রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (487 টি প্রশ্ন )
এই তিনটি গল্পই ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে সমাজের বৃহত্তর চিত্র, তার সমস্যা, সম্পর্ক এবং মানবিক মূল্যবোধকে ফুটিয়ে তোলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গল্পের চরিত্রদের মাধ্যমে সামাজিক রীতি-নীতি, প্রথা, মানুষের মানসিকতা এবং সম্পর্কের জটিলতাকে নিপুণভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা এই গল্পগুলোকে "সামাজিক গল্প" হিসেবে চিহ্নিত করার মূল কারণ।
রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হল 
-রুদ্রচন্দ্র, 
-বাল্মীকি প্রতিভা (১৮৮১), 
-বিসর্জন, 
-বসন্ত (গীতিনাট্য), 
-কালের যাত্রা, 
-তাসের দেশ (১৯৩৩), 
-রাজা, 
-ডাকঘর, 
-অচলায়তন, 
-চিরকুমার সভা, 
-রক্তকরবী, 
-বৈকুন্ঠের খাতা, 
-প্রায়শ্চিত্ত, 
-মুক্তধারা, 
-শ্যামা (নৃত্যনাট্য), 
-নটীর পূজা(নৃত্যনাট্য), 
-রাজা ও রানী, 
-তাপসী।

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তিনসঙ্গী' গল্প-সংকলনটি তাঁর শেষ জীবনে রচিত তিনটি গল্পের সমন্বয়ে গঠিত। এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলো হলো: রবিবার, শেষকথা ও ল্যাবরেটরি
- এই গল্পগুলো ১৯৪০ সালে প্রকাশিত 'তিনসঙ্গী' গ্রন্থে সংকলিত হয়।
- গল্পগুলোতে আধুনিক নর-নারীর মনস্তত্ত্ব, সম্পর্কের জটিলতা এবং মানবিক অনুভূতির গভীরতা চিত্রিত হয়েছে।
- এটি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
- প্রভাতসঙ্গীত হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
- 'প্রভাতসঙ্গীত' (১৮৮৩) একটি কাব্যগ্রন্থ।
- রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'প্রভাতসঙ্গীত আমার অন্তর প্রকৃতির প্রথম বহির্মুখী উচ্ছ্বাস।'
- এই গ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা: নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ।


- বিহারীলালই প্রথম বাংলায় ব্যক্তির আত্মলীনতা ,ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি ও গীতোচ্ছাস সহযোগে কবিতা রচনা করে নতুন এক ধারা সৃষ্টি করেন বলেই তাকে 'ভোরের পাখি ' বলা হয় ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলালকে 'ভোরের পাখি 'হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ।
- সঙ্গীতশতক তার প্রথম কাব্য। 'সারদামঙ্গল' কাব্য বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ রচনা। 
- 'আরোগ্য' নামক কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত।
- এটি ১৯৪১ সালে প্রকাশিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ এবং রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার "অন্ত্যপর্ব"-এর অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি।
- 'আরোগ্য' কবিতাগুলোর মাধ্যমে জীবনের বিভিন্ন দিক ও মানবিক অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
- এই গ্রন্থের কবিতাগুলোতে রোগমুক্তি, সুস্বাস্থ্য, জীবন ও মৃত্যুর গভীর ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম মুদ্রিত কবিতা হলো "অভিলাষ"।
- ১৮৭৪ সালে "তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা"-তে এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত রচনা।
- "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
- কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক প্রতিভার স্বীকৃতি শুরু হয়।
- 'কালের যাত্রা' নাটকটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বিখ্যাত নাটক, যা মূলত সময়ের পরিবর্তন, সমাজ ও মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে লেখা।
- এই নাটকে তিনি মানব জীবনের বিভিন্ন পর্যায় এবং সময়ের সঙ্গে মানুষের যাত্রাকে চিত্রিত করেছেন।
- এটি একটি দার্শনিক ও সামাজিক নাটক, যেখানে সময়ের প্রবাহ এবং তার প্রভাব মানুষের জীবনে কীভাবে পড়ে তা তুলে ধরা হয়েছে।
- নাটকের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ জীবনের গভীর অর্থ ও দর্শনীয় দিকগুলো উপস্থাপন করেছেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী-এর মৃত্যু (১৯০২) উপলক্ষে "নৈবেদ্য" কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন। এই কাব্যগ্রন্থে মৃত্যু, শোক ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তির গভীর অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।

