ছদ্মনাম ও উপাধি (293 টি প্রশ্ন )
কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তাঁর বিখ্যাত 'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যটি আড়রা গ্রামের জমিদার রঘুনাথ রায়ের নির্দেশে রচনা করেন। কাব্য রচনার জন্য জমিদার তাঁকে 'কবিকঙ্কণ' উপাধিতে ভূষিত করেন। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, 'কবিকঙ্কণ' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো—যে কবি হাতে বা পায়ে ঘুঙুর (কঙ্কণ) পরে গান পরিবেশন করতেন, অর্থাৎ মঙ্গলকাব্যের পেশাদার গায়ক। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীকে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং চণ্ডীমঙ্গলকাব্য ধারার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মালাধর বসু মধ্যযুগের একজন প্রখ্যাত কবি এবং ভাগবত পুরাণের প্রথম বাংলা অনুবাদক। তাঁর অনূদিত কাব্য 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়' রচনার জন্য তিনি গৌড়ের সুলতান রুকনুদ্দিন বরবক শাহের কাছ থেকে 'গুণরাজ খান' উপাধি লাভ করেন।

- শ্রীকৃষ্ণবিজয়' কাব্যটি 'গোবিন্দমঙ্গল' নামেও পরিচিত। এটি ১৪৭৩ থেকে ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত হয়।
- চৈতন্যদেবের পূর্বেই তিনি বাংলায় ভাগবতকে জনপ্রিয় করে তোলার কৃতিত্বের অধিকারী।

কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, দার্শনিক, চিত্রশিল্পী এবং সমাজ-সংস্কারক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে প্রথম এশীয় হিসেবে এই বিরল সম্মান লাভ করেন।

১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে 'নাইট' উপাধি দেয়, কিন্তু ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) এই মহান ব্যক্তিত্ব জোড়াসাঁকোর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট নয়টি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। এগুলো হলো-
- ভানুসিংহ ঠাকুর,
- অকপটচন্দ্র ভাস্কর,
- আন্নাকালী পাকড়াশী,
- দিকশূন্য ভট্টাচার্য,
- নবীনকিশোর শর্মণঃ,
- ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ,
- বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ,
- শ্রীমতি মধ্যমা ও
- শ্রীমতি কনিষ্ঠা।
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি ২৪ মে, ১৮৯৯ সালে (বাংলা ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
- তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
- ছোটবেলায় তাকে 'তারা ক্ষ্যাপা', 'নজর আলী', 'দুখু মিয়া' এসব নামে ডাকা হতো।
- বাল্যকালে নজরুল লেটোদলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিখ্যাত কবিয়াল শেখ চাকা তাঁকে 'ব্যাঙাচি' বলে ডাকতেন। নজরুলের আরও কিছু ছদ্মনাম ছিল, যেমন- ধূমকেতু এবং নুরু
- বাংলা সাহিত্যে তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিত।
- আধুনিক বাংলা সঙ্গীত জগতে তিনি 'বুলবুল' নামে খ্যাত।


