বাংলাদেশের সাহিত্য ও সাহিত্যিক (1108 টি প্রশ্ন )
সিকান্দার আবু জাফরের 'সিরাজউদ্দৌলা' একটি ঐতিহাসিক নাটক যা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন ও পলাশীর যুদ্ধের করুণ পরিণতিকে কেন্দ্র করে রচিত। এটি ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা নাট্যসাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে বিবেচিত।

তাঁর রচিত উপন্যাস:
- পূরবী,
- মাটি আর অশ্রু,
- নবী কাহিনী, 
- জয়ের পথে,
- নতুন সকাল। 

তাঁর রচিত কবিতা:
- প্রসন্ন প্রহর,
- বৈরীবৃষ্টিতে,
- তিমিরান্তক,
- বৃশ্চিকলগ্ন,
- কবিতা।
• আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬)।
• তিনি একজন নাগরিক কবি ছিলেন।
• পেশায় তিনি সাংবাদিক ছিলেন।
• মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে লিখতেন।

তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থঃ
- প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে,
- আমি অনাহারী,
- রৌদ্র করোটিতে,
- বিধ্বস্ত নীলিমা,
- বন্দী শিবির থেকে,
- নিরালোকে দিব্যরথ,
- নিজ বাসভূমে,
- দুঃসময়ের মুখোমুখি,
- ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা,
- আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি,
- এক ধরনের অহংকার,
- শূন্যতার শোকসভা,
- বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে,
- প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে,
- ইকারুসের আকাশ,
- উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ,
- এক ফোঁটা কেমন অনল,
- বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয়,
- হরিণের হাড়,
- স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেঁচে আছি,
- কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার দিকে।

তাঁর রচিত উপন্যাস-
- অক্টোপাস,
- অদ্ভূত আঁধার এক,
- নিয়ত মন্তাজ,
- এলো সে অবেলায়।
সেলিনা হোসেনের রচিত অন্যান্য উপন্যাসঃ
‘জলোচ্ছ্বাস' (১৯৭২): দক্ষিণ বাংলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আগুনমুখা, কাজল নদীর কূলে প্রতিকূল প্রকৃতি ও সামাজিক ত অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল মানুষের জীবনধারা এক উপন্যাসের আলেখ্য।

‘হাঙর নদী গ্রেনেড' (১৯৭৬): এটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। ১৯৭২ সালে এ ঘটনা নিয়ে তিনি গল্প লেখেন। পরবর্তীতে এটি উপন্যাসে রূপান্তরিত করেন।

'যাপিত জীবন' (১৯৮১): এ উপন্যাসে ১৯৪৭-৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের যাবতীয় ঘটনা কেন্দ্রীয় চরিত্র জাফর এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাস

‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি (১৯৮৬): বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে নাফ নদীর তীরবর্তী শাহপরী দ্বীপ নামক এক ছোট দ্বীপের ধীবর শ্রেণির মানুষের জীবন সংগ্রাম এর বাস্তব রূপায়ণ। চরিত্র: মালেক, সাফিয়া ।

‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ (১৯৮৭): চল্লিশের দশকের পটভূমিতে রচিত।

‘কাঁটাতারে প্রজাপতি' (১৯৮৯): নাচোলের তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত।

‘কাকতাড়ুয়া’ (১৯৯৬): এটি শিশুতোষ উপন্যাস। এটি বুধা নামে এক এতিম সাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধার কাহিনী ।

‘যুদ্ধ' (১৯৯৮): ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। এ উপন্যাসে ১১ নম্বর সেক্টরের নারী মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক তারামন বিবির প্রসঙ্গ এসেছে।

