|
|
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'ব্যথার দান' (ফেব্রুয়ারি, ১৯২২)। - এতে মোট ৬টি গল্প আছে- ব্যথার দান, হেনা, অতৃপ্ত কামনা, বাদল-বরিষণে, ঘুমের ঘোরে, রাজবন্দীর চিঠি।
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস 'বাঁধনহারা' (১৯২৭)। - ত্রিশাল গ্রাম ও অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে তাঁর রচিত উপন্যাস 'মৃত্যুক্ষুধা' (১৯৩০)। - স্বদেশী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তাঁর রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস 'কুহেলিকা'।
|
|
| |
|
|
|
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যে যা কিছু প্রথম: • প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম - ব্যথার দান (১৯২২)। • প্রথম প্রকাশিত রচনা/প্রথম প্রকাশিত গল্প- বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী। • প্রথম প্রকাশিত কবিতা- মুক্তি। • প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- অগ্নিবীণা(১৯২২)। • অগ্নিবীণার প্রথম কবিতা - প্রলয়োল্লাস। • অগ্নিবীণা কাব্যের কবিতা সংখ্যা - ১২টি। • প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ - যুগবাণী (১৯২২)। • প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম - ঝিলিমিলি। • প্রথম ছোটদের নাটক- পুতুলের বিয়ে(১৯৩৩)। • প্রথম কাব্যানুবাদ- রুবাইয়াত-ই- হাফিজ। • প্রথম চলচ্চিত্র কাহিনী- বিদ্যাপতি। • প্রথম রেকর্ডকৃত সঙ্গীত- জাতের নামে বজ্জাতি সব। • প্রথম রেকর্ডকৃত ইসলামী সঙ্গীত- ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে। • প্রথম বাজেয়াপ্ত গ্রন্থের নাম - বিষের বাঁশি।
|
|
| |
|
|
|
- কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ 'ঝিঙেফুল' ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়। - এই কাব্যগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বীর বাদলকে। বীর বাদল ছিলেন নজরুলের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোদ্ধা। - নজরুলের সাহিত্যকর্মে তার বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশের উদাহরণ হিসেবে এই উৎসর্গটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
|
|
| |
|
|
|
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যে যা কিছু প্রথম: • প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম - ব্যথার দান (১৯২২)। • প্রথম প্রকাশিত রচনা/প্রথম প্রকাশিত গল্প- বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী। • প্রথম প্রকাশিত কবিতা- মুক্তি। • প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- অগ্নিবীণা(১৯২২)। • অগ্নিবীণার প্রথম কবিতা - প্রলয়োল্লাস। • অগ্নিবীণা কাব্যের কবিতা সংখ্যা - ১২টি। • প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ - যুগবাণী (১৯২২)। • প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম - ঝিলিমিলি। • প্রথম ছোটদের নাটক- পুতুলের বিয়ে(১৯৩৩)। • প্রথম কাব্যানুবাদ- রুবাইয়াত-ই- হাফিজ। • প্রথম চলচ্চিত্র কাহিনী- বিদ্যাপতি। • প্রথম রেকর্ডকৃত সঙ্গীত- জাতের নামে বজ্জাতি সব। • প্রথম রেকর্ডকৃত ইসলামী সঙ্গীত- ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে। • প্রথম বাজেয়াপ্ত গ্রন্থের নাম - বিষের বাঁশি।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের রণসংগীতের রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম। - রণসংগীতটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সন্ধ্যা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। - কাব্যটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়। - এই কাব্য মাদারীপুর শান্তিসেনাদের উৎসর্গ করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের 'জাতীয় কবি' হিসেবে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই ঘোষণা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রকাশিত হয়। যদিও কাজী নজরুল ইসলামকে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে আসছিল, তবে এটি ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ।
