|
|
- মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন/ প্রথম কাব্য- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। - শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হল বড়ু চণ্ডীদাস রচিত একটি মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্য।
- এটি আদি মধ্যযুগীয় তথা প্রাক্-চৈতন্য যুগে বাংলা ভাষায় লেখা একমাত্র আখ্যানকাব্য।
- ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের একটি গোয়ালঘর থেকে এই কাব্যের খণ্ডিত পুথিটি আবিষ্কার করেন।
- ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁরই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল উপজীব্য রাধা ও কৃষ্ণের প্রণয়কাহিনি।
- কাব্যের প্রধান তিন চরিত্র রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ি।
- উল্লেখ্য, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন/শ্রেষ্ঠ ফসল- বৈষ্ণব পদাবলি। - বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন / আদি নিদর্শন / আদি গ্রন্থ / প্রাচীনতম পদ সংকলন / বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য / বাংলা সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ - চর্যাপদ।
|
|
| |
|
|
|
- ফারসি নীতিকাব্য 'নূরনামাহ' অবলম্বনে আবদুল হাকিম রচিত কাব্য 'নূরনামা'। এ কাব্যের কবিতা ‘বঙ্গবাণী'। - বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাবসমৃদ্ধ বক্তব্যের জন্য কবিতাটি ব্যাপক প্রশংশিত। এ কবিতার বিখ্যাত পক্তি- 'যেসব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। / সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
• আব্দুল হাকিম: - নোয়াখালী জেলার বাবুপুর (মতান্তরে সন্দ্বীপের সুধারাম) ছিল কবির আবাসভূমি। - কবি আবদুল হাকিম ১৬২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। - আব্দুল হাকিমের ৫টি কাব্য পাওয়া যায়।
• তাঁর রচিত কাব্যগুলো হলো: - নূরনামা, - দুররে মজলিশ, - ইউসুফ জোলেখা, - লালমোতি সয়ফুলমুলুক, - হানিফার লড়াই।
|
|
| |
|
|
|
- স্বর্ণকুমারী দেবী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক। - স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুরের পৌত্রী এবং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা। - ১৮৬৮ সালে জানকীনাথ ঘোষালের সঙ্গে স্বর্ণকুমারী দেবীর বিবাহ হয়। - ১৮৭৬ সালে স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম উপন্যাস দীপনির্বাণ প্রকাশিত হয়। - তাঁর রচিত নাটক - নিবেদিতা, দিব্যকমল, কনে বদল, যুগান্তর, রাজকণ্যা উল্লেখযোগ্য।
তাঁর রচিত উপন্যাসঃ - দীপনির্বাণ (১৮৭৬), - মিবাররাজ (১৮৮৭), - ছিন্নমুকুল (১৮৭৯), - মালতী (১৮৭৯), - হুগলীর ইমামবাড়ি (১৮৮৮), - বিদ্রোহ (১৮৯০), - স্নেহলতা বা পালিতা (১৮৯২,১৮৯৩), - কাহাকে (১৮৯৮), - ফুলের মালা (১৮৯৫) ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
নাগরিক কবি শামসুল রাহমান (১৯২৯-২০০৬) এর উপন্যাস হল - অক্টোপাস , নিয়ত , মন্তাজ , অদ্ভুত আঁধার এক ,এলো সে অবেলায় ।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল- প্রথম গান , দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে , রৌদ্র করোটিতে , বিধ্বস্ত নীলিমা , নিরালোকে দিব্যরথ , নিজ বাসভূমে , দুঃসময়ের মুখোমুখি ,প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে , ইকারুসের আকাশ , বন্দী শিবির থেকে । তার শিশুতোষ গ্রন্থ- এলাটিং বেলাটিং ,ধান ভানলে কুঁড়ো দেব ,রংধনু সাঁকো , লাল ফুলকির ছড়া প্রভৃতি ।
|
|
| |
|
|
|
- নাট্যকার সেলিম আল দীন দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্ব, ফিউশন তত্ত্ব’র প্রবক্তা এবং নিউ এথনিক থিয়েটারের উদ্ভাবনকারী ছিলেন। - সেলিম আল দীন (১৯৪৯-২০০৮) বাংলা ভাষার আধুনিককাল পর্বের অন্যতম নাট্যকার। - সেলিম আল দীনের প্রকৃত নাম মঈনউদ্দিন আহমদ, তাঁকে নাট্যাচার্য বলা হয়। - তিনি তাঁর নাটকে 'দ্বৈতাদ্বৈতবাদ' শিল্পতত্ত্ব অনুসরণ করতেন। - পাশ্চাত্য শিল্পের সব বিভাজনকে বাঙালির সহস্র বছরের নন্দনতত্ত্বের আলোকে অস্বীকার করে এক নবতত্ত্ব শিল্পরীতি প্রবর্তন করেন সেলিম আল দীন। যার নাম দেন 'দ্বৈতাদ্বৈত বাদী শিল্পতত্ত্ব'। - দ্বৈতাদ্বৈতবাদী রীতিতে লেখা তার নাটকগুলোতে নিচুতলার মানুষের সামাজিক নৃতাত্ত্বিক পটে তাদের বহুস্তরিক বাস্তবতা উঠে আসে। - ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। - দীর্ঘদিন বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করার পর ১৯৮৬ সালে তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যোগদান এবং উক্ত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। - শিক্ষকতার পাশাপাশি এ দেশের নাট্যশিল্পকে বিশ্বনাট্য ধারার সঙ্গে সমপংক্তিতে সমাসীন করার লক্ষ্যে ১৯৮১-৮২ সালে তিনি এবং নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফ সারাদেশব্যাপী গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার।
