পরমাণুর গঠন (77 টি প্রশ্ন )
লেজার রশ্মি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফোটন। কারণ:

- লেজার (LASER) হলো Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ হলো উত্তেজিত কণা থেকে নির্গত আলো বা আলো নির্গমন দ্বারা আলোকে বৃদ্ধি করা।
- লেজারের আলো মূলত একরূপ, সংলগ্ন এবং সমান্তরাল ফোটনের একসারি।
- ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন হলো পারমাণবিক কণা, যেগুলো লেজারের আলো উৎপাদনে সরাসরি ব্যবহৃত হয় না, বরং তাদের সাহায্যে বিভিন্ন উপাদানের রূপান্তর ঘটে।
- লেজার উৎপাদনের প্রক্রিয়ায়, উত্তেজিত পরমাণু বা আণবিক স্তর থেকে ফোটন নির্গত হয় এবং এই ফোটনগুলো একই ধরণের ফোটন তৈরিতে উদ্দীপিত করে, ফলে লেজার রশ্মি তৈরি হয়।

এজন্য লেজার রশ্মি তৈরির জন্য মূল উপাদান হলো ফোটন
কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে কৃষ্ণবস্তু বিকিরণের সমস্যা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। নিচে এটির মূল কারণগুলো তুলে ধরা হলো:

- কৃষ্ণবস্তু বিকিরণ বলতে বোঝায় এমন বিকিরণ যা পুরোপুরি অবরুদ্ধ (blackbody) পৃষ্ঠ থেকে নির্গত হয় এবং যার বর্ণালী নির্ভর করে তাপমাত্রার উপর।
- ক্লাসিক্যাল তাত্ত্বিক মডেল (যেমন রেলির এবং জেডউইগের তত্ত্ব) এই বিকিরণের বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে অক্ষম ছিল কারণ তারা অনন্ত শক্তি দাবি করত, যা "উলটিপ্রবাহ সমস্যা" নামে পরিচিত।
- কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রবর্তন করেছিলেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ১৯০০ সালে এই সমস্যার সমাধানে। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, বিকিরণের এনার্জি নির্দিষ্ট কোয়ান্টা (quantum) আকারে নির্গত হয়, অর্থাৎ শক্তির পরিমাণ ডিজিটাইজড।
- এই ধারণা থেকেই কৃষ্ণবস্তু বিকিরণের স্পেকট্রাম সঠিকভাবে মডেল করা সম্ভব হয়েছে, যা তাপ বিকিরণের বর্ণনায় মৌলিক অবদান রেখেছে।

অন্য অপশনসমূহের ব্যাখ্যা সংক্ষেপে:

- প্রকাশ-সংস্লেষ (Option 1) কোয়ান্টাম তত্ত্বের সরাসরি দৃশ্যতা নয়, এটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
- তড়িৎ চৌম্বক প্রবর্তন (Option 2) মূলত ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্ব এবং ক্লাসিক্যাল ইলেক্ট্রোডাইনামিক্সের আওতায় পড়ে।
- তাপ বিকীরণ আইন (ক্লাসিক্যাল) (Option 4) ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের অন্তর্গত যা কোয়ান্টাম তত্ত্বের আগের মডেল; যেটি কৃষ্ণবস্তু বিকিরণের সমস্যায় ব্যর্থ হয়।

সুতরাং, কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে "কৃষ্ণবস্তু বিকিরণ" এর সমস্যাটি ব্যাখ্যা করা যায়।
- পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলি যে নির্দিষ্ট পথে আবর্তিত হয় সেগুলোকে ঐ পরমাণুর কক্ষপথ বলে।
- পরমাণুর দ্বিতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ৮টি ও তৃতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ১৮টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।
- পরমাণু এবং অণু এত ক্ষুদ্র যে সেগুলোর প্রকৃত ভর সরাসরি পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব। তাই গবেষকরা পরোক্ষভাবে ভর বর্ণালী বিক্ষেপণ পদ্ধতিতে পরমাণুর আপেক্ষিক ভর নির্ণয় করেন।
- এই পদ্ধতিতে পরমাণুকে আয়নাইজ করে, বিশেষভাবে একটি চুম্বকীয় এবং বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে পরমাণুর ভর-চার্জ অনুপাতে (mass-to-charge ratio) নির্ণয় করা হয়।
- এর মাধ্যমে পরমাণুর ভর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
একটি পরমাণুর ভর সংখ্যা (Mass Number) হলো এর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা।

