মাইকেল মধুসূদন দত্ত (185 টি প্রশ্ন )

• ‘শর্মিষ্ঠা’ মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রকাশিত বাংলা নাটক, যা বাংলা নাট্যসাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
• কলকাতার পাইকপাড়ার রাজাদের অনুপ্রেরণায় এবং বেলগাছিয়া থিয়েটারের জন্য ১৮৫৮ সালে নাটকটি রচিত হয়। রাজাদের আর্থিক সহায়তায় ১৮৫৯ সালের জানুয়ারিতে নাটকটি প্রকাশিত হয় এবং একই বছরের ৩রা সেপ্টেম্বর বেলগাছিয়া থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
• ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকে পাশ্চাত্য নাট্যরীতির প্রভাব স্পষ্ট, বিশেষত চরিত্র নির্মাণ, সংলাপ এবং নাট্যগঠন কাঠামোয়। এটি বাংলা নাটকে আধুনিকতার ছোঁয়া আনে এবং নাট্যরচনায় নতুন মাত্রা যোগ করে।
• নাটকটির কাহিনি নেওয়া হয়েছে পুরাণের যযাতি-শর্মিষ্ঠা-দেবযানীর গল্প থেকে, যেখানে প্রেম, ত্যাগ, দ্বন্দ্ব ও মানবিক মূল্যবোধের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• মধুসূদন দত্ত নিজেই নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন, যা তাঁর বহুভাষিক প্রতিভার পরিচয় বহন করে।
• উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: যযাতি (রাজা), দেবযানী (রাজকন্যা), শর্মিষ্ঠা (দাসী ও প্রধান চরিত্র), মাধব্য, পূর্ণিমা, রাজমন্ত্রী প্রমুখ। প্রতিটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে নাটকটি সামাজিক ও নৈতিক দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।
• ‘শর্মিষ্ঠা’ ছাড়াও মধুসূদন দত্তের উল্লেখযোগ্য নাটক হলো: ‘পদ্মাবতী’ ও ‘কৃষ্ণকুমারী’। এই নাটকগুলোতেও তিনি পাশ্চাত্য নাট্যরীতির ছাপ রেখে বাংলা নাট্যসাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।
• মধুসূদন দত্তের নাটকসমূহ বাংলা সাহিত্যে আধুনিক নাট্যচর্চার ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরবর্তী নাট্যকারদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠে।


- মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের মহাকবি, নাট্যকার, বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
- তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়।
তাঁর রচিত কাব্য-
- ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ (১৮৬০): এটি বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। মহাভারতের সুন্দ-উপসুন্দ কাহিনী অবলম্বনে রচিত কাহিনীকাব্য। এটি যতীন্দ্রমোহন বাগচীকে উৎসর্গ করেন।
- রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বীর রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাবের সংমিশ্রণে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সার্থক মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য' (১৮৬১)।
- ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক করে তিনি রচনা করেন এই অমর মহাকাব্য।
- বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ থেকে মেঘনাদ হত্যা, প্রমীলার চিতারোহণ পর্যন্ত নয় খণ্ডে মোট তিন দিন ও দুই রাতের ঘটনায় সম্পন্ন 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
- এটি প্রথম ইংরেজিতে অনুবাদ করেন রাজনারায়ণ বসু। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন এটি মুদ্রণের ব্যয়বহনকারী রাজা দিগম্বর মিত্রকে।
- চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা।
-কবিতার পঙ্ক্তির শেষে মিলহীন ছন্দকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে।
-এ ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
-অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতায় চরণের অন্ত্যমিল থাকে না।
-প্রতি পঙ্ক্তিতে ১৪ অক্ষর থাকে, যা ৮+৬ পর্বে বিভক্ত।
-একে প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দও বলে।
-অক্ষরবৃত্ত ছন্দের প্রত্যেক চরণ দুই পর্বের এবং চরণের মাত্রা বিন্যাস ৮+৬ = ১৪।
-অমিত্রাক্ষর ছন্দেরও প্রত্যেক চরণের মাত্রা ৮+৬ পর্বে বিভক্ত।
-অক্ষরবৃত্ত ছন্দের পূর্বরূপ পয়ার। পয়ারে দুইটি চরণ এবং প্রতি চরণে দুইটি পর্ব থাকে। প্রথম পর্বের মাত্রা সংখ্যা আট এবং দ্বিতীয় পর্বের মাত্রা সংখ্যা ছয়। ১৪ মাত্রার চরণ দুইটি পরস্পর মিত্রাক্ষর হয়। এতে প্রতি চরণের শেষে ভাবের আংশিক বা সামগ্রিক পরিসমাপ্তি ঘটে এবং পূর্ণযতি চিহ্ন পড়ে।
-কিন্তু অমিত্রাক্ষর ছন্দে পক্তির শেষে মিল নেই। এ ছন্দে এক পঙ্ক্তিতে বক্তব্য শেষ না হলে অন্য পঙ্ক্তিতে গড়ানো যায়। ফলে যতিচিহ্ন ব্যবহারের স্বাধীনতা থাকার কারণে বড় ধরনের ভাব প্রকাশ করা সহজ হয়। সে লক্ষ্যেই মাইকেল মধুসূদন দত্ত অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব-রূপায়ণ ঘটান অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের মাধ্যমে।

