|
|
- ফররুখ আহমদ ১০ জুন, ১৯১৮ (১০ জুলাই, ১৯১৮: বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান) সালে মাগুরা জেলার (তৎকালীন যশোর) শ্রীপুর উপজেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - প্রকৃত নাম সৈয়দ ফররুখ আহমদ। দাদী ডাকতেন রমজান নামে। - তাঁকে ইসলামি স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি, ইসলামি রেনেসাঁর কবি বলা হয়। - তাঁর উপাধি: মুসলিম রেনেসাঁর কবি। - তিনি 'মাসিক মোহাম্মদী' পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ঢাকা বেতারের 'স্টাফ রাইটার' হিসেবে কাজ করেছেন। - ১৯৩৭ সালে 'বুলবুল' পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা 'রাত্রি' এবং 'মাসিক মোহাম্মদী' পত্রিকায় 'পাপজন্ম' কবিতাটি প্রকাশিত হয়। - তিনি ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বাংলার পক্ষে এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের অখণ্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান করেন এবং কবিতা রচনা করেন। - ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তিনি এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। - তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬০), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮০) পান। - তিনি ১৯ অক্টোবর, ১৯৭৪ সালে ঢাকায় মারা যান।
- তার সাহিত্যকর্মসমূহঃ কাব্যগ্রন্থঃ সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪), নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১), হাতেমতায়ী (১৯৬৬), মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩), সিরাজাম মুনিরা (১৯৫২), হাবেদা মরুর কাহিনী (১৯৮১), সিন্দাবাদ (১৯৮৩)।
- শিশুতোষঃ পাখির বাসা (১৯৬৫): এটি শিশুতোষ গ্রন্থ। এর জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান। নতুন লেখা (১৯৬৯), হরফের ছড়া (১৯৭০), চাঁদের আসর (১৯৭০), ছড়ার আসর (১৯৭০), ফুলের জলসা (১৯৮৫)।
- কবিতাঃ উপহার, স্মরণী ও পাঞ্জেরী।
|
|
| |
|
|
|
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় - প্রখ্যাত কবি, গীতিকার ও সুরকার এবং বিশেষভাবে নাট্যকার হিসেবে স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। রবীন্দ্র যুগের হয়েও তিনি তাঁর কবিতায় নতুন আঙ্গিক ও ছন্দে এবং ব্যঙ্গ ও হাস্যরসাত্মকভাবে মৌলিকতার পরিচয় দিয়েছেন। - দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (ডি.এল রায়) নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ১৯ জুলাই, ১৮৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি বিখ্যাত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান 'পূর্ণিমা সম্মিলন' (১৯০৫) এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং 'ইভনিং ক্লাব' নামে অপর একটি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। - বাংলা সাহিত্যে প্যারোডি রচনার পথিকৃৎ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। - তিনি বাংলা সমবেত কণ্ঠসংগীতের প্রবর্তক। - তিনি বাংলা নাটকে সার্থক দ্বন্দ্বমূলক চরিত্র সৃষ্টির প্রথম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। - তিনি ১৭ মে, ১৯১৩ সালে মারা যান।
|
|
| |
|
|
|
- রশীদ করীম বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট কথাশিল্পীর নাম। - তিনি ১৪ আগস্ট, ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। - রশীদ করীমের 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাস দেশভাগপূর্ব বাঙালি মুসলিম সমাজের বিশ্বস্ত দলিল। - তাঁর রচিত 'আমার যত গ্লানি' আর 'মায়ের কাছে যাচ্ছি' উপন্যাস যেন মহান মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্যিক দলিল। - তাঁর রচিত প্রথম গল্প 'আয়েশা' ১৯৪২ সালে 'সওগাত' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। - ১৯৬১ সালে তিনি আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। - ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। - ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে। - ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উপন্যাস: - উত্তম পুরুষ (১৯৬১) - প্রসন্ন পাষাণ (১৯৬৩) - আমার যত গ্লানি (১৯৭৩) - প্রেম একটি লাল গোলাপ (১৯৭৮) - সাধারণ লোকের কাহিনী (১৯৮১) - একালের রূপকথা (১৯৮১) - শ্যামা (১৯৮৪) - বড়ই নিঃসঙ্গ (১৯৮৫) - মায়ের কাছে যাচ্ছি (১৯৮৯) - চিনি না (১৯৯০) - পদতলে রক্ত (১৯৯০), এবং - লাঞ্চ বক্স (১৯৯৩)
ছোটগল্প: প্রথম প্রেম (১৯৮৪)
প্রবন্ধগ্রন্থ: - আর এক দৃষ্টিকোণ (১৯৮৯) - অতীত হয় নূতন পুনরায় (১৯৯২), এবং - মনের গহনে তোমার মুরতিখানি (১৯৯২)
আত্মজীবনী: জীবন মরণ (১৯৯৯)
|
|
| |
|
|
|