‘কাঠকয়লার ছবি’ (২০০১): এটি চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনযাত্রা নিয়ে রচিত।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর উপন্যাসে 'কাকাবাবু' নামে একটি অনন্য চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। 
- এই চরিত্র অবলম্বনে অনেকগুলো উপন্যাস রচিত হয়েছে। 
- বাংলা সাহিত্যে 'কাকাবাবু' একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। 
- শিশু কিশোরদের কাছে 'কাকাবাবু' সিরিজের উপন্যাসগুলো বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। 
- এই সিরিজের কোন কোন উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। 
- 'কাকাবাবু' সিরিজের উপনাস: 'সবুজ দ্বীপের রাজা', 'কাকাবাবু ও সিন্দুক রহস্য', 'কাকাবাবু ও বজ্রগামা', 'সন্তু কোথায় কাকাবাবু কোথায়', 'বিজয় নগরেরহীরে', 'জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল'  ইত্যাদি। 
- 'আগুনপাখি' হাসান আজিজুল হকের পৈতৃক নিবাস বর্ধমানকে কেন্দ্র করে রচিত একটি উপন্যাস।
- এতে ওই এলাকার মানুষের সংগ্রামী জীবন, বিভেদকামী রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতার চিত্র ফুটে উঠেছে।
- এই উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক জীবনের নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচকতার সন্ধান করেছেন।
- উপন্যাসটিতে কোনো চরিত্রের প্রথাগত নাম ব্যবহার করা হয়নি, তবে চরিত্রগুলো দ্বন্দ্বসংকুল এবং সহজেই বোঝা যায়।
- উপন্যাসের মূল চরিত্র 'মেঝ বউ' সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সুসংবদ্ধতার প্রতীক।
- হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি মূলত কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত।
- তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
- হাসান আজিজুল হক ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
- তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'আত্মজা ও একটি করবী গাছ', 'জীবন ঘষে আগুন' ইত্যাদি।
- তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'আগুনপাখি', 'সাবিত্রী উপাখ্যান', 'শামুক' ইত্যাদি।

- সৈয়দ আলী আহসানের 'আমার পূর্ব বাংলা' গ্রন্থটি ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করে।
- এটি একটি কাব্যগ্রন্থ, যেখানে পূর্ব বাংলার প্রকৃতি, সৌন্দর্য ও মানুষের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে।
- গ্রন্থটি ১৯৫৪ সালে ইউনেস্কো পুরস্কারে ভূষিত হয়, যা ছিল সেসময়ের একটি বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
- সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন একাধারে একজন বরেণ্য কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং শিক্ষাবিদ।
- 'একক সন্ধ্যায় বসন্ত' এবং 'অনেক আকাশ' তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম।
- তিনি বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক হিসেবেও সম্মানিত হয়েছিলেন।

• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- অনেক আকাশ,
- একক সন্ধ্যায় বসন্ত,
- সহসা সচকিত,
- আমার প্রতিদিনের শব্দ,
- চাহার দরবেশ ও অন্যান্য কবিতা,
- সমুদ্রেই যাব,
- রজনীগন্ধা ইত্যাদি।

• অনুবাদগ্রন্থ:
- হুইটম্যানের কবিতা,
- ইডিপাস।

• প্রবন্ধ:
- সতত স্বাগত।

• আত্মজীবনী:
- আমার সাক্ষ্য।


- বিখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পথের পাঁচালী' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো অপু ও দুর্গা।
- তাদের গ্রামের নাম ছিল নিশ্চিন্দিপুর।
- এই উপন্যাসে নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গ্রামীণ জীবনের চিত্র নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে।
- 'পথের পাঁচালী' বাংলা সাহিত্যের একটি কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে পরিচিত।


- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত 'কবি' উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের নাম হলো নিতাই বা নিতাইচরণ।
- নিতাই একজন কবিয়াল, যে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে কবিতা ও গান রচনা করে এবং গেয়ে শোনায়।
- এই উপন্যাসে নিতাইয়ের জীবনের উত্থান-পতন, তার প্রেম এবং শিল্পীসত্তার দ্বন্দ্ব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
- বসন বা ঠাকুরঝি উপন্যাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র, যার প্রতি নিতাই গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিল।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস:
- চৈতালি ঘূর্ণি,
- ধাত্রীদেবতা,
- কালিন্দী,
- জলসাঘর,
- কবি,
- হাঁসুলি বাঁকের উপকথা,
- গণদেবতা,
- আরগ্য।


- শহীদুল্লা কায়সারের 'সারেং বৌ' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় এবং প্রধান চরিত্র হলো 'নবিতুন'।
- উপন্যাসের নামকরণ 'সারেং বৌ' মূলত নবিতুনকেই নির্দেশ করে, যিনি একজন সারেং-এর স্ত্রী।
- কদম সারেং উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র এবং নবিতুনের স্বামী।
- কিন্তু উপন্যাসের মূল কাহিনী নবিতুনের জীবন সংগ্রাম, ত্যাগ এবং অপেক্ষাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।

শহীদুল্লা কায়সার রচিত উপন্যাস:
- সারেং বৌ,
- সংশপ্তক,
- কৃষ্ণচূড়া মেঘ,
- তিমির বলয়,
- দিগন্তে ফুলের আগুন,
- সমুদ্র ও তৃষ্ণা,
- চন্দ্রভানের কন্যা,
- কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯২৬ সালের ১৫ই আগস্ট। 
-তাঁর পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার অন্তর্গত ঊনশিয়া গ্রামে।

তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ:
- ছাড়পত্র (১৯৪৮),
- পূর্বাভাস (১৯৫০),
- মিঠেকড়া (১৯৫১),
- অভিযান (১৯৫৩),
- ঘুম নেই (১৯৫৪),
- হরতাল (১৯৬২),
- গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি।

- মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সিকান্দার আবু জাফরের 'সিরাজউদ্দৌলা' একটি ঐতিহাসিক নাটক যা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন ও পলাশীর যুদ্ধের করুণ পরিণতিকে কেন্দ্র করে রচিত। এটি ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা নাট্যসাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে বিবেচিত।

তাঁর রচিত উপন্যাস:
- পূরবী,
- মাটি আর অশ্রু,
- নবী কাহিনী, 
- জয়ের পথে,
- নতুন সকাল। 

তাঁর রচিত কবিতা:
- প্রসন্ন প্রহর,
- বৈরীবৃষ্টিতে,
- তিমিরান্তক,
- বৃশ্চিকলগ্ন,
- কবিতা।
- 'কাশবনের কন্যা' প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত একটি অনবদ্য উপন্যাস।
- এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য হলো বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও সংগ্রাম।
- লেখক এখানে নিম্ন-মেঘনা অববাহিকার চর অঞ্চলের মানুষের জীবনচিত্র নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন।
- উপন্যাসে উপকূলের মানুষের প্রেম, প্রকৃতি ও জীবনের সাথে তাদের নিরন্তর সংগ্রামের এক বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।

- কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর প্রকৃত নাম ‘আবুল কালাম শামসুদ্দীন’; ১৯৫৫ সাল থেকে তিনি বর্তমান নামে পরিচিত হন।
- ষাটের দশকে তিনি রোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি এবং রোমের এক্সপেরিমেন্টাল সেন্টার অব সিনেমাটোগ্রাফি থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ক ডিপ্লোমা লাভ করেন।
- শামসুদ্দীন ১৯৫৯ সালের পর কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করে শেষে ইতালির রোমে স্থায়িভাবে অবস্থান করেন।
- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
- শামসুদ্দীনের মুখ্য পরিচয় একজন কথাশিল্পী হিসেবে।
- সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ লাভ করেন।
- ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারি রোমে তাঁর মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় তিনি সমাহিত হন।

● শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত উপন্যাস-
- ‘আলমনগরের উপকথা' (১৯৫৪),
- ‘কাশবনের কন্যা (১৯৫৪),
- ‘জায়জঙ্গল' (১৯৭৩),
- ‘সমুদ্র বাসর' (১৯৮৬),
- ‘জীবনকাব্য’ (১৯৫৬),
- ‘কাঞ্চনমালা’ (১৯৬১),
- ‘নবান্ন’ (১৯৮৭),
- ‘কাঞ্চনগ্রাম’ (১৯৯৮)।
● সমরেশ বসু (১৯২৪-১৯৮৮) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি কালকূট ও ভ্রমর ছদ্মনামে উল্লেখযযোগ্য সাহিত্য রচনা করেছেন। কালকূট মানে তীব্র বিষ। এটি ছিল তার ছদ্মনাম। 'অমৃত কুম্ভের সন্ধানে', 'কোথায় পাব তারে' সহ অনেক উপন্যাস তিনি এ নামে লিখেছেন।