-অক্ষরবৃত্ত ছন্দের উদাহরণ:
মরিতে চাহি না আমি / সুন্দর ভুবনে (৮+৬)
মানবের মাঝে আমি / বাঁচিবারে চাই (৮+৬)
                                  -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদাহরণ:
সম্মুখ-সমরে পড়ি, বীর চূড়ামণি
বীর বাহু চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি,
কোন বীরবরে রবি সেনাপতি পদে,
পাঠাইলা, রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি
        রাঘবারি।
                             -মাইকেল মধুসূদন দত্ত


- রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বীর রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাবের সংমিশ্রণে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সার্থক মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য' (১৮৬১)।
- ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক করে তিনি রচনা করেন এই অমর মহাকাব্য।
- বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ থেকে মেঘনাদ হত্যা, প্রমীলার চিতারোহণ পর্যন্ত নয় খণ্ডে মোট তিন দিন ও দুই রাতের ঘটনায় সম্পন্ন 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
- প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা।
দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬০ সালে রচনা করেন নীল দর্পণ নাটক। এটি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রাথমিক আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক নাটক। দীনবন্ধু মিত্র সাতটি নাটক ও প্রহসন লিখেছিলেন। 
তাঁর গভীর রসের নাটক হলঃ 
- নীলদর্পণ'(১৮৬০),
- 'নবীন তপস্বিনী'(১৮৬৩),
- 'কমলে কামিনী'।

আর চারটি প্রহসন হল
- 'বিয়ে পাগলা বুড়ো',
- 'সধবার একাদশী'
- 'লীলাবতী',
- 'জামাই বারিক' ।
• আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)।
• তার প্রকৃত নাম- কাজেম আল কোরেশী। কায়কোবাদ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম।
• তিনি মুসলমান কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম সনেট এবং মহাকাব্য রচনা করেন।
• 'মহাশ্মশান' কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ রচনা। এটি একটি মহাকাব্য।
• এটি প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালে।
• এর উপজীব্য ১৭৬১ সালে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ।
• মহাশ্মশান কাব্যের মোট তিনটি খণ্ড রয়েছে এবং ৬০টি সর্গ আছে।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ হলোঃ
- অশ্রুমালা (গীতিকাব্য),
- কুসুমকানন,
- শিবমন্দির,
- বিরহ বিলাপ,
- শ্মশানভষ্ম,
- অমিয়ধারা,
- মহররম শরীফ,
- প্রেম পারিজাত,
- মন্দাকিনী ধারা ইত্যাদি।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
- তিনিই বাংলায় প্রথম সনেট রচনা করেন এবং তার নাম দেন ‘চতুর্দশপদী’।
- বাংলা সনেটের আদি গ্রন্থ ‘চতুর্দশপদী কবিতা’ (১৮৬৬)।
- তাঁর ছদ্মনাম টিমোথি পেনপোয়েম।
- তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।
- বাংলা কবিতায় ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তন করেন।

