জন্ম-মৃত্যু (57 টি প্রশ্ন )
- রশীদ করীম বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট কথাশিল্পীর নাম।
- তিনি ১৪ আগস্ট, ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
- রশীদ করীমের 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাস দেশভাগপূর্ব বাঙালি মুসলিম সমাজের বিশ্বস্ত দলিল।
- তাঁর রচিত 'আমার যত গ্লানি' আর 'মায়ের কাছে যাচ্ছি' উপন্যাস যেন মহান মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্যিক দলিল।
- ১৯৬১ সালে তিনি আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।
- ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
- ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।
- ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উপন্যাস:
- উত্তম পুরুষ (১৯৬১)
- প্রসন্ন পাষাণ (১৯৬৩)
- আমার যত গ্লানি (১৯৭৩)
- প্রেম একটি লাল গোলাপ (১৯৭৮)
- সাধারণ লোকের কাহিনী (১৯৮১)
- একালের রূপকথা (১৯৮১)
- শ্যামা (১৯৮৪)
- বড়ই নিঃসঙ্গ (১৯৮৫)
- মায়ের কাছে যাচ্ছি (১৯৮৯)
- চিনি না (১৯৯০)
- পদতলে রক্ত (১৯৯০), এবং
- লাঞ্চ বক্স (১৯৯৩)

ছোটগল্প: প্রথম প্রেম (১৯৮৪)

প্রবন্ধগ্রন্থ:
- আর এক দৃষ্টিকোণ (১৯৮৯)
- অতীত হয় নূতন পুনরায় (১৯৯২), এবং
- মনের গহনে তোমার মুরতিখানি (১৯৯২)

আত্মজীবনী: জীবন মরণ (১৯৯৯)
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
- তিনি ১৮৩৮ সালের ২৭ জুন চবিবশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- উপনিবেশিক সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন।
- তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১৮৯১ সালে ‘রায়বাহাদুর’ এবং ১৮৯৪ সালে ‘Companion of the Most Eminent Order of the Indian Empire’ (CMEOIE) উপাধি প্রদান করে।
- তাঁর প্রথম দিকের বাংলা ও ইংরেজি রচনা (ললিতা, মানস, Adventures of a Young Hindu এবং Rajmohan’s Wife)।
- বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর হিন্দুজাতির পুনরুত্থান বিষয়ক প্রবন্ধ ও গ্রন্থে ‘বন্দে মাতরম্’, ‘মাতৃভূমি’, ‘জন্মভূমি’, ‘স্বরাজ’, ‘মন্ত্র’ প্রভৃতি নতুন শ্লোগান তৈরি করেছিলেন।
- তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
- তার লেখা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫)।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাসঃ
- কপালকুণ্ডলা
- মৃণালিনী
- বিষবৃক্ষ
- ইন্দিরা
- যুগলাঙ্গুরীয়
- রাজসিংহ
- আনন্দমঠ
- দেবী চৌধুরানী,
- চন্দ্রশেখর
- রাধারানী
- রজনী
- কৃষ্ণকান্তের উইল ইত্যাদি।

সোর্সঃ বাংলা পিডিয়া। 
- হুমায়ুন আজাদ (১৯৪৭-২০০৪) কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী।
- বিক্রমপুরের রাড়িখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল তার জন্ম। পিতা আবদুর রাশেদ স্কুল শিক্ষক, মাতা জোবেদা খাতুন গৃহিণী।
- তাঁর পূর্ব নাম হুমায়ুন কবির।
- ১৯৮৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি হুমায়ুন কবির নাম পরিবর্তর করে বর্তমান হুমায়ুন আজাদ নাম গ্রহণ করেন।
- সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।
- সাহিত্যস্রষ্টা হিসেবে তাঁর প্রতিভা ও মননের এক অসাধারণ দিক উন্মোচিত হয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা কিছু গ্রন্থে, যেখানে তাঁর ব্যঞ্জনাধর্মী ভাষা সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
তার কিছু গ্রন্থঃ
- লাল নীল দীপাবলি (১৯৭৬),
- ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না (১৯৮৫),
- কতো নদী সরোবর (১৯৮৭),
- আববুকে মনে পড়ে (১৯৮৯),
- বুকপকেটে জোনাকিপোকা (১৯৯৩),
- আমাদের শহরে একদল দেবদূত (১৯৯৬),
- অন্ধকারে গন্ধরাজ (২০০৩) প্রভৃতি ।
- অদ্বৈত মল্লবর্মণ (১৯১৪-১৯৫১) সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক।
- ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার গোকর্ণ গ্রামে এক দরিদ্র জেলে পরিবারে তাঁর জন্ম।
- জীবিকার সন্ধানে অদ্বৈত ১৯৩৪ সালে কুমিল্লার বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবী নরেন্দ্র দত্তের সঙ্গে কলকাতা যান।
- সেখানে মাসিক পত্রিকা ত্রিপুরা সম্পাদনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়।
- পরে তিনি প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত নবশক্তি পত্রিকায় যোগ দেন।
- তিনি মোহাম্মদী, আজাদ, নবযুগ, কৃষক, যুগান্তর প্রভৃতি পত্রিকায়ও সাংবাদিকতা করেন।
- ১৯৪৫ সালে বিখ্যাত দেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করে তিনি আমৃত্যু এ দায়িত্ব পালন করেন।
- তাঁর একমাত্র উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম মাসিক মোহাম্মদীতে প্রথম ধারাবাহিকভাবে (১৯৪৫-৪৭) প্রকাশিত হয়।
- এ উপন্যাসের জন্যই তিনি সাহিত্যজগতে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
- দুঃস্থ ও পরিচিত জনদের জন্যও তিনি প্রচুর খরচ করতেন।
- দারিদ্র্য, অনাহার ও অতিশ্রমের কারণে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৫১ সালে ১৬ এপ্রিল মাত্র ৩৭ বছর বয়সে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসান আজিজুল হক (১৯৩৯-২০২১)

