- বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি মুসলমান সমাজে সাহিত্যচর্চা ও জ্ঞান প্রসারের লক্ষ্যে ১৯১১ সালে কলকাতায় 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি' প্রতিষ্ঠিত হয়। - এই সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধ করা, সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করা এবং পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে লেখকদের উৎসাহিত করা। এই সমিতির মুখপত্র বা আনুষ্ঠানিক পত্রিকা হিসেবে দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হতো: বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা: - এটি ছিল সমিতির প্রথম এবং প্রধান মুখপত্র, যা ১৯১৮ সাল থেকে প্রকাশিত হতে শুরু করে। - এটি মূলত ত্রৈমাসিক পত্রিকা ছিল এবং এর মাধ্যমে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ইত্যাদি প্রকাশিত হতো।
সাহিত্যিক: - পরবর্তীতে 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'র পরিপূরক হিসেবে 'সাহিত্যিক' নামে একটি মাসিক পত্রিকাও প্রকাশিত হয়।
সুতরাং, 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা' এবং 'সাহিত্যিক'—এই দুটি পত্রিকাই সমিতির মুখপত্র হিসেবে কাজ করত।
- উনিশ শতকের বাংলায় হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর নেতৃত্বে হিন্দু কলেজের একদল মুক্তমনা, যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল ছাত্র 'ইয়ংবেঙ্গল' বা 'নব্যবঙ্গ' গোষ্ঠী নামে পরিচিতি লাভ করে। - তারা প্রচলিত হিন্দুধর্মের গোঁড়ামি, কুসংস্কার ও সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। নিজেদের মতাদর্শ প্রচার এবং জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীর সদস্যরা ১৮২৮ থেকে ১৮৪৩ সালের মধ্যে বেশ কিছু পত্রিকা প্রকাশ করেন।
'এনকোয়ারার' ও 'জ্ঞানান্বেষণ' পত্রিকা: এনকোয়ারার (The Enquirer): - ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩১ সালে এই ইংরেজি পত্রিকাটি শুরু করেন। - এর মাধ্যমে তিনি হিন্দুধর্মের গোঁড়া প্রথার তীব্র সমালোচনা করেন।
জ্ঞানান্বেষণ (Jnananwesan): - রসিককৃষ্ণ মল্লিকের সম্পাদনায় ১৮৩১ সালে এই দ্বিভাষিক (বাংলা ও ইংরেজি) পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। - এই পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশবাসীকে শাসনব্যবস্থা ও আইনকানুন বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা।
- ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীর দ্বারা প্রকাশিত অন্যান্য পত্রিকাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'পার্থেনন', 'হেসপেরাস', 'হিন্দু পাইওনিয়র', 'কুইল' এবং 'বেঙ্গল স্পেক্টেটর'।
অন্যদিকে, - 'সংবাদ প্রভাকর' ও 'তত্ত্ববোধিনী': 'সংবাদ প্রভাকর' ১৮৩১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেন।'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা' ১৮৪৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেন এবং এটি ছিল তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র। - 'বঙ্গদর্শন' ও 'সোমপ্রকাশ': 'বঙ্গদর্শন' ১৮৭২ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। 'সোমপ্রকাশ' পত্রিকাটি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুপ্রেরণায় ১৮৫৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। - 'দিগদর্শন' ও 'সমাচার দর্পণ': 'দিগদর্শন' (এপ্রিল, ১৮১৮) ছিল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িকী, যা শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন থেকে জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। 'সমাচার দর্পণ' (মে, ১৮১৮) ছিল প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, যা শ্রীরামপুর মিশন থেকেই প্রকাশিত হয়েছিল।
- দৈনিক 'ইত্তেফাক' এর প্রকাশনা দুটি ভিন্ন পর্যায়ে শুরু হয়েছিল।
সাপ্তাহিক হিসেবে: ১৯৪৯ সালের ১৫ই আগস্ট 'সাপ্তাহিক ইত্তেফাক' হিসেবে এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। তখন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং সম্পাদক ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া।
দৈনিক হিসেবে: সাপ্তাহিক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর, ১৯৫৩ সালের ২৪শে ডিসেম্বর 'দৈনিক ইত্তেফাক' হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবং ২৫শে ডিসেম্বর প্রথম দৈনিক সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়।
'প্রগতি' ছিল বাংলা ভাষার একটি আধুনিক সাহিত্য পত্রিকা যা ১৯২৭ সালের জুলাই মাসে (আষাঢ় ১৩৩৪) ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। তিরিশের দশকের আধুনিক কবি ও সাহিত্যিকদের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র ছিল এই পত্রিকাটি।