∎হাসান হাফিজুর রহমান: # হাসান হাফিজুর রহমান সাপ্তাহিক 'বেগম' পত্রিকায় ১৯৫২ সালে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। - এরপর তিনি একাধারে সওগাত (১৯৫৩), ইত্তেহাদ (১৯৫৫-৫৪) ও দৈনিক পাকিস্তান (১৯৬৫) এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলায় সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন। - সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৫৭-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। - এছাড়াও তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।
# ১৯৪৬ সালে তিনি যখন স্কুলছাত্র তখন তার ছোট গল্প “অশ্রুভেজা পথ চলাতে” প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায়। এর দুবছর পর ১৯৪৮ সালে সোনার বাংলায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। - ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অবদান রাখেন। - একুশের চেতনার ওপর ভিত্তি করে তাঁর কবিতা অমর একুশে প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালেই। - এটিসহ আরোও কিছু লেখা একত্র করে ১৯৫৩ সালে তিনি তার প্রথম বই একুশে ফেব্রুয়ারী প্রকাশ করেন।
|
|
| |
|
|
|
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১)। - উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান' নামক গ্রন্থ থেকে মধুসূদন এ নাটকের কাহিনী সংগ্রহ করেন। - মহারাজা প্রতাপসিংহের বংশধর, উদয়পুরাধিপতি মহারাজা ভীমসিংহের দুহিতা কৃষ্ণকুমারীর বিষাদময় জীবনই নাটকের বিষয়বস্তু। চরিত্র: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীমসিং, বিলাসবতী।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক 'শর্মিষ্ঠা' (১৮৫৯)। - দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন ‘সধবার একাদশী' (১৮৬৬) এবং নাটক ‘নীলদর্পণ' (১৮৬০)।
|
|
| |
|
|
|
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস 'বাঁধনহারা' (১৯২৭)। - ১৯২১ সাল থেকে এটি ধারাবাহিকভাবে 'মোসলেম ভারত' পত্রিকায় ছাপা হয়। - পত্রিকায় প্রকাশিত এ উপন্যাসের কিছু অংশ ১৯২৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় বাদ পড়ে যায়। - পরবর্তীতে তা খুঁজে পাওয়া গেলে ১৯ মে, ২০০৬ সালে দৈনিক 'প্রথম আলো' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। - এ গ্রন্থের পত্র সংখ্যা ১৮টি। - নুরুর সাথে মাহবুবার প্রণয় এবং বিয়ের উদ্যোগ অনেক এগিয়ে গেলে হঠাৎ নুরু পালিয়ে গিয়ে সৈনিক জীবন গ্রহণ করে। অনেকের মতে, এ উপন্যাসের নুরুই নজরুল। - চরিত্র: নুরুল হুদা, মাহবুবা, সাহসিকা, রাবেয়া। - নজরুল রচিত অন্যান্য উপন্যাস: ‘মৃত্যুক্ষুধা' (১৯৩০), 'কুহেলিকা' (১৯৩১)।
|
|
| |
|
|
|
'জননী সাহসিকা' নামে পরিচিত সুফিয়া কামাল ২০ জুন, ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বরিশালের শায়েস্তাবাদের রাহাত মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস-কুমিল্লা। তিনি ২০ নভেম্বর ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান । তার রচিত: - বাসন্তী (প্রথম কবিতা); এটি সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। - উদাত্ত পৃথিবী, - মায়া কাজল, - অভিযাত্রিক। - সাঁঝের মায়া (প্রথম কাব্যগ্রন্থ); এটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৮ সালে এবং এর মুখবন্ধ লিখেছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। - সৈনিক বধূ (প্রথম গল্প); এটি বরিশালের 'তরুন' পত্রিকায় ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়।
|
|
| |
|
|
|
জহির রায়হান একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর আসল নাম ছিল মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। একুশের গল্প জহির রায়হান রচিত ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক একটি গল্প। বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র 'সঙ্গম' তিনি নির্মাণ করেন।
তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসঃ - শেষ বিকেলের মেয়ে (প্রথম উপন্যাস), - বরফ গলা নদী, - একুশে ফেব্রুয়ারি, - আর কতদিন, - কয়েকটি মৃত, - তৃষ্ণা।
• তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্রঃ - জীবন থেকে নেওয়া (বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র), - কখনো আসেনি (প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র), - কাঁচের দেয়াল, - সোনার কাজল, - আনোয়ারা, - বাহানা - বেহুলা ইত্যাদি।
• সূর্যগ্রহণ তাঁর রচিত প্রথম গল্পগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
- কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস এবং এটি একটি রোমান্সধর্মী উপন্যাস।। - ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। - গিরিশচন্দ্র ঘোষ এই উপন্যাসের একটি নাট্যরূপ দেন (১৮৭৩) এবং দামোদর মুখোপাধ্যায় এই উপন্যাসের একটি উপসংহার উপন্যাস রচনা করেন এবং নামকরণ করেন মৃন্ময়ী (১৮৭৪)। - নায়িকা কপালকুণ্ডলা নায়ক নবকুমার কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, " পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?" এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ।