|
|
| |
|
|
|
- শহীদুল জহির বাংলা সাহিত্যে পরাবাস্তবতা ও জাদু বাস্তবতার প্রথম সফল আর্টিস্ট। - শহীদুল জহির (১৯৫৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নারিন্দার ৩৬ ভূতের গলিতে (ভজ হরি সাহা স্ট্রিট) জন্মগ্রহণ করেন। - তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ শহীদুল হক। - তিনি অমর কিছু সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন। - জয়েসের যেমন ছিল ডাবলিন, শহীদুল জহিরের ঠিক তেমনিই নারিন্দা ভুতের গলি। - তার অন্যতম উপন্যাসগুলো হলো (জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা-১৯৮৮), (সে রাতে পূর্ণিমা ছিল-১৯৯৫), (মুখের দিকে দেখি-২০০৬) ইত্যাদি। - তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো হল (ভালোবাসা -১৯৭৪), (পারাপার- ১৯৮৫), (আগারগাঁও কলোনিতে কেন নয়নতারা নেই- ১৯৯১), (ডোলু নদীর বাতাস- ২০০৩) ইত্যাদি। - তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। - তিনি ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও বারমিংহাম ইউনিভার্সিটিতেও পড়ালেখা করেন। - তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে সহকারী সচিব পদে যোগ দেন। - ২০০৮ এ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে কাজ করে গেছেন। - তিনি ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হসপিটালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ আগস্ট, ১৮৯৮ সালে বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। - ১৯৫২ সালে তিনি বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং আট বছর বিধানসভা ও ছয় বছর রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। - তিনি 'পদ্মশ্রী' ও 'পদ্মভূষণ' উপাধি লাভ করেন। - তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সালে কলকাতায় মারা যান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার শোকবার্তা প্রেরণ করে।
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসসমূহঃ চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩১), ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯), কালিন্দী (১৯৪০), কবি (১৯৪২), গণদেবতা (১৯৪২), আরোগ্য নিকেতন (১৯৫৩), যতিভঙ্গ (১৯৬২), অরণ্যবহ্নি (১৯৬৬), জলসাঘর (১৯৪২), পঞ্চগ্রাম (১৯৪৩), অভিযান (১৯৪৬), হাঁসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৪৭), পঞ্চপুণ্ডলী (১৯৫৬), রাধা (১৯৫৭), সুতপার তপস্যা।
- তার ত্রয়ী উপন্যাসঃ ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯), গণদেবতা (১৯৪২), পঞ্চগ্রাম (১৯৪৩)।
- ছোটগল্পসমূহঃ 'রসকলি' (১৯২৮): এটি তাঁর রচিত প্রথম ছোটগল্প যা ১৯২৮ সালে 'কল্লোল' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 'জলসাঘর' (১৯৩৭): এটি ১১টি গল্পের সংকলন। 'বেদেনী' (১৯৪০), 'পাষাণপুরী', 'তারিণী মাঝি', 'নীলকণ্ঠ', 'ছলনাময়ী', 'ডাক হরকরা', 'বেদে', 'পটুয়া', 'মালাকার', 'লাঠিয়াল', 'চৌকিদার', 'অগ্রদানী'।
- তার অন্যান্য সাহিত্যকর্মসমূহ- - নাটক: 'পথের ডাক' (১৯৪৩), 'দুই পুরুষ' (১৯৪৩), 'দীপান্তর' (১৯৪৫)। - প্রহসন: চকমকি (১৯৪৫)। - কাব্যগ্রন্থ: 'ত্রিপত্র' (১৯২৬), এর মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য সাধনার হাতেখড়ি। - ভ্রমণকাহিনী: 'মস্কোতে কয়েক দিন' (১৯৫৯)।
|
|
| |
|
|
|
জহির রায়হান একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর আসল নাম ছিল মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। একুশের গল্প জহির রায়হান রচিত ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক একটি গল্প। বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র 'সঙ্গম' তিনি নির্মাণ করেন। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসঃ - শেষ বিকেলের মেয়ে (প্রথম উপন্যাস), - বরফ গলা নদী, - একুশে ফেব্রুয়ারি, - আর কতদিন, - কয়েকটি মৃত, - তৃষ্ণা।
• তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্রঃ - জীবন থেকে নেওয়া (বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র), - কখনো আসেনি (প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র), - কাঁচের দেয়াল, - সোনার কাজল, - আনোয়ারা, - বাহানা - বেহুলা ইত্যাদি।
• সূর্যগ্রহণ তাঁর রচিত প্রথম গল্পগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