পত্রিকাটির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব বসু এবং অজিতকুমার দত্ত।[ ঢাকার পুরানা পল্টনে তাঁদের আড্ডা থেকেই এই পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং এটি তৎকালীন তরুণ লেখকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছিল। 'প্রগতি' পত্রিকা বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে বাঙালি পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।
'বিচিত্রা' ছিল একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী বাংলা মাসিক পত্রিকা, যার প্রকাশনা শুরু হয় ১৯২৫ সাল (মতান্তরে ১৯২৭) থেকে। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন সাহিত্যিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই পত্রিকাতেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'পথের পাঁচালী' প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদক হিসেবে বিভূতিভূষণ এবং মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাহিত্যিকদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে 'সাপ্তাহিক বিচিত্রা' নামে আরও একটি জনপ্রিয় পত্রিকা প্রকাশিত হতো, যার সঙ্গে এই 'বিচিত্রা' পত্রিকার কোনো সম্পর্ক নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বিচিত্রা' নামে একটি প্রবন্ধ সংকলন থাকলেও তিনি এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন না।
- ১৯২৩ সারে প্রবর্তিত কল্লোল পত্রিকার কর্ণধার ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ ও গোকুলচন্দ্র নাগ। - কল্লোল পত্রিকার আবহে দ্রুত অনুপ্রাণিত হয় প্রগতি, উত্তরা, কালিকলম, পূর্বাশা ইত্যাদি পত্রপত্রিকা। - অন্যদিকে আধুনিকতার নামে যথেচ্ছাচারিতা ও অশ্লীলতার প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে এই রকম অভিযোগ এনে শনিবারের চিঠি পত্রিকাটি ভিন্ন বলয় গড়ে তোলে মোহিতলাল মজুমদার, সজনীকান্ত দাস, নীরদ চৌধুরী প্রমুখের সক্রিয় ভূমিকায়
- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও পত্রিকা সম্পাদক। - ত্রৈমাসিক 'পরিচয়' পত্রিকা সম্পাদনা করে তিনি অমর হয়ে আছেন। - সুধীন্দ্রনাথ ছিলেন ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারার বিরোধী খ্যাতিমান কবিদের অন্যতম। - ফরাসি কবি মালার্মের প্রতীকী কাব্যাদর্শ তিনি অনুসরণ করেন। - 'তন্বী' কাব্যগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন। - তিনি বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপেরও প্রবর্তক। - ১৯৬০ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ: - তন্বী, - অর্কেষ্ট্রা, - সংবর্ত, - প্রতিদিন, - ক্রন্দসী, - উত্তরফাল্গুনী, - দশমী।
• তাঁর দুটি প্রবন্ধগ্রন্থ: - স্বগত, - কুলায় ও কালপুরুষ।
• তাঁর রচিত অনুবাদ-কাব্যগ্রন্থ: - প্রতিধ্বনি।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
মোহাম্মদ আকরম খাঁ - মোহাম্মদ আকরম খাঁ ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। অনগ্রসর মুসলমান সমাজের নবজাগরণের উদ্যোগ তাঁর প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। - রবীন্দ্র বিতর্কে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। - মোহাম্মদ আকরম খাঁ ৭ জুন, ১৮৬৮ সালে হাকিমপুর, চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। - কলকাতা থেকে মাসিক 'মোহাম্মদী' (১৯০৩) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ পত্রিকাটি ১৯০৮ সালে সাপ্তাহিকে পরিণত হয় এবং ১৯২১ সালে দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। - ১৯২৭ সালের ৬ নভেম্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা 'মোহাম্মদী' প্রকাশ করেন। - ১৯১৩ সালে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান 'আঞ্জুমানে ওলামা' গঠন করেন। এর মুখপত্র ছিল মাসিক 'আল এসলাম' (১৯১৫) পত্রিকা। - তিনি 'দৈনিক জামানা' (১৯২০) ও 'দৈনিক সেবক' (১৯২১) পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। - 'দৈনিক সেবক' পত্রিকায় 'অগ্রসর' শিরোনামে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সম্পাদকীয় লেখার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড (১৯২১) ভোগ করেন এবং এ পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। - 'আজাদ' ৩১ অক্টোবর, ১৯৩৬ পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা তাঁর সাংবাদিক জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। - ১৯৪০ সালে স্বাস্থ্যহানির জন্য এ পত্রিকার দায়িত্বভার অর্পণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীনের ওপর। - ১৯৪৮ সালে এ পত্রিকা কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। - তিনি ১৮ আগস্ট, ১৯৬৮ সালে ঢাকার বংশালে আহলে হাদীস মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মারা যান। ঐ মসজিদের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