অন্যদিকে,
- চিত্রাঙ্গদা (C): এটি রবীন্দ্রনাথের একটি নাট্যকাব্য, যা মহাভারতের চরিত্র চিত্রাঙ্গদাকে নিয়ে রচিত।
- সোনার তরী (D): এটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
- অপরাজিতা (B): এটি রবীন্দ্রনাথের কোনো কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রমণলেখাগুলোর মধ্যে "পারস্য যাত্রী" একটি বিশেষ পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণলেখা।
- এটি তাঁর পারস্য (বর্তমান ইরান) ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে লেখা।
- এই ভ্রমণলেখায় তিনি পারস্যের সংস্কৃতি, ইতিহাস, মানুষ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন, যা বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণলেখার একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাসঃ
- শেষের কবিতা,
- নৌকাডুবি,
- দুই বোন,
- মালঞ্চ,
- গোরা,
- ঘরে-বাইরে,
- চোখের বালি,
- যোগাযোগ,
- রাজর্ষি,
- চার অধ্যায়।

• তাঁর রচিত অতিপ্রাকৃত গল্প: ক্ষুধিত পাষাণ, কঙ্কাল, গুপ্তধন, জীবিত ও মৃত, নিশীতে, মণিহার ইত্যাদি।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রচিত বসন্ত নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিল।
- বসন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি ঋতুনাট্য।
- ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ১০ ফাল্গুন নাটকটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- এটি একটি পালাগান এবং নাটকের আঙ্গিকে রচিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম পালাগান।
- এটি কবির প্রথম ঋতুনাট্যও বটে। নাটকের বিষয়বস্তু বসন্তের আগমন ও বিদায়।
- নাটকে ব্যবহৃত গানগুলি গীতবিতান গীতিসংকলনের প্রকৃতি পর্যায়ের বসন্ত উপপর্যায়ের অন্তর্গত।
- রবীন্দ্রনাথ নাটকটি উৎসর্গ করেন কাজী নজরুল ইসলামের উদ্দেশ্যে।
- পরে এই নাটকটি ঋতু - উৎসব (১৯২৬) সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গতিতত্ত্ব বিষয়ক কাব্য 'বলাকা' (১৯১৬)।
- ফরাসী দার্শনিক বার্গস-র তত্ত্ব প্রয়োগ করে তিনি এ কাব্যটি রচনা করেন।
- এ কাব্যে মোট ৪৫টি কবিতা রয়েছে। 
- বিখ্যাত কবিতা 'সবুজের অভিযান', 'শা-জাহান', 'ছবি', শঙ্খ'।
- এটি তিনি উইলিয়াম পিয়ারসনকে উৎসর্গ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প ও চরিত্রঃ

ভিখারিণীঃ  অমর সিংহ ও কমল দেবী
ল্যাবরেটরিঃ নন্দকিশোর ও সোহিনী
একরাত্রিঃ  সুরবালা 
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রচিত "বসন্ত" নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিল।
- বসন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি ঋতুনাট্য।
- ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ১০ ফাল্গুন নাটকটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- এটি একটি পালাগান এবং নাটকের আঙ্গিকে রচিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম পালাগান।
- এটি কবির প্রথম ঋতুনাট্যও বটে। নাটকের বিষয়বস্তু বসন্তের আগমন ও বিদায়।
- নাটকে ব্যবহৃত গানগুলি গীতবিতান গীতিসংকলনের প্রকৃতি পর্যায়ের বসন্ত উপপর্যায়ের অন্তর্গত।
- রবীন্দ্রনাথ নাটকটি উৎসর্গ করেন কাজী নজরুল ইসলামের উদ্দেশ্যে।
- পরে এই নাটকটি ঋতু - উৎসব (১৯২৬) সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্প 'ক্ষুধিত পাষাণ' ১৯২০ সালে প্রকাশিত হয়।
- তাঁর রচিত অন্যান্য অতিপ্রাকৃত গল্প- কঙ্কাল, গুপ্তধন, জীবিত ও মৃত, নিশীতে, মণিহার ইত্যাদি।

- 'বর্ষাযাপন' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সোনার তরী (১৮৯৪) কাব্যগ্রন্থ্যের অন্তর্গত।
- সোনার তরী 'মাত্রাবৃত্ত' ছন্দে রচিত।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
- 'সোনার-তরী' অলুক তৎপুরুষ সমাস।
- মণীন্দ্রমোহন বসু চর্যাপদের '৮ নং' পদের সাথে রবীন্দ্রনাথের 'সোনার তরী' কবিতার সাদৃশ্য খুজে পেয়েছেন।


সোনার তরীঃ '
- ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই, ছোট সে তরী/ আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি
- 'খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হ'ল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে।'

নিরুদ্দেশ যাত্রাঃ 'আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে হে' সুন্দরী?/বলো কোন্ পার ভিড়িবে তোমার সোনার তরী।'

• এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হলো:
- সোনার তরী,
- হিং টিং ছট,
- বিম্ববতী,
- বর্ষাযাপন,
- সুপ্তোত্থিতা,
- বসুন্ধরা,
- নিরুদ্দেশ যাত্রা।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত সামাজিক ছোট গল্প - কাবুলিওয়ালা।
- এর উল্লেখযোগ্য চরিত্র - রহমত, খুকী প্রমুখ।

এই গল্পের বিখ্যাত উক্তিঃ
.......কিন্তু মঙ্গল আলোকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
নষ্টনীড়, দুরাশা, এবং দিদি এই তিনটিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত ছোটগল্প।অন্যদিকে, তাপসী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কোনো ছোটগল্প নয়।
'ভাষার কথা' প্রবন্ধটির রচয়িতা - প্রমথ চৌধুরী।

অন্যদিকে, 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত- 
প্রবন্ধগ্রন্থ
- কালান্তর,

কাব্যগ্রন্থ
- মহুয়া,

বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ
- 'বিশ্বপরিচয়' (১৯৩৭)
- এটি তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে উৎসর্গ করেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তাঁর পিতা মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স  দ্বারকানাথ ঠাকুর।

- ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী।
- রবীন্দ্রনাথের ''ভিখারিণী'' গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প।
- তার প্রথম গীতিনাট্য বাল্মীকিপ্রতিভা।

- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
- রঞ্জন চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী নাটকের। 
- রক্তকরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
- নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং এর শৈলবাসে রচিত।
- তখন এর নামকরণ হয়েছিল যক্ষপুরী।
- ১৩৩১ সনের আশ্বিন মাসে যখন প্রবাসীতে প্রকাশিত হয় তখন এর নাম হয় রক্তকরবী।
- মানুষের অসীম লোভ কীভাবে জীবনের সব সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করে মানুষকে নিছক যন্ত্র ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণে পরিণত করেছে এবং এর ফলে তার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ কীরূপ ধারণ করেছে এরই প্রতিফলন ঘটেছে এ নাটকটিতে।

এ নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী- যক্ষপুরীর রাজার রাজধর্ম প্রজাশোষণ; তার অর্থলোভ দুর্দম। তার সে লোভের আগুনে পুড়ে মরে সোনার খনির কুলিরা। রাজার দৃষ্টিতে কুলিরা মানুষ নয় তারা স্বর্ণলাভের যন্ত্রমাত্র, তারা ৪৭ক, ২৬৯ফ মাত্র, তারা যন্ত্রকাঠামোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গ মাত্র, মানুষ হিসেবে তাদের কোনো মূল্য নেই।
- এখানে মনুষ্যত্ব, মানবতা এ যন্ত্রবন্ধনে পীড়িত ও অবমানিত। জীবনের প্রকাশ যক্ষপুরীতে নেই।
- জীবনের প্রকাশের সম্পূর্ণরূপ- প্রেম ও সৌন্দর্য, নন্দিনী তার প্রতীক। এ নন্দিনীর আনন্দস্পর্শ যক্ষপুরীর রাজা পাননি তাঁর লোভের মোহে, সন্ন্যাসী পাননি তাঁর ধর্মসংস্কারের মোহে, মজুররা পায়নি অত্যাচার ও অবিচারের লোহার শিকলে বাঁধা পড়ে, পন্ডিত পায়নি দাসত্বের মোহে।
- যক্ষপুরীর লোহার জালের বাইরে প্রেম ও সৌন্দর্যের প্রতীক নন্দিনী সবাইকে হাতছানি দিয়ে ডাকল; এক মুহূর্তে মুক্ত জীবনানন্দের স্পর্শে সবাই চঞ্চল হয়ে উঠল।
- রাজা নন্দিনীকে পেতে চাইলেন যেমন করে তিনি সোনা আহরণ করেন, শক্তির বলে কেড়ে নিয়ে।
- কিন্তু প্রেম ও সৌন্দর্যকে এভাবে লাভ করা যায় না। তাই রাজা নন্দিনীকে পেয়েও পাননি।
- একইভাবে মোড়ল, পন্ডিত, কিশোর, কেনারাম সবাই প্রাণপ্রাচুর্যের মধ্যে বাঁচার জন্য ব্যাকুল হয়ে জালের বাইরের দিকে হাত বাড়াল।
- কিন্তু নন্দিনী রঞ্জনকে ভালোবাসে তাই তার মধ্যে প্রেম জাগিয়ে তুলেছে।
- কিন্তু রঞ্জন যন্ত্রের বন্ধনে বাধা। এ যন্ত্র তার প্রেমকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিল-এটাই যান্ত্রিকতার ধর্ম এবং কবি তা বিশ্বাস করেন।
- নন্দিনীর প্রেমাস্পদ যান্ত্রিকতার যুপকাষ্ঠে নিঃশেষিত হলো এবং আবার যেন প্রেমকে ফিরে পাওয়া যায় সে লক্ষ্যে জীবন জয়ী হলো। আর এই দৃষ্টিভঙ্গী রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতায়, গাঁথায়, নাটকে, গল্পে পরিস্ফুট হয়েছে।
- কবি নাটকটিতে জড় যান্ত্রিকতা ও জীবনধর্মের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য সন্ধান করেছেন।

