প্রাচীন যুগ ও চর্যাপদ (364 টি প্রশ্ন )
- 'নবচর্যাপদ' হলো চর্যাপদের পরবর্তী সময়ে আবিষ্কৃত একটি নতুন পুঁথি।
- ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত নেপাল থেকে এটি সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেন।
- এটি ১৯৬৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়।
- অন্যদিকে, মূল চর্যাপদ সংগ্রহ করেছিলেন মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে চর্যাপদের মূল পুঁথিটি আবিষ্কার করেন।
- তিনি চর্যাপদের সাথে সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং ডাকার্ণব নামক আরও তিনটি পুঁথি সম্পাদনা করেন।
- এই চারটি পুঁথি একত্রে 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা' নামে প্রকাশিত হয়।
- এটি ১৩২৩ বঙ্গাব্দে (১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে) কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
- চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।
- এর বিষয়বস্তু হলো বৌদ্ধ ধর্মমতের সাধন ভজনের তত্ত্বপ্রকাশ।
- এর কবিরা ছিলেন সহজঘানী বৌদ্ধ।
- প্রাচীন বাংলা ভাষার চর্যাপদের মোট ৫০ টি পদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
- চর্যাপদে আরও একজন পদকর্তার নাম আছে, কিন্তু তার পদটি নেই। সেটি ধরলে চর্যার পদ সংখ্যা ৫১ এবং কবি ২৪ জন।
- তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থ 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে।
- আর সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে ২৪ জন কবির কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেনঃ
» কাহ্নপা - ১৩টি
» ধর্মপা - ১টি
» ঢেণ্ডণপা - ১টি
» ডোম্বিপা - ১টি
» জয়নন্দীপা - ১টি
» কঙ্কণপা - ১টি
» কম্বলাম্বরপ - ১টি
» তাড়কপা - ১টি
» তন্ত্রীপা - ১টি
» বীণাপা - ১টি
» বুরুপা - ১টি
» কুক্কুরীপা - ৩টি
» মহীধরপা - ১টি
» শবরপা - ২টি
» শান্তিপা - ২টি
» আর্যদেবপা ১টি
» ভুসুকুপা - ৮টি
» ভাদেপা - ১টি
» লুইপা- ২ টি
» দারিকাপা - ১টি
» শরহপা - ৪টি
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রথমবার নেপাল ভ্রমণ করেন ১৮৯৭ সালে।
- এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধ লোকাচার ও ধর্মীয় পুঁথি সংগ্রহ।
- তিনি নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগারে বিভিন্ন প্রাচীন পুঁথি অনুসন্ধান করেন।
- যদিও চর্যাপদ আবিষ্কার করেন ১৯০৭ সালে, তার আগেই তিনি নেপালে গিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন।
- ১৮৯৭ সালে তার প্রথম নেপাল ভ্রমণ ছিল বৌদ্ধ ধর্মীয় পুঁথি ও লোকাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য।
- ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে "চর্যাচর্যবিনিশ্চয়" নামক পুঁথি আবিষ্কার করেন।
- এই পুঁথির সঙ্গে আরও দুটি গ্রন্থ পাওয়া যায়, সেগুলো হলো "ডাকার্ণব" এবং "দোহাকোষ"।
- এই তিনটি গ্রন্থ একত্রে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে "হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা" নামে প্রকাশিত হয়।

- চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।
- এর বিষয়বস্তু হলো বৌদ্ধ ধর্মমতের সাধন ভজনের তত্ত্বপ্রকাশ।
- এর কবিরা ছিলেন সহজঘানী বৌদ্ধ।
- প্রাচীন বাংলা ভাষার চর্যাপদের মোট ৫০ টি পদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
- চর্যাপদে আরও একজন পদকর্তার নাম আছে, কিন্তু তার পদটি নেই। সেটি ধরলে চর্যার পদ সংখ্যা ৫১ এবং কবি ২৪ জন।
- তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থ 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে।
- আর সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে ২৪ জন কবির কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেনঃ
» কাহ্নপা - ১৩টি
» ধর্মপা - ১টি
» ঢেণ্ডণপা - ১টি
» ডোম্বিপা - ১টি
» জয়নন্দীপা - ১টি
» কঙ্কণপা - ১টি
» কম্বলাম্বরপ - ১টি
» তাড়কপা - ১টি
» তন্ত্রীপা - ১টি
» বীণাপা - ১টি
» বুরুপা - ১টি
» কুক্কুরীপা - ৩টি
» মহীধরপা - ১টি
» শবরপা - ২টি
» শান্তিপা - ২টি
» আর্যদেবপা ১টি
» ভুসুকুপা - ৮টি
» ভাদেপা - ১টি
» লুইপা- ২ টি
» দারিকাপা - ১টি
» শরহপা - ৪টি
বাংলা সাহিত্যের যুগকে প্রধান তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়ঃ