- নাইটহুড উপাধি যুক্তরাজ্যের রাজা-রানির দেওয়া অন্যতম সেরা সম্মাননা।
- এ পর্যন্ত ৩ জন বাঙালি নাইটহুড উপাধি লাভ করেন।
- ১৯১৫ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইটহুড উপাধি লাভ করেন।
- জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত ‘নাইট উপাধি’ ত্যাগ করেন।
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি ২৪ মে, ১৮৯৯ সালে (বাংলা ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
- তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
- ছোটবেলায় তাকে 'তারা ক্ষ্যাপা', 'নজর আলী', 'দুখু মিয়া' এসব নামে ডাকা হতো।
- বাল্যকালে নজরুল লেটোদলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিখ্যাত কবিয়াল শেখ চাকা তাঁকে 'ব্যাঙাচি' বলে ডাকতেন। নজরুলের আরও কিছু ছদ্মনাম ছিল, যেমন- ধূমকেতু এবং নুরু
- বাংলা সাহিত্যে তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিত।
- আধুনিক বাংলা সঙ্গীত জগতে তিনি 'বুলবুল' নামে খ্যাত।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন ছদ্মনামে সাহিত্য রচনা করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ছদ্মনাম হলো "শচীন চট্টোপাধ্যায়"।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কিছু সাহিত্যকর্ম প্রকাশের জন্য "শচীন চট্টোপাধ্যায়" ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
- বিশেষ করে তাঁর কবিতা ও ছোটগল্পের ক্ষেত্রে এই নামটি ব্যবহৃত হয়েছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বাংলা সাহিত্যের কয়েকজন লেখকের ছদ্মনামঃ
- কালিকানন্দ = অবধূত
- বিমল মিত্র = জাবালি
- জসীমউদ্দীন - জমীরউদ্দীন মােল্লা
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় - হাবু শর্মা
- সমরেশ বসু = কালকূট
- সোমেন চন্দ = ইন্দ্রকুমার সোম
- নীল লোহিত - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
- বিমল ঘোষ = মৌমাছি
- বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় = যাযাবর
- সতীনাথ ভাদুড়ী = চিত্রগুপ্ত
- দক্ষিণারঞ্জন মিত্ৰমজুমদার = দৃষ্টিহীন
- সৈয়দ মুজতবা আলী = প্রিয়দর্শী 
- সুবোধ ঘোষ একজন বিখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক ছিলেন, যিনি তার লেখালেখিতে বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
- তার অন্যতম ছদ্মনাম ছিল 'কালপুরুষ'।
- এছাড়াও তিনি 'সুপান্থ' এবং 'ভবানী পাঠক' নামেও পরিচিত ছিলেন।
- এই ছদ্মনামগুলো তিনি তার সাহিত্যকর্মে ব্যবহার করতেন, যা তার লেখার বৈচিত্র্য এবং সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ছিলেন।
- তিনি সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
- তার অন্যতম পরিচিত ছদ্মনাম ছিল "শ্রীমতী রাধামণি দেবী"।
- এই ছদ্মনামে তিনি কুন্তলীন পত্রিকার বার্ষিক প্রতিযোগিতায় "পূজার চিঠি" নামে একটি চিঠি লিখে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
- এছাড়াও, তিনি "শ্রীজানোয়ারচন্দ্র শর্মা" নামেও কিছু রচনা প্রকাশ করেছিলেন।
✔ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে তিনি 'মধুকবি' নামে পরিচিত।
✔ তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকবি,তাঁর রচিত প্রথম মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
✔ বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
✔ তাঁকে বলা হয় দত্তকুলোদ্ভব কবি।
✔ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি।
✔ বাংলা নাটকের পথিকৃৎ।
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কৃষ্ণকুমারী।
নাম                        উপাধি
আব্দুল করিম            -  সাহিত্যবিশারদ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ   -  ভাষাতত্ত্ববিদ
আব্দুল কাদির           -  ছান্দসিক কবি
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী      - কবিকঙ্কন

- খনা ছিলেন জ্যোতির্বিদা, কৃষিবিদ্যা ও গণিত পারদর্শী এক প্রাচীন কিংবদন্তী মহিলা। ধারণা করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব। কিংবদন্তী অনুযায়ী তাঁর বসবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাতের দেউলি গ্রামে। পিতার নাম অটনাচার্য।

- শুভক্ষণে জন্ম হওয়ায় তার নাম হয় খনা, প্রকৃত নাম লীলাবতী। অন্যমতে, খনা অর্থ বোবা। জিহ্বা কর্তনের পর লীলাবতির নাম হয় খনা। অন্য কিংবদন্তীতে রয়েছে - খনা সিংহল রাজের কন্যা।