তাঁর রচিত নাটক ও প্রহসনঃ
- শর্মিষ্ঠা নাটক (১৮৫৯)
- কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১)
- মায়া-কানন (১৮৭৪)
- একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০)
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
- পদ্মাবতী নাটক (১৮৬০)।

তাঁর রচিত কাব্যঃ
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০)
- মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫)
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১)
- বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)।
- 'কপোতাক্ষ নদ' সনেট জাতীয় কবিতা;
- 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
- 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

-'বঙ্গভাষা' কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
-প্রতিটি চরণে ১৪ মাত্রায় দুটি পর্ব ।
-প্রথম পর্ব ৮ মাত্রার ও দ্বিতীয় পর্ব ৬ মাত্রার ।
-এই সনেটে কবি শুধু তার সুগভীর হৃদয়াবেগকেই প্রকাশ করেননি, সব কিছুকে ছাপিয়ে উঠেছে মাতৃভাষার মহিলা এবং ঐ ভাষার প্রতি কবির সুগভীর দরদ ।
-যেমন কবির ভাষায়- হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন; তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, 


মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ' তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য ' বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্য । তার রচিত আরো কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ- ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী ।
• আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)।
• তার প্রকৃত নাম- কাজেম আল কোরেশী। কায়কোবাদ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম।
• তিনি মুসলমান কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম সনেট এবং মহাকাব্য রচনা করেন।
• 'মহাশ্মশান' কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ রচনা। এটি একটি মহাকাব্য।
• এটি প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালে।
• এর উপজীব্য ১৭৬১ সালে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ।
• মহাশ্মশান কাব্যের মোট তিনটি খণ্ড রয়েছে এবং ৬০টি সর্গ আছে।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ হলোঃ
- অশ্রুমালা (গীতিকাব্য),
- কুসুমকানন,
- শিবমন্দির,
- বিরহ বিলাপ,
- শ্মশানভষ্ম,
- অমিয়ধারা,
- মহররম শরীফ,
- প্রেম পারিজাত,
- মন্দাকিনী ধারা ইত্যাদি।
- মাইকেল মধুসূদন দত্তের রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক কাব্যগ্রন্থের নাম "ব্রজাঙ্গনা"। এই কাব্যগ্রন্থে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনীকে কেন্দ্র করে রচিত কবিতাগুলি মধুসূদনের সাহিত্যকর্মে ভক্তিমূলক ভাবের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
- মিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত এ কাব্যগ্রন্থ ওড (Ode) জাতীয় গীতিকবিতা স্থান পেয়েছে।

• তাঁর রচিত নাটক ও প্রহসনঃ
- শর্মিষ্ঠা নাটক (১৮৫৯)
- কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১)
- মায়া-কানন (১৮৭৪)
- একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০)
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
- পদ্মাবতী নাটক (১৮৬০)।

• তাঁর রচিত কাব্যঃ
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০)
- মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫)
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১)
- বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)।
- রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বীর রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাবের সংমিশ্রণে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সার্থক মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য' (১৮৬১)।

- ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক করে তিনি রচনা করেন এই অমর মহাকাব্য।
- বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ থেকে মেঘনাদ হত্যা, প্রমীলার চিতারোহণ পর্যন্ত নয় খণ্ডে মোট তিন দিন ও দুই রাতের ঘটনায় সম্পন্ন 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
- এটি প্রথম ইংরেজিতে অনুবাদ করেন রাজনারায়ণ বসু। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন এটি মুদ্রণের ব্যয়বহনকারী রাজা দিগম্বর মিত্রকে
- প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা।

তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্য:
- The Captive Lady (১৮৪৯),
- 'তিলোত্তমাসম্ভব' (১৮৬০),
- 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' (১৮৬৬),
- 'বীরাঙ্গনা' (১৮৬২),
- 'ব্রজাঙ্গনা' (১৮৬১),
- 'Visions of the Past' (১৮৪৯)।

নাটক:
- 'শর্মিষ্ঠা' (১৮৫৯),
- 'পদ্মাবতী' (১৮৬০),
- 'কৃষ্ণকুমারী' (১৮৬১),
- 'মায়াকানন' (১৮৭৪);