- প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ)
- মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ)
- আধুনিক যুগ (১৮০১- বর্তমান), অর্থাৎ ১৯শতক থেকে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক পর্ব শুরু হয়।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন 'চর্যাপদ' গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন। এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে 'চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।
- তাঁর সম্পাদনায় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে 'চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়', 'ডাকার্ণব, ‘সরহপাদের দোহা' ও 'কৃষ্ণপাদের দোহা' গ্রন্থের সম্মিলনে 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে প্রকাশিত হয়।
- এতে পদসংখ্যা ৫১টি এবং পদকর্তা ২৪ জন।
- প্রথম পদের রচয়িতা লুইপা।
- চর্যাপদের সর্বোচ্চ ১৩টি পদের রচয়িতা কাহ্নপা

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে।
- সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' (১ম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া গেছে। 
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন 'চর্যাপদ' গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন।
- এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে 'চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।
- তাঁর সম্পাদনায় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে 'চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়', 'ডাকার্ণব, 'সরহপাদের দোহা' ও 'কৃষ্ণপাদের দোহা' গ্রন্থের সম্মিলনে 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে প্রকাশিত হয়। 
- প্রথম পদের রচয়িতা লুইপা।
- চর্যাপদের সর্বোচ্চ ১৩টি পদের রচয়িতা কাহ্নপা।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়।
- ১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের মৃত্যুর মাধ্যমে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে এবং ১৮০১ সাল থেকে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ শুরু হলেও বাংলা কাব্যসাহিত্যে ১৮৬১ সালে 'মেঘনাদবধ' প্রকাশিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে আধুনিকতা শুরু হয়নি।
- এই একশ (১৭৬০ - ১৮৬০) বছর কাব্যে আধুনিকতায় পৌঁছার প্রচেষ্টা চলেছে মাত্র।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মধ্যযুগের দেব-দেবীর কাহিনী বর্জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ছোট ছোট কবিতা লেখা শুরু করেন।
- তাঁর কবিতায় সমাজচেতনা থেকে শুরু করে দেশাত্মবোধ পর্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠে।
- আবার তাঁর কবিতায় কবিয়াল ও শায়েরদের রচনার ঢং, পয়ার ও ত্রিপদীর ব্যবহারও লক্ষণীয়।
- তাঁর মধ্যে মধ্যযুগের কাব্য-বৈশিষ্ট্য ও আধুনিক যুগের সূচনা-বৈশিষ্ট্য সমানভাবে লক্ষ করা যায় বলে তাকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন 'চর্যাপদ' গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন। এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে 'চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।
- তাঁর সম্পাদনায় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে 'চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়', 'ডাকার্ণব, ‘সরহপাদের দোহা' ও 'কৃষ্ণপাদের দোহা' গ্রন্থের সম্মিলনে 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে প্রকাশিত হয়।
- এতে পদসংখ্যা ৫১টি এবং পদকর্তা ২৪ জন।
- প্রথম পদের রচয়িতা লুইপা।
- চর্যাপদের সর্বোচ্চ ১৩টি পদের রচয়িতা কাহ্নপা।
- ঋগ্বেদ, যা প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, মূলত বিভিন্ন ঋষি বা মুনিদের দ্বারা রচিত।
- এই গ্রন্থে মোট ১০২৮টি সূক্ত এবং ১০,৫৫২টি মন্ত্র (ঋক) রয়েছে।
- প্রতিটি সূক্ত বা মন্ত্রের রচয়িতা হিসেবে বিভিন্ন ঋষির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
- ঋগ্বেদের রচয়িতাদের সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যায় যে, মোট ৩৭৮ জন ঋষি এই গ্রন্থের রচনায় অবদান রেখেছেন।
- এই ঋষিদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি এবং কিছু গোত্র বা পরিবারও অন্তর্ভুক্ত। যেমন, বিশ্বামিত্র, ভরদ্বাজ, অত্রি, কশ্যপ, এবং বাসিষ্ঠ প্রমুখ ঋষিরা ঋগ্বেদের রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
- রামাই পণ্ডিত রচিত ৫১টি অধ্যায় সম্বলিত সংস্কৃত ভাষায় গদ্য পদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য ‘শূন্যপুরাণ, যা বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগের নিদর্শন।