- তার কয়েকটি নাটকঃ (ডাকঘর, তাসেরদেশ, কালের যাত্রা, বসন্ত, মালিনী, রাজা ইত্যাদি)।

বলাকা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্ত্তৃক রচিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ।
- এটি ১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
- ষ্টির গতিতত্ত্ব, বিশ্বজগতের মধ্যে চিরন্তন বেগের রহস্য এই কাব্যে পরিলক্ষিত হয়।
- এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি হল "সবুজের অভিযান", "শঙ্খ", "ছবি", "শা-জাহান", "বলাকা" ইত্যাদি।
- রবীন্দ্রনাথ "বলাকা" কাব্যগ্রন্থটি তাঁর বন্ধু উইলি পিয়র্সনকে উৎসর্গ করেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ টি গানের সংকলন 'গীতাঞ্জলি' (১৯১০) কাব্য ।
- এ কাব্যের গানগুলি ১৯০৮-১৯০৯ সালের মধ্যে রচিত এবং গ্রন্থাকারে ১৯১০ সালে প্রকাশিত ।
- গীতাঞ্জলির ১৫৭ টি গানের মধ্য থেকে ৫৩ টি, 'গীতিমাল্য' ১৬ টি ,' নৈবেদ্য ' ১৫ টি ,'খেয়া' ১১ টি ,'শিশু' ৩ টি ,'কল্পনা' ১ টি ,'উৎসর্গ ' ১ টি, 'স্মরণ' ১ টি ,'চৈতালি' ১ টি এবং 'অচলায়তন ' থেকে ১ টি সহ মোট ৯ টি গ্রন্থের ১০৩ টি গান/কবিতার ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings নামে নভেম্বর, ১৯১২ সালের India Society থেকে প্রকাশিত হয় ।

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings এর জন্য নোবেল পান ।
'করুণা':
- এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম লেখা অসমাপ্ত উপন্যাস।
- এটি মাসিক 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি।
- পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত 'রবীন্দ্র রচনাবলি'তে (১৯৬১) প্রথম 'করুণা' প্রকাশিত হয়।
- ২৭টি পরিচ্ছেদে এ উপন্যাসটি রচিত।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মহেন্দ্র, মোহিনী, রজনী।
[ অনেকের মতে, এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস। যেহেতু এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি, সুতরাং এটি প্রথম উপন্যাস-এ দাবিটি হাস্যকর ও অযৌক্তিক।]

- রবীন্দ্রনাথের প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত উপন্যাস হলো 'বৌঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)'।
- এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস, এটি তিনি উৎসর্গ করেন সৌদামিনী দেবীকে। 
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তাঁর পিতা মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স  দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

• তাঁর রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
- মানসী
- সোনার তরী
- চিত্রা
- চৈতালী
- কল্পনা
- ক্ষণিকা
- গীতাঞ্জলি
- বলাকা
- পূরবী
- পুনশ্চ
- পত্রপুট
- সেঁজুতি
- শেষলেখা। 

• তাঁর রচিত উপন্যাসঃ
- চোখের বালি
- গোরা
- যোগাযোগ
- চতুরঙ্গ
- ঘরে-বাইরে
- চার-অধ্যায়
- মালঞ্চ। 


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- রক্তকরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক। নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে রচিত।
- তখন এর নামকরণ হয়েছিল যক্ষপুরী।
- নাটকে 'নন্দিনী' চরিত্রটি নিপীড়িত মানুষের মাঝখানে দেখা দিয়েছে আনন্দের দূত রূপে।

উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো:
- নন্দিনী,
- রঞ্জন।

-------------------------------
রবীন্দ্রনাথ রচিত আরো নাটক:
- বিসর্জন
- রাজা
- অচলায়তন
 বসন্ত
- চণ্ডালিকা
- নটীর পূজা
- চিরকুমার সভা
- তাসের দেশ
- বৈকুন্ঠের খাতা
-
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0