মীর মশাররফ হোসেন (77 টি প্রশ্ন )
- মীর মশাররফ হোসেনের 'সঙ্গীত লহরী' গ্রন্থেই হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী বর্ণিত হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কাব্যগ্রন্থ যেখানে কবি হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তাঁর জীবন সংগ্রাম এবং আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাসের কাহিনী তুলে ধরেছেন।
- 'বিষাদ সিন্ধু' গ্রন্থটি কারবালার যুদ্ধ ও হযরত হোসেন (রাঃ) এর শাহাদাতের ঘটনা নিয়ে রচিত।

-মীর মশাররফ হোসেন একজন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও গদ্যরচয়িতা।
-তাঁর ছদ্মনাম 'গাজী মিয়া'।
-তিনি 'বিষাদসিন্ধু' নামক ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন।
-তাঁর রচিত প্রথম গ্রন্থ 'রত্নবতী'। এটি বাঙালি মুসলমান রচিত প্রথম উপন্যাস।
মুসলিম লেখকদের মধ্যে প্রথম উপন্যাস রচয়িতা - মীর মশাররফ হোসেন। তিনি প্রথম মুসলিম গদ্য রচয়িতা।
- তার প্রথম উপন্যাস রত্নবতী। 
- তার শ্রেষ্ঠ রচনা  বিষাদসিন্ধু।
- তার বসন্তকুমারী ও বেহুলা গীতাভিনয় হচ্ছে - নাটক এবং গো-জীবন প্রবন্ধ গ্রন্থ।

১৮৯০ সালে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় 'হিতকরী' পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। 
- মীর মশাররফ হোসেন রচিত উপন্যাস 'বিষাদসিন্ধু' (১৮৮৫-৯১)।
- উপন্যাসটি মহররম পর্ব, উদ্ধার পর্ব, এজিদবধ পর্ব নামে তিন খণ্ডে বিভক্ত এবং এতে উপসংহারসহ ৬৩টি অধ্যায় রয়েছে।
- এটি ইতিহাস, উপন্যাস, সৃষ্টিধর্মী রচনা ও নাটক ইত্যাদি সাহিত্যের বিবিধ সংমিশ্রণে রোমান্টিক আবেগ মাখানো এক মহাকাব্যিক উপন্যাস। হিজরি ৬১ সালের মহররম মাসে ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহম্মদ (স.) এর দৌহিত্র ইমাম হাসান ও হোসেনের সাথে উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের কারবালার প্রান্তরে যুদ্ধ এর বিষয়বস্তু।
- মশাররফ রচিত অন্যান্য উপন্যাস: 'রত্নবর্তী' (১৮৬৯), 'উদাসীন পথিকের মনের কথা (১৮৯০), 'তাহমিনা' (১৮৯৭)।
• রত্নবতী (উপন্যাস) - মীর মশাররফ হোসেন

• রত্নাবলী (নাটক) - রামনারায়ণ তর্করত্ন
• রত্নদ্বীপ (উপন্যাস) - প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
• রত্নপরীক্ষা (গদ্যগ্রন্থ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন।
- কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘বিষাদ-সিন্ধু’ মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
- উপন্যাসটিতে তিনটি পর্ব আছে। ১)‘মহরম পর্ব’, ২) ‘উদ্ধার পর্ব’ ও ৩) ‘এজিদবধ পর্ব’।
- তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো উদাসীন পথিকের মনের কথা।
- তার রচিত নাটকের মধ্যে বসন্তকুমারী, জমিদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়, টালা অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
- মশাররফ হোসেন রচিত ‘রত্নবতী’ (১৮৬৯) মুসলিম রচিত প্রথম বাংলা গদ্যগ্রন্থ।
- মীর মশাররফ হোসেন ১৩ নভেম্বর, ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর ছদ্মনাম গাজী মিয়াঁ।
- তাঁর সাহিত্য গুরু কাঙাল হরিনাথ।
- তিনি কলকাতার 'সংবাদ প্রভাকর' (১৮৩১) ও কুমারখালির 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' (১৮৬৩) পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন।
- তিনি 'আজিজননেহার' (১৮৭৪) ও 'হিতকরী' (১৮৯০) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
- তিনি ১৯ ডিসেম্বর, ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

তাঁর রচিত আত্মজীবনীসমূহ:
- 'গাজী মিয়ার বস্তানী' (১৮৯৯): এটি আত্মজীবনীমূলক ব্যঙ্গাত্মক রচনা। 
- 'আমার জীবনী' (১৯১০), 
- 'কুলসুম জীবনী' (১৯১০)। 