- উজ্জয়িনী রাজ্যের নবরত্নের অন্যতম প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ বরাহের পুত্র মিহিরের সাথে খনার বিয়ে হয়। কৃষিকাজে ছিল খনার অগাধ জ্ঞান এবং গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দিতে পারতেন। রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে রাজ্যের দশম রত্ন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পুত্রবধূর সুনামের আড়ালে পড়ে যাওয়ায় রাজ্যে শ্বশুর বরাহের মূল্য কমে যায় । ঈর্ষাপরায়ণ বরাহ চতুর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুত্রকে আদেশ দেন খনার জিহ্বা কেটে ফেলতে যাতে চিরতরে স্তব্দ হয়ে যায় তার কণ্ঠ। পুত্র সে আদেশ পালন করে। [রাজা আকাশে নক্ষত্র কত জানতে চাইলে পিতা-পুত্র তা নির্ধারণে অক্ষম হয়ে খনার সাহায্যে কৃতকার্য হন। এতে সম্মানহানির ভয়ে মিহির খনার জিহ্বা কেটে ফেলে]।
প্রকৃত নাম - ছদ্মনাম
জীবনানন্দ দাশ - শ্রী, কালপুরুষ।
সৈয়দ আলী আহসান - চেনাকণ্ঠ
রাজশেখর বসু - পরশুরাম
সমরেশ বসু - কালকূট
- সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে সাম্যাবস্থা আনয়নের প্রচেষ্টার অন্যতম অগ্রদূত শহীদুল্লা কায়সার।
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেন এবং ৩ জুন গ্রেফতার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে মুক্তি পান।
- তাঁর রচিত উপন্যাসে উজ্জ্বলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বাঙালি জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সংগ্রামী চেতনা।
- শহীদুল্লা কায়সার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ফেনীর মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর প্রকৃত নাম আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
- কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান তাঁর ভাই এবং অভিনেত্রী শমী কায়সার তাঁর মেয়ে।
- তিনি মার্কসবাদ-লেনিনবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে 'গণতান্ত্রিক যুবলীগ' গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
- ১৯৪৯ সালে 'সাপ্তাহিক ইত্তেফাক' পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন।
- ১৯৫৮ সালে 'দৈনিক সংবাদ' এর সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। এতে দেশপ্রেমিক ছদ্মনামে 'রাজনৈতিক পরিক্রমা' ও বিশ্বকর্মা ছদ্মনামে 'বিচিত্র কথা' শিরোনামে উপসম্পাদকীয় লিখতেন।
- ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনীর সদস্যগণ তাঁকে ঢাকার কায়েতটুলির বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তার উপন্যাসঃ সারেং বৌ (১৯৬২), 'সংশপ্তক' (১৯৬৫): এর অর্থ- নিশ্চিত পরাজয় জেনেও যারা যুদ্ধ চালিয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হুরমতি, লেকু, রমজান।

তাঁর অন্যান্য রচনাঃ
স্মৃতিকথা : 'রাজবন্দীর রোজনামচা' (১৯৬২)।
ভ্রমণকাহিনী : 'পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ' (১৯৬৬)।
- ড সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
- ড সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে ভাষাচার্য উপাধি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
- বেঙ্গলি ফোনেটিক রিডার,
- কিরাত জনকৃতি,
- ভারত-সংস্কৃতি(১৯৪৪),
- বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা(১৯২৯),
- পশ্চিমের যাত্রী(১৯৩৮),
- ইউরোপ ভ্রমণ,
- জাতি সংস্কৃতি সাহিত্য(১৯৩৮),
- ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা(১৯৪৪),
- সংস্কৃতি কী,
- দ্বীপময় ভারত(১৯৬৫),
- রবীন্দ্র সঙ্গমে(১৯৬৫),
- শ্যামদেশ(১৯৬৫) ইত্যাদি।
কবি সাহিত্যিকদের প্রকৃত নাম - ছদ্মনাম