প্রজ্ঞাপনের মূল বিষয়বস্তু: ঢাকায় আগমন ও নাগরিকত্ব প্রদান: কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়। তাকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি: ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে এতদিন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি। ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয় এবং ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮: ২০১৮ সালে প্রণীত এই আইনে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এটি আরও আনুষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি লাভ করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কলকাতার এলবার্ট হলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কাজী নজরুল ইসলামকে 'জাতীয় কবি' হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পর তার অবদানকে সম্মান জানিয়ে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা: কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
অগ্নিবীণা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (অক্টোবর, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছেঃ - ‘প্রলয়োল্লাস (কবিতা)’, - ‘বিদ্রোহী’, - ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’, - ‘আগমণী’, - ‘ধূমকেতু’, - কামাল পাশা’, - ‘আনোয়ার ‘রণভেরী’, - ‘শাত-ইল-আরব’, - খেয়াপারের তরণী’, - কোরবানী’ ও - মোহররম’।
|
|
| |
|
|
|
- কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। - করাচি সেনানিবাসে বসে নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা)। - ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ব্যাথার দান (১৯২২) - তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী প্রকাশিত হয় 'সওগাত' পত্রিকায় । - তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা মুক্তি প্রকাশিত হয় 'বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য' পত্রিকায়। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প বাউণ্ডূলের আত্মকাহিনী। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ অগ্নী-বীণা। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস বাঁধন হারা। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ তুর্কি মহিলার ঘোমটা খোলা। - তাঁর প্রথম রচিত নাট্যগ্রন্থ আলেয়া। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত নাটক ঝিলিমিলি।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ- - অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, - সর্বহারা, ফনীমনসা, - জিঞ্জির, প্রলয় শিখা, - ভাঙার গান, সাম্যবাদী, - সন্ধ্যা ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে কলম ধরায় কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ নিষিদ্ধ করা হয়। - 'নবযুগ' পত্রিকায় লেখা কাজী নজরুল ইসলামের কয়েকটি নিবন্ধের সংকলন 'যুগবাণী'। - এ গ্রন্থটিই প্রথম ২৩ নভেম্বর, ১৯২২ সালে ফৌজদারি বিধির-৯৯এ ধারানুসারে বাজেয়াপ্ত করা হয়। - তৎকালীন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে 'যুগবাণী'কে ভয়ংকর গ্রন্থ হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, লেখক বইটির মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করছেন; 'ক্রীতদাস মানসিকতার' ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে শাসনভার দখলের মন্ত্রণা যোগাচ্ছেন। - এদিনই কাজী নজরুল ইসলামকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয়।
সাহিত্য সমালোচক শিশির কর 'নিষিদ্ধ নজরুল' নামক গ্রন্থে ৫টি নিষিদ্ধ গ্রন্থের কথা উল্লেখ করেছেন। যথা: ১) যুগবাণী - নিষিদ্ধ: ২৩ নভেম্বর, ১৯২২ - প্রত্যাহার: ১৯৪৭
২) বিষের বাঁশী - নিষিদ্ধ: ২২ অক্টোবর, ১৯২৪ - প্রত্যাহার: ১৯৪৫