● ছদ্মনামে লেখা শাম্ব উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮০ সালের আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সমরেশ বসুর উল্লেখযোগ্য সাহিত্য- উত্তরঙ্গ, গঙ্গা, বিবর, প্রজাপতি, দেখি নাই ফিরে, সওদাগর, কোথায় পাবো তারে, নয়নপুরের মাটি, বাঘিনী, চলো মন রুপনগরে ইত্যাদি।
- হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট 'হিমু' চরিত্রটির আসল বা পুরো নাম হলো হিমালয়।
- উপন্যাসে তার বাবা এই নামটি রেখেছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে হিমালয়ের মতো বিশাল ও মহৎ একজন মানুষ হবে।
- 'হিমু' নামটি 'হিমালয়' নামেরই সংক্ষিপ্ত বা ডাকনাম।
- হিমু সিরিজের প্রথম উপন্যাস হলো 'ময়ূরাক্ষী', যা ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়।

এই চরিত্রটির কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
- হলুদ পাঞ্জাবি পরা
- খালি পায়ে হাঁটা
- নিজেকে 'মজনু' বলে পরিচয় দেওয়া
- অদ্ভুত ধরনের জীবনযাপন
- রহস্যময় স্বভাব
'সংশপ্তক' কাব্যগ্রন্থটি বাংলাদেশের দুটি মহান ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে রচিত:
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
'সংশপ্তক' শব্দটির অর্থ হল 'মৃত্যুপণে যুদ্ধকারী যোদ্ধা'। কবি এই কাব্যগ্রন্থে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীরদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনী তুলে ধরেছেন।

- কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর প্রকৃত নাম ‘আবুল কালাম শামসুদ্দীন’; ১৯৫৫ সাল থেকে তিনি বর্তমান নামে পরিচিত হন।
- ষাটের দশকে তিনি রোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি এবং রোমের এক্সপেরিমেন্টাল সেন্টার অব সিনেমাটোগ্রাফি থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ক ডিপ্লোমা লাভ করেন।
- শামসুদ্দীন ১৯৫৯ সালের পর কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করে শেষে ইতালির রোমে স্থায়িভাবে অবস্থান করেন।
- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
- শামসুদ্দীনের মুখ্য পরিচয় একজন কথাশিল্পী হিসেবে।
- সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ লাভ করেন।
- ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারি রোমে তাঁর মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় তিনি সমাহিত হন।
- রূপসী বাংলা, বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ।
- কবি জীবদ্দশায় এ গ্রন্থটি বা এর অন্তর্ভুক্ত কোন কবিতা প্রকাশ করেন নি। মৃত্যুর পর এর পূর্ণাঙ্গ পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।
- কবি এ গ্রন্থটির প্রচ্ছদনাম নির্বাচন করেছিলেন বাংলার ত্রস্ত নীলিমা।
- জীবনানন্দ কেন স্বীয় জীবদ্দশায় এ কাব্যগন্থটি প্রকাশ করেননি তা অদ্যাবধি এক পরম বিস্ময় হয়ে আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এর কবিতাগুলি বাঙালিদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।

- মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন।
- তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।

তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলি হচ্ছে-
- ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬),
- বনলতা সেন (১৯৪২),
- মহাপৃথিবী (১৯৪৪),
- সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮),
- রূপসী বাংলা (রচনাকাল ১৯৩৪, প্রকাশকাল ১৯৫৭),
- বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)।
- এছাড়াও বহু অগ্রন্থিত কবিতা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

- তাঁকে বাংলা ভাষার 'শুদ্ধতম কবি' বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
- এছাড়াও তিনি 'রূপসী বাংলার কবি', 'নির্জনতার কবি', 'তিমির হননের কবি', 'ধূসরতার কবি' প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
- ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)।
• তার প্রকৃত নাম- কাজেম আল কোরেশী। কায়কোবাদ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম।
• তিনি মুসলমান কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম সনেট এবং মহাকাব্য রচনা করেন।
• 'মহাশ্মশান' কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ রচনা। এটি একটি মহাকাব্য।
• এটি প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালে। (বাংলাপিডিয়ার মতে ১৯০৪ সাল, আর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখরের মতে ১৯০৫ সাল)
• এর উপজীব্য ১৭৬১ সালে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ।
• মহাশ্মশান কাব্যের মোট তিনটি খণ্ড রয়েছে এবং ৬০টি সর্গ আছে।

• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ হলোঃ
- অশ্রুমালা (গীতিকাব্য),
- কুসুমকানন,
- শিবমন্দির,
বিরহ বিলাপ,
- শ্মশানভষ্ম,
- অমিয়ধারা,
- মহররম শরীফ,
- প্রেম পারিজাত,
- মন্দাকিনী ধারা ইত্যাদি।

