনির আমলে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কবিয়ালদের বেশ প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। হরু ঠাকুর, ভোলা ময়রা, দাশরথি রায়, রাম বসু প্রমুখ বিখ্যাত কবিয়াল তাঁর সমসাময়িক ছিলেন। এন্টনি কবিগানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গান গাইতে শুরু করেন। প্রথমে জনৈক গোরক্ষনাথ তাঁর গান বেঁধে দিতেন। পরে তিনি নিজেই গান রচনা করে গাইতেন। - এন্টনি একাধিক কবির লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন। তাতে ভোলা ময়রা, রাম বসু, ঠাকুর সিংহ প্রমুখ ছিলেন তাঁর প্রতিপক্ষ
|
|
| |
|
|
|
- বড়ু চণ্ডীদাস মধ্য যুগের চতুর্দশ শতকের বাঙালি কবি। - তিনি চৈতন্য-পূর্ব বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলী রচয়িতা হিসাবে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। - প্রথম চণ্ডীদাস হিসাবে পদাবলীর চণ্ডীদাসকে ধারণা করা হয় যিনি আনুমানিক ১৩৭০ সালে বীরভূম (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। - ড. মিহির চৌধুরী কামিল্যা ভাষাতাত্ত্বিক তথ্য উপাত্তের সাহায্যে প্রমাণ করেছেন, ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সদর মহকুমাস্থ ছাতনার অধিবাসী ছিলেন- - তিনি ছিলেন বাসলী দেবীর উপাসক। এই বাসলী দেবী প্রকৃতপক্ষে শক্তিদেবী চণ্ডী অথবা মনসার অপর নাম। - বাসলী (বাশুলী) দেবীর চরণে চণ্ডীদাস মূলত রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা বিষয়ক পদ বা গান গেয়েছেন।
|
|
| |
|
|
|
- সংস্কৃত ভাষার প্রাচীন মহাকাব্য রামায়ণ এর রচয়িতা বাল্মীকি। বাল্মীকি আগে রত্নাকর নামে দস্যুবৃত্তি করতেন।
- এটি ২৪ হাজার শ্লোকে রচিত এবং ৭ টি খন্ডে বিভক্ত ।
- শ্লোকগুলো ৩২ অক্ষরযুক্ত '"অনুষ্টুপ" ছন্দে রচিত ।
- এ কাব্যের উপজীব্য হল বিষ্ণুর অবতার রামের জীবনকাহিনী ।
- রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা ।
- রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী ।
- রামায়ণের অন্যনাম 'শ্রীরাম পাঞ্চালী'
|
|
| |
|
|
|
- ধর্ম ঠাকুরের নাম যে মঙ্গল কাব্য সৃষ্ট হয়েছে তার নাম ধর্মমঙ্গল। - 'ধর্মমঙ্গল' ধারার প্রথম কবি ময়ূরভট্ট। - ময়ূরভট্ট রচিত গ্রন্থটি 'হাকন্দপুরাণ'। - ‘ধর্মমঙ্গল’ ধারার কবি– ময়ূর ভট্ট, আদিরূপরাম, খেলারাম চক্রবর্তী, শ্যাম পণ্ডিত, ঘনরাম চক্রবর্তী, নরসিংহ বসু। - ‘ধর্মমঙ্গল’ হল মঙ্গলকাব্যার একটি শাখা।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণীর ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতে হয় অমঙ্গল;যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলকাব্য।
- মঙ্গলকাব্যের মধ্যে প্রাচীনতম শাখা মনসামঙ্গল। সর্প দেবী মনসা/পদ্মাবতীর কাহিনী অবলম্বনে রচিত। - দ্বিজ বংশীদাস মনসামঙ্গল কাব্য ধারার কবি। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর পিতা। - ক্ষেমানন্দ ছিলেন মনসামঙ্গলের জনপ্রিয় কবি। - মঙ্গলকাব্য প্রধানত ২ প্রকার। যথাঃ পৌরাণিক মঙ্গল ও লৌকিক মঙ্গল। - মঙ্গলকাব্যের অংশ ৫টি যথাঃ বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড, শ্রুতিফল। কোন কোন মতে মঙ্গল কাব্যের বিষয়বস্তু ৪টি অংশে বিভক্ত। যথা- বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড এবং নরখণ্ড ও আখ্যায়িকা। - মঙ্গলকাব্যের প্রভাব বেশি মনসা ও চণ্ডী দেবতার, তবে এর মূলধারা মনসা, চণ্ডী, অন্নদামঙ্গল। - এর অপ্রধান শাখা আছে- ২টি যথাঃ ধর্মমঙ্গল, শিবমঙ্গল/ কালিকামঙ্গল।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- গীতগোবিন্দম একটি নাট্য কাব্য। এটি বৈষ্ণব ধারার প্রথম সাহিত্য। - এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত এবং রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি জয়দেব এর রচয়িতা। - গীত গোবিন্দ দ্বাদশ শতকের প্রমিত সংস্কৃত ভাষার শেষ কাব্য। - রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা এই কাব্যের মুখ্য বিষয়। - ২৮৬ টি শ্লোক এবং ১২ টি গীতের সমন্বয়ে ১২ সর্গে এটি রচিত।
|
|
| |
|