- বাংলাদেশের ছোটগল্পের ধারায় অত্যন্ত শক্তিমান লেখকরূপে স্বীকৃত হাসান আজিজুল হক।
- বস্তুবাদী চিন্তা-চেতনার আলোকে তিনি সমাজ জীবনের অবক্ষয়, সাম্প্রদায়িকতা, নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবনের প্রকৃত রূপ, হতাশা ও দারিদ্র্যের নিখুঁত চিত্র নির্লিপ্ত শিল্পীর মত অঙ্কন করেছেন।
- হাসান আজিজুল হক ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- রাজশাহী কলেজে পড়াকালীন ভাঁজপত্র 'চারপাতা'য় আমের মাহাত্ম্যবিষয়ক তাঁর প্রথম লেখা ছাপা হয়।
- তিনি 'অসীমান্তিক' (১৯৯৮) নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
- তিনি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৭০), 'আদমজী সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৬৭), 'একুশে পদক' (১৯৯৯), 'আনন্দ পুরস্কার' (২০০৭) পান।
- তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' পদের জন্য মনোনীত হন।
- তিনি ১৫ নভেম্বর, ২০২১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩):
- বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে নাটক লেখেন দীনবন্ধু মিত্র।
- তিনি ঈশ্বর গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা রচনা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করেন।
- বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন।

- দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ সালে নদীয়ার চৌবেড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি পিতৃপ্রদত্ত নাম 'গন্ধর্ব নারায়ণ' পরিবর্তন করে নিজে রাখেন 'দীনবন্ধু'।
- তিনি 'সংবাদ প্রভাকর' (১৮৩১) ও 'সংবাদ সাধুরঞ্জন' (১৮৪৭) পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যজীবন শুরু করেন।
- ১৮৭১ সালে লুসাই যুদ্ধের সময় কাছাড়ে সফলভাবে ডাক বিভাগ পরিচালনা করেন, এজন্য সরকার তাঁকে 'রায়বাহাদুর' উপাধিতে ভূষিত করে।
- তিনি ১ নভেম্বর, ১৮৭৩ সালে মারা যান।
শামসুর রাহমান (১৯২৯ - ২০০৬): 
- শামসুর রাহমান ২৪ অক্টোবর, (পারিবারিক হিসেবে ২৩ অক্টোবর) ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে পুরান ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন।
- পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরার পাড়াতলি গ্রাম।
- শামসুর রাহমানের ডাকনাম- বাচ্চু।
- ১৯৫৭ সালে সাংবাদিক হিসেবে 'দৈনিক মর্নিং নিউজ'- এ কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে 'দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে এটি 'দৈনিক বাংলা' নামে নামকরণ হয়। ১৯৭৭ সালে 'দৈনিক বাংলা' ও সাপ্তাহিক 'বিচিত্রা'র সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সরকার পরিচালিত 'দৈনিক বাংলা' থেকে পদত্যাগ করেন।

- মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি কলকাতার 'দেশ' পত্রিকায় 'মজলুম আদিব' ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন।
- তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় সিন্দাবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক প্রভৃতি ছদ্মনামে সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখতেন।
- শামসুর রাহমান 'নাগরিক কবি' হিসেবে খ্যাত।
- তিনি ১৯৬৩ সালে 'আদমজী সাহিত্য পুরস্কার', ১৯৬৯ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার', ১৯৭৭ সালে 'একুশে পদক' এবং ১৯৯১ সালে 'স্বাধীনতা পুরস্কার' লাভ করেন।
- তিনি ১৭ আগস্ট, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
- কবির ইচ্ছানুযায়ী ১৮ আগস্ট বনানী কবরস্থানে মায়ের সমাধির মধ্যে সমাহিত করা হয়।