মোহাম্মদ আকরম খাঁ - মোহাম্মদ আকরম খাঁ ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। অনগ্রসর মুসলমান সমাজের নবজাগরণের উদ্যোগ তাঁর প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। - রবীন্দ্র বিতর্কে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। - মোহাম্মদ আকরম খাঁ ৭ জুন, ১৮৬৮ সালে হাকিমপুর, চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। - কলকাতা থেকে মাসিক 'মোহাম্মদী' (১৯০৩) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ পত্রিকাটি ১৯০৮ সালে সাপ্তাহিকে পরিণত হয় এবং ১৯২১ সালে দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। - ১৯২৭ সালের ৬ নভেম্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা 'মোহাম্মদী' প্রকাশ করেন। - ১৯১৩ সালে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান 'আঞ্জুমানে ওলামা' গঠন করেন। এর মুখপত্র ছিল মাসিক 'আল এসলাম' (১৯১৫) পত্রিকা। - তিনি 'দৈনিক জামানা' (১৯২০) ও 'দৈনিক সেবক' (১৯২১) পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। - 'দৈনিক সেবক' পত্রিকায় 'অগ্রসর' শিরোনামে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সম্পাদকীয় লেখার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড (১৯২১) ভোগ করেন এবং এ পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। - 'আজাদ' ৩১ অক্টোবর, ১৯৩৬ পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা তাঁর সাংবাদিক জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। - ১৯৪০ সালে স্বাস্থ্যহানির জন্য এ পত্রিকার দায়িত্বভার অর্পণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীনের ওপর। - ১৯৪৮ সালে এ পত্রিকা কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। - তিনি ১৮ আগস্ট, ১৯৬৮ সালে ঢাকার বংশালে আহলে হাদীস মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মারা যান। ঐ মসজিদের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
স্বর্ণকুমারী দেবী - বাঙালি কবি, কথাসাহিত্যিক, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা - সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক। ঠাকুর বাড়ির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। - স্বর্ণকুমারী দেবী ২৮ আগস্ট, ১৮৫৫ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন। - তিনি 'ভারতী' (১৮৭৭) পত্রিকা সম্পাদনা (১৮৮৪-৯৪) করেন। এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিশোর পত্রিকা 'বালক' প্রতিষ্ঠা তাঁর অমর কীর্তি। - অনাথ ও বিধবাদের সাহায্যার্থে ঠাকুর বাড়ির অন্যদের নিয়ে 'সখিসমিতি' (১৮৮৬) গঠন করেন। এ নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এ সমিতির অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি 'মায়ার খেলা' নাটকটি রচনা করেন। - কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' (১৯২৭) লাভ করেন। - তিনি ৩ জুলাই, ১৯৩২ সালে মারা যান।
স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্যকর্মসমূহ- - উপন্যাস: 'দীপনির্বাণ' (১৮৭৬): এটি তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা জাতীয়তাবাদী চেতনায় লেখা। 'মেবার রাজ' (১৮৭৭), 'ছিন্ন মুকুল' (১৮৭৯), 'মালতী' (১৮৮০), 'হুগলির ইমাম বাড়ি' (১৮৮৮), 'বিদ্রোহ' (১৮৯০), 'স্নেহলতা' (১৮৯২), 'কাহাকে' (১৮৯৮), 'বিচিত্রা' (১৯২০), 'স্বপ্নবাণী' (১৯২১), 'মিলনরাত্রি' (১৯২৫)।
- নাটক: 'বসন্ত উৎসব' (১৮৭৯), 'বিবাহ উৎসব' (১৯০১), 'দেবকৌতুক' (১৯০৫), 'কনে বদল' (১৯০৬), 'পাকচক্র' (১৯০৬), 'রাজকন্যা' (১৯১১), 'নিবেদিতা' (১৯১৭), 'যুগান্ত' (১৯২২), 'দিব্যকমল' (১৯৩০)।
- কাব্য: 'গাথা' (১৮৯০), 'কবিতা ও গান' (১৮৯৫)। বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ: 'পৃথিবী' (১৮৮২)।
|
|
| |
|
|
|
ড. মুহম্মদ এনামুল হক (২০ সেপ্টেম্বর ১৯০২ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ হতে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে এনামুল হক অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘History of Sufism in Bengal’। ১৯৩৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২) একাডেমীর প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: - আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত), ১৯৩৫; - বঙ্গে সূফী প্রভাব (গবেষণামূলক), ১৯৩৫; - বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বমূলক), ১৯৪৪; - মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গবেষণামূলক), ১৯৫৭; - ভ্রমণকািহিনী (বুলগেরিয়ার ভ্রমণ), ১৯৭৮ - গীতি সংকলন ( আবাহন), ১৯২০-২১ - কবিতা সংকলন (ঝর্ণাধারা), ১৯২৮ - A History of Sufism in Bengal, ১৯৭৬; - Perso-Arabic Elemants in Bengali (with GM Hilali), ১৯৬৭;
এছাড়াও এতদ্ব্যতীত তিনি Abdul Karim Shahityavisharad Commemoration Volume (১৯৭২) ও Dr. Md. Shahidullah Felicitation (১৯৬৬) গ্রন্থদ্বয় সম্পাদনা করেন।
|
|
| |
|
|
|
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ (১৯৩৪ – ২০০১)
- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পঞ্চাশ দশকের অন্যতম কবি হিসেবে খ্যাত। তাঁর কবিতায় আবহমান বাংলার ছবি পাওয়া যায়। - তাঁর কবিতার সূচনা ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং বিকাশ ঘটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের সামগ্রিক জনজীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্ন- বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে। - আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর-ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এরশাদ সরকারের কৃষি মন্ত্রী ছিলেন। - রাশেদ খান মেনন তাঁর ভাই এবং সেলিমা রহমান একমাত্র বোন। - 'পদাবলি' নামে কবিদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। - তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৯), একুশে পদক (১৯৮৫) পান। - তিনি ১৯ মার্চ, ২০০১ সালে মারা যান।
|
|
| |
|
|
|
- শহীদুল্লা কায়সার ছিলেন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী। তার প্রকৃত নাম ছিল আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লা। - ১৯৪৯ সালে ঢাকার সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকায় শহীদুল্লার সাংবাদিক জীবন শুরু হয়। - ১৯৫৮ সালে তিনি সংবাদ পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। - তিনি ১৯৬৯ সালে উপন্যাসে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে সাংবাদিকতায় মরণোত্তর একুশে পদক এবং সাহিত্যে ১৯৯৮ সালে গল্পে অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাসঃ - সংশপ্তক (১৯৬৫), - সারেং বউ (১৯৬২)।
স্মৃতিকথাঃ - রাজবন্দীর রোজনামচা (১৯৬২)।
ভ্রমণবৃত্তান্তঃ - পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ (১৯৬৬)।
|
|
| |
|
|
|
- আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো-এর রচয়িতা। - তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয়বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। - তিনি তাঁর কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে একুশে পদক ও ২০০৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। - তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। - ১৯৪৭ সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গামোহন সেন সম্পাদিত 'কংগ্রেস হিতৈষী' পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। - ১৯৪৯ সালে সওগাত পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। - আব্দুল গাফফার চৌধুরী ২০২২ সালের ১৯ মে মাসে লণ্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। - তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় ২১ মে এবং কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তাঁকে 'গার্ড অব অনার' প্রদান করা হয়। পরে ঢাকার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস মূলত নিরীক্ষাপ্রবণ শিল্পী। তাঁর গল্পগুলোতে পুরান ঢাকার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রচিত। অনাহার, অভাব, দারিদ্র্য ও শোষণের শিকার হয়ে যারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে, সেসব অবহেলিত মানুষের জীবনাচরণ তাঁর গল্প ও উপন্যাসে উজ্জ্বলভাবে অঙ্কিত। - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ সালে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার গোটিয়া গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। - পৈতৃক নিবাস চেলোপাড়া, বগুড়া। ডাকনাম- মঞ্জু। - তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (মরণোত্তর)- ১৯৯৯ পান। - তিনি ১৯৬৫ সালে জগন্নাথ কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা কলেজে আমৃত্যু অধ্যাপনা করেন। - তিনি ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হলো: - অন্যঘরে অন্যস্বর (১৯৭৬), - খোঁয়ারি (১৯৮২), - দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫), - চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), - দোজখের ওম (১৯৮৯), - খোয়াবনামা ১৯৯৬), - সংস্কৃতির ভাঙা সেতু ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- হুমায়ুন আজাদ (১৯৪৭-২০০৪) কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী। - বিক্রমপুরের রাড়িখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল তার জন্ম। পিতা আবদুর রাশেদ স্কুল শিক্ষক, মাতা জোবেদা খাতুন গৃহিণী। - তাঁর পূর্ব নাম হুমায়ুন কবির। - ১৯৮৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি হুমায়ুন কবির নাম পরিবর্তর করে বর্তমান হুমায়ুন আজাদ নাম গ্রহণ করেন। - সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। - সাহিত্যস্রষ্টা হিসেবে তাঁর প্রতিভা ও মননের এক অসাধারণ দিক উন্মোচিত হয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা কিছু গ্রন্থে, যেখানে তাঁর ব্যঞ্জনাধর্মী ভাষা সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। তার কিছু গ্রন্থঃ - লাল নীল দীপাবলি (১৯৭৬), - ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না (১৯৮৫), - কতো নদী সরোবর (১৯৮৭), - আববুকে মনে পড়ে (১৯৮৯), - বুকপকেটে জোনাকিপোকা (১৯৯৩), - আমাদের শহরে একদল দেবদূত (১৯৯৬), - অন্ধকারে গন্ধরাজ (২০০৩) প্রভৃতি ।
