পৌষ্টিকতন্ত্র ও রেচনতন্ত্র (10 টি প্রশ্ন )
- যকৃৎ মানবদেহের সবচেরে বড় গ্রন্থি।
- এর রং লালচে খয়েরি।
- যকৃতের ডান খণ্ডটি বাম খণ্ড থেকে আকারে কিছুটা বড়।
- প্রকৃতপক্ষে চারটি অসম্পূর্ণ খণ্ড নিয়ে যকৃৎ গঠিত।
- যকৃৎ পিত্তরস তৈরি করে।
- পিত্তরসে কোনো উৎসেচক বা এনজাইম থাকে না। 

- উত্তর ভারত মহাসাগরের উত্তর উপকূল বরাবর যে স্রোত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রবাহিত হয় তাকে মৌসুমী স্রোত বলে।
- গ্রীষ্মকালে এটি পশ্চিম হতে পূর্বদিকে এবং শীতকালে একই পথে বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
- তাই মৌসুমী স্রোত দু’প্রকার, যেমন- গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন মৌসুমী স্রোত।
-মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা-৪৫০ মিলি
-মূত্র তৈরি হয় প্রতিদিন- ১.৫ লিটার
-প্রতি মিনিটে-১ ঘন সে.মি
মূত্রে: পানির পরিমান-৯৫%
pH-৬
রং-খড় রং (ইউরোক্রোম থাকায়)
মুখ থেকে পায়ু পর্যন্ত কোথাও সরু আবার কোথাও প্রশস্ত নালিপথ কে পৌষ্টিকনালি বলে।
পৌষ্টিকনালির প্রধান অঙ্গগুলো হলো-মুখ, মুখগহবর, দাঁত, গলবিল, অন্ননালি, পাকস্থলী,
ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত্র ও পায়ু।
যেসব গ্রন্থির রস খাদ্য পরিপাকে অংশ নেয় তাদেরকে পরিপাকগ্রন্থি বা পৌষ্টিকগ্রন্থি বলে।
 মানবদেহে পৌষ্টিকগ্রন্থিগুলো হলো: 
-লালা গ্রন্থি 
-যকৃৎ- এটি মানবদেহের সবচেরে বড় গ্রন্থি। এর রং লালচে খয়েরি। যকৃতের ডান খণ্ডটি বাম
 খণ্ড থেকে আকারে কিছুটা বড়। প্রকৃতপক্ষে চারটি অসম্পূর্ণ খণ্ড নিয়ে যকৃৎ গঠিত।
যকৃৎ পিত্তরস তৈরি করে। পিত্তরসে কোনো উৎসেচক বা এনজাইম থাকে না। 
-অগ্ন্যাশয়-একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশ্রগ্রন্থি যা একাধারে পরিপাকে অংশগ্রহণকারী এনজাইম ও রক্তের
 গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন নিঃসৃত করে। অর্থাৎ অগ্ন্যাশয় বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মতো
 কাজ করে। 
-গ্যাস্ট্রিকগ্রন্থি -গ্যাস্ট্রিকগ্রন্থি পাকস্থলীর প্রাচীরে থাকে। এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস (ট্রিপসিন, লাইপেজ,
 অ্যামাইলেজ) গ্যাস্ট্রিক রস বা পাচক রস নামে পরিচিত। 
-আন্ত্রিকগ্রন্থি-ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরে ভিলাইয়ে আন্ত্রিকগ্রন্থি থাকে। এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রসের নাম আন্ত্রিক রস।

কোলাজেন হলো মানব শরীরের সৃষ্ট প্রাকৃতিক প্রোটিন। আমাদের শরীরের হাড়, পেশি, অস্থিসন্ধি, চুল, নখ ও ত্বকের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তনালি, চোখের মণি ও দাঁতেও কোলাজেন থাকে।
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের পরিপাক প্রক্রিয়ায় অ্যামাইলেজ এনজাইম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- এটি একটি উৎসেচক যা পলিস্যাকারাইড (যেমন স্টার্চ) ভেঙে সরল শর্করা (যেমন মল্টোজ) তৈরি করে।
- অ্যামাইলেজ মুখের লালারস (সালাইভারি অ্যামাইলেজ) এবং অগ্ন্যাশয়ের রস (প্যানক্রিয়াটিক অ্যামাইলেজ) থেকে নিঃসৃত হয়।
- এটি স্টার্চ এবং গ্লাইকোজেনকে ভেঙে মল্টোজ, ডেক্সট্রিন এবং অন্যান্য সরল শর্করায় রূপান্তরিত করে।
-আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স প্রায় ১০ লক্ষ কোষের একটি গুচ্ছ নিয়ে গঠিত এবং অন্তঃক্ষরা
গ্রন্থি হিসেবে কাজ করে। কোষগুলো চার ধরনের হয়:
- আলফা কোষ গ্লুকাগন (glucagon) হরমোন ক্ষরণ করে যা রক্তে গ্লুকোজের
পরিমাণ বৃদ্ধি করে ।
-বিটা কোষ ইনসুলিন (insulin) হরমোন ক্ষরণ করে যা রক্তের গ্লুকোজের
পরিমাণ কমায়, ডেল্টা কোষ।
-অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত 'অগ্ন্যাশয় রস' হলো ট্রিপসিন। এটি প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিপাককারী এনজাইম।
-অন্যদিকে টায়ালিন ও অ্যামাইলেজ হলো লিপিড বা স্নেহ জাতীয় খাদ্য পরিপাককারী এনজাইম ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
পাকস্থলি: 
- বক্ষ গহ্বরের ডায়াফ্রামের নীচে উদরের উপরের অংশে প্রায় ২৫ সে. মি. লম্বা ও ১৫ সে.মি. চওড়া বাঁকানো থলির মত অংশই পাকস্থলি। 
- একে কয়েকটি অংশে ভাগ করা যায়। যেমন- কার্ডিয়া, ফার্নডাস ও ছোট-বড় বাঁক, পাইরোলাস ও গ্রাসনালি। 
- পাকস্থলির প্রত্যেক অংশের মিউকোসা স্তরে প্রায় ৪০ মিলিয়ন (৪ কোটি) গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থাকে। 
- এই গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থিগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় দু'লিটার গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরিত হয়। 

কাজ: 
- খাদ্যদ্রব্যকে সাময়িকভাবে জমা রাখে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। 
- মিউসিন HCI-এর ক্ষতিকর ভূমিকা থেকে পাকস্থলির প্রাচীরকে রক্ষা করে। 
- গ্যাস্ট্রিক রসের এনজাইমগুলো HCI-এর উপস্থিতিতে আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। 
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0