চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত ৫১ টি চর্যাগীতি ছিল। ২৪,২৫,৪৮ সংখ্যক, চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি। ২৩ সংখ্যক পদের শেষাংশ পাওয়া যায় নি। সর্ব মোট সাড়ে ৪৬ টি পদ পাওয়া যায়।
কেন সাড়ে ছেচল্লিশ ধরব?
লাড়ীডোম্বপা নামে চর্যাপদের একজন কবি ছিলেন, যিনি কবি হিসাবে স্বীকৃত হলেও তাঁর কোনো পদসংখ্যা পাওয়া যায়নি। ফলে ড. শহীদুল্লাহ মনে করেন, লাড়ীডোম্বীপা চর্যাপদের কবি নয়। কেননা যদি তিনি কবিই হতেন তবে অবশ্যই তাঁর পদ সংখ্যা থাকার কথা। এই কারণে ড. শহীদুল্লাহর মতে কবি সংখ্যা ২৩ ও পদ সংখ্যা ৫০টি।
অপরদিকে সুকুমার সেন মনে করেন, লাড়ীডোম্বীপা চর্যাপদ কবি। এমনও হতে পারে যে তাঁর রচিত পদ সংখ্যাটি পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে সুকুমার সেন লাড়ীডোম্বীপাকে কবি হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁর রচিত একটি পদ সংখ্যাও ধরে নিলেন। ফলে সুকুমার সেনের মতে চর্যাপদের কবি সংখ্যা ২৪ ও পদ সংখ্যা ৫১টি।
২৪,২৫,৪৮ সংখ্যক, চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে সম্পূর্ন পাওয়া যায়নি ও ভুসুকুপার ২৩ নং পদের ১০ লাইনের মধ্যে প্রথম ৬ লাইনই পাওয়া গেছে। ফলে বলা যায়, ২৩নং পদের অর্ধেকটা পাওয়া যায়নি। বাকি সব পদ পরিপূর্ণ পাওয়া গিয়েছে।
তবে সর্বসম্মেত ভাবে পদসংখ্যা ৫১ ধরা হয়। আবিষ্কৃত ধরা হয়ে 'সাড়ে ছেচল্লিশ'
উৎস : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর