আধুনিক যুগের সূচনা (255 টি প্রশ্ন )
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলা সাহিত্যের বিকাশে যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, তার মধ্যে হিন্দু কলেজ ছিল অন্যতম। এই কলেজটি ১৮১৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠার পেছনে রাজা রামমোহন রায়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল এবং তাকে এই কাজে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছিলেন স্কটিশ মানবহিতৈষী ডেভিড হেয়ার

- হিন্দু কলেজের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল এখানে ধর্মীয় গোঁড়ামিমুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার প্রবর্তন করা।
- পরবর্তীতে ১৮৫৫ সালের ১৫ এপ্রিল হিন্দু কলেজের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং এটি প্রেসিডেন্সি কলেজ নামে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে।
- এই কলেজেরই তরুণ শিক্ষক ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, যিনি 'ইয়ংবেঙ্গল' আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন।
১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মিশন থেকে বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িকপত্র বা পত্রিকা হিসেবে 'দিকদর্শন' প্রকাশিত হয়। জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হতো। যদিও শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাইবেল বাংলায় অনুবাদ করে ছাপানো, তবে পরবর্তীতে তারা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ সালে, যার নেতৃত্বে ছিলেন উইলিয়াম কেরি।
- 'দিকদর্শন' প্রকাশের কিছুদিন পরেই শ্রীরামপুর মিশন থেকে 'সমাচার দর্পণ' নামে প্রথম বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।
- ডিরোজিও সম্পাদিত পত্রিকার নাম হলো 'পার্থেনন' (The Parthenon)।
- তিনি এবং তাঁর অনুগামী ছাত্রদের নিয়ে 'ইয়ং বেঙ্গল' বা 'নব্যবঙ্গ' নামে একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলেন।
- এই গোষ্ঠী প্রচলিত কুসংস্কার ও সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল এবং যুক্তিবাদী চিন্তার প্রসার ঘটাত।
- 'পার্থেনন' ছিল ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর মুখপত্র, যা ১৮৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই পত্রিকায় নারীশিক্ষা, কুসংস্কারের বিরোধিতা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারমূলক লেখা প্রকাশিত হতো।
- তবে, পত্রিকার র‍্যাডিকাল মতামতের কারণে হিন্দু কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ হয় এবং চাপের মুখে এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- গৌড়ীয় ব্যাকরণ বাংলায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
- রাজা রামমোহন রায় প্রথম বাঙালি হিসেবে 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' (১৮৩৩) রচনা করেন। এটি তাঁর সর্বশেষ গ্রন্থ।
- এর আগে তিনি ইংরেজিতে Bengali Grammar in the English Language নামের একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন ।
- তার অন্যান্য রচনা হচ্ছে 'বেদান্তসার' (১৮১৫), 'ভট্টাচার্যের সহিত বিচার' (১৮১৭), 'সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ' (১৮১৮) ইত্যাদি।