- বইটি লিখেছেন ক্লিন্টন বি. সিলি (Clinton B. Seely)।

- জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বাংলার প্রকৃতি, রূপ, রস ও গন্ধ অত্যন্ত নিখুঁত এবং গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি তাঁর কবিতার মাধ্যমে বাংলার নিসর্গকে এক অসাধারণ শৈল্পিক রূপ দিয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 
'রূপসী বাংলা' (যা তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়) এই পরিচয়ের সবচেয়ে বড় স্মারক। একারণেই তাঁকে বাংলা সাহিত্যের পাঠক ও সমালোচকরা 'রূপসী বাংলার কবি' উপাধিতে ভূষিত করেছেন।


- ড. আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।
- বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালের ১৯ জুন তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিযোগ দেন।
- ২০১৭ সালে তিনি ১৪২৩ বঙ্গাব্দের আনন্দ পুরস্কার পান তাঁর লেখা 'বিপুলা পৃথিবী' বইয়ের জন্য।
- ১৪ মে, ২০২০ সালে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ৮৩ বছর বয়সে মারা যান।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলোঃ
- মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য,
- মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র,
- বিপুলা পৃথিবী,
- কাল নিরবধ্‌
- আঠারো শতকের বাংলা ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- জনপ্রিয় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে ‘মিসির আলি’ হলেন একজন প্রচণ্ড যুক্তিনির্ভর, বিজ্ঞানমনস্ক এবং সত্যসন্ধানী চরিত্র।
- পেশায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের একজন (খণ্ডকালীন) শিক্ষক।
- তিনি যে কোনো রহস্যময় বা অলৌকিক ঘটনাকে আবেগ দিয়ে বিচার না করে যুক্তি (Logic) ও বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করতে পছন্দ করেন।


অন্যদিকে,
- হুমায়ূন আহমেদের অপর জনপ্রিয় চরিত্র ‘হিমু’ ঠিক তার উল্টো;
- হিমু ‘এন্টি-লজিক’ বা যুক্তিহীনতায় বিশ্বাসী। আর ‘শুভ্র’ চরিত্রটি শুদ্ধতম মানব এবং
- ‘বাকের ভাই’ হলো বিখ্যাত টিভি নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’-এর প্রধান চরিত্র।

- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'গণদেবতা' উপন্যাসের জন্য ১৯৬৬ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।
- জ্ঞানপীঠ পুরস্কার হলো ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান।
- তিনিই প্রথম বাঙালি সাহিত্যিক যিনি এই পুরস্কারে সম্মানিত হন।
- 'গণদেবতা' উপন্যাসটি ১৯৪২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
- এই উপন্যাসে গ্রাম বাংলার সামাজিক পরিবর্তনের এক অসাধারণ চিত্র ফুটে উঠেছে।
- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত  ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও পত্রিকা সম্পাদক। 
- ত্রৈমাসিক 'পরিচয়' পত্রিকা সম্পাদনা করে তিনি অমর হয়ে আছেন।
- সুধীন্দ্রনাথ ছিলেন ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারার বিরোধী খ্যাতিমান কবিদের অন্যতম।
- ফরাসি কবি মালার্মের প্রতীকী কাব্যাদর্শ তিনি অনুসরণ করেন।
- 'তন্বী' কাব্যগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন।
- তিনি বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপেরও প্রবর্তক।
- ১৯৬০ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।

• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- তন্বী,
- অর্কেষ্ট্রা,
- সংবর্ত,
- প্রতিদিন,
- ক্রন্দসী,
- উত্তরফাল্গুনী,
- দশমী।

• তাঁর দুটি প্রবন্ধগ্রন্থ:
- স্বগত,
- কুলায় ও কালপুরুষ।

• তাঁর রচিত অনুবাদ-কাব্যগ্রন্থ:
- প্রতিধ্বনি।
সুকুমার রায়:
- তিনি ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল কিশোরগঞ্জ জেলার মাসুয়া গ্রামে।
- তিনি মূলত শিশুসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
- তিনি অনুপম ভাষায় গল্প, নাটক, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে শিশুদের মন জয় করতেন।
- তাঁর পিতার নাম উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং তাঁর ছেলের নাম সত্যজিৎ রায়।

তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ:
- আবোল তাবোল
- হ-য-ব-র-ল
- পাগলা দাশু
- বহুরূপী
- খাই খাই ইত্যাদি।


বেগম রোকেয়ার উলে­খযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে:
- মতিচূর (প্রবন্ধ, ২ খন্ড: ১ম খন্ড ১৯০৪, ২য় খন্ড ১৯২২),
- Sultana’s Dream (নকশাধর্মী রচনা, ১৯০৮),
- পদ্মরাগ (উপন্যাস, ১৯২৪),
- অবরোধবাসিনী (নকশাধর্মী গদ্যগ্রন্থ, ১৯৩১) প্রভৃতি।

অন্যদিকেঃ
- শেষ প্রশ্ন, পল্লী সমাজ ও পরিণীতা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয় রচিত উপন্যাস।
- ‘ঝরাপালক’ (১৯২৭) জীবনান্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ।
- এই কাব্যগ্রন্থের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অনুসরণ যেমন আছে, তেমনই আছে এক নতুন ভাষারীতি ও বাকপ্রতিমা রচনার চেষ্টা ।

• জীবনানন্দের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ -
- ঝরাপালক, [প্রথম কাব্যগ্রন্থ]
- ধূসর পান্ডুলিপি,
- বনলতা সেন,
- সাতটি তারার তিমির,
- রূপসী বাংলা।
স্বর্ণকুমারী দেবী
- বাঙালি কবি, কথাসাহিত্যিক, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা - সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক। ঠাকুর বাড়ির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তিনি শিক্ষা লাভ করেন।
- স্বর্ণকুমারী দেবী ২৮ আগস্ট, ১৮৫৫ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন।
- তিনি 'ভারতী' (১৮৭৭) পত্রিকা সম্পাদনা (১৮৮৪-৯৪) করেন। এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিশোর পত্রিকা 'বালক' প্রতিষ্ঠা তাঁর অমর কীর্তি।
- অনাথ ও বিধবাদের সাহায্যার্থে ঠাকুর বাড়ির অন্যদের নিয়ে 'সখিসমিতি' (১৮৮৬) গঠন করেন। এ নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এ সমিতির অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি 'মায়ার খেলা' নাটকটি রচনা করেন।
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' (১৯২৭) লাভ করেন।
- তিনি ৩ জুলাই, ১৯৩২ সালে মারা যান।

স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্যকর্মসমূহ-
- উপন্যাস: 'দীপনির্বাণ' (১৮৭৬): এটি তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা জাতীয়তাবাদী চেতনায় লেখা।
'মেবার রাজ' (১৮৭৭), 'ছিন্ন মুকুল' (১৮৭৯), 'মালতী' (১৮৮০), 'হুগলির ইমাম বাড়ি' (১৮৮৮), 'বিদ্রোহ' (১৮৯০), 'স্নেহলতা' (১৮৯২), 'কাহাকে' (১৮৯৮), 'বিচিত্রা' (১৯২০), 'স্বপ্নবাণী' (১৯২১), 'মিলনরাত্রি' (১৯২৫)।

- নাটক: 'বসন্ত উৎসব' (১৮৭৯), 'বিবাহ উৎসব' (১৯০১), 'দেবকৌতুক' (১৯০৫), 'কনে বদল' (১৯০৬), 'পাকচক্র' (১৯০৬), 'রাজকন্যা' (১৯১১), 'নিবেদিতা' (১৯১৭), 'যুগান্ত' (১৯২২), 'দিব্যকমল' (১৯৩০)।

- কাব্য: 'গাথা' (১৮৯০), 'কবিতা ও গান' (১৮৯৫)।
বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ: 'পৃথিবী' (১৮৮২)।
- ড. মুহম্মদ এনামুল হক (২০ সেপ্টেম্বর ১৯০২ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক।
- তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৯২৯ হতে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে এনামুল হক অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করেন।
- তাঁর গবেষণার বিষয়বস্ত্ত ছিল ‘History of Sufism in Bengal’। ১৯৩৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
- ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২) একাডেমীর প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- তিনি ১৯৭৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত), ১৯৩৫;
- বঙ্গে সূফী প্রভাব (গবেষণামূলক), ১৯৩৫;
- বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বমূলক), ১৯৪৪;
- মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গবেষণামূলক), ১৯৫৭;
- ভ্রমণকািহিনী (বুলগেরিয়ার ভ্রমণ), ১৯৭৮
- গীতি সংকলন ( আবাহন), ১৯২০-২১
- কবিতা সংকলন (ঝর্ণাধারা), ১৯২৮
- A History of Sufism in Bengal, ১৯৭৬;
- Perso-Arabic Elemants in Bengali (with GM Hilali), ১৯৬৭;