উপন্যাসটির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সংলাপ গুলো হলো - প্রদীপ নিবিয়া গেল। - তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্নক প্রবন্ধ রচনাকারী,গদ্য সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক, ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক হলেন প্রমথ চৌধুরী। - তিনি কখনো বীরবল কখনো নীললোহিত ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। ♦ তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থঃ - সাহিত্য খেলা, - আমাদের শিক্ষা, - রায়তের কথা, - নানাচর্চা, - আত্মকথা, - তেল নুন লকড়ি, - বীরবলের হালখাতা, - নানাকথা, - প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি। ♦ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থঃ - চার ইয়ারী কথা, - আহুতি, - নীললোহিত। ♦ সনেট পঞ্চাশৎ ও পদচারণ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
- ১৮০০ সালে উইলিয়াম কেরী জোশুয়া মার্সম্যানের সহযোগিতায় শ্রীরামপুর মিশনে মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করেন। - রংপুরে বাংলাদেশের প্রথম ছাপাখানা ‘বার্তাবহ যন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৭-১৮৪৮ সালে। - সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ আলেকজান্ডার ফারবেখ ঢাকায় ছাপাখানা স্থাপন করেন যার নাম ছিল ‘ঢাকা প্রেস’। এখান থেকে ‘ঢাকা নিউজ’ নামে সংবাদপত্র প্রকাশিত হত।
|
|
| |
|
|
|
ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা কবিতায় প্রথম আধুনিকতার প্রবর্তক ও প্রথম আধুনিক কবি। তিনি প্রথাগত ছন্দ ও অলঙ্কারের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পাশ্চাত্য সাহিত্যের অনুকরণে বাংলা কবিতায় প্রথম সনেটের সংযোজন করেন। তাঁর রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট কবিতার নাম ‘বঙ্গভাষা’ । এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে অষ্টক ও ষটকে বিভক্ত। সনেটে মধুসূদনের প্রবল দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে।
তাঁর রচিত নাটক ও প্রহসন - শর্মিষ্ঠা নাটক (১৮৫৯) - কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১) - মায়া-কানন (১৮৭৪) - একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০) - বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০) - পদ্মাবতী নাটক (১৮৬০)
তাঁর রচিত কাব্য - তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০) - মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১) - চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫) - ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১) - বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)
|
|
| |
|
|
|
জহির রায়হান একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর আসল নাম ছিল মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। একুশের গল্প জহির রায়হান রচিত ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক একটি গল্প। বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র 'সঙ্গম' তিনি নির্মাণ করেন।
তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসঃ - শেষ বিকেলের মেয়ে (প্রথম উপন্যাস), - বরফ গলা নদী, - একুশে ফেব্রুয়ারি, - আর কতদিন, - কয়েকটি মৃত, - তৃষ্ণা।
• তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্রঃ - জীবন থেকে নেওয়া (বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র), - কখনো আসেনি (প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র), - কাঁচের দেয়াল, - সোনার কাজল, - আনোয়ারা, - বাহানা - বেহুলা ইত্যাদি।
• সূর্যগ্রহণ তাঁর রচিত প্রথম গল্পগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা সাহিত্যেরঃ - প্রথম ইসলামী গান ও গজল রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম। - প্রথম মুসলিম পুঁথি সংগ্রহকারী: আব্দুল করিম (সাহিত্য বিশারদ)। - প্রথম মুসলিম বাংলা গদ্য লেখক: মীর মশাররফ হোসেন। - প্রথম প্রণয়োপাখ্যান: শাহ মুহাম্মদ সগীর।
|
|
| |
|
|
|
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক।
|
|
| |
|
|
|
মাহবুব-উল-আলম রচিত ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম কবিতা 'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি ।'
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন। তার রচিত নাটকের মধ্যেঃ - বসন্তকুমারী, - জমিদার দর্পণ, - বেহুলা গীতাভিনয়, - টালা অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