- এতে শূন্যময় দেবতা ধর্মঠাকুরের পূজা পদ্ধতির বর্ণনা আছে বলেই এর নাম রাখা হয় ‘শূন্যপুরাণ’।
- এ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ বা ‘নিরঞ্জনের উম্মাত কবিতায় ব্রাহ্মণ্য শাসনের বদলে মুসলিম শাসন প্রচলনের পক্ষে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে।
- ত্রয়োদশ শতকে প্রাকৃত ভাষায় শ্রীহর্ষ রচিত গীতিকবিতার ·মহাসঙ্কলন প্রাকৃতপৈঙ্গল, যা অন্ধকার যুগের প্রথম সাহিত্যিক নিদর্শন।
- রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ুধ মিশ্র সংস্কৃত ভাষায় গদ্য পদ্যে (চম্পুকাব্য) ২৫টি অধ্যায়ে ‘সেক শুভোদয়া’ রচনা করেন।
- শেখের শুভোদয় অর্থাৎ শেখের গৌরব প্রচারই এর মূল উপজীব্য।
- বাংলা সাহিত্যে আধুনিক পর্ব শুরু হয় ১৮০১ সালে অর্থাৎ ১৯ শতকে।
- প্রকৃতপক্ষে আধুনিক যুগ শুরু হয় ১৮৬০ সালের দিকে মাইকেল মধুসূদনের আবির্ভাবের মাধ্যমে।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগবিভাগ তিনটি।
যথা-
১. প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০ খ্রি.),
২. মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রি.) ও
৩. আধুনিক যুগ (১৮০১-বর্তমান)।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১২০১-১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে অন্ধকার যুগ বলে।
- ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজি কর্তৃক বাংলা দখলের ফলে সমাজে নানা ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হওয়ার কারণে উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সৃষ্টি হতে পারেনি।
- তবে অনেক সাহিত্যিকের মতে, সে সময়ে বিশেষ কোনো সাহিত্য পাওয়া না গেলেও 'প্রাকৃতপৈঙ্গল', 'শূন্যপুরাণ' ও 'সেক শুভোদয়া' সাহিত্য রচিত হয়েছিল।
- সংস্কৃত ভাষায় রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ুধ মিশ্র কর্তৃক রচিত ২৫টি অধ্যায়ে গদ্য পদ্যে মিশ্রিত চম্পুকাব্য 'সেক শুভোদয়া'।
নব চর্যাপদ
- নব চর্যাপদ হলো চর্যাপদের অনুরূপ সাহিত্য।
- এর রচনাকাল ১৩-১৬ শতক।
- ড. অমিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৮৮ সালে কলকাতা হতে নব চর্যাপদ প্রকাশ করেন।
- ১৯৬০ সালে ড. শশীভূষণ দাস নেপাল হতে এটি আবিষ্কার করেন।
- নব চর্যাপদের পদসংখ্যা ২৫০টি কিন্তু প্রকাশিত হয় ৯৮টি পদ। 
- যে ভাষা সুনির্দিষ্ট রুপ পায়নি, যে ভাষার অর্থ একাধিক অর্থাৎ আলো-আঁধারের মতো, সে ভাষাকে পণ্ডিতগণ সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বলেছেন ।
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন 'চর্যাগীতি ' বা চর্যাপদ '
- সান্ধ্য ভাষা সমপর্কে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন 'আলো - আঁধারির ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না' ।
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, চর্যাপদের ভাষা সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের ভাষা 'বঙ্গকামরূপী' ।
- প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন চর্যাপদ। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন ।
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে এর পদকর্তা ২৩ জন এবং
- ড. সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন ।
- সবচেয়ে বেশি ১৩ টি পদের রচয়িতা কাহ্নপা এবং প্রথম রচয়িতা লুইপা ।
ধারণ করা হয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবতী কোন এক সময়ে চর্যাপদ রচিত হয়েছিল। 
- ড. শহীদুল্লাহর মতে ৬৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে রচিত। 
- সুকুমার সেনের মতে ৯০০-১৩৫০ সালের মধ্যে রচিত। 
- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে- পদগুলো ৯৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন 'চর্যাপদ' গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন।
- এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে 'চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।
- তাঁর সম্পাদনায় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়', 'ডাকার্ণব', 'সরহপাদের দোহা' ও 'কৃষ্ণপাদের দোহা' গ্রন্থের সম্মিলনে 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা' নামে প্রকাশিত হয়।
- এতে পদসংখ্যা ৫১টি এবং পদকর্তা ২৪ জন।
- প্রথম পদের রচয়িতা লুইপা।
- চর্যাপদের সর্বোচ্চ ১৩টি পদের রচয়িতা কাহ্নপা।
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন গ্রন্থ 'চর্যাপদ'। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ রচনা করেন ভুসুকুপা ৮টি।
- মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অনুমান করছেন তিনি পূর্ববঙ্গের। তাঁর মতে, আধুনিকতম চর্যাকার হলেন ভুসুকুপা
- এছাড়া বিভিন্ন গবেষকদের মতেও ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন।