- রামরাম বসু ১৭৫৭ সালে হুগলির চুঁচুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি কেরী সাহেবের মুনশি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন।
- ১৮০১ সালের মে মাসে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগের সূচনা হলে তিনি সহকারী মুনশি হিসেবে নিযুক্ত হন।
- রামরাম বসু রচিত গ্রন্থ 'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র' (১৮০১)।
- এই গ্রন্থটি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা গদ্যগ্রন্থ।
- তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গ্রন্থ 'লিপিমালা' (১৮০২)।
- তিনি ১৮১৩ সালে পরলোকগমন করেন।
- রাজা রামমোহন রায়ের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম ‘তুহফাত উল মুয়াহিদ্দিন’।
- এই গ্রন্থটি ফারসি ভাষায় রচিত এবং মুখবন্ধ অংশটি আরবি ভাষায় লেখা।
- গ্রন্থটিতে মূলত একেশ্বরবাদের সমর্থনে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
- রামমোহন রায় এই গ্রন্থে ধর্মবিশ্বাসের যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ তুলে ধরেন এবং হিন্দু ধর্মের প্রচ্ছন্ন একেশ্বরবাদের আধুনিকীকরণে ভূমিকা রাখেন।
- ‘তুহফাত উল মুয়াহিদ্দিন’ ছিল ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের সূচনা পর্যায়ের এক উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক দলিল।
• উইলিয়াম কেরী:
- উইলিয়াম কেরি ছিলেন একজন ইংরেজ মিশনারি ।
- বাংলা গদ্যের বিকাশে তাঁর অবদান সর্বাধিক ।
- তিনি ইতিহাসমালা ও কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
- তিনি ১৮১০ সালে দরিদ্র খ্রিষ্টান সন্তানদের জন্য কলকাতায় বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৮০০ সালের ৪ মে ভারতে কর্মরত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মীদের শিক্ষাদানের জন্য ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- ১৮০১ সালে কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হলে উইলিয়াম কেরি, দুইজন পন্ডিত ও ছয়জন সহকারী শিক্ষকের সাথে যোগদান করেন।
- চন্ডীচরণ মুন্সী ছিলেন এই সহকারী শিক্ষকদের একজন।
- তার রচিত গ্রন্থের নাম "তোতা ইতিহাস"।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- কলেজটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মীদের ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া।
- বাংলা বিভাগ ছিল কলেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিভাগগুলির মধ্যে একটি।
- চন্ডীচরণ মুন্সী ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ।
- "তোতা ইতিহাস" ছিল বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম ইতিহাস বই।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস (১৮০০-১৮৫৫) উপযোগিতার মানদন্ডে নয়, পরিস্থিতির চাপেই শ্রীরামপুর প্রাচ্যে মুদ্রণ শিল্পে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। ১৭৭৮ সালে চুঁচুড়ায় বাংলা মুদ্রণের সূচনা হয়। এর ২২ বছর পরে শ্রীরামপুরে শুরু হয় মুদ্রণ।
- ১৮০০ সালের ১০ই জানুয়ারি উইলিয়াম কেরি এবং ভ্রাতৃবৃন্দ এই মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
- সেই বছরই মার্চ মাসে উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস নামে ছাপাখানাটি খোলেন।
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ‘বাংলা ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করা’ হলেও শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে পরবর্তীকালে রামায়ণ, মহাভারত, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি বহু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল।
- ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মিশনারিদের পক্ষ থেকে জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িকপত্র বা প্রথম বাংলা পত্রিকা ‘দিকদর্শন’ প্রকাশিত হয়।
প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম – টেকচাঁদ ঠাকুর।তিনি বাংলা, পারসি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
- তিনি ‘প্যারীচাঁদ মিত্র অ্যান্ড সন্স’ নামক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমালোচনা করে রচিত তাঁর প্রবন্ধের নাম – ‘The Zamindar and Royats’.
- তিনি গরিব চাষীদের রক্ষাকবচ হিসেবে ‘পঞ্চায়েত ব্যবস্থা’ প্রবর্তনের দাবি উত্থাপন করেন।
- তাঁর রচিত ‘আলারের ঘরের দুলাল'(১৮৫৮) – বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস।তাই তাঁকে বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ বলা হয়। ‘আলালের ঘরের দুলালে’ ব্যবহৃত ভাষাকে ‘আলালী’ ভাষা বলে। অর্থাৎ তিনি ‘আলালী ভাষা’রও স্রষ্টা। ‘আলালের ঘরের দুলালে’র উল্লেখযোগ্য চরিত্র হল – মতিলাল,প্রতারক ঠকচাচা, ধূর্ত উকিল বটলর,অর্থলোভী বাঞ্চারাম,তোষামোদকারী বক্রেশ্বর।

