বাংলা সাহিত্যর যা কিছু প্রথম (185 টি প্রশ্ন )
- ১৭৪৩ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে প্রকাশিত ঢাকার ভূষনার জমিদারপুত্র দোম অ্যান্টনিও রচিত বাঙালির লেখা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ 'ব্রাহ্মণ রোমান ক্যাথলিক সংবাদ' গ্রন্থটিকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রাথমিক প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
- এ গ্রন্থগুলো যেহেতু আধুনিক বাংলা ভাষায় রচিত। তাই বলা যায়, বাংলা গদ্য আধুনিক যুগের ভাষার নিদর্শন।








ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন




কামিনী রায় (১৮৬৪ – ১৯৩৩)
- পরিচয়: কামিনী রায় ছিলেন বাঙালি কবি, সমাজকর্মী ও নারীশিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিককার নারী কবিদের মধ্যে অন্যতম।

জীবনপঞ্জি
- জন্ম: ১২ অক্টোবর, ১৮৬৪; বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রাম (বর্তমান বরিশাল, বাংলাদেশ)।
- পিতা: চণ্ডীচরণ সেন (ঐতিহাসিক উপন্যাসিক ও বিচারক)।
- প্রথম কাব্যগ্রন্থ: আলো ও ছায়া (১৮৮৯)।
- পুরস্কার: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক (১৯২৯)।
- মৃত্যু: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩।

প্রধান সাহিত্যকীর্তি
- কাব্যগ্রন্থ
- আলো ও ছায়া (১৮৮৯)
- নির্মাল্য
- পৌরাণিকী
- গুঞ্জন (শিশুকাব্য)
- ধর্মপুত্র (অনুবাদ)
- মাল্য ও নির্মাল্য
- অশোকসঙ্গীত (সনেট)

নাটক
- অম্বা

সাহিত্যরীতি ও অবদান
- সহজ অথচ আবেগময় কাব্যভাষা।
- মানবিক বোধ, সমাজসচেতনতা ও নারীজাগরণের অগ্রদূত।
- বাংলা কাব্যসাহিত্যে প্রথম সারির নারীস্রষ্টাদের মধ্যে অন্যতম।
✔ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে তিনি 'মধুকবি' নামে পরিচিত।
✔ তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকবি,তাঁর রচিত প্রথম মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
✔ বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
✔ তাঁকে বলা হয় দত্তকুলোদ্ভব কবি।
✔ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি।
✔ বাংলা নাটকের পথিকৃৎ।
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কৃষ্ণকুমারী।
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহিলা/নারী কবি হলেন মনসামঙ্গল কাব্যের কবি দ্বিজ বংশীদাসের কন্যা চন্দ্রাবতী। তিনি ষোড়শ শতকের কবি। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা ও রামায়ণ তাঁর রচিত কাব্য।
পত্রোপন্যাস বা পত্র উপন্যাস হলো ধারাবাহিকভাবে লিখিত চিঠি বা পত্রের আকারে লেখা একটি উপন্যাস। সাধারণত চিঠিপত্রের রূপে লেখা হলেও দিনপঞ্জী, পত্রিকার খণ্ডাংশ (কাটিং) এবং অন্যান্য নথিপত্র ব্যবহার করেও লেখা যায়। কাজী নজরুলের রচিত প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা’ .
- 'বাঁধন-হারা' বাংলা সাহিত্যে প্রথম পত্রোপন্যাস।
- এটি ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র : নুরু, মাহবুবা, রাবেয়া
- উইলিয়াম কেরী রচিত বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ এবং বাংলা ভাষার কথ্যরীতির প্রথম নিদর্শন ‘কথোপকথন’ (১৮০১)।
- একাধিক মানুষের মুখের সাধারণ কথা বা কথোপকথন বা ডায়লগ এ গ্রন্থের উপজীব্য।
- কেরী রচিত বাংলা ভাষার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ইতিহাসমালা’ (১৮১২)। 
- প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন 'চর্যাপদ';
- মধ্যযুগের সাহিত্যিক নিদর্শন ‘মঙ্গলকাব্য'; 
- প্যারীচাঁদ মিত্র রচিত ‘আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস।

- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন 'চর্যাপদ' ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে আবিষ্কৃত হয় ।
- ১৯১৬ সালে ' বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে চর্যাপদের পুঁথিগুলো বই আকারে প্রকাশ পায় ।
- মধ্যযুগের সাহিত্যকর্ম মহাভারত, রামায়ণ ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন- এর রচিয়তা যথাক্রমে- কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব, বাল্মীকি ও চণ্ডীদাস ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমধিক খ্যাত।
- আধুনিক ঔপন্যাসিকদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক জনপ্রিয়।
- তাঁর সংলাপপ্রধান গল্প ও উপন্যাসে খুব অল্প বাক্যে তিনি একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারতেন এবং অতিবাস্তব বিষয়গুলি এমনভাবে অনায়াসে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করতেন যেন মনে হয় যাদু বাস্তবতা।
- হুমায়ূন আহমেদ ১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে কৃষ্ণপক্ষের শনিবার রাত ১০.৩০ মিনিটে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনার কুতুবপুর।
- তাঁর ডাক নাম কাজল। পিতৃপ্রদত্ত নাম শামসুর রহমান।
- কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব তাঁর ভাই।
- তিনি পলিমার কেমিস্ট্রি বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
- তিনি ১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌতরসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে যোগ দেন।
- বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ হুমায়ূন আহমেদ। 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা' (১৯৭৩) প্রথম বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য
- হুমায়ুন আহমেদ এর সৃষ্ট লজিক ও অ্যান্টি লজিক নিয়ে কাজ করা দুটি অমর চরিত্র মিসির আলী ও হিমু। মিসির আলী বাস্তববাদী, যুক্তিনির্ভর ও রহস্যময় চরিত্র।
- মিসির আলী চরিত্রের প্রথম উপন্যাস 'দেবী' (১৯৮৫)। হিমুর আসল নাম হিমালয়। পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী তার পোশাক। নব্বইয়ের দশকে 'ময়ূরাক্ষী' (১৯৯০) উপন্যাসের মধ্য দিয়ে হিমুর আত্মপ্রকাশ।
- গাজীপুরের 'নুহাশ পল্লী' তাঁর নির্মিত বাগানবাড়ি।
- তিনি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৮১), 'একুশে পদক' (১৯৯৪) লাভ করেন।
- তিনি ১৯ জুলাই, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশ পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

- তার উপন্যাস সমূহঃ নন্দিত নরকে (১৯৭২), কে কথা কয় (২০০৬), কোথাও কেউ নেই (১৯৯২), 'দেয়াল' (২০১২): এটি রাজনৈতিক উপন্যাস ।(সর্বশেষ উপন্যাস)
'আমার আছে জল' (১৯৮৫), 'নিশিথিনী' (১৯৮৭), 'সম্রাট' (১৯৮৮), 'রজনী' (১৯৮৯), 'বহুব্রীহি' (১৯৯০), 'এইসব দিনরাত্রি' (১৯৯০), 'ময়ূরাক্ষী' (১৯৯০), 'অয়োময়' (১৯৯০), 'শ্রাবণ মেঘের দিন' (১৯৯৪), 'গৌরিপুর জংশন' (১৯৯৫), 'কবি' (১৯৯৬), 'দূরে কোথাও' (১৯৯৭), 'ইস্টিশন' (১৯৯৯), 'বৃষ্টিবিলাস' (২০০০), 'নক্ষত্রের রাত' (২০০৩), 'এপিটাফ' (২০০৪), 'লীলাবতী' (২০০৫), 'মধ্যাহ্ন' (২০০৮) ইত্যাদি।

- তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থসমূহঃ আমার ছেলেবেলা (১৯৯১), বলপয়েন্ট (২০০৯), কাঠপেন্সিল (২০১০), রংপেন্সিল (২০১১), লীলাবতীর মৃত্যু (২০১৪)।