দিনেশ গঙ্গোপাধ্যায় - শ্রীভট্ট
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় - বীরভদ্র
তারাপদ রায় - গ্রন্থকীট
বিমল মিত্র - জাবালী

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
কিছু বাংলা সাহিত্যকের ছদ্মনামঃ
• সমরেশ বসু - কালকূট
• সতীনাথ ভাদুড়ী - চিত্রগুপ্ত 
• সোমেন চন্দ - ইন্দুকুমার সোম
• কামিনী রায় - জনৈক বঙ্গমহিলা।
• সুভাষ মুখোপাধ্যায় - সুবচনী
• বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় - যাযাবর
• কালিকানন্দ - অবদূত
• চারুচন্দ্র চক্রবর্তী - জরাসন্ধ
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
- তিনি ১৮৩৮ সালের ২৭ জুন চবিবশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- উপনিবেশিক সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন।
- তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১৮৯১ সালে ‘রায়বাহাদুর’ এবং ১৮৯৪ সালে ‘Companion of the Most Eminent Order of the Indian Empire’ (CMEOIE) উপাধি প্রদান করে।
- তাঁর প্রথম দিকের বাংলা ও ইংরেজি রচনা (ললিতা, মানস, Adventures of a Young Hindu এবং Rajmohan’s Wife)।
- বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর হিন্দুজাতির পুনরুত্থান বিষয়ক প্রবন্ধ ও গ্রন্থে ‘বন্দে মাতরম্’, ‘মাতৃভূমি’, ‘জন্মভূমি’, ‘স্বরাজ’, ‘মন্ত্র’ প্রভৃতি নতুন শ্লোগান তৈরি করেছিলেন।
- তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
- তার লেখা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫)।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাসঃ
- কপালকুণ্ডলা
- মৃণালিনী
- বিষবৃক্ষ
- ইন্দিরা
- যুগলাঙ্গুরীয়
- রাজসিংহ
- আনন্দমঠ
- দেবী চৌধুরানী,
- চন্দ্রশেখর
- রাধারানী
- রজনী
- কৃষ্ণকান্তের উইল ইত্যাদি।

সোর্সঃ বাংলা পিডিয়া। 
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর ছদ্মনাম হল আবু শরিয়া । তিনি ছদ্মনামে বহু সাহিত্য রচনা করেন এবং ভোরের আলো পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
তার রচিত আরও কয়েকটি নাটকঃ
- লালসালু,
- চাদের অমাবস্যা,
- কাদো নদী কাঁদো ।
গল্পগ্রন্থঃ
- নয়নচারা (১৯৫১)
- দুই তীর ও অন্যান্য গল্প (১৯৬৫)
নাটকঃ
- বহিপীর (১৯৬০),
- তরঙ্গভঙ্গ (১৯৭১)
- উজানে মৃত্যু (১৯৬৩)
- সুড়ঙ্গ (১৯৬৪)
শরৎচন্দ্রের প্রবন্ধগুলো:
- ‘নারীর মূল্য’ (১৯২৩): এটি নারীর সামাজিক অধিকার ও সমাজে নারীর স্থান সম্পর্কিত প্রবন্ধ। এটি তিনি ‘অনিলা দেবী' ছদ্মনামে রচনা করেন, যা ‘যমুনা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অনিলা দেবী শরৎচন্দ্রের বড় বোনের নাম।

- ‘তরুণের বিদ্রোহ' (১৯২৯): এ প্রবন্ধটি ১৯২৯ সালের ৩০ মার্চ রংপুর বঙ্গীয় যুব সম্মিলনীর অধিবেশনে সভাপতির ভাষণ। এ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ‘সত্য ও মিথ্যা' নামে আরো একটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