- পাদ্রি লঙ সাহেব তাঁকে ‘ডিফেন্স অব বেঙ্গল’ বলতেন।

তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ –

(ক) মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কী উপায় (১৮৫৯),

(খ) বামারঞ্জিকা (১৮৬০) -স্ত্রীশিক্ষামূলক গ্রন্থ,

(গ) গীতাঙ্কুর (১৮৬১),

(ঘ) যৎকিঞ্চিৎ (১৮৬৫),

(ঙ) অভেদী (১৮৭১),

(চ) আধ্যাত্মিকা (১৮৮০),

(জ) বামাতোষিণী (১৮৮১)- প্যারীচাঁদ মিত্রের সর্বশেষ রচনা – নারীশিক্ষার উদ্দেশ্যে গ্রন্থটি রচিত।
- আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের শুরুতে রাষ্ট্রিক, আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া সাহিত্যে দৃশ্যমান হয় এবং বাংলা সাহিত্যে নতুন রাগিণীর সূচনা ঘটে।
- পাশ্চাত্য শিক্ষা, সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রভৃতির সংস্পর্শে এসে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল আধুনিক যুগে। এ যুগের প্রতিভূ হলো গদ্য সাহিত্য।
- বাংলা সাহিত্যে গদ্যের সূচনা ঘটে প্রধানত উনিশ শতকে।
- ১৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে আসামের রাজাকে কোচবিহারের রাজার একটি পত্রকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রাথমিক নিদর্শন ধরা হয়।
- ১৭৪৩ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে প্রকাশিত ঢাকার ভূষনার জমিদারপুত্র দোম অ্যান্টনিও রচিত বাঙালির লেখা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ 'ব্রাহ্মণ রোমান ক্যাথলিক সংবাদ' গ্রন্থটিকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রাথমিক প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
- বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে গতিশীল করে প্রাণদান করেছেন।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারসহ অন্যান্য পণ্ডিতগণ এবং রাজা রামমোহন রায়ের বাংলা গদ্য রচনার প্রয়াস প্রশংসনীয়, কিন্তু তা ছিল অপূর্ণ।
- বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ ও যতি সন্নিবেশে সুবোধ্য ও শিল্প গুণান্বিত করে তোলেন। বাংলা গদ্যের অন্তর্নিহিত ধ্বনিঝংকার ও সুরবিন্যাস তিনিই প্রথম উপলব্ধি করেন, বাংলা গদ্যপ্রবাহ সমৃদ্ধির জন্য তিনি তাঁর গদ্যে ‘উচ্চবচ ধ্বনিতরঙ্গ’ ও ‘অনতিলক্ষ্য ছন্দস্রোত সৃষ্টি করেন এবং বাংলা গদ্যের শ্বাসপর্ব ও অর্থপূর্ব অনুসারে ভাগ করে, সেখানে যতি চিহ্ন প্রয়োগ করে বাংলা গদ্যেকে তিনি সাহিত্যগুণ সম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশক্ষম করেছিলেন বলেই তাঁকে প্রথম সাহিত্যিক গদ্যের স্রষ্টা বলা হয়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বাংলা গদ্যের ‘প্রথম শিল্পী' বলে অভিহিত করেন।
- বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
- শ্রীরামপুরে মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতির পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পঞ্চানন কর্মকার। তিনি একজন দক্ষ হরফ প্রস্ত্ততকারী হিসেবে শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে যোগ দিয়ে হরফ নির্মাণে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটান। মুদ্রণ কাজের বিস্তারের জন্য তিনি শুধু একটি হরফ প্রস্তুতকারক কারখানাই স্থাপন করেননি, বরং শ্রীরামপুরে একটি হরফ প্রস্ত্ততের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেন, যা ছিল প্রাচ্যে যন্ত্রবিদ্যার প্রথম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

- এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বহু দেশীয় কর্মী হরফ নির্মাণে দক্ষ হয়ে ওঠেন এবং এতে মুদ্রণশিল্পে আত্মনির্ভরতা তৈরি হয়। যদিও পরবর্তীতে তাঁর জামাতা মনোহর কর্মকার এবং নাতি কৃষ্ণচন্দ্র এই শিল্পে যুক্ত হন, তবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের মূল কৃতিত্ব একমাত্র পঞ্চানন কর্মকারের।
- ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী ও হিন্দু কলেজ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ইয়ংবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও(হিন্দু কলেজের শিক্ষক) ১৮৩১ সালে ইয়ংবেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ডিরোজিওর শিষ্যরাই ইয়ংবেঙ্গল নামে পরিচিত,ইয়ংবেঙ্গলরা মূলত ইংরেজ ভাবধারাপুষ্ট বাঙালী যুবক।
- ইয়ংবেঙ্গলের আদর্শ- আস্তিকতা হোক আর নাস্তিকতা হোক, কোন জিনিসকে পূর্ব থেকে গ্রহণ না করা; জিজ্ঞাসা ও যুক্তি দিয়ে বিচার করা।তারা সাহিত্যে যুক্তিশীলতা ও মানবিকতাকে বড় করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
- ডিরোজিওর প্রধান গ্রন্থ  ‘The Fakeer of Jungkeera’
- হিন্দু কলেজের মেধাবী ছাত্র ও সাহিত্যিকরা হলেন  প্যারীচাদ মিত্র, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র, কালিপ্রসাদ ঘোষ, হরচন্দ্র ঘোষ, মাধবচন্দ্র মল্লিক, রামতনু লাহিড়ী প্রমুখ।
- আর মধুসূদন দত্ত ছিলেন ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত একজন।
- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহোদর সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সাংবাদিক, লেখক ও পণ্ডিত।
- একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইংরেজি সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও আইনে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।
- ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাঁকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেয়।
- তিনি সামাজিক অসাম্য ও সাংস্কৃতিক অনগ্রসরতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন।
-  সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৪ সালে চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-  তিনি Bengali Ryots : Their Pights and Liabilities (১৮৬৪) নামক গ্রন্থ লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।
-  'ভ্রমর' (১৮৭৪-৭৫), 'বঙ্গদর্শন' (১৮৭৭-৮২) পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
-  তিনি ১৮৮৯ সালে মারা যান।

সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস:
- ‘কণ্ঠমালা’ (১৮৭৭),
- ‘জলপ্রতাপ চাঁদ' (১৮৮৩),
- ‘মাধবীলতা’ (১৮৮৪)।

তার রচিত গল্পগ্রন্থ:
- 'রামেশ্বরের অদৃষ্ট’ (১৮৭৭),
- ‘দামিনী’ ।

তার রচিত প্রবন্ধ:
- ‘যাত্রা’ (১৮৭৫),
- ‘সৎকার ও বাল্য বিবাহ।

- ভ্রমণকাহিনী’ ‘পালামৌ' (১৮৮০-৮২) এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা।
- কালীপ্রসন্ন সিংহ (১৮৪০-১৮৭০) সংগঠক, সাংবাদিক, লেখক, সমাজকর্মী।
- মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিদ্যোৎসাহিনী সভা’।
- কালীপ্রসন্ন শিল্প ও সংস্কৃতির, বিশেষত নাট্যসাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
- নাটক ও যাত্রার মাধ্যমে সামাজিক জ্ঞান বৃদ্ধির মানসে তিনি বিদ্যোৎসাহিনী মঞ্চ (১৮৫৬) প্রতিষ্ঠা করেন।
- এখানে প্রথম মঞ্চস্থ হয় বেণীসংহার নাটক এবং কালীপ্রসন্ন স্বয়ং এতে অভিনয় করেন।
- ১৮৫৭ সালে তিনি কালিদাসের সংস্কৃত নাটক বিক্রমোর্বশীয় অনুবাদ করেন এবং ১৮৫৮ সালে তিনি রচনা করেন সাবিত্রীসত্যবান নাটক।
- তৎকালীন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সম্পাদনায় তিনি পর্যায়ক্রমে তিনটি সাময়িকী প্রকাশ করেন: বিদ্যোৎসাহিনী পত্রিকা (১৮৫৫), সর্বতত্ত্ব প্রকাশিকা (১৮৫৬) এবং বিবিধার্থ সংগ্রহ।
- তিনি নিজ সম্পাদনায় কিছুদিন পরিদর্শক নামে একটি দৈনিক পত্রিকাও প্রকাশ করেন।
- ১৮৬৩ সালে কালীপ্রসন্ন ‘জাস্টিস অব দি পিস’ পদ লাভ করেন।
- তিনি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি এবং এগ্রিকালচারাল ও হর্টিকালচারাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন।
- ইংরেজিতে দি ক্যালকাটা পুলিশ অ্যাক্ট (১৮৬৬) তাঁর রচনা।
- জন্ম পরম্পরায় তিনি তাঁর অসাধারণ সাহিত্যকর্ম হুতোম প্যাঁচার নকশা (১৮৬২) এবং পুরাণসংগ্রহ (মহাভারত থেকে পৌরাণিক গল্পের সংগ্রহ, ১৮৬০-১৮৬৬)-এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
- হুতোম প্যাঁচার নকশা তাঁর শ্রেষ্ঠ মৌলিক রচনা।
- বাংলা গদ্যের উন্নয়নে হুতোম প্যাঁচার নকশা মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
- সতেরো খন্ডে সংস্কৃত মহাভারতের বাংলা গদ্যানুবাদও তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি।
- ১৮৭০ সালের ২৪ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শেক্সপীয়রের নাটকের বাংলা গদ্যরূপ প্রদান করেছেন।
- তিনি শেক্সপীয়রের বিখ্যাত নাটক "শকুন্তলা"-এর বাংলা অনুবাদ করেন।
- বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার হিসেবে পরিচিত এবং তার অনুবাদ কর্ম বাংলা ভাষার গদ্য সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
- বিদ্যাসাগরের অনুবাদে শেক্সপীয়রের নাটকগুলো সহজ, প্রাঞ্জল এবং সাহিত্যিক গুণসম্পন্ন গদ্যে রূপান্তরিত হয়, যা বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
- তার এই অনুবাদ কর্ম বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস (১৮০০-১৮৫৫) উপযোগিতার মানদন্ডে নয়, পরিস্থিতির চাপেই শ্রীরামপুর প্রাচ্যে মুদ্রণ শিল্পে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। ১৭৭৮ সালে চুঁচুড়ায় বাংলা মুদ্রণের সূচনা হয়। এর ২২ বছর পরে শ্রীরামপুরে শুরু হয় মুদ্রণ।
- ১৮০০ সালের ১০ই জানুয়ারি উইলিয়াম কেরি এবং ভ্রাতৃবৃন্দ এই মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
- সেই বছরই মার্চ মাসে উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস নামে ছাপাখানাটি খোলেন।
- শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ‘বাংলা ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করা’ হলেও শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে পরবর্তীকালে রামায়ণ, মহাভারত, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি বহু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল।
-১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মিশনারিদের পক্ষ থেকে জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িকপত্র বা প্রথম বাংলা পত্রিকা ‘দিকদর্শন’ প্রকাশিত হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো আত্মচেতনা। এই যুগের সাহিত্যে ব্যক্তিমানুষের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটেছে।
- উনিশ শতকের নবজাগরণের ফলে আধুনিক সাহিত্যে জাতীয়তাবাদের চেতনা প্রবলভাবে দেখা যায়।
- এই সময়কার লেখকেরা তাদের সাহিত্যে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন।
- আধুনিক সাহিত্য মানবতাবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত। এই যুগের লেখকেরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
- আধুনিক সাহিত্যে যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞানমনস্কতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এই যুগের লেখকেরা অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
- আধুনিক সাহিত্য ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদকে গুরুত্ব দেয়। এই যুগের লেখকেরা মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং স্বাতন্ত্র্যের প্রতি জোর দিয়েছেন।
- আধুনিক যুগে গণতন্ত্র ও সমতার চেতনা প্রবলভাবে লক্ষ করা যায়।