মীর মশাররফ হোসেন রচিত নাটকসমূহ: 
- 'বসন্তকুমারী' (১৮৭৩): এটি বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত প্রথম নাটক। মশাররফ এটি নওয়াব আব্দুল লতিফ কে উৎসর্গ করেন।
- 'বেহুলা গীতাভিনয়' (১৮৮৯), 
- 'জমীদার দর্পণ' (১৮৭৩),
- 'নিয়তি কি অবনতি' (১৮৮৯),
- 'টালা অভিনয়' (১৮৯৭)।


- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন।
- কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘বিষাদ-সিন্ধু’ মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
- উপন্যাসটিতে তিনটি পর্ব আছে। ১)‘মহরম পর্ব’, ২) ‘উদ্ধার পর্ব’ ও ৩) ‘এজিদবধ পর্ব’।
- তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো উদাসীন পথিকের মনের কথা।
- তার রচিত নাটকের মধ্যে বসন্তকুমারী, জমিদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়, টালা অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
- মশাররফ হোসেন রচিত ‘রত্নবতী’ মুসলিম রচিত প্রথম বাংলা গদ্যগ্রন্থ।
মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘গো-জীবন (১৮৮৯)।
-ভারতীয় উপমহাদেশে গরু কোরবানি নিয়ে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে যে দ্বান্দ্বিক অবস্থান, সেটিই ‘গো-জীবন’ প্রবন্ধের মূল উপজীব্য। লেখকের মতে, কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে যে কোনো কারণেই হোক গো-হত্যা অনুচিত। হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের অনুসারীদের একত্র করার প্রয়াসে তিনি এটি রচনা করেন। কিন্তু প্রবন্ধটি রচনার কারণে তাঁকে কাফের বলে ‘তওবা’ করতে বলা হয় এবং তাঁর স্ত্রীকে হারাম জারি করা হয়। পরবর্তীতে তিনি একটি মামলা দায়ের করলেও বিষয়টি আপসের মাধ্যমে মিমাংসিত হয়।
-এ গ্রন্থের প্রতিক্রিয়ায় মৌলভী নইমুদ্দীন রচনা করেন ‘গো-কাণ্ড' (১৯৮৯)। বৃদ্ধ রাজা বীরেন্দ্র সিংহের যুবতী স্ত্রী রেবতী সপত্নী পুত্র নরেন্দ্র সিংহকে প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখাত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরিণামে সমগ্র রাজ পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়, যা বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত প্রথম নাটক ‘বসন্তকুমারী’র মূল বিষয়।
-উনিশ শতকে এক শ্রেণির লোক স্ত্রীর প্রতি অবহেলা দেখিয়ে মদ ও পতিতাবৃত্তিতে আকৃষ্ট হয়ে নানা ধরনের অনাচার ও উচ্ছৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়েছিল, সেটিই বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত প্রথম প্রহসন ‘এর উপায় কি' (১৮৭৫) এর মূল বিষয়।
-মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর শৈশব ও কৈশোর থেকে শুরু করে তাঁর নেতৃত্বে ইসলামের বিজয় পতাকা কীভাবে একের পর এক রক্তাক্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিষ্ঠিত হলো তারই ঘটনালেখ্য রচিত হয়েছে এসলামের জয়' (১৯০৮) প্রবন্ধ গ্রন্থে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য মুসলিম সাহিত্যিক বা গদ্য লেখক, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন। তিনি কাব্য, নাটক, প্রহসন, উপন্যাস ও প্রবন্ধ রচনা করে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রচিত সমৃদ্ধ ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
- মীর মশাররফ হোসেন ১৩ নভেম্বর, ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- ছদ্মনাম গাজী মিয়া।
- তাঁর সাহিত্য গুরু কাঙাল হরিনাথ।
- তিনি কলকাতার ‘সংবাদ প্রভাকর’ (১৮৩১) ও কুমারখালির ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ (১৮৬৩) পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন ।
তিনি ‘আজিজননেহার' (১৮৭৪) ও ‘হিতকরী’ (১৮৯০) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
- তিনি ১৯ ডিসেম্বর, ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। (১৯১১- উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা অনুসারে), (১৯১২- বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান অনুসারে)
- মীর মশাররফ হোসেনের রচিত প্রথম উপন্যাস 'রত্নবতী'।
- এটি ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। 
- এটিকে মুসলিম রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস বলা হয়, এটি রুপকথার মাধ্যমে শিখামূলক দীর্ঘমুলক গল্প।
মুসলিম লেখকদের মধ্যে প্রথম উপন্যাস রচয়িতা - মীর মশাররফ হোসেন। তিনি প্রথম মুসলিম গদ্য রচয়িতা।
- তার প্রথম উপন্যাস রত্নবতী। 
- তার শ্রেষ্ঠ রচনা  বিষাদসিন্ধু।
- তার বসন্তকুমারী ও বেহুলা গীতাভিনয় হচ্ছে - নাটক এবং গো-জীবন প্রবন্ধ গ্রন্থ।

