অর্গন ও অর্গনসিস্টেম (123 টি প্রশ্ন )

- মানবদেহের দীর্ঘতম স্নায়ু হলো সায়াটিক নার্ভ (Sciatic nerve)
- এটি মেরুদণ্ড থেকে শুরু হয়ে পিঠের নিচের অংশ, উরু, হাঁটু এবং পায়ের পেছনের দিকে প্রসারিত থাকে। দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০–৮০ সেন্টিমিটার হতে পারে।

- সায়াটিক নার্ভের কাজ হলো পায়ের মাংসপেশি ও ত্বকের সংবেদন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা এবং হাঁটা-চলার জন্য সংকেত প্রেরণ করা।
- অন্য স্নায়ুগুলোর তুলনায় এটি দেহে সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ স্নায়ু। 


- মস্তিষ্ক হলো মানবদেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান এবং নিয়ন্ত্রণকারী অংশ।
- এটি সমস্ত সংবেদী অঙ্গ থেকে তথ্য গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রতিক্রিয়া প্রদানের কাজ করে।
- চিন্তা, চেতনা, স্মৃতি, আবেগ এবং সকল ঐচ্ছিক কাজের কেন্দ্রবিন্দু হলো মস্তিষ্ক।
- সুষুম্নাকাণ্ড মস্তিষ্ক এবং দেহের অন্যান্য অংশের মধ্যে সংকেত আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
- একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হৃদপিণ্ডের গড় ওজন প্রায় ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রামের মধ্যে থাকে।
- সাধারণত পুরুষের হৃদপিণ্ডের ওজন মহিলাদের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়।
- এর আকার ব্যক্তির মুষ্টিবদ্ধ হাতের আকারের সমান বলে মনে করা হয়।
- এটি বুকের বাম দিকে অবস্থিত একটি অত্যাবশ্যকীয় পেশিবহুল অঙ্গ।
- মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড মেনিনজেস নামক ত্রিস্তরবিশিষ্ট একটি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে।
- এই পর্দা মস্তিষ্ককে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- প্লুরা ফুসফুসের আবরণ, পেরিকার্ডিয়াম হৃদপিণ্ডের আবরণ এবং পেরিটোনিয়াম পেটের অঙ্গগুলোর আবরণ।
- মেনিনজেসের তিনটি স্তর হলো ডুরা ম্যাটার, অ্যারাকনয়েড ম্যাটার ও পিয়া ম্যাটার।
- pH (পটেনশিয়াল অফ হাইড্রোজেন) হলো কোনো পদার্থের অম্লতা বা ক্ষারত্ব পরিমাপের একটি স্কেল। এই স্কেলটি ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে ৭ হলো নিরপেক্ষ মান। ৭-এর কম হলে তা অম্লীয় বা অ্যাসিডিক এবং ৭-এর বেশি হলে তা ক্ষারীয় বা অ্যালকালাইন হিসেবে বিবেচিত হয়।

- বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ত্বকের জন্য আদর্শ pH মান হলো প্রায় ৫.৫। ত্বকের এই সামান্য অম্লীয় ভাব একটি পাতলা সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা "অ্যাসিড ম্যান্টল" নামে পরিচিত। এই স্তরটি ত্বককে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