প্রহসন:
- 'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' (১৮৫৯),
- 'একেই কি বলে সভ্যতা' (১৮৫৯)।
- মাইকেল মধুসূদন দত্তের রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক কাব্যগ্রন্থের নাম "ব্রজাঙ্গনা"। এই কাব্যগ্রন্থে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনীকে কেন্দ্র করে রচিত কবিতাগুলি মধুসূদনের সাহিত্যকর্মে ভক্তিমূলক ভাবের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
- মিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত এ কাব্যগ্রন্থ ওড (Ode) জাতীয় গীতিকবিতা স্থান পেয়েছে।

• তাঁর রচিত নাটক ও প্রহসনঃ
- শর্মিষ্ঠা নাটক (১৮৫৯)
- কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১)
- মায়া-কানন (১৮৭৪)
- একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০)
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
- পদ্মাবতী নাটক (১৮৬০)।

• তাঁর রচিত কাব্যঃ
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০)
- মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫)
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১)
- বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য 'বীরাঙ্গনা'।
- এতে মোট ১১ টি পত্র আছে ।
- দুস্মন্তের প্রতি শকুন্তলা, দশরথের প্রতি কৈকেয়ী, সমের প্রতি তারা উল্লেখযোগ্য পত্র ।
- এটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে উৎসর্গ করেন
- ব্রজাঙ্গনা মাইকেল মধুসূদন দত্তের গীতিকাব্য ।


তাঁর বাংলা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো:
- তিলোত্তমাসম্ভবকাব্য
- মেঘনাবধকাব্য
- ক্যাপটিভ লেডি
- ভিশনস অফ দি পাস্ট
- বীরাঙ্গনা
- ব্রজাঙ্গনা
মধুসূদনের কাব্যে এক ধরনের নারীবিদ্রোহের সুর লক্ষ্য করা যায়। তাঁর 'বীরাঙ্গনা' (১৮৬২) পত্রকাব্যে জনা, কৈকেয়ী, তারা প্রমুখ পৌরাণিক নারী চরিত্ররা স্বামী বা প্রেমিকদের কাছে নিজেদের কামনা-বাসনা ও চাওয়া-পাওয়ার কথা নির্ভীকচিত্তে প্রকাশ করে। এই চিত্রায়ণ যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত, আত্ম সুখ-দুঃখ প্রকাশে অনভ্যস্ত ও ভীত ভারতীয় নারীদের আত্মসচেতন ও প্রতিবাদী হয়ে ওঠার প্রতীক হিসেবে কাজ করে, যা তৎকালীন সমাজে নারী জাগরণের সূচনা নির্দেশ করে।
মেঘনাদবধ কাব্য ১৯-শতকীয় বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা একটি মহাকাব্য।
- এটি ১৮৬১ সালে দুই খণ্ডে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
- কাব্যটি মোট নয়টি সর্গে বিভক্ত।
- মেঘনাদবধ কাব্য হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণ অবলম্বনে রচিত। ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ ইংরেজিতে প্রথম অনুবাদ করেন রাজনারায়ণ বসু।
- মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন








মেঘনাদবধ কাব্য ১৯-শতকীয় বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা একটি মহাকাব্য।
- এটি ১৮৬১ সালে দুই খণ্ডে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
- কাব্যটি মোট নয়টি সর্গে বিভক্ত।
- মেঘনাদবধ কাব্য হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণ অবলম্বনে রচিত। ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ ইংরেজিতে প্রথম অনুবাদ করেন রাজনারায়ণ বসু।
- মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবোধ কাব্য ' এর ' বোধো ' নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ ' কবিতার পঙক্তি 'এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে '।এ কবিতার কেন্দ্রীয় চরিত্র মেঘনাদকে অরিন্দম বোঝানো হয়েছে। অরি বা শত্রুকে দমন করে যে ,সেই অরিন্দম ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- বাংলা কাব্য সাহিত্যে আধুনিকতার জনক মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
- তার রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য' বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য ।
- 'রামায়ণ'- এর কাহিনি অবলম্বনে রচিত এ মহাকাব্যে সর্গ সংখ্যা রয়েছে নয়টি ।
- এ মহাকাব্যের জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
- তার রচিত আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0