সুকান্ত ভট্টাচার্য

- জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২৬ (৩০ শ্রাবণ ১৩৩৩) কলকাতার কালীঘাটে।

- মৃত্যু: ১৯৪৭ সালের ১৪ মে (২৯ বৈশাখ ১৩৫৪) মাত্র ২১ বছর বয়সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে যাদবপুর টিবি হাসপাতালে মারা যান। 

- পৈতৃক নিবাস: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার উনশিয়া গ্রামে। বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি। 

- উপাধি: কিশোর কবি। 

- দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ অংশের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সম্পাদক। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কাব্যগ্রন্থ ছাড়পত্র (১৯৪৭), গীতিগুচ্ছ, ঘুম নেই , অভিযান, পূর্বাভাস, মিঠেকড়া, হরতাল (১৯৬২) 

- কবিতা: রানার


দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর জন্ম-মৃত্যু সাল ১৮৬৩-১৯১৩

- ১৮৬৩ সালের ১৯ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় জন্ম গ্রহণ করেন।
- তাঁর পিতা কার্তিকেয়চন্দ্র রায়।
- দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ডি. এল. রায় নামেও পরিচিত।
- তিনি একজন কবি, নাট্যকার ও গীতিকার। তিনি বাংলা সমবেত কণ্ঠসঙ্গীতের প্রবর্তক।
- এছাড়াও তিনি বাংলা প্যারোডি গানের পথিকৃৎ।
- তিনি ‘পূর্ণিমা সম্মেলন’ (১৯০৫) সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
- ১৯১৩ সালের ১৭ই মে, কলকাতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
●  নাটক: ঐতিহাসিক নাটক-
- তারাবাঈ (১৯০৩),
- রাজা প্রতাপসিংহ (১৯০৫),
- দুর্গাদাস (১৯০৬),
- সোহরাব রুস্তম (১৯০৮) ,
- নূরজাহান (১৯০৮),
- মেবার পতন (১৯০৮),
- সাজাহান (১৯০৯),
- চন্দ্রগুপ্ত (১৯১২),
- সিংহল বিজয় (১৯১৫)।

● প্রহসন নাটক-
- একঘরে (১৮৮৯),
- কল্কি অবতার (১৮৯৫),
- বিরহ (১৮৯৭),
- এ্যহস্পর্শ (১৯০১),
- প্রায়শ্চিত্ত (১৯০২) ,
- পুনর্জন্ম (১৯১১),
- আনন্দ-বিদায় (১৯১২)।

● পৌরাণিক নাটক-
- পাষাণী (১৯০০),
- সীতা (১৯০৮) ,
- ভীষ্ম (১৯১৪)।

● সামাজিক নাটক-
- পরপারে (১৯১২),
- বঙ্গনারী (১৯১৬)।

● কাব্যগ্রন্থ:
-  আর্যগাথা (১৮৮৪),
- The Lyrics of India (১৮৮৬ ),
- আষাঢ়ে (১৮৯৯),
- হাসির গান (১৯০০),
- মন্দ্র (১৯০২) ,
- আলেখ্য (১৯০৭),
- ত্রিবেণী (১৯১২)।

● গান:
- “ধনধান্য পুষ্পেভরা আমাদের এই বসুন্ধরা।”
- “বঙ্গ আমার! জননী আমার! ধাত্রী আমার! আমার দেশ।”
- “যেদিন সুনীল জলধি হইতে উঠিলে জননী ভারতবর্ষ।”

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, মুনীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দল তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তারা তাকে নিয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত এলাকায় একটি বাড়িতে। সেখানে, তারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

মুনীর চৌধুরীর হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ট্র্যাজেডি। এটি প্রমাণ করে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মূল করার জন্য একটি বর্বর অভিযান চালাচ্ছিল।

মুনীর চৌধুরীর স্মরণে, বাংলাদেশ সরকার তার নামে একটি পুরস্কার প্রদান করে। এই পুরস্কারটি প্রতি বছর "মানবতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য" একজন ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়।


১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ভাই শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মৃতদেহ মিরপুরের বধ্যভূমিতে খুঁজতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার।