- যদি ত্বকের pH ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ এটি খুব বেশি ক্ষারীয় বা খুব বেশি অম্লীয় হয়ে পড়ে, তাহলে ত্বকে শুষ্কতা, ব্রণ, জ্বালাপোড়া এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য pH-এর ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।- pH (পটেনশিয়াল অফ হাইড্রোজেন) হলো কোনো পদার্থের অম্লতা বা ক্ষারত্ব পরিমাপের একটি স্কেল। এই স্কেলটি ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে ৭ হলো নিরপেক্ষ মান। ৭-এর কম হলে তা অম্লীয় বা অ্যাসিডিক এবং ৭-এর বেশি হলে তা ক্ষারীয় বা অ্যালকালাইন হিসেবে বিবেচিত হয়। - বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ত্বকের জন্য আদর্শ pH মান হলো প্রায় ৫.৫। ত্বকের এই সামান্য অম্লীয় ভাব একটি পাতলা সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা "অ্যাসিড ম্যান্টল" নামে পরিচিত। এই স্তরটি ত্বককে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। - যদি ত্বকের pH ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ এটি খুব বেশি ক্ষারীয় বা খুব বেশি অম্লীয় হয়ে পড়ে, তাহলে ত্বকে শুষ্কতা, ব্রণ, জ্বালাপোড়া এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য pH-এর ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
কোষে উৎপন্ন প্রোটিন ও লিপিডের সঠিক স্থানান্তর ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণের জন্য গলজি বডি (Golgi body) কাজ করে। এটি প্রোটিন ও অন্যান্য পদার্থকে প্রয়োজনীয় ঠিকানায় প্যাকেজ করে এবং ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পাঠায়, ঠিক যেন কোষের “ট্রাফিক পুলিশ”।
কোষের ভিতরে থাকা লাইসোজোম (Lysosome)-কে কখনও কখনও “আত্মঘাতী থলি” বলা হয়, কারণ এটি শক্তিশালী হজমকারী এনজাইম ধারণ করে। এই এনজাইমগুলি ক্ষতিগ্রস্ত বা অপ্রয়োজনীয় কোষাংশ ভেঙে দেয়, প্রয়োজনে পুরো কোষকেও ভাঙতে পারে।
ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ হলো ডিওডেনাম (Duodenum)। এটি পাকস্থলীর সাথে সংযুক্ত, প্রায় ২৫-৩০ সেন্টিমিটার লম্বা "U" আকারের নলবিশিষ্ট অংশ। ডিওডেনামেই পিত্তরস ও অগ্ন্যাশয়ের রস প্রবেশ করে খাদ্যের রাসায়নিক পরিপাক শুরু হয়, এবং এখানে বিশেষভাবে প্রোটিন পরিপাকও হয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের পরবর্তী দুটি অংশ হলো জেজুনাম এবং ইলিয়াম, যেগুলো প্রধানত পুষ্টি শোষণের কাজ করে।
- যকৃত মানবদেহের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি।
- মধ্যচ্ছদার নিচে পাকস্থলির ডানপাশে গাঢ় বাদামী বর্ণের ত্রিকোণাকার অঙ্গটি হলো যুক্ত।
- যকৃতের সাথে কলস আকৃতির পিত্তথলি সংযুক্ত থাকে।
- যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস পিত্তথলিতে জমা থাকে।
- পিত্তরস ক্ষারীয় গুণসম্পন্ন গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং তিক্ত স্বাদবিশিষ্ট।
- পিত্তনালির মাধ্যমে পিত্তরস যকৃত থেকে ডিওডেনামে আসে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- রেচন মানবদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে দেহে বিপাক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো নিষ্কাশিত হয়।
- যে সব অঙ্গ রেচন কাজে অংশ গ্রহণ করে তাদেরকে রেচন অঙ্গ বলা হয়। এটি রেচনতন্ত্র নামে পরিচিত।
- রেচনতন্ত্রের মাধ্যমে শতকরা ৮০% রেচন পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। বাকি ২০% রেচন পদার্থ বিভিন্ন ক্রিয়াকর্মে উৎপন্ন ও বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়।
- মানবদেহের রেচন অঙ্গের নাম বৃক্ক। আর বৃক্কের একক হলো নেফ্রন।

সূত্রঃ জীববিজ্ঞান, এসএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
- মানব দেহে রক্ত সংবহনতন্ত্র প্রধানত দুই প্রকার।যথা-

সিস্টেমিক সংবহনতন্ত্র (Systemic Circulation):
- রক্ত হৃৎপিণ্ডের বাম নিলয় থেকে বের হয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছায় এবং ডান অলিন্দে ফিরে আসে।
- কাজ: দেহকোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ও বর্জ্য অপসারণ।