|
|
| |
|
|
|
- কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক।
- ছাত্রাবস্থায় তাঁর প্রথম কবিতা ‘বর্ষ-আবাহন’ ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯) প্রকাশিত হয়।
- মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন। - তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলি হচ্ছে- - ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬), - বনলতা সেন (১৯৪২), - মহাপৃথিবী (১৯৪৪), - সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), - রূপসী বাংলা (রচনাকাল ১৯৩৪, প্রকাশকাল ১৯৫৭), - বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)। - এছাড়াও বহু অগ্রন্থিত কবিতা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
- তাঁকে বাংলা ভাষার 'শুদ্ধতম কবি' বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। - এছাড়াও তিনি 'রূপসী বাংলার কবি', 'নির্জনতার কবি', 'তিমির হননের কবি', 'ধূসরতার কবি' প্রভৃতি নামেও পরিচিত। - ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
|
|
| |
|
|
|
ড. মুহম্মদ এনামুল হক (২০ সেপ্টেম্বর ১৯০২ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ হতে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে এনামুল হক অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্ত্ত ছিল ‘History of Sufism in Bengal’। ১৯৩৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২) একাডেমীর প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: - আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত), ১৯৩৫; - বঙ্গে সূফী প্রভাব (গবেষণামূলক), ১৯৩৫; - বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বমূলক), ১৯৪৪; - মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গবেষণামূলক), ১৯৫৭; - ভ্রমণকািহিনী (বুলগেরিয়ার ভ্রমণ), ১৯৭৮ - গীতি সংকলন ( আবাহন), ১৯২০-২১ - কবিতা সংকলন (ঝর্ণাধারা), ১৯২৮ - ব্যাকরণ মঞ্জুরী - A History of Sufism in Bengal, ১৯৭৬; - Perso-Arabic Elemants in Bengali (with GM Hilali), ১৯৬৭;
এছাড়াও এতদ্ব্যতীত তিনি Abdul Karim Shahityavisharad Commemoration Volume (১৯৭২) ও Dr. Md. Shahidullah Felicitation (১৯৬৬) গ্রন্থদ্বয় সম্পাদনা করেন।
|
|
| |
|
|
|
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫ – ১৯৬৯) - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ছিলেন একাধারে বহুভাষাবিদ, পণ্ডিত, সাহিত্যিক, ধর্মবেত্তা ও শিক্ষাবিদ। - তাঁকে 'জ্ঞানতাপস' অভিধায় অভিহিত করা হয়। - পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রভাষা বিতর্ক শুরু হলে তিনি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো মত দেন। মধ্যজীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ভাষাতত্ত্বচর্চা বাদ দিয়ে ইসলাম চর্চা ও তা প্রসারে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১০ জুলাই, ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - আকিকাকৃত নাম মুহম্মদ ইব্রাহিম। পরবর্তীতে তাঁর মা হুরুন্নেসা সে নাম পরিবর্তন করে রাখেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
- বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট মর্তুজা বশীর (১৯৩২-২০২০) তার ছেলে। - তিনি 'আঙুর' (১৯২০- শিশু পত্রিকা), 'দি পিস' (১৯২৩- ইংরেজি মাসিক পত্রিকা), 'বঙ্গভূমিক' (১৯৩৭- মাসিক সাহিত্য পত্রিকা), 'তকবীর' (১৯৪৭- পাক্ষিক পত্রিকা) পত্রিকা সম্পাদনা করতেন এবং 'আল এসলাম' (১৯১৫) পত্রিকার সহসম্পাদক ছিলেন। - তিনি ১৯ জানুয়ারি, ১৯২৬ সালে ঢাকায় 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ' কর্তৃক আয়োজিত প্রতিষ্ঠা সভার সভাপতি ছিলেন। - তিনি মোট ২৬টি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন, এর মধ্যে ১৮টি ভাষায় ছিল তার অগাধ পাণ্ডিত্য। - তিনি ১ জুলাই, ১৯৬০ সালে 'পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান' প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ১৯৬৩ সালে 'পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান' এর কাজ সম্পন্ন করেন। - তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম 'ইমেরিটাস অধ্যাপক' পদ লাভ করেন। - তিনি ১৩ জুলাই, ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়। ঐ বছরই 'ঢাকা হল' এর নাম পরিবর্তন করে 'শহীদুল্লাহ হল' নাম রাখা হয়।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর গবেষণামূলক গ্রন্থগুলোঃ - 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' (১৯৬৫), - Buddhist Mystic Songs (১৯৬০): (এটি 'চর্যাপদ' বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ)। - 'সিদ্ধা কানুপার গীত ও দোহা' (১৯২৬), - 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), - 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড- ১৯৫৩, ২য় খণ্ড- ১৯৬৫), - 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮), - 'বৌদ্ধ মর্মবাদীর গান' (১৯৬০), - 'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫)।
