পংক্তি ও উদ্ধৃতি (515 টি প্রশ্ন )

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল ছোটগল্প। ছোটগল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য স্বল্প ভাষায় ও স্বল্প পরিসরে জীবনের খণ্ডাংশের বর্ণনা, প্রারম্ভে ও পরিসমাপ্তিতে নাটকীয়তা অর্থাৎ জীবনের কোনো বিশেষ মুহূর্তের রূপায়ণ। ছোটগল্পের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর হাতেই ছোটগল্পের উৎকর্ষ সাধিত হয়। তিনি ‘সোনার তরী' কাব্যের ‘বর্ষাযাপন কবিতায় ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।

ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ কথা
নিতান্তই সহজ সরল,
সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু-চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা, ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়েও হইল না শেষ।

অন্নদাশঙ্কর রায় (১৫ মে ১৯০৪ – ২৮ অক্টোবর ১৯৮৫) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, এবং ভ্রমণকাহিনী লেখক। তিনি বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে এক অনন্য স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম বৈচিত্র্যময় এবং গভীর চিন্তাশীলতার পরিচায়ক। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, এবং প্রশাসক হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন, কারণ তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে (ICS) কর্মরত ছিলেন।

অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত 
কবিতাঃ রাখী, কালের শাসন, কামনা পঞ্চবিংশতি, নূতনা রাধা, লিপি, জার্নাল ইত্যাদি
ভ্রমণকাহিনীঃ পথে প্রবাসে (১৯৩১) ও ইউরোপের চিঠি।
উৎসঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর।


"শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে,
জীবনে তাহার কভু মূর্খতা না ঘোচে।
- কবিতাংশটুকুর রচয়িতা রজনীকান্ত সেন।

• কবিতাংশটুকুর মূলভাব:
- জীবনে সফলতা অর্জনের জন্যে ছোটবেলা থেকেই নৈতিক সততার শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত।
- শৈশবে সৎকাজ করতে না শিখলে পরে আর সে অভ্যাস গড়ে ওঠে না।
------------------------
• রজনীকান্ত সেন:
- রজনীকান্ত সেন (১৮৬৫-১৯১০) কবি, গীতিকার, সঙ্গীতশিল্পী।
- তিনি কবিতাও রচনা করতেন এবং ‘কান্তকবি’ নামে খ্যাত ছিলেন।
- তাঁর কবিতা ও গানের বিষয়বস্তু ছিল প্রধানত ভক্তি ও দেশপ্রেম।

• তাঁর রচিত গ্রন্থগুলি:
- বাণী,
- কল্যাণী,
- অমৃত,
- অভয়া,
- আনন্দময়ী,
- বিশ্রাম,
- সদ্ভাবকুসুম,
- শেষদান,
- পথচিন্তামণি এবং
- অভয় বিহার।

এগুলির মধ্যে
- 'বাণী ও কল্যাণী' গানের সঞ্চয়ন,
- 'পথচিন্তামণি' একটি কীর্তনগ্রন্থ,
- আর 'অভয় বিহার' একটি গীতিকাব্য।

উপযুক্ত কাল - কবিতা,
- রজনীকান্ত সেন।

শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে,
জীবনে তাহার কভু মূর্খতা না ঘোচে।
চৈত্র মাসে চাষ দিয়া না বোনে বৈশাখে,
কবে সেই হৈমন্তিক ধান্য পেয়ে থাকে?

সময় ছাড়িয়া দিয়া করে পণ্ডশ্রম,
ফল চাহে,- সে ও অতি নির্ব্বোধ, অধম।
খেয়া-তরী চ’লে গেলে বসে এসে তীরে,
কিসে পার হবে, তরী না আসিলে ফিরে?

উৎস: উপযুক্ত কাল - কবিতা, রজনীকান্ত সেন এবং বাংলাপিডিয়া।
- 'ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।'' কবিতাংশটুকুর রচয়িতা: গোলাম মোস্তফা।
- ১৮৯৭ সালে যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ) জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তাঁর বিশ্বনবী গ্রন্থখানি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

• গোলাম মোস্তফা রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- রক্তরাগ,
- খোশরোজ,
- কাব্যকাহিনী,
- গীতি সঞ্চয়ন,
- সাহারা,
- হাসনাহেনা,
- বুলবুলিস্তান,
- বনি আদম ইত্যাদি।

তাঁর গদ্যরচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- বিশ্বনবী,
- ইসলাম ও কমিউনিজম,
- ইসলাম ও জেহাদ,
- আমার চিন্তাধারা,
- পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ইত্যাদি।
- ফরাসি দার্শনিক বার্গস-র তত্ত্ব প্রয়োগ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গতিতত্ত্ব বিষয়ক কাব্য 'বলাকা' (১৯১৬) এর অন্তর্ভুক্ত 'সবুজের অভিযান' কবিতার বিখ্যাত পঙ্ক্তি- 'ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।'