১৮৯০ সালে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় 'হিতকরী' পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। 
• ১৯ মে, ১৮৬৫ সালে মশাররফ হোসেনের সাথে নাদির হোসেনের সুন্দরী কন্যা লতিফননেসার বিবাহ স্থির হয়। কিন্তু বিয়ের রাতে নাদির হোসেন কর্তৃক কন্যা বদল করে তাঁর কুরূপা ও বুদ্ধিহীনা কন্যা আজিজননেসার সাথে মশাররফের বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাই      দাম্পত্য জীবনে তিনি সুখী হননি। ফলে তিনি বিবি কুলসুমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন ।
- মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন উপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক।
- তিনি প্রহসন, উপন্যাস এবং প্রবন্ধ রচনায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। কিন্তু তিনি ট্রাজেডি রচনা করেননি।
- তাই, মীর মশাররফ হোসেনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয় এমন ধরনের সাহিত্যকর্ম হল ট্রাজেডি।
-মীর মশাররফ হোসেন রচিত নাটক হলো ' বসন্তকুমারী' (১৮৭৩), 'জমিদার দর্পণ' (১৮৭৩), 'বেহুলা গীতাভিনয়' (১৮৮৯), ।
- তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা হলো: গোরাই-ব্রিজ অথবা গৌরী-সেতু ,এর উপায় কি , বিষাদ-সিন্ধু ,
সঙ্গীত লহরী , গো-জীবন ,উদাসীন পথিকের মনের কথা , তহমিনা , টালা অভিনয়,গাজী মিয়াঁর বস্তানী ,
মৌলুদ শরীফ , মুসলমানদের বাঙ্গালা শিক্ষা ইত্যাদি।
-গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও গদ্যরচয়িতা৷ তাকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক বলা হয়। মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
মীর মশাররফ হোসেন রচিত আত্মজীবনী:
- গাজী মিয়াঁর বস্তানী,
- আমার জীবনী,
- কুলসুম জীবনী।

প্রবন্ধ:
- গো-জীবন
- গোকুল নির্মূল আশঙ্কা

গ্রন্থ:
- উদাসীন পথিকের মনের কথা
- গাজী মিয়াঁর বস্তানী

তাঁর রচিত প্রহসন:
- এর উপয় কি, ভাই ভাই এইতো চাই,
- ফাঁস কাগজ,
- বাঁধা খাতা।

নাটক:
- বসন্তকুমারী নাটক
- জমীদার দর্পণ
- বেহুলা গীতাভিনয়
- বঙ্কিম-রবীন্দ্র যুগে আর্বিভুত হয়েও যে কয়জন সাহিত্যিক আপন স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে পেরে ছিলেন মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২) ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বিষয় বৈচিত্র্য, জীবন-চেতনা ও শিল্প-শৈলীর প্রশ্নে তিনি উনিশবিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের এক স্বতন্ত্র ভুবনের স্রষ্টা।
- ‘বিষাদ সিন্ধু’ই হলো তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। ‘বিষাদ সিন্ধু’র মধ্যে দিয়েই তিনি বাঙালি পাঠকের কাছে ব্যাপক ভাবে পরিচিতি লাভ করেন।
- নাটক ও প্রহসন রচনার ক্ষেত্রেও তিনি অর্জন করেন অপরিসীম সাফল্য।
- তাঁর রচিত নাটকগুলো হলো-‘বসন্তকুমারী নাটক’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘বেহুলা গীতাভিনয়’, ‘টালা অভিনয়’, এবং
- প্রহসনগুলো হলো- ‘এর উপায় কি’, ‘ভাই ভাই এইতো চাই’, ‘ফাঁস কাগজ’, ও ‘একি’।
প্যারীসুন্দরী- চরিত্রটি মীর মশাররফ হোসেনের সৃষ্টি। এটি তাঁর রচিত আত্মজীবনী "উদাসীন পথিকের মনের কথা" থেকে নেয়া হয়েছে। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ- রত্নবতী, জমিদার দর্পন, তাহমিনা, ফাস কাগজ, বিষাদ সিন্ধু ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
'বিষাদ সিন্ধু'(১৮৮৫-১৮৯১) মীর মশাররফ হোসেনের একটি ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস। এই উপন্যাসের চরিত্র: ইয়াজিদ, ইমাম হোসেন, মাওয়ান, ইমাম হাসান, জোবেদা ইত্যাদি। এটি একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস ।