- 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' ছিল একটি বাংলা পত্রিকা যা মূলত গ্রামীণ সমাজের খবর ও সমস্যা তুলে ধরত। - এই পত্রিকার সম্পাদকের নাম ছিল কাঙ্গাল হরিনাথ (হরিনাথ মুখোপাধ্যায়)। - তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, সাহিত্যিক এবং গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে নিবেদিত ব্যক্তি। - কাঙ্গাল হরিনাথ গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য এই পত্রিকা সম্পাদনা করতেন এবং গ্রামীণ জনজীবনের উন্নয়নে কাজ করতেন।
হেলাল হাফিজ জন্ম: ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলার বড়তলী গ্রামে। মৃত্যু: ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর। শিক্ষাজীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলা বিভাগ)।
কর্মজীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাব্যগ্রন্থ: যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬) কবিতা ৭১ (বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায়, একুশে বইমেলা ২০১২) বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা (২০১৯) যে জলে আগুন জ্বলে(১৯৮৬): এটি প্রথম প্রকাশিত কাব্য। এ গ্রন্থে মোট ৫৬টি কবিতা আছে। এ কাব্যের বিখ্যাত কবিতা 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়'। কবিতাটি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে রচিত। এ কবিতার বিখ্যাত পঙক্তি- 'এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।'
সম্মাননা: ২০১৩ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার' ও ২০২৫ সালে 'একুশে পদক' (মরণোত্তর) পান।
- হিতকরী পত্রিকাটি ১৮৯০ সালে কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া থেকে প্রকাশিত হয়। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন। - পত্রিকাটি বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলার চর্চা এবং হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হতো। - পরবর্তীতে মোসলেম উদ্দীন খান পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে প্রথম সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে "সাপ্তাহিক ডাক" প্রকাশিত হয়। - এটি সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করত। - পত্রিকাটি স্বাধীন বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নাট্যকার হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। -তার রচিত "শর্মিষ্ঠা" নাটকটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নাটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। -এই নাটকটিতে তিনি পাশ্চাত্য নাট্যরীতি অনুসরণ করেছেন। -নাটকটিতে পাঁচটি অঙ্ক রয়েছে। -নাটকের কাহিনী মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত রাজা যযাতি, শর্মিষ্ঠা ও দেবযানীর ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী থেকে গৃহীত।
- ”ধূমকেতু” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম । - ধূমকেতু কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি দ্বি - সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬ শ্রাবণ (১৯২২ সালের ১১ আগস্ট) প্রথম প্রকাশিত হয়। - পত্রিকাটি শুরুতে ফুলস্কেপ কাগজের চার পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হতো এবং পরে আট পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হতো। - পত্রিকাটির সর্বশেষ সংস্করণ ১৯২৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। - এর প্রথম সংখ্যায় নজরুলের কবিতা ‘ধূমকেতু’ প্রকাশিত হয়। - এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।
- বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি ১৯১১ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল বাংলার উদীয়মান মুসলিম লেখকদের সাহিত্য চর্চার একটি কেন্দ্র হিসেবে। এটি মূলত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের (১৮৯৩) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠা পায়। - প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
- সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষায় মুসলিম সাহিত্যচর্চাকে উৎসাহিত করা, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গ্রন্থ অনুবাদ করা, প্রাচীন সাহিত্য সংরক্ষণ করা এবং হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সাহিত্যিক সম্প্রীতি স্থাপন করা।
এই সাহিত্য আন্দোলনের অগ্রগতিকে ছড়িয়ে দিতে সমিতি দুটি মুখপত্র প্রকাশ করে: - ১. বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা – বৈশাখ ১৩২৫ / এপ্রিল ১৯১৮ - ২. সাহিত্যিক – অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ / ডিসেম্বর ১৯২৬.
