ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (101 টি প্রশ্ন )
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মূলত সমাজ সংস্কারক, লেখক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন।
- ১৮৩৯ সালে কলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি দেওয়া হয়।
- তিনি এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন। অসাধারণ মেধার কারণে তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়।
- তিনি বিধবা বিবাহ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন৷

- প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)।
- বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক গদ্য রচনার নাম 'প্রভাবতী সম্ভাষণ' (১৮৯২)৷
- ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ কৌমুদী'৷

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১):
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর প্রকৃত/পারিবারিক নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
- সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তিনি স্বাক্ষর করতেন ‘ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা’ নামে।
- তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
- তিনি বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন।
- ১৮৪৭ সালে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলা গদ্য প্রবাহ সমৃদ্ধির জন্য তিনি ‘উচ্চবচন ধ্বনিতরঙ্গ’ ও ‘অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত’ সৃষ্টি করেন।
‘কালপেঁচা’ ছদ্মনামে পরিচিত বিনয় ঘোষ রচিত তিন খণ্ডে বিভক্ত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ (১৯৫৭)।
-১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদ্যাপনের অঙ্গরূপে ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতামালা'র আয়োজন করে ।
-এ আয়োজনে বিনয় ঘোষ প্রথম বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ পান। এখানে তিনি মোট ৬টি লিখিত ভাষণ দেন। এ ৬টি ভাষণের পরিমার্জিত রূপ ‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ গ্রন্থটি।
-এতে প্রাধান্য পেয়েছে উনিশ শতকের বাংলার সামাজিক ইতিহাসের পটভূমিতে বিদ্যাসাগরের জীবনদর্শন।

তাঁর রচিত অন্যান্য প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘শিল্প সংস্কৃতি ও সমাজ’ (১৯৪০), ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতি' (১৯৪১), ‘সোভিয়েত সভ্যতা (১৯৪১), ‘ফ্যাসিজম ও জনযুদ্ধ' (১৯৪২), ‘কালপেঁচার নকশা’ (১৯৫১), 'কালপেঁচার দুকলম' (১৯৫২), ‘জনসভার সাহিত্য' (১৯৫৫), ‘কালপেঁচার বৈঠক’ (১৯৫৭), 'পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি' (১৯৫৭), ‘বিদ্রোহী ডিরোজিও’ (১৯৬১), ‘বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা (১৯৬৮) 'সাময়িকপত্রে বাংলার সমাজচিত্র' (১৯৬৮), মেট্রোপলিটন মন, মধ্যবিত্ত ও বিদ্রোহ' (১৯৭৩), 'বাংলার বিদ্বৎসমাজ (১৯৭৩), 'কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত' (১৯৭৫), ‘অটোমেটিক জীবন ও সমাজ' (১৯৭৮), 'নববাবু চরিত্র' (১৯৭৯), ‘বাংলার লোকসংস্কৃতি ও সমাজতত্ত্ব' (১৯৮৩)।

বিনয় ঘোষ রচিত ছোটগল্প সংকলন ‘ডাস্টবিন’ ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কালিদাসের সংস্কৃত ভাষার নাটক 'অভিজ্ঞানশকুন্তলম' এর উপাখ্যান ভাগের বাংলা অনুবাদ করেন,
তার অনুবাদগ্রন্থঃ
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাস,
- ভ্রান্তিবিলাস,
- বাঙলার ইতিহাস ইত্যাদি।

-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাঙ্গাত্মক রচনা ‘ব্রজবিলাস’ (১৮৮৫)।
-এটি তিনি ‘কবিকুল তিলকস্য কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য' ছদ্মনামে লেখেন।
-বিদ্যাসাগর অনূদিত শেক্সপিয়রের 'Commedy of Errors' এর বাংলা রূপ ‘ভ্রান্তিবিলাস' (১৮৬৯); চেম্বার্সের Rudiments of Knowledge অবলম্বনে রচিত ‘বোধোদয়' (১৮৫১); ঈশপের Fables অবলম্বনে রচিত ‘কথামালা (১৮৫৬)।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই কলকাতায় মারা যান।
- 'প্রভাবতী সম্ভাষণ' বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক গদ্য রচনা।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'।
- এই গ্রন্থে তিনি প্রথম যতি বা বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কালিদাসের সংস্কৃত ভাষার নাটক 'অভিজ্ঞানশকুন্তলম' এর উপাখ্যান ভাগের বাংলা অনুবাদ করেন,
তার অনুবাদগ্রন্থঃ
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাস,
- ভ্রান্তিবিলাস,
- বাঙলার ইতিহাস ইত্যাদি।

• বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক গদ্য রচনার নাম 'প্রভাবতী সম্ভাষণ (১৮৯২)'
• প্রাচীন সংস্কৃত মহাকবি কালিদাস রচিত 'অভিজ্ঞান শকুন্তলাম' নাটক অবলম্বনে ১৮৫৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 'শকুন্তলা' রচনা করেন এবং Shakespare এর 'Comedy of Errors' বঙ্গানুবাদ হিসেবে রচনা করেন 'ভ্রান্তিবিলাস'। তাই এগুলো তার মৌলিক রচনা নয় ।
• 'বাঙালীর ইতিহাস' গ্রন্থটি লিখেছেন নীহাররঞ্জন রায় ।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর । তার রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থ 'ব্যাকরণ কৌমুদী' ।
- সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা ও (১৮৫১) বর্ণপরিচয়ের মতো অভিনব— এর আগে বাংলা ভাষায় কোনো সংস্কৃত ব্যাকরণ ছিল না। চার খন্ডে লেখা ব্যাকরণ-কৌমুদীও (১৮৫৩-৬৩) তাঁর ব্যাকরণ রচনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অবদান।
- বিদ্যাসাগর অনূদিত শেক্সপিয়রের 'Comedy of Errors' এর বাংলা রূপ ‘ভ্রান্তিবিলাস' (১৮৬৯), চেম্বার্সের Rudiments of Knowledge অবলম্বনে রচিত ‘বোধোদয়' (১৮৫১), ঈশপের Fables অবলম্বনে রচিত ‘কথামালা' (১৮৫৬)।
- আধুনিক বাংলা গদ্যের প্রধান রূপকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নানাভাবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন।
- উনিশ শতকের মানবতাবাদে যেমন, বাংলা গদ্যের সার্থক শিল্পরূপ নির্মাণের ক্ষেত্রেও তেমনি তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
- বিদ্যাসাগরের রচনাকে চারটি ধারায় ভাগ করা যায়: সমাজবিষয়ক রচনা, রম্যরচনা, পাঠ্যপুস্তক ও সাহিত্যধর্মী রচনা।
- তাঁর রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য বাংলা গদ্যে সাবলীল গতিভঙ্গি তথা অন্তর্নিহিত ছন্দ আবিষ্কার এবং বিরামচিহ্নের যথাযথ ব্যবহার
- উনিশ শতকের বাংলা গদ্যের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও নিয়ন্ত্রক ছিলেন বিদ্যাসাগর।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লর্ড ডালহৌসির সহায়তায় ২৬ জুলাই, ১৮৫৬ সালে ভারতবর্ষের সকল বিচারব্যবস্থায় বিধবা বিবাহ আইন প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৭৭০ সালে তিনি নিজ পুত্র নারায়ণ দেবকে এক বিধবার সাথে বিবাহ করিয়েছিলেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০ - ১৮৯১ ) রচিত মৌলিক গ্রন্থ হলাে - অতি অল্প হইল । এ গ্রন্থটি ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত হয় । অতি অল্প হইল','আবার অতি অল্প হইল', 'ব্রজবিলাস' গ্রন্থগুলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য" নামে প্রথম রচনা করেন। "রত্নপরীক্ষা" গ্রন্থটি লিখেন 'কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো-সহচরস্য' ছদ্মনামে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনা :
- বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিয়ক প্রস্তাব
- বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিয়ক বিচার
- প্রভাবতী সম্ভাষণ
- স্বরচিত জীবনচরিত
- অতি অল্প হইল
- আবার অতি অল্প হইল
- ব্রজবিলাস ইত্যাদি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত 'জীবন চরিত' চেমার্সের Biographics অনুসরণে রচিত। এটি একটি অনুবাদগ্রন্থ।
তাঁর রচিত অন্যান্য অনুবাদগ্রন্থঃ
- বেতাল পঞ্চবিংশতি,
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাস,
- ভ্রান্তিবিলাস,
- নীতিবোধ,
- বাঙলার ইতিহাস ইত্যাদি।
'নীতিবোধ' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত অনুবাদগ্রন্থ। রবার্ট ও উইলিয়াম চেম্বার্সের মরাল বুক অবলম্বনে এটি রচিত। তাঁর রচিত অন্যান্য অনুবাদ গ্রন্থ- বাঙ্গালার ইতিহাস, জীবনচরিত , কথামালা, চরিতাবলী, ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত পাঠ্যবই- বর্ণপরিচয়, ঋজুপাঠ, বোঢোদয়, নীতিবোধ, কথামালা, আখ্যানমঞ্জরি, ইত্যাদি।
আখ্যানমঞ্জরি- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা। এটি ১৮৬৮ সালে প্রকাশিত হয়। বিশ্বের নানা দেশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ ব্যক্তির জীবনের গৌরবদীপ্ত ঘটনাই এ গ্রন্থের রচনাগুলোর উপজীব্য।
রত্নপরীক্ষা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিতর্কমূলক গ্রন্থ। এটি ১৮৮৬ সাল প্রকাশিত হয়। "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো-সহচরস্য" ছদ্মনামে তিনি এটি রচনা করেন। এতে বিধবা বিবাহের বিপক্ষে সংস্কৃত কলেজের ৩ জন অধ্যাপক ভুবনমোহন বিদ্যারত্ন, প্রশান্তচন্দ্র ন্যায়রত্ন এবং মধুসূদন স্মৃতিরত্নের যুক্তি খন্ডন করেন।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-বোধোদয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত একটি অনুবাদগ্রন্থ।
-এটি ১৯৫১ সালে প্রকাশিত হয়।
-'‌বোধোদয়'‌–‌এ বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের ওপর লেখা আছে।
-জড়পদার্থ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাণী, উদ্ভিদ, মানবজাতি,
-পঞ্চ ইন্দ্রিয়, ধাতু, কৃষিকর্ম, জল, নদী, সমুদ্র অর্থাৎ প্রাণিবিদ্যা,
-উদ্ভিদবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ভূবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে প্রবন্ধ এতে স্থান পেয়েছে।
-তাঁর রচিত অন্যান্য অনুবাদ গ্রন্থ- বাঙ্গালার ইতিহাস, জীবনচরিত, নীতিবোধ , কথামালা, চরিতাবলী, ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০ - ১৮৯১ ) রচিত মৌলিক গ্রন্থ হলাে - অতি অল্প হইল । এ গ্রন্থটি ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত হয় ।
চরিতাবলী(১৮৫৬), সীতার বনবাস(১৮৬০), আখ্যানমঞ্জুরী(১৮৬৩), পদ্য সংগ্রহ(১৮৮৮), শ্লোকমঞ্জুরী(১৮৯০) ইত্যাদি বদ্যাসাগরের রচনা।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মূলত সমাজ সংস্কারক, লেখক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন।
- ১৮৩৯ সালে কলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি দেওয়া হয়।
- তিনি এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন। অসাধারণ মেধার কারণে তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়।
- তিনি বিধবা বিবাহ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন৷