- প্রোটন (p⁺): ধনাত্মক আধানযুক্ত, নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
- নিউট্রন (n⁰): নিরপেক্ষ আধানযুক্ত, নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
- ইলেকট্রন (e⁻): ঋণাত্মক আধানযুক্ত, নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থান করে এবং এর ভর প্রোটন বা নিউট্রনের তুলনায় নগণ্য (প্রায় ১/১৮৩৬)।

ভর সংখ্যা (A) = প্রোটন সংখ্যা (Z) + নিউট্রন সংখ্যা (N)
যেহেতু ইলেকট্রনের ভর নগণ্য, তাই ভর সংখ্যার হিসাবে এটি বিবেচিত হয় না।

যেমন, অক্সিজেন পরমাণু (¹⁶O)
প্রোটন সংখ্যা (Z) = ৮
নিউট্রন সংখ্যা (N) = ৮

ভর সংখ্যা (A) = ৮ (প্রোটন) + ৮ (নিউট্রন) = ১৬

এখানে ইলেকট্রন সংখ্যা ৮, কিন্তু ভর সংখ্যায় এটি গণ্য হয় না।
- যে শক্তির বলে একটি অণুতে পরমাণুসমূহ একে অপরের সাথে আবদ্ধ থাকে, তাকে যোজ্যতা (Valency) বা রাসায়নিক বন্ধন (Chemical Bond) বলা হয়।
- একটি পরমাণুর অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে তার যোজ্যতা বলে।
- যোজ্যতা ইলেকট্রনের মাধ্যমে গঠিত রাসায়নিক বন্ধনের সংখ্যা নির্ধারণ করে।
- রাসায়নিক বন্ধন (Chemical Bond) হচ্ছে সেই আকর্ষণ বল যা দুটি বা ততোধিক পরমাণুকে একত্রে ধরে রাখে এবং অণু বা স্ফটিক গঠন করে।
- বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক বন্ধন রয়েছে, যেমন সমযোজী বন্ধন (covalent bond), আয়নিক বন্ধন (ionic bond), ধাতব বন্ধন (metallic bond) ইত্যাদি।
- এই বন্ধনগুলো পরমাণুর যোজ্যতা ইলেকট্রনের পারস্পরিক আদান-প্রদান বা ভাগাভাগির মাধ্যমে গঠিত হয়।
পারমাণবিক সংখ্যা (Atomic Number):
- নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা।
- একটি মৌলের পরিচয় নির্ধারণ করে

ভর সংখ্যা (Mass Number):
- নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা।

আইসোটোপ (Isotope):
- একই মৌলের বিভিন্ন রূপ, যেখানে প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন।
উদাহরণ: 2C,13C, 14C।

আইসোবার (Isobar):
ভর সংখ্যা সমান কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা ভিন্ন। উদাহরণ: 40Ar এবং 40Ca।
তেজস্ক্রিয় বিকিরণে নির্গত কণাগুলোর মধ্যে আলফা কণা (Alpha particle) সবচেয়ে ভারী। এটি মূলত একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস, যা ২টি প্রোটন এবং ২টি নিউট্রন নিয়ে গঠিত। এর ভর প্রায় ৪ অ্যাটমিক ইউনিট (amu), যা বিটা কণা এবং গামা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি।
তেজস্ক্রিয় বিকিরণে নির্গত কণাগুলোর মধ্যে আলফা কণা (Alpha particle) সবচেয়ে ভারী। এটি মূলত একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস, যা ২টি প্রোটন এবং ২টি নিউট্রন নিয়ে গঠিত। এর ভর প্রায় ৪ অ্যাটমিক ইউনিট (amu), যা বিটা কণা এবং গামা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
২০১২ সালের ৪ জুলাই, সুইজারল্যান্ডের CERN ল্যাবরেটরিতে Large Hadron Collider (LHC) এর মাধ্যমে হিগস বোসন কণার আবিষ্কার ঘোষণা করা হয়। এই আবিষ্কারটি পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেল-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিশ্চিত করে।

