- 'উর্বশী ও আর্টেমিস' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা হলেন প্রখ্যাত কবি বিষ্ণু দে। - এটি তাঁর অন্যতম বিখ্যাত একটি কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। - বিষ্ণু দে ছিলেন বাংলা সাহিত্যের 'পঞ্চপাণ্ডব' নামে পরিচিত পাঁচজন প্রধান আধুনিক কবির একজন। - এই কাব্যগ্রন্থে তিনি প্রাচ্যের পৌরাণিক চরিত্র 'উর্বশী' এবং পাশ্চাত্যের দেবী 'আর্টেমিস'-এর মিথকে আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করেছেন। - তিনি তাঁর 'স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ' কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৭১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন। - অপশনে থাকা সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী এবং বুদ্ধদেব বসুও 'পঞ্চপাণ্ডব'-এর অন্তর্ভুক্ত এবং বাংলা সাহিত্যের দিকপাল কবি।
বিষ্ণু দে রচিত কাব্যগ্রন্থ: - উর্বশী ও আর্টেমিস, - চোরাবালি, - স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ, - সাত ভাই চম্পা, - সেই অন্ধকার চাই, - তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ, - রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশ।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ (১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২) ঢাকার বর্ধমান হাউজে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। - ১৯৫৭ সালে 'দি বেঙ্গলি একাডেমি অ্যাক্ট’ গৃহীত হলে বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। - বাংলা একাডেমির প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (স্পেশাল অফিসার) মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। - বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি ছিলেন মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ। - বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ড. মুহম্মদ এনামুল হক। - বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম। - বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০সাল থেকে প্রবর্তিত হয়। - এটি একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন করে থাকে।
- বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি ১৯১১ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল বাংলার উদীয়মান মুসলিম লেখকদের সাহিত্য চর্চার একটি কেন্দ্র হিসেবে। এটি মূলত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের (১৮৯৩) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠা পায়। - প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
- সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষায় মুসলিম সাহিত্যচর্চাকে উৎসাহিত করা, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গ্রন্থ অনুবাদ করা, প্রাচীন সাহিত্য সংরক্ষণ করা এবং হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সাহিত্যিক সম্প্রীতি স্থাপন করা।
এই সাহিত্য আন্দোলনের অগ্রগতিকে ছড়িয়ে দিতে সমিতি দুটি মুখপত্র প্রকাশ করে: - ১. বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা – বৈশাখ ১৩২৫ / এপ্রিল ১৯১৮ - ২. সাহিত্যিক – অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ / ডিসেম্বর ১৯২৬.
উল্লেখ্য - 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' সংগঠনের মুখপত্র ছিল 'শিখা' পত্রিকা।
- বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। - ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ পাকিস্তান নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। - ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। - এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পিছনে পৃথিবীবিখ্যাত ভারততাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিক জনাব আহমদ হাসান দানী মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেনঃ জনাব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এ.বি.এম. হাবীবুল্লাহ, আব্দুল হালিম, এবং অনেকে। প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন এটি যেন বিশেষ করে এশিয়া বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। - বাংলাপিডিয়া হলো বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় জ্ঞানকোষ।
• উইলিয়াম কেরী: - উইলিয়াম কেরি ছিলেন একজন ইংরেজ মিশনারি । - বাংলা গদ্যের বিকাশে তাঁর অবদান সর্বাধিক । - তিনি ইতিহাসমালা ও কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন। - তিনি ১৮১০ সালে দরিদ্র খ্রিষ্টান সন্তানদের জন্য কলকাতায় বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
- বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রমুখ। - বাংলা সাহিত্যচর্চা, আরবি-ফারসি-উর্দু ভাষায় রচিত ধর্মশাস্ত্র ও ইতিহাসাদির অনুবাদ প্রকাশ, প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, পীর-দরবেশদের জীবনী রচনা, মুসলমান সাহিত্যিকদের উৎসাহ প্রদান, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন ইত্যাদি সাহিত্য সমিতির উদ্দেশ্য ছিল। - সমিতির উদ্যোগে মোট সাতটি সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৩ সালের ৮-৯ মে সমিতির সপ্তম ও শেষ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। - বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা ও সাহিত্যিক নামে এর দুটি মুখপত্র ছিল।
- বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। - ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ পাকিস্তান নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। - ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। - এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পিছনে পৃথিবীবিখ্যাত ভারততাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিক জনাব আহমদ হাসান দানী মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেনঃ জনাব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এ.বি.এম. হাবীবুল্লাহ, আব্দুল হালিম, এবং অনেকে। প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন এটি যেন বিশেষ করে এশিয়া বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। - বাংলাপিডিয়া হলো বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় জ্ঞানকোষ।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
-আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ সালে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার গোটিয়া গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। -তাঁর পৈতৃক নিবাস চেলোপাড়া, বগুড়া। -তিনি ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
-তাঁর রচিত উপন্যাস: ‘চিলেকোঠার সেপাই' (১৯৮৭) ও ‘খোয়াবনামা’ (১৯৯৬); গল্পগ্রন্থ: ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর' (১৯৭৬), 'খোঁয়ারি’ (১৯৮২), ‘দুধভাতে উৎপাত' (১৯৮৫), ‘দোজখের ওম’ (১৯৮৯); গল্প: ‘রেইনকোট’, ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল', ‘ফোঁড়া’, ‘মিলির হাতে স্টেনগান'; প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু' (১৯৯৮)।
- ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সম্পাদনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়া চীন' প্রকাশিত হয়।
- চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ১৯৫৪ সালে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় একটি ডায়েরি লেখেন।
- সেই ডায়েরির পরিমার্জিত রূপ ‘আমার দেখা নয়াচীন ।
- মুসলিম সাহিত্য সমাজ ছিল বাংলাদেশের একটি 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনের দল বা সংগঠন। - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- হাসান হাফিজুর রহমান সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকায় ১৯৫২ সালে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। - এরপর তিনি একাধারে সওগাত (১৯৫৩), ইত্তেহাদ (১৯৫৫-৫৪) ও দৈনিক পাকিস্তান (১৯৬৫) এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলায় সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন। - সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৫৭-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। - এছাড়াও তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।
• তাঁর মৌলিক গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে: - বিমুখ প্রান্তর (১৯৬৩), - আরো দুটি মৃত্যু (১৯৭০), - মূল্যবোধের জন্যে (১৯৭০), - আধুনিক কবি ও কবিতা (১৯৬৫), - আমার ভেতরের বাঘ (১৯৮৩) - সীমান্ত শিবিরে (১৯৬৭), - আর্ত শব্দাবলী (১৯৬৮), - প্রতিবিম্ব (১৯৭৬), - শোকার্ত তরবারী (১৯৮২), - যখন উদ্যত সঙ্গীন (১৯৭২), - সাহিত্য প্রসঙ্গ (১৯৭৩), - দক্ষিণের জানালা (১৯৭৪) ইত্যাদি।
- রামাই পণ্ডিত রচিত ৫১টি অধ্যায় সম্বলিত সংস্কৃত ভাষায় গদ্য পদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য ‘শূন্যপুরাণ', যা বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগের নিদর্শন। - এতে শূন্যময় দেবতা ধর্মঠাকুরের পূজা পদ্ধতির বর্ণনা আছে বলেই এর নাম রাখা হয় ‘শূন্যপুরাণ’। - এ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ বা ‘নিরঞ্জনের উম্মাত কবিতায় ব্রাহ্মণ্য শাসনের বদলে মুসলিম শাসন প্রচলনের পক্ষে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে।