প্রাচীন বাংলা ভাষার চর্যাপদের মোট ৫০ টি পদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়। চর্যাপদে আরও একজন পদকর্তার নাম আছে, কিন্তু তার পদটি নেই। সেটি ধরলে চর্যার পদ সংখ্যা ৫১ এবং কবি ২৪ জন। তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থ 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে। আর সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে ২৪ জন কবির কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেনঃ
» কাহ্নপা - ১৩টি
» ধর্মপা - ১টি
» ঢেণ্ডণপা - ১টি
» ডোম্বিপা - ১টি
» জয়নন্দীপা - ১টি
» কঙ্কণপা - ১টি
» কম্বলাম্বরপ - ১টি
» তাড়কপা - ১টি
» তন্ত্রীপা - ১টি
» বীণাপা - ১টি
» বুরুপা - ১টি
» কুক্কুরীপা - ৩টি
» মহীধরপা - ১টি
» শবরপা - ২টি
» শান্তিপা - ২টি
» আর্যদেবপা ১টি
» ভুসুকুপা - ৮টি
» ভাদেপা - ১টি
» লুইপা- ২ টি
» দারিকাপা - ১টি
» শরহপা - ৪টি
- শবরপা ছিলেন চর্যাপদের কবিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন, তাঁর জীবনকাল ছিল ৬৮০ থেকে ৭৬০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, শবরপা ছিলেন 'বাংলা দেশে'র লোক।
- শবরপা ছিলেন চর্যাপদের প্রথম টিকাকার লুইপা’র গুরু।
- শবরপা নাগার্জুনের শিষ্য ছিলেন।
- চর্যাপদের ২৮ ও ৫০ নম্বর পদ তাঁর রচনাশেষ।

- চর্যাপদের আদি কবি তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবি এবং চর্যাপদের প্রথম পদ রচয়িতা ছিলেন লুইপা।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন।
- এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা। মহামহোপাধ্যায় সালে নেপালের হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে ‘চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।
- এতে প্রবাদ বাক্য আছে ৬টি ।