৩) ভাঙার গান - নিষিদ্ধ: ১১ নভেম্বর, ১৯২৪
৪) প্রলয়শিখা - নিষিদ্ধ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০
৫) চন্দ্রবিন্দু - নিষিদ্ধ: ১৪ অক্টোবর, ১৯৩১
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
রুদ্রমঙ্গল কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থঃ - রাজবন্দীর জবানবন্দি, - মন্দির ও মসজিদ, - আমি সৈনিক, - দুর্দিনের যাত্রী, - যুগবাণী, - রুদ্র মঙ্গল।
|
|
| |
|
|
|
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অন্যান্য প্রবন্ধ ও নিবন্ধ- যুগবানী ১৯২২, ঝিঙ্গে ফুল ১৯২৬, দুর্দিনের যাত্রী ১৯২৬, রুদ্র মঙ্গল ১৯২৭, ধূমকেতু ১৯৬১, রাজবন্দির জবানবন্দি ১৯২৩ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ 'রুদ্রমঙ্গল (১৯২৭)। -রুদ্রমঙ্গল, আমার পথ, মোহম, বিষ-বাণী, ক্ষুদিরামের মা, ধূমকেতুর পথ, মন্দির ও মসজিদ, হিন্দু- মুসলমান- নামে মোট ৮টি প্রবন্ধ এ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। -এ প্রবন্ধের বিখ্যাত উক্তি- ‘আমার কর্ণধার আমি। আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।
তাঁর রচিত অন্যান্য প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' (১৯২৩), 'যুগবাণী' (১৯২২), ‘দুর্দিনের যাত্রী' (১৯২৬), 'ধূমকেতু' (১৯৬১)। 'যৌবনের গান’ তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ।
|
|
| |
|
|
|
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রাজবন্দীর
জবানবন্দী (০৭/০১/১৯২৩)। এটি তিনি জেলে বসে রচনা
করেন। 'ধূমকেতু' পত্রিকায় 'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতা
প্রকাশিত হলে তা নিষিদ্ধ হয় এবং নজরুলকে গ্রেফতার করা
হয়। হুগলী জেলে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নজরুল
অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন শুরু করেন। এ অবস্থায়
নজরুলকে রবীন্দ্রনাথ টেলিগ্রাম পাঠান- 'Give up hunger
strike, our literature claims you'. কিন্তু ঠিকানা না
থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ সে চিঠি রবীন্দ্রনাথের নিকট ফেরত
পাঠায়। এ সময়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘বসন্ত' নাটকটি
নজরুলকে উৎসর্গ করেন। কুমিল্লার বিরজাসুন্দরী দেবীর
তিনি ৩৯ দিন পর অনশন ভঙ্গ করেন। জেলে
থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তা
। মাত্র ৪ পৃষ্ঠায় লিখিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন,
এটাকেই বলা হয় ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী'। এ প্রবন্ধে তিনি
নিজেকে ‘বিদ্রোহী কবি হিসেবে উল্লেখ করেন।
|
|
| |
|
|
|
• কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ 'শিউলিমালা' (১৯৩১)। - পদ্ম-গোখরা, জিনের বাদশা, অগ্নি- গিরি, শিউলিমালা- এ চারটি গল্প নিয়েই 'শিউলিমালা' গ্রন্থটি রচিত। - পদ্মগোখরা গল্প অবলম্বনে ১৯৭১ সালে খান আতাউর রহমান 'সুখ-দুঃখ" এবং ১৯৭৬ সালে মুস্তাফিজ 'মায়ার বাঁধন' নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
• মনসামঙ্গল কাব্যের কবি বিজয়গুপ্ত রচিত মনসামঙ্গল কাব্যগ্রন্থের একটি অংশের নাম ‘পদ্মপুরাণ। • বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত উপন্যাস 'পদ্মরাগ' (১৯২৪)। • মালিক মুহম্মদ জায়সীর হিন্দি ভাষায় রচিত 'পদুমাবৎ' অবলম্বনে আলাওল রচনা করেন ইতিহাস আশ্রিত রোমান্টিক প্রেমকাব্য ‘পদ্মাবতী’ (১৬৪৮)।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ২৪ মে, ১৮৯৯ সালে (বাংলা ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে। - ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। - করাচি সেনানিবাসে বসে নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা)। - ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন।
তাঁর সাহিত্যকর্ম হলো:
কাব্যগ্রন্থ: - অগ্নিবীণা, - বিষের বাঁশি, - ভাঙার গান, - সাম্যবাদী, - সর্বহারা, - ঝিঙে ফুল, - ফণি-মনসা, - দোলনচাঁপা, - জিঞ্জিরা, - প্রলয় শিখা ইত্যাদি