পালমোনারি সংবহনতন্ত্র (Pulmonary Circulation):
- রক্ত হৃৎপিণ্ডের ডান নিলয় থেকে ফুসফুসে যায় এবং ফুসফুস থেকে বাম অলিন্দে ফিরে আসে।
- কাজ: ফুসফুসে গ্যাসের বিনিময়ের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন যোগ করা এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ।
- মানুষের রেচনতন্ত্রে এক জোড়া বৃক্ক, এক জোড়া গবিনী, একটি মূত্রথলি এবং একটি মূত্রনালী থাকে।
- বৃক্কে, প্রস্রাবের পরিস্রাবণ ঘটে।
- গবিনী মূত্রকে মূত্রথলিতে নিয়ে যায়।
- মূত্রথলি প্রস্রাব সঞ্চয় করে।
- মূত্রনালী হল মূত্রথলির একটি দ্বার।
- এটি বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ স্ফিঙ্কটার নিয়ে গঠিত।
- অভ্যন্তরীণ মস্তিষ্ক দ্বারা অনৈচ্ছিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
- মূত্রাশয় প্রস্রাবে ভরে গেলে এটি খোলে।
- বাহ্যিক স্ফিঙ্কটার স্বেচ্ছায় নিয়ন্ত্রিত হয়।
- এটি শরীরের বাইরে খোলে।
- এটি বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে।
- মানবদেহে ৩ ধরনের রক্তকণিকার মধ্যে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
- এটি শ্বাসকার্যে অক্সিজেন পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- লাল অস্থিমজ্জায় লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হয়। এর গড় আয়ু ১২০ দিন।
- মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না এবং দেখতে অনেকটা দ্বি-অবতল বৃত্তের মতো।
- পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা প্রতি কিউবিক মিলিমিটারে প্রায় ৫০ লক্ষ।
- উল্লেখ্য, শ্বেত রক্তকণিকার গড় আয়ু ১-১৫ দিন ।
মানবদেহের ২০৬ টি অস্থির সংখ্যাবিন্যাস-করোটিতে ২২টি, মেরুদণ্ডে ৩৩টি, কাঁধে ৪টি, বক্ষপিঞ্জরে ২৪টি, উরু ফলক ১টি, দুই ঊর্ধ্ব বাহুতে ৬০টি, শ্রোণীচক্রে ২টি, দুই পায়ে ৬০টি, মোট ২০৬টি। 
অস্থি মূলত ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের বিভিন্ন যৌগ দিয়ে তৈরি। অস্থিতে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ পানি থাকে অস্থির বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। তবে একটি শিশু যখন জন্ম নেয় তখন তার দেহে ২৭০ থেকে ৩৫০ টি অস্থি থাকে।
- মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা-৪৫০ মিলি
- মূত্র তৈরি হয় প্রতিদিন- ১.৫ লিটার
- প্রতি মিনিটে-১ ঘন সে.মি
- মূত্রে পানির পরিমাণ ৯৫%
- মূত্রের pH-৬
- মূত্রের রং: খড় রং (ইউরোক্রোম থাকায়)
- স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যকরী একককে নিউরন বা স্নায়ুকোষ বলে। মস্তিষ্ক কোটি কোটি স্নায়ুকোষ (নিউরন) দিয়ে তৈরি।
- এই একটি মাত্র মানব মগজে রয়েছে ১, ০০০ কোটি স্নায়ুকোষ বা নার্ভ সেল।     
- মানুষের মস্তিষ্ক' Cerebrum ' 'Cerebellum' এবং 'Brain stem' নিয়ে গঠিত এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে।
- স্নায়ু কোষের মাধ্যমেই মস্তিষ্ক উদ্দীপনা গ্রহণ করে ও উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যথাস্থানে পৌঁছানোর আগে ধ্বংস হয়ে গেলে এর ক্ষমতা ক্ষয় পেতে থাকে।