মীর মশাররফ হোসেন এর অন্যান্য রচনা:
কাব্যগ্রন্থ:
- মোসলেম বীরত্ব
- গড়াই ব্রিজ বা গৌরী সেতু 

উপন্যাস:
- রত্নাবতী
- বিষাদ সিন্ধু
- গাজী মিয়ার বস্তানী


গো-জীবন গ্রন্থের রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন। প্রকাশকাল- ১৮৮৯। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ- উদাসীন পথিকের মনের কথা, তহমিনা, টালা অভিনয়, নিয়তি কি অবনতি, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, ভাই ভাই এইত চাই, ফাস কাগজ ইত্যাদি।
সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন তার ‘গোজীবন’ প্রবন্ধে গরুর গোশত আহার করা থেকে মুসলমানদের বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন। টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত, আবদুল হামিদ খান ইউসুফজয়ী সম্পাদিত, ‘আহমদী’ পত্রিকায় ‘গোজীবনে’র প্রথম প্রস্তাব ‘গোকুল নির্মূল আশঙ্কা’ ছাপা হলে স্থানীয় অন্য একটি পত্রিকা ‘আখবারে এসলামিয়া’র সমালোচনায় বলা হয়- মীর সাহেব মুসলমান নয়। এ উক্তির সমর্থনে আরো রচনা পত্রস্থ হয় এবং টাঙ্গাইলের সাব ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভী শফিউদ্দীনের বাসগৃহে মাহফিল করে লেখককে ‘কাফির’ স্থির করা হয় এবং তার স্ত্রী তালাক হবার ফতোয়াও জারি করা হয়। ক্ষুব্ধ মীর মশাররফ হোসেন এদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করে।
মীর মশাররফ হোসেনের রচিত প্রথম গ্রন্থ রত্নবতী(১৮৬৯)। এটিকে মুসলিম রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস বলা হয়, এটি রুপকথার মাধ্যেমে শিখামূলক দীর্ঘমুলক গল্প।
হিতকরী হল মশাররফ হোসেন সম্পাদিত পত্রিকা।
‘এর উপায় কি?’ হলো তার একমাত্র প্রহসন।
এর উপায় কি?' হলো মীর মশাররফ হোসেন রচিত একমাত্র প্রহসন।এর প্রথম প্রকাশ ১৮৭৫। ২য় প্রকাশ ১৮৯২ সালে। এ প্রহসনে মধুসূদন দত্তের 'একেই কি বলে সভ্যতা'র প্রভাব রয়েছে।দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন হলো 'জামাইবারিক'(১৮৭২)। 'একেই কি বলে সভ্যতা?'(১৮৬০) এর রচয়িতা মাইকেল মধুসূদন দত্ত। 'কিঞ্চিৎ জলযোগ'(১৮৭২) প্রহসনটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত।

মীর মশাররফ হোসেন এর অন্যান্য রচনা: কাব্যগ্রন্থ:
- মোসলেম বীরত্ব
- গড়াই ব্রিজ বা গৌরী সেতু

উপন্যাস:
- রত্নাবতী
- বিষাদ সিন্ধু
- গাজী মিয়ার বস্তানী

মুহম্মদ খানের ' মুক্তল হোসেন” কারবালার কাহিনী বিষয়ক মর্সিয়া সাহিত্য। কারবালায় শহীদ ইমাম হোসেন ও অন্যান্য শহীদদের উদ্দেশে লিখিত শোকগাথা ও প্র্রশংসামূলক কবিতা মর্সিয়া সাহিত্য নামে অভিহিত হয়েছে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মর্সিয়া কাব্য মক্তুল হোসেন। এ কাব্যের রচয়িতা চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার জোবরা গ্রামের অধিবাসী মুহম্মদ খান (১৫৮০-১৬২০ খ্রি.)। এ কাব্যটি ফারসি কাব্য মক্তুল হোসেন এর ভাবানুবাদ হলেও এতে কবির নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও কল্পনার প্রাধান্য আছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-  মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
- মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
- গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক ‘কাঙাল হরিনাথ’ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
- মীর মশাররফ আজিজননেহার (১৮৭৪) ও হিতকরী (১৮৯০) নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
- মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0