এছাড়াও
এতদ্ব্যতীত তিনি Abdul Karim Shahityavisharad Commemoration Volume (১৯৭২) ও Dr. Md. Shahidullah Felicitation (১৯৬৬) গ্রন্থদ্বয় সম্পাদনা করেন।
মুহম্মদ আবদুল হাইঃ
- বাংলা ভাষার অন্যতম ধ্বনিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক আবদুল হাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বাংলা বিভাগের প্রথম মুসলিম ছাত্র।
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর শাসকশ্রেণীর বিরূপ মনোভাবের কারণে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সঙ্কটের মধ্যে পড়ে।
- আরবি হরফে বাংলা লেখন, আরবি-ফারসি-উর্দু শব্দের অধিক প্রয়োগ, বাংলা সাহিত্য থেকে 'হিন্দুয়ানী' বিষয় বর্জন, ১৯৬৭ সালে রেডিও, টেলিভিশনে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার বন্ধ, এমনকি কাজী নজরুল ইসলামের শ্যামা সঙ্গীত প্রচাররোধ ইত্যাদি বিতর্কিত কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
- আবদুল হাই পেশাগত দায়িত্ব ও নৈতিক অঙ্গীকার থেকে এসকল প্রতিরোধে করার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসেন।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তিনিই ছিলেন প্রথম মুসলিম ছাত্র।

- আবদুল হাই ২৬ নভেম্বর, ১৯১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর থানার মরিচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

- তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর বাংলা বিভাগ থেকে প্রকাশিত 'সাহিত্য পত্রিকা' (১৯৫৬) এর সম্পাদক ছিলেন।

- তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ধ্বনিবিজ্ঞান' (১৯৫২) নিয়ে গবেষণা করেন।

- তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল: A Study of Nasal and Nasalization in Bengali.

- তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬১) পান।

- তিনি ৩ জুন, ১৯৬৯ সালে মালিবাগে রেল ক্রসিং এ কাটা পরে মারা যান।
• কবি জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় ব্যক্তিমানুষের নিঃসঙ্গতা, আধুনিক জীবনের বিচিত্র মন্ত্রণা ও হাহাকার এবং সর্বোপরি জীবন ও জগতের রহস্য ও মাহাত্ন্য সন্ধানে এক অতুলনীয় কবি ভাষা সৃষ্টি করেছেন ।
• এজন্য তাকে বদ্ধদেব বসু আখ্যায়িত করেছেন 'নির্জনতম কবি' বলে
• তার কবিতায় তিনি সূক্ষ্ম ও গভীর অনুভবের এক জগৎ তৈরি করেন ।
• বিশেষ করে গ্রামবাংলার নিসর্গের যে ছবি তিনি একেছেন, সে নিসর্গের সঙ্গে অনুভব ও বোধের বহুতর মাত্রা যুক্ত হয়ে তার হাতে অনন্যসাধারণ কবিতা শিল্প রচিত হয়েছে ।
• এই অসাধারণ কাব্য বৈশিষ্ট্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'চিত্ররূপময়' বলে আখ্যায়িত করেছেন । 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
হেলাল হাফিজ
জন্ম: ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলার বড়তলী গ্রামে।
মৃত্যু: ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর।
শিক্ষাজীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলা বিভাগ)।
কর্মজীবন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন।
১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক।
১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন।
তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাব্যগ্রন্থ:
যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬)
কবিতা ৭১ (বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায়, একুশে বইমেলা ২০১২)
বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা (২০১৯)
যে জলে আগুন জ্বলে(১৯৮৬): এটি প্রথম প্রকাশিত কাব্য। এ গ্রন্থে মোট ৫৬টি কবিতা আছে। এ কাব্যের বিখ্যাত কবিতা 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়'।
কবিতাটি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে রচিত।
এ কবিতার বিখ্যাত পঙক্তি-
'এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।'
সম্মাননা:
২০১৩ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার' ও
২০২৫ সালে 'একুশে পদক' (মরণোত্তর) পান।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0