- ‘স্বদেশ ও সাহিত্য' (১৯৩২)।
- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস মূলত নিরীক্ষাপ্রবণ শিল্পী। তাঁর গল্পগুলোতে পুরান ঢাকার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রচিত। অনাহার, অভাব, দারিদ্র্য ও শোষণের শিকার হয়ে যারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে, সেসব অবহেলিত মানুষের জীবনাচরণ তাঁর গল্প ও উপন্যাসে উজ্জ্বলভাবে অঙ্কিত।
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ সালে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার গোটিয়া গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন।
- পৈতৃক নিবাস চেলোপাড়া, বগুড়া। ডাকনাম- মঞ্জু
- তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (মরণোত্তর)- ১৯৯৯ পান।
- তিনি ১৯৬৫ সালে জগন্নাথ কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা কলেজে আমৃত্যু অধ্যাপনা করেন।
- তিনি ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হলো:
- অন্যঘরে অন্যস্বর (১৯৭৬),
- খোঁয়ারি (১৯৮২),
- দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫),
- চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭),
- দোজখের ওম (১৯৮৯),
- খোয়াবনামা ১৯৯৬),
- সংস্কৃতির ভাঙা সেতু ইত্যাদি।
- বাংলাদেশের কবিদের কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারীপ্রেম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, শ্রেণি-সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয় তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু। সমাজকে তিনি তুলে এনেছেন সাহিত্যের আয়নায়।
- নির্মলেন্দু গুণ ২১ জুন, ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর ডাক নাম- রতন / রত্ন / রতু।
- তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (২০০১) পান।
- নিজ গ্রাম কাশবনে 'বিদ্যানিকেতন' নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
- মেট্রিক পাশের আগেই তার প্রথম কবিতা 'নতুন কাণ্ডারী' নেত্রকোনার 'উত্তর আকাশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

নির্মলেন্দু গুণ রচিত কাব্যগ্রন্থঃ
- না প্রেমিক না বিপ্লবী (১৯৭২),
- মুজিব-লেনিন-ইন্দিরা,
- প্রেমাংশুর রক্ত চাই (১৯৭০),
- কবিতা,
- চাষাভুষার কাব্য (১৯৮১),
- অচল পদাবলী (১৯৮২),
- পৃথিবীজোড়া গান (১৯৮২),
- দূর হ দুঃশাসন (১৯৮৩),
- অমিমাংসিত রমণী (১৯৭৩),
- দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী (১৯৭৪),
- চৈত্রের ভালোবাসা (১৯৭৫),
- শান্তির ডিক্রি (১৯৮৪)
- ও বন্ধু আমার (১৯৭৫),
- আনন্দ কুসুম (১৯৭৬),
- নির্বাচিতা (১৯৮৩) ইত্যাদি।
সুকুমার রায় এর ছদ্মনাম উহ্যনাম পণ্ডিত
- 'তাতা' হল সুকুমার রায়ের আরেকটি বিখ্যাত ছদ্মনাম।