তার কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ
- জোছনা ও জননীর গল্প (২০০৪),
- শ্যামল ছায়া (২০০৩),
- আগুনের পরশমণি (১৯৮৬),
- নির্বাসন,
- সৌরভ,
- সূর্যের দিন।
- রশীদ করীম বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট কথাশিল্পীর নাম।
- তিনি ১৪ আগস্ট, ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
- রশীদ করীমের 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাস দেশভাগপূর্ব বাঙালি মুসলিম সমাজের বিশ্বস্ত দলিল।
- তাঁর রচিত 'আমার যত গ্লানি' আর 'মায়ের কাছে যাচ্ছি' উপন্যাস যেন মহান মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্যিক দলিল।
- তাঁর রচিত প্রথম গল্প 'আয়েশা' ১৯৪২ সালে 'সওগাত' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- ১৯৬১ সালে তিনি আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।
- ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
- ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।
- ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উপন্যাস:
- উত্তম পুরুষ (১৯৬১)
- প্রসন্ন পাষাণ (১৯৬৩)
- আমার যত গ্লানি (১৯৭৩)
- প্রেম একটি লাল গোলাপ (১৯৭৮)
- সাধারণ লোকের কাহিনী (১৯৮১)
- একালের রূপকথা (১৯৮১)
- শ্যামা (১৯৮৪)
- বড়ই নিঃসঙ্গ (১৯৮৫)
- মায়ের কাছে যাচ্ছি (১৯৮৯)
- চিনি না (১৯৯০)
- পদতলে রক্ত (১৯৯০), এবং
- লাঞ্চ বক্স (১৯৯৩)

ছোটগল্প: প্রথম প্রেম (১৯৮৪)

প্রবন্ধগ্রন্থ:
- আর এক দৃষ্টিকোণ (১৯৮৯)
- অতীত হয় নূতন পুনরায় (১৯৯২), এবং
- মনের গহনে তোমার মুরতিখানি (১৯৯২)

আত্মজীবনী: জীবন মরণ (১৯৯৯)
∎হাসান হাফিজুর রহমান:
# হাসান হাফিজুর রহমান সাপ্তাহিক 'বেগম' পত্রিকায় ১৯৫২ সালে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
- এরপর তিনি একাধারে সওগাত (১৯৫৩), ইত্তেহাদ (১৯৫৫-৫৪) ও দৈনিক পাকিস্তান (১৯৬৫) এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলায় সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন।
- সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৫৭-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।
- এছাড়াও তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।

# ১৯৪৬ সালে তিনি যখন স্কুলছাত্র তখন তার ছোট গল্প “অশ্রুভেজা পথ চলাতে” প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায়। এর দুবছর পর ১৯৪৮ সালে সোনার বাংলায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অবদান রাখেন।
- একুশের চেতনার ওপর ভিত্তি করে তাঁর কবিতা অমর একুশে প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালেই।
- এটিসহ আরোও কিছু লেখা একত্র করে ১৯৫৩ সালে তিনি তার প্রথম বই একুশে ফেব্রুয়ারী প্রকাশ করেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা কবিতায় প্রথম আধুনিকতার প্রবর্তক ও প্রথম আধুনিক কবি। তিনি প্রথাগত ছন্দ ও অলঙ্কারের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পাশ্চাত্য সাহিত্যের অনুকরণে বাংলা কবিতায় প্রথম সনেটের সংযোজন করেন। তাঁর রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট কবিতার নাম ‘বঙ্গভাষা’ । এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে অষ্টক ও ষটকে বিভক্ত। সনেটে মধুসূদনের প্রবল দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে।

তাঁর রচিত নাটক ও প্রহসন
- শর্মিষ্ঠা নাটক (১৮৫৯)
- কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১)
- মায়া-কানন (১৮৭৪)
- একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০)
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
- পদ্মাবতী নাটক (১৮৬০)

তাঁর রচিত কাব্য
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০)
- মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫)
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১)
- বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১)।
- উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান' নামক গ্রন্থ থেকে মধুসূদন এ নাটকের কাহিনী সংগ্রহ করেন।
- মহারাজা প্রতাপসিংহের বংশধর, উদয়পুরাধিপতি মহারাজা ভীমসিংহের দুহিতা কৃষ্ণকুমারীর বিষাদময় জীবনই নাটকের বিষয়বস্তু। চরিত্র: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীমসিং, বিলাসবতী।

- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক 'শর্মিষ্ঠা' (১৮৫৯)।
- দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন ‘সধবার একাদশী' (১৮৬৬) এবং নাটক ‘নীলদর্পণ' (১৮৬০)।
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস 'বাঁধনহারা' (১৯২৭)।
- ১৯২১ সাল থেকে এটি ধারাবাহিকভাবে 'মোসলেম ভারত' পত্রিকায় ছাপা হয়।
- পত্রিকায় প্রকাশিত এ উপন্যাসের কিছু অংশ ১৯২৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় বাদ পড়ে যায়।
- পরবর্তীতে তা খুঁজে পাওয়া গেলে ১৯ মে, ২০০৬ সালে দৈনিক 'প্রথম আলো' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- এ গ্রন্থের পত্র সংখ্যা ১৮টি
- নুরুর সাথে মাহবুবার প্রণয় এবং বিয়ের উদ্যোগ অনেক এগিয়ে গেলে হঠাৎ নুরু পালিয়ে গিয়ে সৈনিক জীবন গ্রহণ করে। অনেকের মতে, এ উপন্যাসের নুরুই নজরুল।
- চরিত্র: নুরুল হুদা, মাহবুবা, সাহসিকা, রাবেয়া।
- নজরুল রচিত অন্যান্য উপন্যাস: ‘মৃত্যুক্ষুধা' (১৯৩০), 'কুহেলিকা' (১৯৩১)।
-বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নাট্যকার হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
-তার রচিত "শর্মিষ্ঠা" নাটকটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নাটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-এই নাটকটিতে তিনি পাশ্চাত্য নাট্যরীতি অনুসরণ করেছেন।
-নাটকটিতে পাঁচটি অঙ্ক রয়েছে।
-নাটকের কাহিনী মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত রাজা যযাতি, শর্মিষ্ঠা ও দেবযানীর ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী থেকে গৃহীত।
- নুরুল মোমেনের শ্রেষ্ঠ নাটক 'নেমেসিস' বাংলাদেশের প্রথম নিরীক্ষামূলক নাটক
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৪৪ সালে নাটকটি লিখেন গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে।
- নেমেসিস নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র স্কুলমাস্টার সুরজিত নন্দী।

তার রচিত নাটক:
-নেমেসিস (১৯৪৮),
-যদি এমন হতাে (১৯৬০),
-যেমন ইচ্ছা তেমন (১৯৭০),
-নয়া খান্দান (১৯৬২),
-আলােছায়া (১৯৬২),
-শতকরা আশি (১৯৬৭),
-আইনের অন্তরালে (১৯৬৭) ইত্যাদি। 

রম্যগ্রন্থ:
-বহুরূপ (১৩৬৫),
-হিংটিং ছট (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৭০),
-নরসুন্দর (১৯৬১) ইত্যাদি।


- কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস এবং এটি একটি রোমান্সধর্মী উপন্যাস।।
- ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
- গিরিশচন্দ্র ঘোষ এই উপন্যাসের একটি নাট্যরূপ দেন (১৮৭৩) এবং দামোদর মুখোপাধ্যায় এই উপন্যাসের একটি উপসংহার উপন্যাস রচনা করেন এবং নামকরণ করেন মৃন্ময়ী (১৮৭৪)। 
- নায়িকা কপালকুণ্ডলা নায়ক নবকুমার কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, "পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?" এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ।

উপন্যাসটির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সংলাপ গুলো হলো
- প্রদীপ নিবিয়া গেল।
- তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন।


বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্নক প্রবন্ধ রচনাকারী,গদ্য সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক, ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক হলেন প্রমথ চৌধুরী।
- তিনি কখনো বীরবল কখনো নীললোহিত ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
♦ তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থঃ
- সাহিত্য খেলা,
- আমাদের শিক্ষা,
- রায়তের কথা,
- নানাচর্চা,
- আত্মকথা,
- তেল নুন লকড়ি,
- বীরবলের হালখাতা,
- নানাকথা,
- প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি।
♦ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থঃ
- চার ইয়ারী কথা,
- আহুতি,
- নীললোহিত।
♦ সনেট পঞ্চাশৎ ও পদচারণ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- সেলিনা হোসেন রাজশাহী মহিলা কলেজে অধ্যয়নকালে রাজশাহী শহরে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিভাগীয় সাহিত্য প্রতিযোগিতায় (১৯৬৪) একটি প্রেমের গল্প লেখার মাধ্যমে লেখালেখির হাতেখড়ি।
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রথম গল্প 'বিষণ্ণ অন্ধকার' প্রকাশ হয় মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ সম্পাদিত 'পূর্বালী' পত্রিকায়।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0