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- 'সোনার তরী' (১৮৯৪);
- 'চিত্রা' (১৮৯৬);
- 'সেঁজুতি' (১৯৩৮)।

- প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধ ‘বই পড়া।
- তিনি একটি লাইব্রেরির বার্ষিক সভায় অতিথি হিসেবে যে অভিভাষণ প্রদান করেন তা তাঁর ‘প্ৰবন্ধ সংগ্ৰহ’ গ্রন্থে ‘বই পড়া’ নামে সন্নিবেশিত হয়।
এই গল্পের বিখ্যাত দুইটি উক্তিঃ
- ভাষা মানুষের মুখ হতে কলমের মুখে আসে। কলমের মুখ হতে মানুষের মুখে নয়। উল্টোটা চেষ্টা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে।
- আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- উক্তিটি "মানুষ মারা গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলে যায়" মুনীর চৌধুরীর রচিত নাটক 'রক্তাক্ত প্রান্তর' থেকে নেওয়া হয়েছে।
- মুনীর চৌধুরী একজন প্রখ্যাত নাট্যকার এবং শিক্ষাবিদ। তার রচিত 'রক্তাক্ত প্রান্তর' একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত নাটক, যা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা।
- এই নাটকটি ইতিহাস-আশ্রিত হলেও এটি মূলত মানব চরিত্রের পরিবর্তন এবং জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরে।
- উক্তিটি মানুষের জীবনের পরিবর্তনশীলতা এবং মৃত্যুর অনিবার্যতাকে প্রতিফলিত করে, যা নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক দিক।
বাগযন্ত্র বা বাকপ্রত্যঙ্গ দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে।
-ভাষা ভাবের বাহন।
-ভাষা সম্পর্কে ভাষা-চিন্তক ড. সুকুমার সেন ‘ভাষার ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে বলেন, ‘ভাষার মধ্য দিয়া আদিম মানুষের সামাজিক প্রবৃত্তির প্রথম অঙ্কুর প্রকাশ পাইয়াছিল। ভাষার মধ্য দিয়াই সেই সামাজিক প্রবৃত্তি নানাদিকে নানাভাবে প্রসারিত হইয়া আদিম নরকে পশুত্বের অন্ধজড়তা হইতে উদ্ধার করিয়া তাহাকে মননশীল করিয়াছে। ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।
-তাঁর রচিত ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ বাংলা ভাষাতত্ত্বের একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা গ্রন্থ।
-সুকুমার সেন রচিত অন্যান্য গ্রন্থ: ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’, ‘বঙ্গভূমিকা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যে গদ্য', 'দিনের পর দিন যে গেল’ (আত্মজীবনী)।
-ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫);
-সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচিত ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ The Origin and Development of the Bengali Language ( ODBL);
-মুহম্মদ এনামুল হক রচিত গ্রন্থ ‘ব্যাকরণ মঞ্জরী' (১৯৫২)।

- ফারসি নীতিকাব্য 'নূরনামাহ' অবলম্বনে আবদুল হাকিম রচিত কাব্য 'নূরনামা'। এ কাব্যের কবিতা ‘বঙ্গবাণী'।
- বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাবসমৃদ্ধ বক্তব্যের জন্য কবিতাটি ব্যাপক প্রশংশিত। এ কবিতার বিখ্যাত পক্তি- 'যেসব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। / সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।

• আব্দুল হাকিম:
- নোয়াখালী জেলার বাবুপুর (মতান্তরে সন্দ্বীপের সুধারাম) ছিল কবির আবাসভূমি।
- কবি আবদুল হাকিম ১৬২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
- আব্দুল হাকিমের ৫টি কাব্য পাওয়া যায়।

• তাঁর রচিত কাব্যগুলো হলো:
- নূরনামা,
- দুররে মজলিশ,
- ইউসুফ জোলেখা,
- লালমোতি সয়ফুলমুলুক,
- হানিফার লড়াই।