- তাই, সঠিক উত্তরটি হবে: আত্মচেতনা, জাতীয়বোধ ও মানবতার জয়জয়কার।
- সংস্কৃত ভাষার প্রাচীন মহাকাব্য রামায়ণ এর রচয়িতা বাল্মীকি। বাল্মীকি আগে রত্নাকর নামে দস্যুবৃত্তি করতেন।
- এটি ২৪ হাজার শ্লোকে রচিত এবং ৭ টি খন্ডে বিভক্ত ।
- শ্লোকগুলো ৩২ অক্ষরযুক্ত '"অনুষ্টুপ" ছন্দে রচিত ।
- এ কাব্যের উপজীব্য হল বিষ্ণুর অবতার রামের জীবনকাহিনী ।
- রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা ।
- রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী ।
- রামায়ণের অন্যনাম 'শ্রীরাম পাঞ্চালী'

- ওয়ারেন হেস্টিংস এর অনুরোধে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড বাংলা ব্যাকরণের বই লিখার পর ছাপার যন্ত্র বা বাংলা মুদ্রণ হরফ না থাকায় হেস্টিংস তাঁর অধীনস্ত কর্মচারী চার্লস উইলকিন্সকে হরফ তৈরির নির্দেশ দেন ।

- উইলকিন্স পরে পঞ্চানন কর্মকারের সহায়তায় বাংলা মুদ্রণ হরফ তৈরি করেন।

- ১৭৭৮ সালে তিনি হুগলিতে প্রথম বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং নিজেই বাংলা অক্ষরের নকশা তৈরি করেন বলে তাঁকে বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় ।

- তবে উপমহাদেশের প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় (পর্তুগিজ ভাষার মুদ্রণযন্ত্র) ১৪৯৮ সালে।

