|
|
- রঞ্জন চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী নাটকের। - রক্তকরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক। - নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং এর শৈলবাসে রচিত। - তখন এর নামকরণ হয়েছিল যক্ষপুরী। - ১৩৩১ সনের আশ্বিন মাসে যখন প্রবাসীতে প্রকাশিত হয় তখন এর নাম হয় রক্তকরবী। - মানুষের অসীম লোভ কীভাবে জীবনের সব সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করে মানুষকে নিছক যন্ত্র ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণে পরিণত করেছে এবং এর ফলে তার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ কীরূপ ধারণ করেছে এরই প্রতিফলন ঘটেছে এ নাটকটিতে। এ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী- যক্ষপুরীর রাজার রাজধর্ম প্রজাশোষণ; তার অর্থলোভ দুর্দম। তার সে লোভের আগুনে পুড়ে মরে সোনার খনির কুলিরা। রাজার দৃষ্টিতে কুলিরা মানুষ নয় তারা স্বর্ণলাভের যন্ত্রমাত্র, তারা ৪৭ক, ২৬৯ফ মাত্র, তারা যন্ত্রকাঠামোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গ মাত্র, মানুষ হিসেবে তাদের কোনো মূল্য নেই। - এখানে মনুষ্যত্ব, মানবতা এ যন্ত্রবন্ধনে পীড়িত ও অবমানিত। জীবনের প্রকাশ যক্ষপুরীতে নেই। - জীবনের প্রকাশের সম্পূর্ণরূপ- প্রেম ও সৌন্দর্য, নন্দিনী তার প্রতীক। এ নন্দিনীর আনন্দস্পর্শ যক্ষপুরীর রাজা পাননি তাঁর লোভের মোহে, সন্ন্যাসী পাননি তাঁর ধর্মসংস্কারের মোহে, মজুররা পায়নি অত্যাচার ও অবিচারের লোহার শিকলে বাঁধা পড়ে, পন্ডিত পায়নি দাসত্বের মোহে। - যক্ষপুরীর লোহার জালের বাইরে প্রেম ও সৌন্দর্যের প্রতীক নন্দিনী সবাইকে হাতছানি দিয়ে ডাকল; এক মুহূর্তে মুক্ত জীবনানন্দের স্পর্শে সবাই চঞ্চল হয়ে উঠল। - রাজা নন্দিনীকে পেতে চাইলেন যেমন করে তিনি সোনা আহরণ করেন, শক্তির বলে কেড়ে নিয়ে। - কিন্তু প্রেম ও সৌন্দর্যকে এভাবে লাভ করা যায় না। তাই রাজা নন্দিনীকে পেয়েও পাননি। - একইভাবে মোড়ল, পন্ডিত, কিশোর, কেনারাম সবাই প্রাণপ্রাচুর্যের মধ্যে বাঁচার জন্য ব্যাকুল হয়ে জালের বাইরের দিকে হাত বাড়াল। - কিন্তু নন্দিনী রঞ্জনকে ভালোবাসে তাই তার মধ্যে প্রেম জাগিয়ে তুলেছে। - কিন্তু রঞ্জন যন্ত্রের বন্ধনে বাধা। এ যন্ত্র তার প্রেমকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিল-এটাই যান্ত্রিকতার ধর্ম এবং কবি তা বিশ্বাস করেন। - নন্দিনীর প্রেমাস্পদ যান্ত্রিকতার যুপকাষ্ঠে নিঃশেষিত হলো এবং আবার যেন প্রেমকে ফিরে পাওয়া যায় সে লক্ষ্যে জীবন জয়ী হলো। আর এই দৃষ্টিভঙ্গী রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতায়, গাঁথায়, নাটকে, গল্পে পরিস্ফুট হয়েছে। - কবি নাটকটিতে জড় যান্ত্রিকতা ও জীবনধর্মের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য সন্ধান করেছেন।
- তার কয়েকটি নাটকঃ (ডাকঘর, তাসেরদেশ, কালের যাত্রা, বসন্ত, মালিনী, রাজা ইত্যাদি)।
|
|
| |
|
|
|
বলাকা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্ত্তৃক রচিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ। - এটি ১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। - ষ্টির গতিতত্ত্ব, বিশ্বজগতের মধ্যে চিরন্তন বেগের রহস্য এই কাব্যে পরিলক্ষিত হয়। - এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি হল "সবুজের অভিযান", "শঙ্খ", "ছবি", "শা-জাহান", "বলাকা" ইত্যাদি। - রবীন্দ্রনাথ "বলাকা" কাব্যগ্রন্থটি তাঁর বন্ধু উইলি পিয়র্সনকে উৎসর্গ করেন।
|
|
| |
|
|
|
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ টি গানের সংকলন 'গীতাঞ্জলি' (১৯১০) কাব্য । - এ কাব্যের গানগুলি ১৯০৮-১৯০৯ সালের মধ্যে রচিত এবং গ্রন্থাকারে ১৯১০ সালে প্রকাশিত । - গীতাঞ্জলির ১৫৭ টি গানের মধ্য থেকে ৫৩ টি, 'গীতিমাল্য' ১৬ টি ,' নৈবেদ্য ' ১৫ টি ,'খেয়া' ১১ টি ,'শিশু' ৩ টি ,'কল্পনা' ১ টি ,'উৎসর্গ ' ১ টি, 'স্মরণ' ১ টি ,'চৈতালি' ১ টি এবং 'অচলায়তন ' থেকে ১ টি সহ মোট ৯ টি গ্রন্থের ১০৩ টি গান/কবিতার ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings নামে নভেম্বর, ১৯১২ সালের India Society থেকে প্রকাশিত হয় ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings এর জন্য নোবেল পান ।
|
|
| |
|
|
|
'করুণা': - এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম লেখা অসমাপ্ত উপন্যাস। - এটি মাসিক 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। - রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। - পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত 'রবীন্দ্র রচনাবলি'তে (১৯৬১) প্রথম 'করুণা' প্রকাশিত হয়। - ২৭টি পরিচ্ছেদে এ উপন্যাসটি রচিত। - উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মহেন্দ্র, মোহিনী, রজনী। [ অনেকের মতে, এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস। যেহেতু এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি, সুতরাং এটি প্রথম উপন্যাস-এ দাবিটি হাস্যকর ও অযৌক্তিক।]
- রবীন্দ্রনাথের প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত উপন্যাস হলো 'বৌঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)'। - এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস, এটি তিনি উৎসর্গ করেন সৌদামিনী দেবীকে।
|
|
| |
|
|
|
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে। - তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। - ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
• তাঁর রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থ: - মানসী - সোনার তরী - চিত্রা - চৈতালী - কল্পনা - ক্ষণিকা - গীতাঞ্জলি - বলাকা - পূরবী - পুনশ্চ - পত্রপুট - সেঁজুতি - শেষলেখা।
• তাঁর রচিত উপন্যাসঃ - চোখের বালি - গোরা - যোগাযোগ - চতুরঙ্গ - ঘরে-বাইরে - চার-অধ্যায় - মালঞ্চ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- রক্তকরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক। নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে রচিত। - তখন এর নামকরণ হয়েছিল যক্ষপুরী। - নাটকে 'নন্দিনী' চরিত্রটি নিপীড়িত মানুষের মাঝখানে দেখা দিয়েছে আনন্দের দূত রূপে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো: - নন্দিনী, - রঞ্জন।
------------------------------- রবীন্দ্রনাথ রচিত আরো নাটক: - বিসর্জন - রাজা - অচলায়তন বসন্ত - চণ্ডালিকা - নটীর পূজা - চিরকুমার সভা - তাসের দেশ - বৈকুন্ঠের খাতা -
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|