কিছু গুরুত্তপুর্ণ পংক্তি ও উদ্ধৃতিঃ
- মার চোখে নেই অশ্রু কেবল / অনলজ্বালা, দু'চোখে তাঁর শত্রু হননের আহবান। (মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান)
- সকলের তরে সকলে আমরা / প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। (কামিনী রায়)
- একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে, ভুল করেছে যারা, সবাই ভুক্তভোগী বটে। (আবুল হোসেন মিয়া)
- একটু খানি স্নেহের কথা, একটু ভালোবাসা / গড়তে পারে এই দুনিয়ায় শান্তি সুখের বাসা। (আবুল হোসেন মিয়া)
- ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো। (রফিক আজাদ)
- আমার স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বন্টন। (সমর সেন)
- বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে, / মাঝিরে কন, বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে? (সুকুমার রায়)
- বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ/ মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই? (যতীন্দ্রমোহন বাগচী)
- আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে / কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। (কুসুমকুমারী দাশ)
- এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে / রমনার উর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে, সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি। (মাহবুবুল আলম চৌধুরী)
- 'মুক্তবুদ্ধির চির সজাগ প্রহরী' নামে খ্যাত সাহিত্যিক আবুল ফজল।
- 'একুশ মানে মাথা নত না করা' এই পঙক্তির মাধ্যমে বাঙালির প্রকৃত বিদ্রোহী মনোভাবই ফুটিয়ে তুলেছেন।
- তিনি 'শিখা' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
- শিখা পত্রিকার স্লোগান ছিলো। "জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট মুক্তি সেখানে অসম্ভব'।
- 'শিখা' পত্রিকার এ স্লোগানই বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
- তিনি প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।
- তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধগুলোর মধ্যে বিচিত্র কথা।
- বিদ্রোহী কবি নজরুল, মানবতন্ত্র রবীন্দ্র প্রসঙ্গ, একুশ মানে মাথা নত না করা, শেখ মুজিব: তাঁকে যেমন দেখিছি ইত্যাদি অন্যতম।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ-
- জীবনপথের যাত্রী
- রাঙ্গা প্রভাত(১৩৬৪)
- চৌচির(১৯৩৪)
- মাটির পৃথিবী(১৩৪৭)
- আয়েশা আবুল
- ফজলের শ্রেষ্ঠ গল্প
- সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন
- সমাজ সাহিত্য রাষ্ট্র ইত্যাদি।

উপন্যাস
- 'রাঙা প্রভাত' (১৩৬৪) ,
- 'প্রদীপ ও পতঙ্গ' (১৩৪৭),
- 'চৌচির' (১৯৩৪)।
- পঙক্তিটি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত 'দুর্মর' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
- কবিতাটি তাঁর রচিত 'পূর্বাভাস' কাব্যগ্রন্থ এর অন্তর্ভুক্ত।
- 'পূর্বাভাস' সুকান্ত ভট্টাচার্যের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
- এতে মোট ২৯টি কবিতা রয়েছে।
- চরণটি রচনা করেছেন নির্মলেন্দু গুণ।
- এটি তার রচিত 'যুদ্ধ' কবিতা থেকে নেওয়া।
- কবিতাটি 'প্রেমাংশুর রক্ত চাই' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
• “কমল-কানন” শব্দের ব্যঞ্জনার্থ বাংলা ভাষা। 
• উদ্ধৃতাংশে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মহিমা ফুটে উঠেছে।
•  ঐহিত্যগতভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ দেশে যারা বসবাস করে আসছে, তারা সবাই বাংলাভাষী। 
• এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বঙ্গভাষা' থেকে নেওয়া হয়েছে। 
• 'বঙ্গভাষা' কবিতাটি একটি সনেট এবং এটি কবির ''চতুর্দশপদী কবিতাবলী''র অন্তর্ভূক্ত।

কিছু গুরুত্তপূর্ণ পংক্তি ও উদ্ধৃতিঃ
- মার চোখে নেই অশ্রু কেবল / অনলজ্বালা, দু'চোখে তাঁর শত্রু হননের আহবান। (মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান)
- সকলের তরে সকলে আমরা / প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। (কামিনী রায়)
- একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে, ভুল করেছে যারা, সবাই ভুক্তভোগী বটে। (আবুল হোসেন মিয়া)
- একটু খানি স্নেহের কথা, একটু ভালোবাসা / গড়তে পারে এই দুনিয়ায় শান্তি সুখের বাসা। (আবুল হোসেন মিয়া)
- ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো। (রফিক আজাদ)
- আমার স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বন্টন। (সমর সেন)
- বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে, / মাঝিরে কন, বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে? (সুকুমার রায়)
- বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ/ মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই? (যতীন্দ্রমোহন বাগচী)
- আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে / কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। (কুসুমকুমারী দাশ)
- এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে / রমনার উর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে, সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি। (মাহবুবুল আলম চৌধুরী)

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫ - ১৯৬৯) -এর কয়েকটি উক্তি -
- যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সেদেশে গুণীজন জন্মাতে পারে না।
- আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য; তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালী।
- পৃথিবীর কোনো জাতি জাতীয় সাহিত্য ছেড়ে বিদেশি ভাষায় সাহিত্য রচনা করে যশস্বী হতে পারেনি।'

তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো:
- সিন্দবাদ সওদাগরের গল্প (১৯২২),
- ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১),
- বাঙ্গালা ব্যাকরণ (১৯৩৬),
- দীওয়ান-ই-হাফিজ (১৯৩৮),
- শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ (১৯৪২),
- বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৫৯),
- কুরআন শরীফ (১৯৬৩),
- অমরকাব্য (১৯৬৩),
- সেকালের রূপকথা (১৯৬৫),
- রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম (১৯৪২),
- Essays on Islam (১৯৪৫),
- আমাদের সমস্যা (১৯৪৯),
- পদ্মাবতী (১৯৫০),
- বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খন্ড ১৯৫৩, ১৯৬৫),
- বিদ্যাপতি শতক (১৯৫৪),
- বাংলা আদব কী তারিখ (১৯৫৭),
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (১৯৫৭)।
আসমানী  : জসীম উদ্‌দীন---এক পয়সার বাঁশী

আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমন্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
- পঙ্তিটি কবি জসীমউদ্দীনের 'রুপাই' নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত পঙ্তিঃ
- এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। (কবর)
- এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। (কবর)
- বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা, আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ। (কবর)
- এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাঠির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে। (কবর)
- কাচা ধানের পাতার মত কচি মুখের মায়া। জালি লাউয়ের ডগার মতোন বাহু দু'খান সরু। (রূপাই)
- যে মোরে করিল পথের বিবাগী, পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি। (প্রতিদান)

- ‘হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান’ লাইনটি কাজী নজরুল ইসলামের 'দারিদ্র্য' কবিতার অন্তর্গত।
- এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা।
- 'দারিদ্র' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সিন্ধু হিন্দোল কাব্য গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
- ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ।
জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন বরিশাল শহরে। তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ হলো - 'কবিতার কথা'। এই প্রবন্ধের একটি বিখ্যাত উক্তি হলো— 'সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি।'

জীবনানন্দ দাশ এর উপাধি সমূহ:
- ধুসরতার কবি,
- নির্জনতার কবি,
- তিমি হননের কবি,
- রূপসী বাংলার কবি।

জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থঃ
 - ঝরাপলক,
 - ধূসর,
 - সাতটি তারার তিমির,
 - পান্ডুলিপি,
 - বনলতা সেন,
 - মহা পৃথিবী,
 - রুপসী বাংলা এবং
 - বেলা অবেলা কালবেলা।
- পঙ্তিটি কবি জসীমউদ্দীনের 'রুপাই' নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত পঙ্তিঃ
- এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। (কবর)
- এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। (কবর)
- বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা, আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ। (কবর)
- এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাঠির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে। (কবর)
- কাচা ধানের পাতার মত কচি মুখের মায়া। জালি লাউয়ের ডগার মতোন বাহু দু'খান সরু। (রূপাই)
- যে মোরে করিল পথের বিবাগী, পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি। (প্রতিদান)
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন।
- এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা। মহামহোপাধ্যায় সালে নেপালের হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে ‘চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।
- এতে প্রবাদ বাক্য আছে ৬টি ।

- যথা:
• অপণা মাংসে হরিণা বৈরী (৬ নং পদ- হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু),
• হাথে রে কাঙ্কাণ মা লোউ দাপণ (৩২ নং পদ- হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পণ প্রয়োজন হয় না),
হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেসী (৩৩ নং পদ- হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন প্রেমিকরা এসে ভীড় করে),
• দুহিল দুধু কি বেন্টে যামায় (৩৩ নং পদ- দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়),
• বর সুণ গোহালী কিমো দু বলন্দে (৩৯ নং পদ- দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল) ও
• অণ চাহন্তে আণ বিণঠা (৪৪) নং পদ- অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট)।
- একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে প্রথম গান 'ভুলবো না ভুলবো না, একুশে ফেব্রুয়ারী' এর রচয়িতা আ.ন.ম গাজীউল হক।
- 'বাংলা বিনে গতি নাই' আবদুল লতিফ এর ভাষা আন্দোলনভিত্তিক গান
- 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটির রচয়িতা  আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
- ভাষা আন্দোলনভিত্তিক গান 'ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়' এর রচয়িতা ও সুরকার আব্দুল লতিফ।
সঠিক উত্তর: C) এটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের কাব্যে পাওয়া যায়। এই লাইনটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের 'অন্নদামঙ্গল' কাব্যে পাওয়া যায়।

- যদিও এই উক্তিটি ঈশ্বরী পাটনীর মুখে বলা হয়েছে, কিন্তু এটি ঈশ্বরী পাটনীর রচনা নয়। এটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের রচনা।
- এটি 'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যের অংশ নয়, বরং 'অন্নদামঙ্গল' কাব্যের অংশ।
- এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি বিখ্যাত লাইন, প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নয়। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর মধ্যযুগের শেষের দিকের কবি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- পংক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গীতাঞ্জলী' কাব্যগ্রন্থের 'জীবন যখন শুকায়ে যায়' নামক কবিতা থেকে নেওয়া। 
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রজনীকান্ত সেনের মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং তাঁর অকাল মৃত্যুতে ব্যথিত হয়ে এই কবিতাটি রচনা করেন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0