- অ্যান্টিজেন হলো এমন কোনো পদার্থ (যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন ইত্যাদি), যা শরীরে প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয় এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
- অ্যান্টিজেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে।
- এপিলেপসি বা মৃগী হল একটি স্নায়বিক ব্যাধি যেখানে মস্তিষ্কের কোষগুলি অস্বাভাবিকভাবে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠায়।
- এই অস্বাভাবিক কার্যকলাপের ফলে খিঁচুনি বা অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এপিলেপসি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হলেও এটি নিরাময়যোগ্য।
- হৃৎস্পন্দন মূলত রক্তচাপের সাথে সম্পর্কিত, যা হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত প্রবাহের সময় ধমনির প্রাচীরে সৃষ্ট পার্শ্বীয় চাপকে নির্দেশ করে।
- রক্তচাপের দুইটি প্রধান ধরণ রয়েছে:
১) সিস্টোলিক চাপ (সিস্টোল):
- হৃৎপিণ্ডের সংকোচন (ventricular systole) চলাকালীন ধমনির প্রাচীরে সৃষ্ট উচ্চ চাপ।
- আদর্শ সিস্টোলিক চাপ: ১২০ মি.মি. পারদ (Hg)।

২) ডায়াস্টোলিক চাপ (ডায়াস্টোল):
- হৃৎপিণ্ডের প্রসারণ (ventricular diastole) চলাকালীন ধমনির প্রাচীরে সৃষ্ট নিম্ন চাপ।
- আদর্শ ডায়াস্টোলিক চাপ: ৮০ মি.মি. পারদ (Hg)।

- একবার সিস্টোল এবং তার পরবর্তী ডায়াস্টোলকে একত্রে একটি হৃৎস্পন্দন (হার্টবিট) বলা হয়।
- রক্তের সান্দ্রতা, প্রান্তীয় রোধ, এবং দেহের রক্তের পরিমাণ রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওপর প্রভাব ফেলে।
- রক্তচাপ মাপার জন্য Sphygmomanometer এবং Stethoscope ব্যবহার করা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- পালমোনারি বা ফুসফুসীয় ধমনি কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত হৃদপিন্ড থেকে ফুসফুসে পরিবহন করে।
- সিলিয়াক ধমনি পাকস্থলী ও যকৃতে রক্ত সরবরাহ করে।
- ইলিয়াক ধমনি পেলভিস অঞ্চল, উরু, পা ইত্যাদি অংশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে।
- মেসেন্টেরিক ধমনি অন্ত্রের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ করে।
- ফুসফুসীয় ধমনি কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত হৃদপিণ্ড থেকে ফুসফুসে নিয়ে যায়।
- যে সকল রক্তনালির মাধ্যমে সাধারণত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃদপিন্ড থেকে সারাদেহে বাহিত হয় তাদের ধমনি বলে।
- পালমোনারি বা ফুসফুসীয় ধমনি কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত হৃদপিন্ড থেকে ফুসফুসে পরিবহন করে।
- সিলিয়াক ধমনি পাকস্থলী ও যকৃতে রক্ত সরবরাহ করে।
- ইলিয়াক ধমনি পেলভিস অঞ্চল, উরু, পা ইত্যাদি অংশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে।
- মেসেন্টেরিক ধমনি অন্ত্রের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ করে।
রক্তে তিন ধরনের লিপোপ্রোটিন দেখা যায়। যেমন:
- নিম্ন ঘনত্ব বিশিষ্ট লিপোপ্রোটিন (LDL),
- উচ্চ ঘনত্ব বিশিষ্ট লিপোপ্রোটিন (HDL) ও
- ট্রাইগ্লিসারাইড (Triglyceride)।
-মানুষের হৃদপিণ্ড – চার প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট । উপরের প্রকোষ্ঠ(chambers) দুটিকে ডান ও বাম অলিন্দ(Atrium) এবং নিচের প্রকোষ্ঠ দুটিকে ডান ও বাম নিলয়(Ventricle) বলে। অলিন্দের প্রাচীর পাতলা। নিলয়ের প্রাচীর পুরু ও পেশিবহুল। অলিন্দ দুটি আন্তঃঅলিন্দ পর্দা এবং নিলয় দুটি আন্তঃনিলয় পর্দা দিয়ে পৃথক থাকে।