তার সাহিত্যকর্ম সমূহঃ প্রবন্ধ: - 'ইকবাল' (১৯৪৫), - 'Essays on Islam' (১৯৪৫), - 'আমাদের সমস্যা' (১৯৪৯), - 'বাংলা আদব কি তারিখ' (১৯৫৭), - 'Traditional Culture in East Pakistan' (১৯৬৩ সালে তিনি এটি মুহম্মদ আবদুল হাই সহযোগে রচনা করেন)।
অনুবাদ গ্রন্থ: - 'দীওয়ানে হাফিজ' (১৯৩৮), - 'মহানবী' (১৯৪০), - 'অমিয়শতক' (১৯৪০), - 'বাণী শিকওয়াহ' (১৯৪২), - 'জওয়াব-ই-শিকওয়াহ' (১৯৪২), - 'রুবাইয়াত-ই- ওমর খ্যায়াম' (১৯৪২), - 'বাইঅতনামা' (১৯৪৮), - 'বিদ্যাপতি শতক' (১৯৫৪), - 'কুরআন প্রসঙ্গ' (১৯৬২), - 'মহররম শরীফ' (১৯৬২), - 'অমর কাব্য' (১৯৬৩), - 'ইসলাম প্রসঙ্গ' (১৯৬৩)।
সম্পাদিত গ্রন্থ: - 'পদ্মাবতী' (১৯৫০), - 'প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষ নবী' (১৯৫২)।
- গল্পগ্রন্থ: রকমারি (১৯৩১)। বিখ্যাত উক্তি: ১) 'আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোন আদর্শের কথা নয়, এটি বাস্তব কথা।' ২) 'যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সে দেশে গুণীজন জন্মাতে পারে না।'
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- প্যারীচাঁদ মিত্র কর্তৃক রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস 'আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৮)। - উপন্যাসটি ইংরেজিতে Spoiled Child নামে অনূদিত। - এটি বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস, যা তিনি টেকচাঁদ ঠাকুর নামে ১৮৫৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে 'মাসিক' পত্রিকায় লিখতেন। - এটি কথ্য ভাষায় লিখিত, যা 'আলালি ভাষা' নামে পরিচিত। - ধনাঢ্য বাবুরামের পুত্র মতিলাল কুসঙ্গে মিশে এবং শিক্ষার প্রতি পিতার অবহেলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। - পিতার মৃত্যুর পর সব সম্পত্তির বিনাশ সাধন করার পর তার বোধোদয় ঘটে। - ফলে হৃদয়-মন পরিবর্তিত হওয়ায় সে সৎ ও ধর্মনিষ্ঠ হয়। - চরিত্র: মতিলাল, মোকাজান মিঞা বা ঠক চাচা, ধূর্ত উকিল বটলর, অর্থলোভী বাঞ্ছারাম, তোষামোদকারী বক্রেশ্বর।
তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ: - 'মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়' (১৮৫৯), - 'রামারঞ্জিকা' (১৮৬০), - 'গীতাঙ্কুর' (১৮৬১), - 'যৎকিঞ্চিৎ' (১৮৬৫), - 'অভেদী' (১৮৭১), - 'ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত' (১৮৭৮), - 'আধ্যাত্মিকা' (১৮৮০), - 'বামাতোষিণী' (১৮৮১), - 'কৃষিপাঠ' (১৮৬১), - The Zamindar and Royats.
|
|
| |
|
|
|
- আহমদ ছফা রচিত উপন্যাস ‘ওঙ্কার’।
'ওঙ্কার' (১৯৭৫): - এটি ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে লেখা স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি উত্থানের এক মনোজ্ঞ রূপায়ণ। - উপন্যাসের নায়ক আবু নসরের বোবা মেয়েকে বিয়ে করে। - আবু নসরের সাথে আইয়ুব খানের সম্পর্ক থাকায় সে একধরনের ক্ষমতা লাভ করে। - এ কাহিনীসূত্র ধরেই উপন্যাসের কাহিনী গতি লাভ করেছে। - এখানে আইয়ুব খানের তথাকথিত সামরিক শাসনের সমালোচনা করা হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
সেলিম আল দীন (১৯৪৯ - ২০০৮) - স্বাধীনতা-উত্তরকালের প্রখ্যাত নাট্যকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। - সেলিম আল দীন ১৮ আগষ্ট, ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ফেনীর সোনাগাজীর সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তাঁর প্রকৃত নাম মঈনুদ্দিন আহমেদ। - তিনি বাংলা নাট্য সাহিত্যে এথনিক থিয়েটারের উদ্ভাবনকারী এবং 'নাট্যাচার্য' হিসেবে খ্যাত। - তাঁর শিল্পচিন্তার নাম ছিল 'কথানাট্য'। - বাংলাদেশে 'গ্রাম থিয়েটার' এর প্রবর্তক সেলিম আল দীন। তিনি ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সাথে নিয়ে সারাদেশে 'গ্রাম থিয়েটার' গড়ে তোলেন। - তিনি 'ঢাকা থিয়েটার' এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। - তিনি 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার' (১৯৮৪), 'একুশে পদক' (২০০৭), 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' (১৯৯৩, ৯৬) পান। - তিনি ১৪ জানুয়ারি, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় মারা যান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
তাঁর প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ- - 'নিগ্রো সাহিত্য' (১৯৬৮): এটি প্রথম প্রকাশিত হয় কবি আহসান হাবীব সম্পাদিত 'দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকায়।