- বাংলাদেশের প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় রংপুরে ১৮৪৭ সালে । এর নাম 'বার্ত্তাবহ যন্ত্র' । ছাপাখানাটি থেকে প্রকাশিত হতো রংপুরের প্রথম সাময়িকপত্র 'রঙ্গপুর বার্ত্তাবহ' । পত্রিকাটির প্রকাশক ছিলেন শুরুচরণ রায় । 
- ঢাকায় ১৮৬০ সালে ‘ঢাকা প্রেস’ নামে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ছাপাখানা থেকে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
• উইলিয়াম কেরী:
- উইলিয়াম কেরি ছিলেন একজন ইংরেজ মিশনারি ।
- বাংলা গদ্যের বিকাশে তাঁর অবদান সর্বাধিক ।
- তিনি ইতিহাসমালা ও কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
- তিনি ১৭৯৯ সালে বাংলায় প্রথম সম্পূর্ণ বাইবেল অনুবাদ করেন ।
- ভারতের ইংরেজ গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে কলকাতার লালবাজারে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৮০১ সালের ২৪শে নভেম্বর কলেজে বাংলা‌ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে অধ্যক্ষ হিসেবে যােগদান করেন শ্রীরামপুর মিশনের পাদ্রী এবং বাইবেলের বাংলা অনুবাদক উইলিয়াম কেরী।
- কলেজটির কার্যক্রম ১৮৫৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় ।
রাজা রামমোহন প্রতিষ্ঠা করেনঃ
» একেশ্বর উপাসনার লক্ষ্যে ‘আত্মীয়সভা’- ১৮১৫।
» দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ‘হিন্দু কলেজ’- ১৮১৭
» ‘ইউনিটারিয়ান কমিটি’ নামক ধর্মসভা- ১৮২১।
» ‘অ্যাংলো হিন্দু স্কুল’-১৮২৩৷
» প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় ‘ব্রাহ্ম-সমাজ’- ১৮২৮।

তার রামমোহন রচিত ব্যাকরণঃ
‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ' (১৮৩৩): এটি ১৮২৬ সালে প্রথম ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়।
- রামরাম বসু (১৭৫৭ - ১৮১৩) বাংলা গদ্যসাহিত্যের আদি লেখকদের একজন।
- তাঁর জন্ম হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।
- প্রথম দিকে তিনি ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য আসা মিশনারি পাদ্রীদের বাংলা শেখাতেন। পরে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে তিনি মুন্সি ও সংস্কৃত ভাষার সহকারি শিক্ষকের চাকরি পান।
- তাঁর রচিত 'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র' বাঙালির লেখা প্রথম বাংলা মৌলিক গদ্যগ্রন্থ ও ছাপাখানায় মুদ্রিত প্রথম বই। বইটি ১৮০১ সালের জুলাই মাসে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮০১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল।
- এছাড়া তিনি বাঙালা ভাষায় কয়েকটি খ্রিস্টধর্ম বিষয়ক বই লেখেন, রামায়ণ ও মহাভারত সম্পাদনা করেন ও উইলিয়াম কেরিকে বাইবেল অনুবাদে সহায়তা করেন।
• ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ:
- লর্ড ওয়েলেসলী ১৮০০ সালে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়াম কেরী ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
- পরবর্তীতে ১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ছিল ব্রিটিশ ভারতের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- কলেজটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মীদের ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া।
- বাংলা বিভাগ ছিল কলেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিভাগগুলির মধ্যে একটি।
- ডিরোজিও ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
- তরুণ হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮২৬ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে কলকাতা হিন্দু কলেজের শিক্ষক নিযুক্ত হন।
- তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পড়াতেন এবং তাঁর পাঠদানের পদ্ধতি ছিল তাঁর ধ্যান-ধারণার মতোই গতানুগতিকতামুক্ত।
- ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন ডিরোজিও ।
- তার শিষ্য তথা এ আন্দোলনের অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে- রসিককৃষ্ণ মল্লিক, দক্ষিণারঞ্জন মজুমদার, প্যারীচাঁদ মিত্র, রামতনু লাহিড়ী, রাধানাথ শিকদার প্রমুখ ।
- তাঁর সহায়তায় ১৮২৮ সালে তারা ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে তাদের নিজস্ব একটি সাহিত্য ও বিতর্ক সংঘ প্রতিষ্ঠা করে।
- ১৮০০ সালে উইলিয়াম কেরী জোশুয়া মার্সম্যানের সহযোগিতায় শ্রীরামপুর মিশনে মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করেন।
- রংপুরে বাংলাদেশের প্রথম ছাপাখানা ‘বার্তাবহ যন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৭-১৮৪৮ সালে।
- সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ আলেকজান্ডার ফারবেখ ঢাকায় ছাপাখানা স্থাপন করেন যার নাম ছিল ‘ঢাকা প্রেস’। এখান থেকে ‘ঢাকা নিউজ’ নামে সংবাদপত্র প্রকাশিত হত।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার।
- সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন।
- সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর।
- তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন।
- বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই।
- তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়-সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ।
- সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা।
- নারীমুক্তির আন্দোলনেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0