উল্লেখ্য - 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' সংগঠনের মুখপত্র ছিল 'শিখা' পত্রিকা।
- বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত দৈনিক সংবাদপত্র ''সংবাদ প্রভাকর''। - পত্রিকাটি সাপ্তাহিকরূপে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৮৩১ সালে। ১৮৩৯ সালে এটি পরিণত হয় দৈনিক পত্রিকায়। - এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। - তাঁর কবিতায় মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগ উভয়ের লক্ষণ প্রকাশ পায় , তাই তাকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়।
• ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর মুখপত্র ছিল 'জ্ঞানান্বেষণ' পত্রিকা। ১৮৩১ সালে দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়। • 'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত। এটি ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্র ছিল। • সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী। • 'মাসিক সওগাত' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। • তত্ত্বকৌমুদী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো-এর রচয়িতা। - তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয়বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। - তিনি তাঁর কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে একুশে পদক ও ২০০৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। - তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। - ১৯৪৭ সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গামোহন সেন সম্পাদিত 'কংগ্রেস হিতৈষী' পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। - ১৯৪৯ সালে সওগাত পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। - আব্দুল গাফফার চৌধুরী ২০২২ সালের ১৯ মে মাসে লণ্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। - তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় ২১ মে এবং কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তাঁকে 'গার্ড অব অনার' প্রদান করা হয়। পরে ঢাকার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
মোহাম্মদ আকরম খাঁ - মোহাম্মদ আকরম খাঁ ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। অনগ্রসর মুসলমান সমাজের নবজাগরণের উদ্যোগ তাঁর প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। - রবীন্দ্র বিতর্কে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে। মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। - মোহাম্মদ আকরম খাঁ ৭ জুন, ১৮৬৮ সালে হাকিমপুর, চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। - কলকাতা থেকে মাসিক 'মোহাম্মদী' (১৯০৩) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ পত্রিকাটি ১৯০৮ সালে সাপ্তাহিকে পরিণত হয় এবং ১৯২১ সালে দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। - ১৯২৭ সালের ৬ নভেম্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা 'মোহাম্মদী' প্রকাশ করেন। - ১৯১৩ সালে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান 'আঞ্জুমানে ওলামা' গঠন করেন। এর মুখপত্র ছিল মাসিক 'আল এসলাম' (১৯১৫) পত্রিকা। - তিনি 'দৈনিক জামানা' (১৯২০) ও 'দৈনিক সেবক' (১৯২১) পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। - 'দৈনিক সেবক' পত্রিকায় 'অগ্রসর' শিরোনামে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সম্পাদকীয় লেখার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড (১৯২১) ভোগ করেন এবং এ পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। - 'আজাদ' ৩১ অক্টোবর, ১৯৩৬ পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা তাঁর সাংবাদিক জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। - ১৯৪০ সালে স্বাস্থ্যহানির জন্য এ পত্রিকার দায়িত্বভার অর্পণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীনের ওপর। - ১৯৪৮ সালে এ পত্রিকা কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। - তিনি ১৮ আগস্ট, ১৯৬৮ সালে ঢাকার বংশালে আহলে হাদীস মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মারা যান। ঐ মসজিদের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
- আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো-এর রচয়িতা। - তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয়বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। - তিনি তাঁর কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে একুশে পদক ও ২০০৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। - তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। - ১৯৪৭ সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গামোহন সেন সম্পাদিত 'কংগ্রেস হিতৈষী' পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। - ১৯৪৯ সালে সওগাত পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। - আব্দুল গাফফার চৌধুরী ২০২২ সালের ১৯ মে মাসে লণ্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। - তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় ২১ মে এবং কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তাঁকে 'গার্ড অব অনার' প্রদান করা হয়। পরে ঢাকার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
- সাধনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের তরুণ-বংশধরদের সম্পাদিত চতুর্থ পত্রিকা। - এর পূর্বে অন্যান্য পত্রিকাসমূহ হলো- তত্ত্ববোধিনী, ভারতী এবং বালক। - সাধনা প্রথম প্রকাশিত হয় ১২৯৮ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে (ডিসেম্বর, ১৮৯১) এবং পরবর্তী চার বছর পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত ছিল। - প্রথম তিন বছরের সংখ্যাগুলিতে সম্পাদক হিসেবে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরএর তৃতীয় পুত্র সুধীন্দ্রনাথের (১৮৬৯-১৯২৯) নাম ছাপা হলেও প্রকৃতপক্ষে পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)। - প্রকাশের চতুর্থ বছরে রবীন্দ্রনাথ এর সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। - একবছর পর (কার্তিক, ১৩০২ বঙ্গাব্দ) পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
- শনিবারের চিঠি বাংলাভাষার অন্যতম বিখ্যাত সাহিত্য-সাময়িকী, যা বিংশ শতকের প্রথমার্ধে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত হয়েছিল। - এটি ছিল একটি সাপ্তাহিক কাগজ এবং এর মূল স্বত্বাধিকারী ছিলেন অশোক চট্টোপাধ্যায় যোগানন্দ দাস এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। - প্রথম প্রকাশিত হয় - ১৯২৪ সালে। - পত্রিকাটি ১৯৩০ - ৪০ এর দশকে কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের জগতে বেশ আলোড়ন তুলেছিলো। এই পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ ছিলো আক্রমণাত্মক; তবে তৎকালীন সাহিত্যকে বিশেষভাবে পত্রিকাটি অনুপ্রাণিত করেছিল। - তবে আদ্যোপান্ত শনিবারের চিঠি'র প্রাণপুরুষ ছিলেন কবি-সাহিত্যিক সজনীকান্ত দাস। - শনিবারের চিঠির প্রায় সব রচনা বেনামে প্রকাশিত হয়েছে। - লেখকদের মধ্যে উলেখযোগ্য ছিলেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর,মোহিতলাল মজুমদার, সজনীকান্ত দাস, যোগানন্দ দাস, নীরদচন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ, সুনীতিকুমার চট্টপাধ্যায়, অশোক চট্টপাধ্যায়, সুবিমল রায়।
- কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক।
- ছাত্রাবস্থায় তাঁর প্রথম কবিতা ‘বর্ষ-আবাহন’ ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯) প্রকাশিত হয়।
- মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন। - তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলি হচ্ছে- - ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬), - বনলতা সেন (১৯৪২), - মহাপৃথিবী (১৯৪৪), - সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), - রূপসী বাংলা (রচনাকাল ১৯৩৪, প্রকাশকাল ১৯৫৭), - বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)। - এছাড়াও বহু অগ্রন্থিত কবিতা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
- তাঁকে বাংলা ভাষার 'শুদ্ধতম কবি' বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। - এছাড়াও তিনি 'রূপসী বাংলার কবি', 'নির্জনতার কবি', 'তিমির হননের কবি', 'ধূসরতার কবি' প্রভৃতি নামেও পরিচিত। - ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
-শেখ ওয়াজেদ আলি একজন প্রাবন্ধিক, গল্পলেখক ও ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা। -তিনি ১৮৯০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শণ্ঠীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে: প্রবন্ধ - জীবনের শিল্প (১৯৪১), - প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩), - ভবিষ্যতের বাঙালী (১৯৪৩), - আকবরের রাষ্ট্র সাধনা (১৯৪৯), - মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ;
তার রচিত ভ্রমণকাহিনী - পশ্চিম ভারত, মোটর যোগে রাঁচি সফর।