- যথা:
• অপণা মাংসে হরিণা বৈরী (৬ নং পদ- হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু),
• হাথে রে কাঙ্কাণ মা লোউ দাপণ (৩২ নং পদ- হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পণ প্রয়োজন হয় না),
• হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেসী (৩৩ নং পদ- হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন প্রেমিকরা এসে ভীড় করে),
• দুহিল দুধু কি বেন্টে যামায় (৩৩ নং পদ- দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়),
• বর সুণ গোহালী কিমো দু বলন্দে (৩৯ নং পদ- দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল) ও
• অণ চাহন্তে আণ বিণঠা (৪৪ নং পদ - অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট)।
প্রাচীন বাংলা ভাষার চর্যাপদের মোট ৫০ টি পদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়। চর্যাপদে আরও একজন পদকর্তার নাম আছে, কিন্তু তার পদটি নেই। সেটি ধরলে চর্যার পদ সংখ্যা ৫১ এবং কবি ২৪ জন। তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থ 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে। আর সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে ২৪ জন কবির কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেনঃ
» কাহ্নপা - ১৩টি
» ধর্মপা - ১টি
» ঢেণ্ডণপা - ১টি
» ডোম্বিপা - ১টি
» জয়নন্দীপা - ১টি
» কঙ্কণপা - ১টি
» কম্বলাম্বরপ - ১টি
» তাড়কপা - ১টি
» তন্ত্রীপা - ১টি
» বীণাপা - ১টি
» বুরুপা - ১টি
» কুক্কুরীপা - ৩টি
» মহীধরপা - ১টি
» শবরপা - ২টি
» শান্তিপা - ২টি
» আর্যদেবপা ১টি
» ভুসুকুপা - ৮টি
» ভাদেপা - ১টি
» লুইপা- ২ টি
» দারিকাপা - ১টি
» শরহপা - ৪টি
- 'অবক্ষয় যুগ' বা 'যুগসন্ধিক্ষণ' নির্দেশ করে: মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ
- এই যুগ সাধারণত 18শ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে 19শ শতাব্দীর প্রথম দিক পর্যন্ত বিস্তৃত।
- ১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের তিরোধানের মাধ্যমে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে এবং ১৮৬০ সালে মাইকেলের সদর্প আগমনের মাধ্যমে আধুনিক যুগের সূচনা ঘটে ।
- এ ১০০ বছর সাহিত্য জগতে চলছিল বন্ধ্যাকাল, ফলে এ সময়টুকুকে বলে ‘অবক্ষয় যুগ' বা ‘যুগ সন্ধিক্ষণ।
- এ যুগের খ্যাতিমান কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন ‘চর্যাপদ গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেন।
- এতে বিধৃত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন।
- তাঁর সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে কলকাতার ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে ‘চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়'’, ‘ডাকার্ণব’, ‘সরহপাদের দোহা’ ও ‘কৃষ্ণপাদের দোহা’ গ্রন্থের সম্মিলনে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে প্রকাশিত হয়।
- চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি ভাষায় অনূদিত চর্যাপদ আবিষ্কার করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত।

চর্যাপদের পদসংখ্যা ৫১টি এবং পদকর্তা ২৪ জন।

● চর্যাপদের পদকর্তা: লুইপা, কাহ্নপা, আর্যদেবপা, কঙ্কণপা, কম্বলাম্বরপা, কুক্কুরীপা, গুণ্ডরীপা, চাটিলপা, জয়নন্দীপা, ঢেগুণপা, ডোম্বীপা, তান্তীপা, তাড়কপা, দারিকপা, ধর্ম্মপা, বিরূপা, বীণাপা, ভাদেপা, ভুসুকুপা, মহীণ্ডাপা, লাড়িডোম্বীপা, শবরপা, শান্তিপা, সরহপা।
- চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
- চর্যাপদের ভাষায় ৫টি ভাষার মিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়ঃ বাংলা, হিন্দি, মৈথিলী, অসমীয়া ও উড়িয়া
- চর্যাপদের ভাষা বাংলা ভাষার অদ্যাবধি আবিষ্কৃত আদিতম রূপ।
- চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তার বইয়ে চর্যাপদের ভাষাকে বঙ্গকামরূপী নামে আখ্যা দেন।
- সাধারণত, চর্যাপদ এর ভাষাকে বলা হয় সন্ধ্যাভাষা বা আলো-আধাঁরী ভাষা। চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।

- সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ-সংকলিত ও সম্পাদিত নতুন চর্যাপদে নবসংগৃহীত ৩৩৫টি পদ সংকলিত হয়েছে।
- এছাড়া পরিশিষ্ট অংশে রাহুল সাংকৃত্যায়ন-সংগৃহীত বিশটি চর্যাপদ, শশিভূষণ দাশগুপ্ত-সংগৃহীত একুশটি চর্যাপদ ও জগন্নাথ উপাধ্যায়-সংগৃহীত সাঁইত্রিশটি চর্যাপদ সংকলিত হয়েছে।
- সেই হিসাবে এ-গ্রন্থে সংকলিত নতুন চর্যাপদের মোট সংখ্যা ৪১৩টি

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত৷
- মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্'র মতে এই যুগের সময়সীমা ৬৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0