হিগস বোসন আবিষ্কারের গুরুত্ব:
1. স্ট্যান্ডার্ড মডেল প্রমাণিত হয়: হিগস বোসন কণা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ব্যাখ্যা করে কিভাবে মৌলিক কণাগুলি ভর অর্জন করে। এটি Brout-Englert-Higgs (BEH) mechanism এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়।
2. মহাবিশ্বের গঠন বোঝা: এই কণার আবিষ্কার মহাবিশ্বের গঠন এবং মৌলিক কণাগুলির ভরের উৎস সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া আরও গভীর করে।
3. নোবেল পুরস্কার: এই আবিষ্কারের জন্য ২০১৩ সালে ফ্রাঁসোয়া ইংলেয়ার (François Englert) এবং পিটার হিগস (Peter Higgs) কে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 আবিষ্কারের প্রক্রিয়া:
- ATLAS এবং CMS নামে দুটি প্রধান পরীক্ষার মাধ্যমে LHC-তে প্রোটন সংঘর্ষ ঘটানো হয়। এই সংঘর্ষের ফলে ১২৫ গিগা ইলেকট্রন ভোল্ট (GeV) ভরের একটি নতুন কণা শনাক্ত করা হয়, যা হিগস বোসনের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়।

এই আবিষ্কারটি পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক এবং নতুন পদার্থবিজ্ঞানের অনুসন্ধানের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
- প্রোটন সংখ্যা নির্ধারণ করে কোন মৌলের পরমাণু।

- ভর সংখ্যা নির্ধারণ করে কোন মৌলের কোন আইসোটোপ।

- একই মৌলের পরমাণু যাদের প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন।
- পদার্থের মৌলিক কণা তিন প্রকার: প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন।
- প্রোটনের আধান ধনাত্মক।
- নিউট্রনের আধান নিরপেক্ষ।
- ইলেকট্রনের আধান ঋণাত্মক।
- হিগস বোসনই ঈশ্বর কণা ( God's Particle) নামে পরিচিত।
- হিগস ক্ষেত্র একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
- হিগস বোসন এর স্পিন 0, তবে এর ভর আছে।
- এই ক্ষেত্রের কাজ হলো মৌলিক কণাগুলোকে ভর প্রদান করা।
- যখন কোনো ভরহীন কণা হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন তা ধীরে ধীরে ভর লাভ করে। ফলে তার চলার গতি ধীর হয়ে যায়।
- হিগস বোসনের মাধ্যমে ভর কণাতে স্থানান্ডরিত হয়।
পারদ বা মার্কারি এর পারমাণবিক সংখ্যা হল ৮০।
- রাসায়নিক প্রতীক: Hg
- পারমাণবিক ভর: 200.59
- গলনাঙ্ক: -38.83 °C
- স্ফুটনাঙ্ক: 356.73 °C
- যেসব পরমাণুর ভর সংখ্যা সমান কিন্তু প্রোটন সংখ্যা(এটমিক সংখ্যা) ভিন্ন, সেসব পরমাণুকে পরস্পরের আইসোবার বলা হয়।

অন্যদিকে,
-আইসোটোপের ক্ষেত্রে এটমিক সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন,
-আইসোটোনের ক্ষেত্রে এটমিক সংখ্যা ভিন্ন কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা সমান এবং
-আইসোমারের ক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক সংক্যা ও ভরসংখ্যা সমান ,কিন্তু শক্তি অবস্থা ভিন্ন।
পরমাণূর মূল কণিকা তিন ধরনের, যথা স্থায়ী মূল কণিকা, অস্থায়ী মূল কণিকা এবং কম্পোজিট কণিকা।

১.স্থায়ী মূল কণিকা:
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন এই তিনটি মূল কণিকা হাইড্রোজেন পরামাণু ছাড়া সব মৌলের পরমাণুতে থাকে বলে এগুলোকে স্থায়ী মূলকণিকা বলা হয়। (হাইড্রোজেন-১ পরমাণুতে শুধু ১.০টি ইলেকট্রন ও ১.০টি প্রোটন আছে) এতে কোন নিউট্রন নেই।

২.অস্থায়ী মূল কণিকা:
কিছু কিছু মূল কণিকা কোন কোন মৌলের পরমাণুতে অস্থায়ীভাবে খুব স্বল্প সময়ের জন্য বিরাজ করে। এগুলোকে অস্থায়ী মূল কণিকা বলা হয়। অস্থায়ী মূলকনিকার সংখ্যা প্রায় ১০০। নিউট্রিনো, অ্যান্টি নিউট্রিনো, পজিট্রন, মেসন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য অস্থায়ী মূলকণিকা।।