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ছদ্মনাম ভানুসিংহ।
- কাজী নজরুল ইসলাম এর ছদ্মনাম ধুমকেতু /ব্যাঙাচি।
- বিমল ঘোষ এর ছদ্মনাম মৌমাছি।
- প্রমথ চোধুরীর এর ছদ্মনাম বীরবল। 
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর ছদ্মনাম এ নেটিভ।
- আবুল কালাম শামসুদ্দীন ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ছিলেন একধারে একজন সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্যিক।
- ১৯২২ সালে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবে তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু হয়।
- আবুল কালাম রচিত ও অনূদিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: পোড়োজমি বা অনাবাদী জমি (১৯৩৮), ত্রিস্রোতা (১৯৩৯), খরতরঙ্গ (১৯৫৩), দৃষ্টিকোণ (১৯৬১), নতুন চীন নতুন দেশ (১৯৬৫), দিগ্বিজয়ী তাইমুর (১৯৬৫), ইলিয়ড (১৯৬৭), পলাশী থেকে পাকিস্তান (১৯৬৮), অতীত দিনের স্মৃতি (১৯৬৮) ইত্যাদি।
- ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
- তিনি সরকার কর্তৃক সিতারা-ই-খিদমত (১৯৬১) এবং সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬৭) উপাধিতে ভূষিত হন।
- কিন্তু ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারি দমননীতির প্রতিবাদে উভয় খেতাব বর্জন করেন।
'সৈনিক কবি' কাজী নজরুল ইসলাম । ১৯১৭ সালের শেষদিকে মেট্রিক পরীক্ষার ঠিক পূর্বমুহৃর্তে ৪৯ নং বাঙালি পল্টনে যোগদান করেন । প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে ছিলেন । ১৯২০ সালে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর নজরুল সেনাবাহিনীতে ছিলেন । 
- ফিরিঙ্গি, এন্টনি (?-১৮৩৬) কবিয়াল। প্রকৃত নাম হেনসম্যান এন্টনি (Hensman Anthony)।
- তিনি জাতিতে ছিলেন পর্তুগিজ এবং ধর্মে খ্রিস্টান। পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের ফরাসডাঙায় তিনি বসবাস করতেন।
- পূর্বে এদেশে মগরা নিন্দার্থে ‘হার্মাদ’ ও পর্তুগিজরা ‘ফিরিঙ্গি’ নামে পরিচিত ছিল।
- এন্টনির আমলে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কবিয়ালদের বেশ প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। হরু ঠাকুর, ভোলা ময়রা, দাশরথি রায়, রাম বসু প্রমুখ বিখ্যাত কবিয়াল তাঁর সমসাময়িক ছিলেন। এন্টনি কবিগানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গান গাইতে শুরু করেন। প্রথমে জনৈক গোরক্ষনাথ তাঁর গান বেঁধে দিতেন। পরে তিনি নিজেই গান রচনা করে গাইতেন।
- এন্টনি একাধিক কবির লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন। তাতে ভোলা ময়রা, রাম বসু, ঠাকুর সিংহ প্রমুখ ছিলেন তাঁর প্রতিপক্ষ

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকঃ
- মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩) কবি, সাংবাদিক।
- তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের বাউইগাছি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
- মোজাম্মেল হক কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সময় পত্রিকায় প্রথম সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন; পরে শান্তিপুর রামনগর ভার্নাকুলার স্কুলে দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

- মোজাম্মেল হক লহরী (১৮৯৯), মোসলেম ভারত (১৯২০) ও শান্তিপুর মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।

- তিনি ত্রিশ বছর নদীয়া জেলা বোর্ডের শিক্ষা কমিটির সদস্য, বিশ বছর অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেট ও কিছুকাল বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির (১৯১১) সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
- মুসলিম সমাজের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি, পশ্চাৎপদতা ও আত্মবিস্মৃতির বিরুদ্ধে তিনি লেখনী ধারণ ও সংগঠনের মাধ্যমে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন।

• তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি:
- কাব্য কুসুমাঞ্জলি (১৮৮১),
- অপূর্বদর্শন (১৮৮৫),
- প্রেমহার (১৮৯৮),
- হজরত মহাম্মদ (১৯০৩),
- জাতীয় ফোয়ারা (১৯১২),
- ইসলাম সঙ্গীত (১৯২৩);

• গদ্য রচনা-
- মহর্ষি-মনসুর (১৮৯৬),
- ফেরদৌসী-চরিত (১৮৯৮),
- শাহনামা (১৯০৯),
- তাপসকাহিনী (১৯১৪, ২য় সং),
- খাজা ময়ীনউদ্দীন চিশতী (১৯১৮),
- হাতেমতাই (১৯১৯),
- টিপু সুলতান (১৯৩১);

• উপন্যাস-
- জোহরা (১৯১৭),
- দরাফ খান গাজী (১৯১৯) ইত্যাদি।

- তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক ‘কাব্যকণ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত হন।
- ১৯৩৩ সালের ৩০ নভেম্বর শান্তিপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0