তার বিখ্যাত উপন্যাস হলো বিষাদ-সিন্ধু ও উদাসীন পথিকের মনের কথা। মশাররফ হোসেন রচিত ‘রত্নবতী’ মুসলিম রচিত প্রথম বাংলা গদ্যগ্রন্থ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- ১৮০০ সালে উইলিয়াম কেরী জোশুয়া মার্সম্যানের সহযোগিতায় শ্রীরামপুর মিশনে মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করেন। - রংপুরে বাংলাদেশের প্রথম ছাপাখানা ‘বার্তাবহ যন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৭-১৮৪৮ সালে। - সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ আলেকজান্ডার ফারবেখ ঢাকায় ছাপাখনা স্থাপন করেন যার নাম ছিল ‘ঢাকা প্রেস’। এখান থেকে ‘ঢাকা নিউজ’ নামে সংবাদপত্র প্রকাশিত হত।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- পথের পাঁচালী ১৯৫৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রযোজিত ও সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস পথের পাঁচালী অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। - অপু ত্রয়ী চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালীতে এর মুখ্য চরিত্র অপুর (সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়) শৈশবকে কেন্দ্র করে বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের বাংলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের জীবনধারা চিত্রায়িত করা হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
স্বর্ণকুমারী দেবী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক। তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক- নিবেদিতা, দিব্যকমল, কনে বদল, যুগান্তর, রাজকণ্যা উল্লেখযোগ্য।
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী।
|
|
| |
|
|
|
- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, উপন্যাসিক, সাহিত্যিক এবং সমাজ সংস্কারক। -তিনি বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী। - তার লেখাগুলো নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, এবং সামাজিক সংস্কারের উপর ভিত্তি করে ছিল।
- প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হলো 'মতিচূর' (প্রথম খণ্ড), যা ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় নবনূর পত্রিকায়।
- মতান্তরে, তাঁর প্রথম লেখা ‘পিপাসা’ (মহরম) প্রকাশিত হয় ইংরেজি ১৯০২ সালে, চৈত্র ও বৈশাখ ১৩০৮-১৩০৯ (যুগ্মসংখ্যা) নবপ্রভা পত্রিকায়।
|
|
| |
|
|
|
-শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত শিক্ষার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা বাংলা করার দাবি প্রথম উত্থান করেন। -তিনি ১৯৪৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে এ দাবি জানান। -তিনি বলেন, "বাংলা ভাষা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মাতৃভাষা। -এ ভাষাতেই তারা চিন্তাভাবনা করে, কথা বলে, লেখাপড়া করে। -তাই এ ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা করা উচিত।"
|
|
| |
|
|
|
-মাহবুবুল আলম চৌধুরী একুশের প্রথম কবিতা লিখেছেন। -তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় ছাত্র-জনতার গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে "কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি" কবিতাটি রচনা করেন। -কবিতাটি চট্টগ্রামের কোহিনূর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় এবং পরদিন চট্টগ্রামের প্রতিবাদ সভায় পাঠ করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
-স্টপ জেনােসাইড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র । -শহিদ বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেন । -সহকারী আলমগীর কবিরকে সাথে নিয়ে মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও চলচ্চিত্র বিভাগের আর্থিক সহায়তায় তিনি 'স্টপ জেনােসাইড ’ নির্মাণ করেন ।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা সাহিত্যেরঃ - প্রথম ইসলামী গান ও গজল রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম। - প্রথম মুসলিম পুঁথি সংগ্রহকারী: আব্দুল করিম (সাহিত্য বিশারদ)। - প্রথম মুসলিম বাংলা গদ্য লেখক: মীর মশাররফ হোসেন। - প্রথম প্রণয়োপাখ্যান: শাহ মুহাম্মদ সগীর।
|
|
| |
|
|
|
-বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘কপালকুণ্ডলা’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস। -উপন্যাসের প্রধান তিনটি চরিত্র হলো- কপালকুণ্ডলা, নবকুমার ও কাপালিক। -“পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?”- কপালকুণ্ডলার এই উক্তিটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ। -এই উপন্যাসের আরেকটি বিখ্যাত উক্তি হলো- “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” -তার রচিত ‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার শিশুসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বছরে একজন সাহিত্যসেবীকে এ পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৮৯ খ্রি থেকে এ পুরস্কার চালু করা হয়েছে। একজন কবি বা সাহিত্যিক জীবনে মাত্র একবার এ পুরস্কার লাভ করতে পারেন। এ পুরস্কার মরণোত্তর পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার বিধান নেই। শিশু একাডেমী পুরস্কারের মান নগদ ২৫ হাজার টাকা। পুরস্কৃত সাহিত্যিককে নগদ অর্থ, সম্মাননা প্রতীক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
|
|
| |
|