- এস ওয়াজেদ আলির প্রথম প্রবন্ধ ’অতীতের বোঝা’ ১৯১৯ সালে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। - ১৯৩২ সালে গুলিস্তাঁ নামে একটি বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকঃ - মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩) কবি, সাংবাদিক। - তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের বাউইগাছি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। - মোজাম্মেল হক কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সময় পত্রিকায় প্রথম সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন; পরে শান্তিপুর রামনগর ভার্নাকুলার স্কুলে দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
- মোজাম্মেল হক লহরী (১৮৯৯), মোসলেম ভারত (১৯২০) ও শান্তিপুর মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
- তিনি ত্রিশ বছর নদীয়া জেলা বোর্ডের শিক্ষা কমিটির সদস্য, বিশ বছর অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেট ও কিছুকাল বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির (১৯১১) সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। - মুসলিম সমাজের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি, পশ্চাৎপদতা ও আত্মবিস্মৃতির বিরুদ্ধে তিনি লেখনী ধারণ ও সংগঠনের মাধ্যমে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন।
• তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: - কাব্য কুসুমাঞ্জলি (১৮৮১), - অপূর্বদর্শন (১৮৮৫), - প্রেমহার (১৮৯৮), - হজরত মহাম্মদ (১৯০৩), - জাতীয় ফোয়ারা (১৯১২), - ইসলাম সঙ্গীত (১৯২৩);
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকঃ - মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩) কবি, সাংবাদিক। - তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের বাউইগাছি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। - মোজাম্মেল হক কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সময় পত্রিকায় প্রথম সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন; পরে শান্তিপুর রামনগর ভার্নাকুলার স্কুলে দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
- মোজাম্মেল হক লহরী (১৮৯৯), মোসলেম ভারত (১৯২০) ও শান্তিপুর মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
- তিনি ত্রিশ বছর নদীয়া জেলা বোর্ডের শিক্ষা কমিটির সদস্য, বিশ বছর অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেট ও কিছুকাল বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির (১৯১১) সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। - মুসলিম সমাজের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি, পশ্চাৎপদতা ও আত্মবিস্মৃতির বিরুদ্ধে তিনি লেখনী ধারণ ও সংগঠনের মাধ্যমে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন।
• তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: - কাব্য কুসুমাঞ্জলি (১৮৮১), - অপূর্বদর্শন (১৮৮৫), - প্রেমহার (১৮৯৮), - হজরত মহাম্মদ (১৯০৩), - জাতীয় ফোয়ারা (১৯১২), - ইসলাম সঙ্গীত (১৯২৩);
- বিজলী ১৯২০ সালে প্রথম প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার নাম। - এটি একটি চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ছিলো, যার উদ্যোক্তা নলিনীকান্ত সরকার, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, শচ্চিদানন্দ সেনগুপ্ত, অরুণ সিংহ এবং দীনেশ রঞ্জন দাস। - এর সম্পাদকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো নলিনীকান্ত সরকার, প্রবোধকুমার সান্যাল প্রমুখ। - এই পত্রিকায় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি, ২২ পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ শুক্রবারে প্রথম কাজী নজরুল ইসলামের "বিদ্রোহী" কবিতা প্রকাশিত হয়। - সে সময় পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলো নলিনীকান্ত সরকার। - ঐদিন বিজলী পত্রিকা দুই বার ছাপতে হয়েছিল, যার সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজার। - মুজাফফর আহমদের কাছ থেকে জানা যায়, সেদিন কমপক্ষে দুই লাখ মানুষ বিদ্রোহী পড়েছিল। - প্রথম প্রকাশ নিয়ে মতভেদ আছে, প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন,বিদ্রোহী কবিতা প্রথমে মোসলেম ভারত-এ প্রকাশিত হয়। পরে সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকা প্রকাশ করে। - নজরুল সম্পাদিত 'ধূমকেতু' পত্রিকায় 'বিদ্রোহী' কবিতাটি পরে ১ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা, ২৬ শে শ্রাবণ, শুক্রবার, ১৩২৯, ১১ আগস্ট, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। সেখানে 'ধূমকেতু' পত্রিকার পৃষ্ঠা-৯-তে উল্লেখ করা।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।