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালে নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তাঁর পেশাগত জীবন শুরু হয় কুলিল্লা ইউসুফ হাইস্কুলে একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে। - তিনি ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং এর সভা ও সম্মেলনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। - মোতাহের হোসেনের প্রবন্ধের গদ্যশৈলীতে প্রমথ চৌধুরীর এবং মননে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। - ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর রচিত প্রবন্ধ: - সংস্কৃতি কথা, - আমাদের দৈন্য, - আদেশপন্থী ও অনুপ্রেরণাপন্থী, - মুসলমান সাহিত্যিকদের চিন্তাধারা, - রবীন্দ্রনাথ ও বৈরাগ্যবিলাস, - সুখ
তাঁর রচিত অন্যান্য প্রবন্ধগ্রন্থ: - ক্লাইভ বেল এর Civilization গ্রন্থের ভাবানুবাদ ‘সভ্যতা' (১৯৬৫), - বার্ট্রান্ড রাসেলের Conquest of Happiness গ্রন্থের ভাবানুবাদ ‘সুখ' (১৯৬৮)।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- মুহম্মদ আবদুল হাই শিষ্ট কথ্য বাংলা ভাষার ধ্বনি এবং ধ্বনিতত্ত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণে ব্রতী হন এবং তাঁর গবেষণালব্ধ ফল ‘ধ্বনি বিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ (১৯৬৫) নামক গ্রন্থে প্রকাশ করেন। - মুহম্মদ আবদুল হাই-এর এই গ্রন্থটি অধ্যাবধি বাংলা ভাষায় রচিত বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব পর্যালোচনার সর্বাধিক গভীর বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ। - আবদুল হাই এ গ্রন্থে বাংলা স্বরধ্বনির সংখ্যা, দ্বিস্বর এবং অর্ধস্বরের গঠন, ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোর ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিচয়, বাক্প্রবাহে ধ্বনির রূপ, সন্ধি ও সামগ্রিকীভবন, ধ্বনিগুণ এবং স্বরতরঙ্গ বিষয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছেন।
বাংলা ভাষা সংক্রান্ত বই: • বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত - ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ • ভাষার ইতিবৃত্ত - সুকুমার সেন • বাংলা ভাষার সংস্কার, মুসলিম বাঙলা সাহিত্য, মনীষা মঞ্জুসা - মুহাম্মদ এনামুল হক • সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ভাষা ও সাহিত্য, ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব - মুহাম্মদ আব্দুল হাই।
● পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ১ জানুয়ারি, ১৯০৩ সালে ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস: ফরিদপুরের গোবিন্দপুর (বর্তমান নাম: আম্বিকাপুর) । তিনি ১৩ মার্চ, ১৯৭৬ সালে মারা যান। তাঁর অন্তিম ইচ্ছানুসারে ১৪ মার্চ ফরিদপুরের আম্বিকাপুরে দাদীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলো: - নক্সীকাঁথার মাঠ, - ধানক্ষেত, - রূপবতী, - রাখালী, বালুচর, - মাটির কান্না ইত্যাদি।
শিশুতোষ গ্রন্থগুলো হলো: - হাসু, এক পয়সার বাঁশি ও ডালিম কুমার।
তার রচিত নাটকগুলো: - মধুমালা, - বেদের মেয়ে, - পল্লীবধূ ও গ্রামের মায়া।
জাহানারা ইমাম - জাহানারা ইমাম শহীদ জননী হিসেবে খ্যাত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়করূপে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামের এক রক্ষণশীল পরিবারে ১৯২৯ সালের ৩ মে জাহানারা ইমাম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পিতা আবদুল আলীর তত্ত্বাবধানে রক্ষণশীলতার বাইরে এসে আধুনিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন। - ১৯৪৫ সালে কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে তিনি বিএ পাস করেন। - তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। - ফুলব্রাইট স্কলার জাহানারা ইমাম আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১৯৬৬ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬৮-র দিকে সে চাকরি ছেড়ে দেন। - পরে তিনি নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ব্যক্তিত্বময়ী জাহানারা ইমাম ষাটের দশকে ঢাকার সংস্কৃতি মহলে সুপরিচিত ছিলেন। - উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম হলো: অন্য জীবন (১৯৮৫), বীরশ্রেষ্ঠ (১৯৮৫), জীবন মৃত্যু (১৯৮৮), চিরায়ত সাহিত্য (১৯৮৯), বুকের ভিতরে আগুন (১৯৯০), নাটকের অবসান (১৯৯০), দুই মেরু (১৯৯০), নিঃসঙ্গ পাইন (১৯৯০), নয় এ মধুর খেলা (১৯৯০), ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস (১৯৯১) ও প্রবাসের দিনলিপি (১৯৯২)। - তিনি ১৯৯২ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’র আহবায়ক হন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক দল ও কর্মিবৃন্দ, দেশপ্রেমিক তরুণ সমাজ এবং প্রজন্ম ’৭১ তাঁর আহবানে এগিয়ে আসেন। তাঁদের সক্রিয় সমর্থনে জাহানারা ইমাম ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে গণ-আদালত গড়ে তোলেন। - ১৯৮১ সালের দিকে জাহানারা ইমাম মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। - ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। সেখান থেকে ঢাকায় এনে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