উপন্যাস: - বাঁধন-হারা, - মৃত্যুক্ষুধা, - কুহেলিকা।
প্রবন্ধগ্রন্থ: - রাজবন্দীর জবানবন্দি, - দুর্দিনের যাত্রী, - যুগবাণী, - রুদ্র মঙ্গল, - মন্দির ও মসজিদ, - আমি সৈনিক।
গল্পগ্রন্থ: - ব্যথার দান, - রিক্তের বেদন, - শিউলিমালা।
নাটক: - ঝিলিমিলি, - আলেয়া।
|
|
| |
|
|
|
- ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে কলম ধরায় কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ নিষিদ্ধ করা হয়। - 'নবযুগ' পত্রিকায় লেখা কাজী নজরুল ইসলামের কয়েকটি নিবন্ধের সংকলন 'যুগবাণী'। - এ গ্রন্থটিই প্রথম ২৩ নভেম্বর, ১৯২২ সালে ফৌজদারি বিধির-৯৯এ ধারানুসারে বাজেয়াপ্ত করা হয়। - তৎকালীন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে 'যুগবাণী'কে ভয়ংকর গ্রন্থ হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, লেখক বইটির মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করছেন; 'ক্রীতদাস মানসিকতার' ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে শাসনভার দখলের মন্ত্রণা যোগাচ্ছেন। - এদিনই কাজী নজরুল ইসলামকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয়।
সাহিত্য সমালোচক শিশির কর 'নিষিদ্ধ নজরুল' নামক গ্রন্থে ৫টি নিষিদ্ধ গ্রন্থের কথা উল্লেখ করেছেন। যথা: ১) যুগবাণী - নিষিদ্ধ: ২৩ নভেম্বর, ১৯২২ - প্রত্যাহার: ১৯৪৭
২) বিষের বাঁশী - নিষিদ্ধ: ২২ অক্টোবর, ১৯২৪ - প্রত্যাহার: ১৯৪৫
৩) ভাঙার গান - নিষিদ্ধ: ১১ নভেম্বর, ১৯২৪
৪) প্রলয়শিখা - নিষিদ্ধ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০
৫) চন্দ্রবিন্দু - নিষিদ্ধ: ১৪ অক্টোবর, ১৯৩১
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
'অগ্নিবীণা' (সেপ্টেম্বর, ১৯২২)। এ কাব্যে মোট ১২টি
কবিতা আছে। এ কাব্যের কবিতা 'বিদ্রোহী' 'সাপ্তাহিক
বিজলী' পত্রিকার ২২ ডিসেম্বর (১৯২১) জানুয়ারি (১৯২২)
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এ কবিতার জন্যই তাকে 'বিদ্রোহী
কবি বলা হয়। এ কবিতাটি অসহযোগ আন্দোলনের
(১৯২০-২২) প্রেক্ষাপটে লেখা।
|
|
| |
|
|
|
- 'সর্বহারা' কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। - ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে এই কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। স - র্বহারা কাব্যগ্রন্থে ১০ টি কবিতা রয়েছে: ১. সর্বহারা ২. কৃষাণের গান ৩. শ্রমিকের গান ৪. ধীবরদের গান ৫. ছাত্রদলের গান ৬. কাণ্ডারী হুশিয়ার ৭. ফরিয়াদ ৮. আমার কৈফিয়ত ৯. প্রার্থনা ১০. গোকুল নাগ
|
|
| |
|
|
|
- ‘হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান’ লাইনটি কাজী নজরুল ইসলামের 'দারিদ্র্য' কবিতার অন্তর্গত। - এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা। - 'দারিদ্র' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সিন্ধু হিন্দোল কাব্য গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। - ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
- 'দারিদ্র্য' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের সিন্ধু হিন্দোল কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। - কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। - অগ্নি-বীণা, বিষের বাঁশি, চক্রবাক, সিন্ধু-হিন্দোল ইত্যাদি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ। '
|
|
| |
|
|
|
- বিজলী ১৯২০ সালে প্রথম প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার নাম। - এটি একটি চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ছিলো, যার উদ্যোক্তা নলিনীকান্ত সরকার, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, শচ্চিদানন্দ সেনগুপ্ত, অরুণ সিংহ এবং দীনেশ রঞ্জন দাস। - এর সম্পাদকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো নলিনীকান্ত সরকার, প্রবোধকুমার সান্যাল প্রমুখ। - এই পত্রিকায় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি, ২২ পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ শুক্রবারে প্রথম কাজী নজরুল ইসলামের "বিদ্রোহী" কবিতা প্রকাশিত হয়। - সে সময় পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলো নলিনীকান্ত সরকার। - ঐদিন বিজলী পত্রিকা দুই বার ছাপতে হয়েছিল, যার সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজার। - মুজাফফর আহমদের কাছ থেকে জানা যায়, সেদিন কমপক্ষে দুই লাখ মানুষ বিদ্রোহী পড়েছিল। - প্রথম প্রকাশ নিয়ে মতভেদ আছে, প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন,বিদ্রোহী কবিতা প্রথমে মোসলেম ভারত-এ প্রকাশিত হয়। পরে সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকা প্রকাশ করে। - নজরুল সম্পাদিত 'ধূমকেতু' পত্রিকায় 'বিদ্রোহী' কবিতাটি পরে ১ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা, ২৬ শে শ্রাবণ, শুক্রবার, ১৩২৯, ১১ আগস্ট, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। সেখানে 'ধূমকেতু' পত্রিকার পৃষ্ঠা-৯-তে উল্লেখ করা।
|
|
| |
|
|
|
- কাজী নজরুল ইসলামের জীবনকাল (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রিঃ)।
- বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ২৪ মে, ১৮৯৯ সালে (বাংলা ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
- ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
- করাচি সেনানিবাসে বসে নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা)।
- ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগস্ট নজরুল ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন।
- পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
- ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
- তিনি ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬ সালে (বাংলা ১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩) মাত্র ৭৭ বছর বয়সে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ইহলোক ত্যাগ করেন। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হয়।
তাঁর সাহিত্যকর্ম হলো:
কাব্যগ্রন্থ: - অগ্নিবীণা, - বিষের বাঁশি, - ভাঙার গান, - সাম্যবাদী, - সর্বহারা, - ঝিঙে ফুল, - ফণি-মনসা, - দোলনচাঁপা, - জিঞ্জিরা, - প্রলয় শিখা ইত্যাদি
উপন্যাস: - বাঁধন-হারা, - মৃত্যুক্ষুধা, - কুহেলিকা।
প্রবন্ধগ্রন্থ: - রাজবন্দীর জবানবন্দি, - দুর্দিনের যাত্রী, - যুগবাণী, - রুদ্র মঙ্গল, - মন্দির ও মসজিদ, - আমি সৈনিক।
গল্পগ্রন্থ: - ব্যথার দান, - রিক্তের বেদন, - শিউলিমালা।
নাটক: - ঝিলিমিলি, - আলেয়া।
|
|
| |
|
|
|
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি' (১৯১৯)। এটি ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র জুলাই-আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। - কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গল্প/রচনা ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী' (১৯১৯); - ‘অগ্নিবীণা' (১৯২২) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত কবিতা ‘বিদ্রোহী'; - 'শিউলিমালা' (১৯৩১) গল্পগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত গল্প ‘পদ্মগোখরা’।
|
|
| |
|
|
|
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত অর্থ-সাপ্তাহিক পত্রিকা 'ধূমকেতু' (১৯২২)। - পত্রিকাটির প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন “কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন ।মন্তব্যটি পত্রিকার পাতার শীর্ষে লেখা থাকতো।
|
|
| |
|
|
|
ধূমকেতু কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬ শ্রাবণ (১৯২২ সালের ১১ আগস্ট) প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি শুরুতে ফুলস্কেপ কাগজের চার পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হতো এবং পরে আট পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হতো। পত্রিকাটির সর্বশেষ সংস্করণ ১৯২৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|