- প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)।
- বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক গদ্য রচনার নাম 'প্রভাবতী সম্ভাষণ' (১৮৯২)৷
- ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ কৌমুদী'৷

- বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ প্যারীচাঁদ মিত্র।
- পাদ্রি লঙ সাহেব তাকে ডিফেন্স অব বেঙ্গল নামে অভিহিত করেন।
- তার ছদ্মনাম ছিলো টেকচাঁদ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের ‘প্রথম শিল্পী’ বলে অভিহিত করেছেন।
অক্ষয়কুমার দত্ত ছিলেন একজন বাঙালি সাংবাদিক, প্রবন্ধকার এবং লেখক। বাংলা, সংস্কৃত এবং ফারসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর দক্ষতা ছিল। তিনি ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পূর্বে ইংরেজি অনুসরণে যতিচিহ্নের ব্যবহার করেন। অক্ষয়কুমারের অনেক রচনা ইংরেজি থেকে অনূদিত ও সংকলিত।  তিনি ছিলেন ভারতে বিজ্ঞান আলোচনার পথপ্রদর্শক।
 
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
- ভূগোল (১৮৪১)
- চারুপাঠ’,
- ধর্মনীতি (১৮৫৫)
- পদার্থবিদ্যা (১৮৫৬)।
 
১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় ও অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা।

প্রাচীন সংস্কত মহাকবি কালিদাস রচিত 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম' নাটক অবলম্বনে ১৮৫৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একটি আখ্যান কাহিনি লিখে নাম দেন 'শকুন্তলা'।
অতি অল্প হইল','আবার অতি অল্প হইল','ব্রজবিলাস', বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী','রত্ন পরীক্ষা' এই পাঁচটি বেনামি রচনা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের । অতি অল্প হইল','আবার অতি অল্প হইল', 'ব্রজবিলাস' গ্রন্থগুলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য" নামে প্রথম রচনা করেন। "রত্নপরীক্ষা" গ্রন্থটি লিখেন 'কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো-সহচরস্য' ছদ্মনামে।

(১৩৯, শীকর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ২০২০)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১): ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর প্রকৃত/পারিবারিক নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তিনি স্বাক্ষর করতেন ‘ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা’ নামে।
তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়। তিনি বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন। ১৮৪৭ সালে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলা গদ্য প্রবাহ সমৃদ্ধির জন্য তিনি ‘উচ্চবচন ধ্বনিতরঙ্গ’ ও ‘অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত’ সৃষ্টি করেন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
প্রভাবতী সম্ভাষণ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক গদ্যগ্রন্থ, প্রকাশকাল- ১৮৯২ সাল। তার অন্যান্য মৌলিক রচনা-- অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, রত্নপরীক্ষা ইত্যাদি। অনুবাদমূলক গ্রন্থ-- বেতাল পঞ্চবিংশতি, ভ্রান্তিবিলাস, শকুন্তলা, সীতার বনবাস ইত্যাদি। উৎসঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0