স্বর্ণকুমারী দেবী - বাঙালি কবি, কথাসাহিত্যিক, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা - সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক। ঠাকুর বাড়ির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। - স্বর্ণকুমারী দেবী ২৮ আগস্ট, ১৮৫৫ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন। - তিনি 'ভারতী' (১৮৭৭) পত্রিকা সম্পাদনা (১৮৮৪-৯৪) করেন। এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিশোর পত্রিকা 'বালক' প্রতিষ্ঠা তাঁর অমর কীর্তি। - অনাথ ও বিধবাদের সাহায্যার্থে ঠাকুর বাড়ির অন্যদের নিয়ে 'সখিসমিতি' (১৮৮৬) গঠন করেন। এ নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এ সমিতির অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি 'মায়ার খেলা' নাটকটি রচনা করেন। - কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' (১৯২৭) লাভ করেন। - তিনি ৩ জুলাই, ১৯৩২ সালে মারা যান।
স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্যকর্মসমূহ- - উপন্যাস: 'দীপনির্বাণ' (১৮৭৬): এটি তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা জাতীয়তাবাদী চেতনায় লেখা। 'মেবার রাজ' (১৮৭৭), 'ছিন্ন মুকুল' (১৮৭৯), 'মালতী' (১৮৮০), 'হুগলির ইমাম বাড়ি' (১৮৮৮), 'বিদ্রোহ' (১৮৯০), 'স্নেহলতা' (১৮৯২), 'কাহাকে' (১৮৯৮), 'বিচিত্রা' (১৯২০), 'স্বপ্নবাণী' (১৯২১), 'মিলনরাত্রি' (১৯২৫)।
ড. মুহম্মদ এনামুল হক (২০ সেপ্টেম্বর ১৯০২ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ হতে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেয়ে এনামুল হক অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘History of Sufism in Bengal’। ১৯৩৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২) একাডেমীর প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: - আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক, আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত), ১৯৩৫; - বঙ্গে সূফী প্রভাব (গবেষণামূলক), ১৯৩৫; - বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বমূলক), ১৯৪৪; - মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গবেষণামূলক), ১৯৫৭; - ভ্রমণকািহিনী (বুলগেরিয়ার ভ্রমণ), ১৯৭৮ - গীতি সংকলন ( আবাহন), ১৯২০-২১ - কবিতা সংকলন (ঝর্ণাধারা), ১৯২৮ - A History of Sufism in Bengal, ১৯৭৬; - Perso-Arabic Elemants in Bengali (with GM Hilali), ১৯৬৭;
এছাড়াও এতদ্ব্যতীত তিনি Abdul Karim Shahityavisharad Commemoration Volume (১৯৭২) ও Dr. Md. Shahidullah Felicitation (১৯৬৬) গ্রন্থদ্বয় সম্পাদনা করেন।
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একাধারে বহুভাষাবিদ, পণ্ডিত, সাহিত্যিক, ধর্মবেত্তা ও শিক্ষাবিদ। বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তাঁর নাম এদেশের সাহিত্যের ইতিহাসে অত্যুজ্জ্বল হয়ে আছে। সে জন্য তাঁকে 'জ্ঞানতাপস' অভিধায় অভিহিত করা হয়। - পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রভাষা বিতর্ক শুরু হলে তিনি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো মত দেন। মধ্যজীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ভাষাতত্ত্বচর্চা বাদ দিয়ে ইসলাম চর্চা ও তা প্রসারে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১০ জুলাই, ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আকিকাকৃত নাম মুহম্মদ ইব্রাহিম। পরবর্তীতে তাঁর মা হুরুন্নেসা সে নাম পরিবর্তন করে রাখেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। - তিনি 'আঙুর' (১৯২০- শিশু পত্রিকা), 'দি পিস' (১৯২৩- ইংরেজি মাসিক পত্রিকা), 'বঙ্গভূমিক' (১৯৩৭- মাসিক সাহিত্য পত্রিকা), 'তকবীর' (১৯৪৭- পাক্ষিক পত্রিকা) পত্রিকা সম্পাদনা করতেন এবং 'আল এসলাম' (১৯১৫) পত্রিকার সহসম্পাদক ছিলেন। - তিনি মোট ২৬টি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর গবেষণামূলক গ্রন্থগুলোঃ 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' (১৯৬৫), Buddhist Mystic Songs (১৯৬০): (এটি 'চর্যাপদ' বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ)। 'সিদ্ধা কানুপার গীত ও দোহা' (১৯২৬), 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড- ১৯৫৩, ২য় খণ্ড- ১৯৬৫), 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮), 'বৌদ্ধ মর্মবাদীর গান' (১৯৬০), 'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫)।
- হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ - ১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। - তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম। - শৈশবে হুমায়ূন আহমেদের নাম ছিল শামসুর রহমান। - তাঁর একটি লেখা থেকে জানা যায়, তাঁদের পিতা ছেলেমেয়েদের নাম পরিবর্তন করতেন। তাই তিনি নিজেই পুত্রের আগের নাম পরিবর্তন করে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ।
তাঁর রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস: - আগুনের পরশমনি, - শ্যামল ছায়া, - জোছনা ও জননীর গল্প, - সূর্যের দিন, - সৌরভ, - নির্বাসন, - অলিন বাগচীর একদিন।
- আহমদ ছফা একজন প্রতিবাদী লেখক, প্রগতিপন্থি সাহিত্যকর্মী ও সংগঠক। - ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। - আহমদ ছফা ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল লেখক। - ষাটের দশকে তাঁর সাহিত্য-জীবনের সূচনা হয়। - বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে তিনি এক সফল লেখক। - জীবনের বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে তিনি গল্প-উপন্যাস রচনায় কাজে লাগিয়েছেন। - গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবেই তাঁর পরিচিতি সর্বাধিক। - আহমদ ছফার গবেষণার বিষয় ছিল বাঙালি মুসলমান সমাজ। - তাঁর মৃত্যু ২০০১ সালের ২৮ জুলাই।
তাঁর রচিত উপন্যাস সমূহ: - সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭), - উদ্ধার (১৯৭৫), - একজন আলী কেনানের উত্থান পতন (১৯৮৯), - অলাতচক্র (১৯৯০), - ওঙ্কার (১৯৯৩), - গাভীবৃত্তান্ত (১৯৯৪), - অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬), - পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬)
গল্পগ্রন্থ: নিহত নক্ষত্র (১৯৬৯)
কাব্যগ্রন্থ: জল্লাদ সময়, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমোবে এবার ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য রচনা: নতুন বিন্যাস (১৯৭৩) ও বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৭৬)
- আহমদ ছফা একজন প্রতিবাদী লেখক, প্রগতিপন্থি সাহিত্যকর্মী ও সংগঠক। - ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। - আহমদ ছফা ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল লেখক। - ষাটের দশকে তাঁর সাহিত্য-জীবনের সূচনা হয়। - বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে তিনি এক সফল লেখক। - জীবনের বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে তিনি গল্প-উপন্যাস রচনায় কাজে লাগিয়েছেন। - গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবেই তাঁর পরিচিতি সর্বাধিক। - আহমদ ছফার গবেষণার বিষয় ছিল বাঙালি মুসলমান সমাজ। - তাঁর মৃত্যু ২০০১ সালের ২৮ জুলাই।
তাঁর রচিত উপন্যাস সমূহ: - সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭), - উদ্ধার (১৯৭৫), - একজন আলী কেনানের উত্থান পতন (১৯৮৯), - অলাতচক্র (১৯৯০), - ওঙ্কার (১৯৯৩), - গাভীবৃত্তান্ত (১৯৯৪), - অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬), - পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬)
গল্পগ্রন্থ: নিহত নক্ষত্র (১৯৬৯)
কাব্যগ্রন্থ: জল্লাদ সময়, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমোবে এবার ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য রচনা: নতুন বিন্যাস (১৯৭৩) ও বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৭৬)
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১৯০৩ সালে নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তাঁর পেশাগত জীবন শুরু হয় কুলিল্লা ইউসুফ হাইস্কুলে একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে। - তিনি ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং এর সভা ও সম্মেলনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। - মোতাহের হোসেনের প্রবন্ধের গদ্যশৈলীতে প্রমথ চৌধুরীর এবং মননে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। - ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর রচিত প্রবন্ধ: - সংস্কৃতি কথা, - আমাদের দৈন্য, - আদেশপন্থী ও অনুপ্রেরণাপন্থী, - মুসলমান সাহিত্যিকদের চিন্তাধারা, - রবীন্দ্রনাথ ও বৈরাগ্যবিলাস, - সুখ
তাঁর রচিত অন্যান্য প্রবন্ধগ্রন্থ: - ক্লাইভ বেল এর Civilization গ্রন্থের ভাবানুবাদ ‘সভ্যতা' (১৯৬৫), - বার্ট্রান্ড রাসেলের Conquest of Happiness গ্রন্থের ভাবানুবাদ ‘সুখ' (১৯৬৮)।
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।