৩.কম্পোজিট কণিকা:
স্থায়ী ও অস্থায়ী মূলকণিকা ছাড়াও আরও এক প্রকার কণিকা পরমাণুতে থাকে, যাদেরকে কম্পোজিট কণিকা বলা হয়। আলফা কণিকা ও ডিউটেরন কণিকা ইত্যাদি কম্পোজিট কণিকার উদাহরণ।
- কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যাকে মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
- পারমাণবিক সংখ্যা একটি মৌলের বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্ম।
- পারমাণবিক সংখ্যাকে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ন মৌলের প্রতীক ও পারমাণবিক সংখ্যাঃ
-হাইড্রোজেন H 1
-হিলিয়াম He 2
-লিথিয়াম Li 3
-বেরিলিয়াম Be 4
-বোরন B 5
-কার্বন C 6
-নাইট্রোজেন N 7
-সালফার S 16
-ক্লোরিন Cl 17
-আর্গন Ar 18
-পটাশিয়াম K 19
-ক্যালসিয়াম Ca 20
-ক্রোমিয়াম Cr 24
- মৌলিক পদার্থগুলোর প্রতিক সাধারণত এর ইংরেজি নামের আদ্যক্ষর বা প্রথম অক্ষরকে বড় হাতের হরফে লেখার পর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অক্ষরকে ছোট হাতের হরফে লিখে প্রকাশ করা হয়।
- তবে বেশ কছু মৌলের প্রতিক সরাসরি এর ল্যাটিন নাম থেকে বানানো হয়েছে। যেমন: কপার, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, লেড ইত্যাদি।

এ ধরণের মৌলগুলোর ল্যাটিন নাম ও প্রতিক।
মৌলের নাম>         ল্যাটিন নাম>    প্রতিক
-Antimony (অ্যান্টিমনি)> Stibium> Sb
-Copper (কপার=তামা)> Cuprum> Cu
-Gold (গোল্ড=সোনা)> Aurum>   Au
-Iron (আয়রন=লৌহ)> Ferrum>  Fe
-Lead (লেড=সীসা)> Plumbum> Pb
-Mercury (মারকারি=পারদ)> Hydragyrum> Hg
-Potassium (পটাসিয়াম) Kalium> K
-Silver (সিলভার=রূপা)> Argentum> Ag
-Sodium (সোডিয়াম)> Natrium> Na
-Tin (টিন)> Stannum>   Sn
-Tungsten (টাংস্টেন)> Wolfram> W
-বোর মডেল অনুসারে ইলেকট্রন উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে গমন করলে- শক্তি বিকিরণ করে।

- বোর মডেলের স্বীকার্যসমূহ হলো -
(১) নিউক্লিয়াসের চারিদিকে কতগুলো অনুমোদিত বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রন আবর্তন করে ।
(২) নিউক্লিয়াসের চারিদিকে বৃত্তাকার এসব কক্ষপথে আবর্তনকালে ইলেকট্রনসমূহ কোন শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে না। এসব কক্ষপথকে শক্তিস্তর (energy level) বা অরবিট বলা হয়।
(৩) ইলেকট্রন নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি শোষণ করে লাফ দিয়ে নিম্নতর শক্তিস্তর যেমন n = ১ থেকে উচ্চ শক্তিস্তর যেমন n = ২ তে গমন করতে পারে।
- অনুরূপভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে উচ্চতর শক্তিস্তর যেমন n = ২ থেকে নিম্ন শক্তিস্তর যেমন n = ১ এ গমন করতে পারে।



ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পরমাণবিক সংখ্যা (Atomic number) বলে।
- যেমন, কার্বন পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা 6 টি এবং নিউট্রন সংখ্যা হল 6 টি।কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা ৬।
- যে গ্যাসের আণবিক ভর যত কম সে গ্যাসের ব্যাপন হার তত বেশি হয়।
- বিপরীতভাবে যে গ্যাসের আণবিক ভর যত বেশি সে গ্যাসের ব্যাপন হার তত কম হয়।
- অক্সিজেনের আণবিক ভর ৩২ ,কার্বন ডাই অক্সাইডের আণবিক ভর ৪৪,ক্লোরিনের আণবিক ভর ৭০,সালফারের আণবিক ভর ৬৪
- ক্লোরিনের আণবিক ভর সবচেয়ে বেশি, তাই ক্লোরিনের ব্যাপনের হারও সবচেয়ে কম হবে।
CO2 এ কার্বনের একটি পরমাণু ও অক্সিজেনের দুটি পরমাণু আছে।
C ও O এর পারমাণবিক ভর যথাক্রমে 12 ও 16।
 ∴ CO2 এর আণবিক ভর 12 + 16 × 2 = 44
-পরমাণুর ভর বলতে প্রোটন ও নিউট্রনের ভর কে বোঝায়। 
-প্রোটন ও নিউট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্হান করে এবং ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরের স্তরে অবস্থান করে। 
-প্রোটন ও নিউট্রনের ভরই পরমাণুর ভর।

কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সর্বশেষ শক্তিস্তরের অযুগ্ম ইলেকট্রন কে ঐ মৌলের যোজনী বলে। কোনো কোনো মৌলের যোজনী অবস্থাভেদে বিভিন্ন হয়। যে মৌলের একাধিক যোজনী আছে তার যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে। যেমন সালফারের যোজনী ২,৪ ও ৬।

নিম্নে সালফারের ইলেকট্রন বিন্যাস দেখানো হলো।
S--> 1s2 2s2 2p6 3s2 3p2x 3p1y 3p1z S*--> 1s2 2s2 2p6 3s2 3p1x 3p1y 3p1z 3d1z2 S**--> 1s2 2s2 2p6 3s1 3p1x 3p1y 3p1z 3d1z2 3d1x2-y2

এখানে সাধারণ অবস্থায় সালফারের শেষ শক্তস্তরে ২টি অযুগ্ম ইলেকট্রন রয়েছে এক্ষেত্রে সালফারের যোজনী ২।  উত্তেজিত অবস্থায় সালফারের শেষ শক্তিস্তরে ৪টি অযুগ্ম বা বিজোড় ইলেকট্রন রয়েছে। এক্ষেত্রে সালফারের যোজনী ৪। আবার, অধিক উত্তেজিত অবস্থায় সালফারের শেষ শক্তিস্তরে ৬টি অযুগ্ম ইলেকট্রন রয়েছে তাই এক্ষত্রে সালফারের যোজনী ৬।
-মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ঐ পদার্থের ধর্মাবলী অক্ষুন্ন রেখে স্বাধীনভাবে অবস্থান করতে পারে তাকে অণু বলে। দুই বা ততোধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধন-এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অণু গঠন করে।

-যেমন- দুটি অক্সিজেন পরমাণু (O) পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন অণু (O2) গঠন করে।
আবার, একটি কার্বন পরমাণু (C) দুটি অক্সিজেন পরমাণুর (O) সাথে যুক্ত হয়ে একটি কার্বন ডাই-অক্সাইড অণু (CO2) গঠন করে।
পরমাণুর ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ কক্ষপথ গুলোকে যথাক্রমে K, L, M, N কক্ষপথ বলে।
পরমাণুর যে কোন কক্ষপথে 2n2 সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে।
এখানে, n = কক্ষপথের সংখ্যা।

তাহলে, M তথা ৩য় কক্ষপথে থাকবে = ২ × ৩ = ২ × ৯ = ১৮টি ইলেকট্রন।



মৌলিক অনুঃ একই মৌলের একাধিক পরমাণু বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে অণু গঠন করলে, সেই অনুকে মৌলিক অণু বলে।
এইসব অনুকে বিশ্লেষণ করলে একই ধর্ম বিশিষ্ট মৌলিক পরমাণু ভিন্ন অন্য কোনো মৌল পাওয়া যায় না।
এখানে N2 একটি মৌলিক অনু।
- পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে, যার নাম নিউক্লিয়াস। এই নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
- পরমাণুর সকল ধনাত্মক আধান এবং প্রায় সম্পূর্ণ ভরই নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত।
- ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাহিরে থাকে এবং তার চারদিকে ভ্রমণ করে।‌
- পরমাণু আধান নিরপেক্ষ, কারণ একটি পরমাণুতে যতটি প্রোটন আছে ততটি ইলেকট্রনও আছে।
-অ্যামোনিয়া হলো নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত NH3.
-অর্থাৎ, এর একটি অণুতে একটি নাইট্রোজেন ও তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু রয়েছে।
-সুতরাং, মোট চারটি পরমাণু রয়েছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভর  1.67×10-24 g ।
-প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে ভারী মৌল ইউরেনিয়ামের ভর 3.95×10-22 g ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0