প্রকৃতিতে কিছু মৌলের দুই বা ততোধিক রূপে অবস্থান করার বৈশিষ্ট্যকে বহুরূপতা (Allotropy) বলে। মৌলের এ রূপগুলো (Allotropes) পরস্পর হতে কাঠামো, কেলাস, বর্ণ, ঘনত্ব ইত্যাদি ভৌত ধর্মে এবং রাসায়নিক সক্রিয়তার মাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
কার্বন, অক্সিজেন, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি মৌল বহুরূপতা প্রদর্শন করে।
বহুরূপতার কারণ:
১. সমান সংখ্যক পরমাণু দ্বারা গঠিত একই মৌলের অণুসমূহে পরমাণুর বিন্যাসগত পার্থক্যের কারণে বহুরূপতার সৃষ্টি হয়। ২. একই মৌলের অণুর মধ্যে পরমাণুর সংখ্যাভিন্নতা বা অভ্যন্তরীণ শক্তির ভিন্নতার কারণে বহুরূপতা পরিলক্ষিত হয়।
কার্বনের বিভিন্ন রূপভেদগুলোকে প্রধানত দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা:
১. দানাদার কার্বন : প্রধানত দু’প্রকার। যথা: ক. হীরক, খ. গ্রাফাইট।
২. অদানাদার কার্বন : প্রধানত তিন প্রকার। যথা:ক. চারকোল বা অঙ্গার, খ. ভূসা কয়লা এবং গ. কোল।