তাঁর নাটকগুলোর হলোঃ - 'বিপরীত তমসায়' (১৯৬৯): এটি রেডিওতে প্রচারিত তাঁর প্রথম নাটক। - 'ঘুম নেই' (১৯৭০): টেলিভিশনে প্রচারিত তাঁর প্রথম নাটক। প্রথমে এটির নাম ছিল 'লিব্রিয়াম'। নাটকটি প্রযোজনা করেন আতিকুল হক চৌধুরী। - 'সর্প বিষয়ক গল্প' (১৯৭২): এটি আমিরুল হক চৌধুরী নির্দেশিত এবং বহুবচন প্রযোজিত তাঁর প্রথম মঞ্চনাটক।
|
|
| |
|
|
|
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একাধারে বহুভাষাবিদ, পণ্ডিত, সাহিত্যিক, ধর্মবেত্তা ও শিক্ষাবিদ। বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তাঁর নাম এদেশের সাহিত্যের ইতিহাসে অত্যুজ্জ্বল হয়ে আছে। সে জন্য তাঁকে 'জ্ঞানতাপস' অভিধায় অভিহিত করা হয়। - পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রভাষা বিতর্ক শুরু হলে তিনি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো মত দেন। মধ্যজীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ভাষাতত্ত্বচর্চা বাদ দিয়ে ইসলাম চর্চা ও তা প্রসারে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১০ জুলাই, ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আকিকাকৃত নাম মুহম্মদ ইব্রাহিম। পরবর্তীতে তাঁর মা হুরুন্নেসা সে নাম পরিবর্তন করে রাখেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। - তিনি 'আঙুর' (১৯২০- শিশু পত্রিকা), 'দি পিস' (১৯২৩- ইংরেজি মাসিক পত্রিকা), 'বঙ্গভূমিক' (১৯৩৭- মাসিক সাহিত্য পত্রিকা), 'তকবীর' (১৯৪৭- পাক্ষিক পত্রিকা) পত্রিকা সম্পাদনা করতেন এবং 'আল এসলাম' (১৯১৫) পত্রিকার সহসম্পাদক ছিলেন। - তিনি মোট ২৬টি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর গবেষণামূলক গ্রন্থগুলোঃ 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' (১৯৬৫), Buddhist Mystic Songs (১৯৬০): (এটি 'চর্যাপদ' বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ)। 'সিদ্ধা কানুপার গীত ও দোহা' (১৯২৬), 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড- ১৯৫৩, ২য় খণ্ড- ১৯৬৫), 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮), 'বৌদ্ধ মর্মবাদীর গান' (১৯৬০), 'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫)।
|
|
| |
|
|
|
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫ - ১৯৬৯) -এর কয়েকটি উক্তি - - যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সেদেশে গুণীজন জন্মাতে পারে না। - আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য; তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালী। - পৃথিবীর কোনো জাতি জাতীয় সাহিত্য ছেড়ে বিদেশি ভাষায় সাহিত্য রচনা করে যশস্বী হতে পারেনি।'
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো: - সিন্দবাদ সওদাগরের গল্প (১৯২২), - ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১), - বাঙ্গালা ব্যাকরণ (১৯৩৬), - দীওয়ান-ই-হাফিজ (১৯৩৮), - শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ (১৯৪২), - বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৫৯), - কুরআন শরীফ (১৯৬৩), - অমরকাব্য (১৯৬৩), - সেকালের রূপকথা (১৯৬৫), - রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম (১৯৪২), - Essays on Islam (১৯৪৫), - আমাদের সমস্যা (১৯৪৯), - পদ্মাবতী (১৯৫০), - বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খন্ড ১৯৫৩, ১৯৬৫), - বিদ্যাপতি শতক (১৯৫৪), - বাংলা আদব কী তারিখ (১৯৫৭), - বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (১৯৫৭)।
|
|
| |
|
|
|
- হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ - ১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। - তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম। - শৈশবে হুমায়ূন আহমেদের নাম ছিল শামসুর রহমান। - তাঁর একটি লেখা থেকে জানা যায়, তাঁদের পিতা ছেলেমেয়েদের নাম পরিবর্তন করতেন। তাই তিনি নিজেই পুত্রের আগের নাম পরিবর্তন করে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ।
তাঁর রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস: - আগুনের পরশমনি, - শ্যামল ছায়া, - জোছনা ও জননীর গল্প, - সূর্যের দিন, - সৌরভ, - নির্বাসন, - অলিন বাগচীর একদিন।
|
|
| |
|
|
|
- আহমদ ছফা একজন প্রতিবাদী লেখক, প্রগতিপন্থি সাহিত্যকর্মী ও সংগঠক। - ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। - আহমদ ছফা ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল লেখক। - ষাটের দশকে তাঁর সাহিত্য-জীবনের সূচনা হয়। - বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে তিনি এক সফল লেখক। - জীবনের বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে তিনি গল্প-উপন্যাস রচনায় কাজে লাগিয়েছেন। - গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবেই তাঁর পরিচিতি সর্বাধিক। - আহমদ ছফার গবেষণার বিষয় ছিল বাঙালি মুসলমান সমাজ। - তাঁর মৃত্যু ২০০১ সালের ২৮ জুলাই।
তাঁর রচিত উপন্যাস সমূহ: - সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭), - উদ্ধার (১৯৭৫), - একজন আলী কেনানের উত্থান পতন (১৯৮৯), - অলাতচক্র (১৯৯০), - ওঙ্কার (১৯৯৩), - গাভীবৃত্তান্ত (১৯৯৪), - অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬), - পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬)
গল্পগ্রন্থ: নিহত নক্ষত্র (১৯৬৯)
কাব্যগ্রন্থ: জল্লাদ সময়, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমোবে এবার ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য রচনা: নতুন বিন্যাস (১৯৭৩) ও বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৭৬)
|
|
| |
|
|
|
ড. মুহম্মদ এনামুল হক (২০ সেপ্টেম্বর ১৯০২ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ হতে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে এনামুল হক অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘History of Sufism in Bengal’। ১৯৩৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২) একাডেমীর প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: - আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত), ১৯৩৫; - বঙ্গে সূফী প্রভাব (গবেষণামূলক), ১৯৩৫; - বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বমূলক), ১৯৪৪; - মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গবেষণামূলক), ১৯৫৭; - ভ্রমণকািহিনী (বুলগেরিয়ার ভ্রমণ), ১৯৭৮ - গীতি সংকলন ( আবাহন), ১৯২০-২১ - কবিতা সংকলন (ঝর্ণাধারা), ১৯২৮ - A History of Sufism in Bengal, ১৯৭৬; - Perso-Arabic Elemants in Bengali (with GM Hilali), ১৯৬৭;
এছাড়াও এতদ্ব্যতীত তিনি Abdul Karim Shahityavisharad Commemoration Volume (১৯৭২) ও Dr. Md. Shahidullah Felicitation (১৯৬৬) গ্রন্থদ্বয় সম্পাদনা করেন।
|
|
| |
|
|
|
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩): - বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে নাটক লেখেন দীনবন্ধু মিত্র। - তিনি ঈশ্বর গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা রচনা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করেন। - বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন।
- দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ সালে নদীয়ার চৌবেড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি পিতৃপ্রদত্ত নাম 'গন্ধর্ব নারায়ণ' পরিবর্তন করে নিজে রাখেন 'দীনবন্ধু'। - তিনি 'সংবাদ প্রভাকর' (১৮৩১) ও 'সংবাদ সাধুরঞ্জন' (১৮৪৭) পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যজীবন শুরু করেন। - ১৮৭১ সালে লুসাই যুদ্ধের সময় কাছাড়ে সফলভাবে ডাক বিভাগ পরিচালনা করেন, এজন্য সরকার তাঁকে 'রায়বাহাদুর' উপাধিতে ভূষিত করে। - তিনি ১ নভেম্বর, ১৮৭৩ সালে মারা যান।
|
|
| |
|
|
|
শামসুর রাহমান (১৯২৯ - ২০০৬): - শামসুর রাহমান ২৪ অক্টোবর, (পারিবারিক হিসেবে ২৩ অক্টোবর) ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে পুরান ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন। - পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরার পাড়াতলি গ্রাম। - শামসুর রাহমানের ডাকনাম- বাচ্চু। - ১৯৫৭ সালে সাংবাদিক হিসেবে 'দৈনিক মর্নিং নিউজ'- এ কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে 'দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে এটি 'দৈনিক বাংলা' নামে নামকরণ হয়। ১৯৭৭ সালে 'দৈনিক বাংলা' ও সাপ্তাহিক 'বিচিত্রা'র সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সরকার পরিচালিত 'দৈনিক বাংলা' থেকে পদত্যাগ করেন।
- মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি কলকাতার 'দেশ' পত্রিকায় 'মজলুম আদিব' ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন। - তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় সিন্দাবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক প্রভৃতি ছদ্মনামে সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখতেন। - শামসুর রাহমান 'নাগরিক কবি' হিসেবে খ্যাত। - তিনি ১৯৬৩ সালে 'আদমজী সাহিত্য পুরস্কার', ১৯৬৯ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার', ১৯৭৭ সালে 'একুশে পদক' এবং ১৯৯১ সালে 'স্বাধীনতা পুরস্কার' লাভ করেন। - তিনি ১৭ আগস্ট, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। - কবির ইচ্ছানুযায়ী ১৮ আগস্ট বনানী কবরস্থানে মায়ের সমাধির মধ্যে সমাহিত করা হয়।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬০ সালে রচনা করেন নীল দর্পণ নাটক। এটি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রাথমিক আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক নাটক। দীনবন্ধু মিত্র সাতটি নাটক ও প্রহসন লিখেছিলেন। তাঁর গভীর রসের নাটক হলঃ - নীলদর্পণ'(১৮৬০), - 'নবীন তপস্বিনী'(১৮৬৩), - 'কমলে কামিনী'।
আর চারটি প্রহসন হল - 'বিয়ে পাগলা বুড়ো', - 'সধবার একাদশী' - 'লীলাবতী, - 'জামাই বারিক' ।
|
|
| |
|