খাপছাড়া পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেছিলেন তিনি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। ১৯৫৭ সালে চলচ্চিত্রে যুক্ত হন ‘জাগো হুয়া সবেরা’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে। ১৯৬৪ সালে তিনি নির্মাণ করেন উর্দুতে পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’। ‘বরফ গলা নদী’, ‘শেষ বিকালের মেয়ে’, ‘আর কত দিন’, ‘তৃষ্ণা’, ‘হাজার বছর ধরে’ প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।
- ইলিয়াস, আখতারুজ্জামান (১৯৪৩-১৯৯৭) কথাসাহিত্যিক। পূর্ণনাম আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস।
- ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈতৃক নিবাস বগুড়া শহরের নিকটবর্তী চেলোপাড়ায়। তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর লেখায় সমাজবাস্তবতা ও কালচেতনা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষত, তাঁর রচনাশৈলীর ক্ষেত্রে যে স্বকীয় বর্ণনারীতি ও সংলাপে কথ্যভাষার ব্যবহার লক্ষণীয় তা সমগ্র বাংলা কথাশিল্পে অনন্যসাধারণ।
- তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হলো:
- অন্যঘরে অন্যস্বর (১৯৭৬),
- খোঁয়ারি (১৯৮২),
- দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫),
- চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭),
- দোজখের ওম (১৯৮৯),
- খোয়াবনামা ১৯৯৬),
- সংস্কৃতির ভাঙা সেতু ইত্যাদি।

হাকিম আবুল কাশেম ফেরদৌসী তুসি,ফেরদৌসী নামে বেশি পরিচিত (৯৪০-১২২০ সিই) পারস্যের (বর্তমান ইরান) একজন বিখ্যাত কবি। তিনি বিখ্যাত মহাকাব্য শাহনামার রচয়িতা। শাহনামা একইসাথে ইরানের ও সারা বিশ্বের ফার্সি ভাষাভাষী লোকজনের জাতীয় মহাকাব্য।






ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
 

ব্রাহ্ম ধর্মের অনুসারী ভাই গিরীশচন্দ্র সেন সমগ্র পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ করেন। তিনি ১৯০০ সালে কুরআন শরীফের পুর্ণাঙ্গ বঙ্গানুবাদ সমাপ্ত করেন।


- ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে বন্দে আলী মিয়ার জন্ম।
- তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৩) পাস করে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট একাডেমীতে চিত্রবিদ্যায় (১৯২৭) শিক্ষালাভ করেন।
- বন্দে আলী মিয়া কবিতা, উপন্যাস, নাটক, জীবনী, শিশুসাহিত্য প্রভৃতি মাধ্যমে গ্রন্থ রচনা করেন।
- তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো: কাব্য ময়নামতীর চর (১৯৩০), অনুরাগ (১৯৩২), পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫); উপন্যাস বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮); গল্পগ্রন্থ তাসের ঘর (১৯৫৪); নাটক মসনদ (১৯৩১); শিশুসাহিত্য চোর জামাই (১৯২৭), মেঘকুমারী (১৯৩২), বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা (১৯৩২), সোনার হরিণ (১৯৩৯), শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৫৬), কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬১), সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭) এবং জীবনী কামাল আতাতুর্ক (১৯৩৭), শরৎচন্দ্র, ছোটদের নজরুল (১৯৫৮) ইত্যাদি।


বরাক্ষরিক ছন্দের প্রর্বতক করেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিমতা গ্রামে। তার পৈতৃক নিবাস বর্ধমানের চুপী গ্রামে। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত একজন বাঙালি কবি এবং ছড়াকার। তাকে ছন্দের জাদুকর বলার কারন তার কবিতায় তিনি ছন্দের কারুকাজ, শব্দ ও ভাষার যথোপযুক্ত ব্যবহার করতেন এই জন্যই তার এক কৃতিত্বের সুবাদে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে ছন্দের জাদুকর বলা হয়।

- ড. আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।
- বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালের ১৯ জুন তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিযোগ দেন।
- ২০১৭ সালে তিনি ১৪২৩ বঙ্গাব্দের আনন্দ পুরস্কার পান তাঁর লেখা 'বিপুলা পৃথিবী' বইয়ের জন্য।
- ১৪ মে, ২০২০ সালে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ৮৩ বছর বয়সে মারা যান।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলোঃ
- মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য,
- মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র,
- বিপুলা পৃথিবী,
- কাল নিরবধ্‌
- আঠারো শতকের বাংলা ইত্যাদি।

- স্বশিক্ষিত দার্শনিক ও চিন্তাবিদ আরজ আলী মাতুব্বর ১৯০০ সালে বরিশাল জেলার লামচরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না পেলেও নিজের চেষ্টায় বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে অগাধ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
- কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর জন্ম বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে আনুমানিক ১৫৪০ সালে।
- সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- শামসুর রাহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর মাতুলালয় পুরনো ঢাকার মাহুতটুলিতে। তার পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরার পাড়াতলী গ্রামে।
- নাট্যকার সেলিম আলদীন জন্মগ্রহণ করেন ১৮ নভেম্বর, ১৯৪৮ সালে ফেনী জেলার সেনেরখীল গ্রামে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0