-প্রকোষ্ঠগুলোর কাজ ও সংযুক্তি
ক. বাম অলিন্দ- চারটি পালমোনারি শিরার সাথে যুক্ত
খ. ডান অলিন্দ – একটি ঊর্ধ্ব মহাশিরা এবং একটি নিম্ন মহাশিরা যুক্ত থাকে।
গ. বাম নিলয় – মহাধমনি উৎপত্তি ।
ঘ. ডান নিলয় – ফুসফুসীয় ধমনি উৎপত্তি ।
রক্তের কাজ :
১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে ।
২। লোহিত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে কোষে কোষে অক্সিজেন পরিবহণ করে ।
৩। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুস্থ রাখে ।
৪। দেহের কোন স্থান কেটে গেলে অনুচক্রিকা সে সস্থানে রক্ত জমাট বাঁধায় । ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় ।
৫। রক্তরসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া, হজমকৃত খাদ্যবস্তু(যথা : গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল), হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় ।
- পারকিনসন রোগ মানবদেহের মস্তিষ্কে হয়। সাধারণত এ রোগ হয় ৫০ বছর বয়সের পরে।
- পারকিনসন রোগ হলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের এক প্রকার দীর্ঘমেয়াদি অধপতনজনিত রোগ।এর ফলে রোগির নড়াচড়ার ক্ষমতা শ্লথ হয়ে যায় এবং বিশ্রামরত অবস্থায়ও হাত-পা কাপতে থাকে এবং পেশিসমূহ অনড় ও দুর্বল হয়।
- হৃৎপিণ্ড হচ্ছে হৃৎপেশি দিয়ে তৈরি ত্রিকোণাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মতো একটি অঙ্গ।
- এর সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে সারা দেহে রক্ত সরবরাহিত হয়।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহ-ত্বকের ওজন প্রায় তিন কেজির কাছাকাছি। এটি প্রায় 2 মিলিমিটার
পুরু; প্রয়োজনে কোথাও কম পুরু (যেমন চোখের পাতা) এবং কোথাও বেশ পুরু (যেমন- পায়ের
তলা)।

ক) এপিডার্মিস : এটি একেবারে উপরের স্তর। ত্বকের এই স্তরটিকে আমরা দেখতে পাই এবং স্পর্শ
করতে পারি। এটি আমাদের গায়ের রং নির্ধারণ করে এবং শরীরের পানি প্রতিরোধক একটি আবরণ
হিসেবে কাজ করে।

খ) ডার্মিস : এটি এপিডার্মিসের পরবর্তী স্তর। এই স্তরটি সবচেয়ে পুরু এবং এর মাঝে লোমের গোড়া,
ঘাম ও তেলগ্রন্থি অবস্থিত

গ) হাইপোডার্মিস : এটি হচ্ছে ত্বকের সবচেয়ে নিচের স্তর। এটি মূলত চর্বি দিয়ে গঠিত এবং এই স্তর আমাদের তাপমাত্রার তারতম্য থেকে রক্ষা করে।

তথ্যসূত্রঃ নতুন বোর্ড বই - ২০২৪
- মানবদেহের পরিণত শ্বেত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনবিহীন অনিয়তাকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ।
- এরা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে লিস্ফোসাইট তৈরি করে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- এই জন্য এদেরকে দেহের আণুবীক্ষণিক সৈনিক বলে।
- অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
- রক্তের উপাদান দুটি— রক্তরস এবং রক্তকণিকা।
- রক্তের ৫৫% রক্তরস এবং বাকি ৪৫% হলো রক্তকনিকা।
- রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, বাকি ১০% দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে, যা বিভিন্নরকমের জৈব এবং অজৈব পদার্থ।
- রক্তরসে শর্করা, লবণ ও ইউরিক এসিড বিদ্যমান থাকে। আর রক্ত কণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• অলিন্দের সংকোচন:
- এটি ০.১ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
- এ সময় অলিন্দ দু'টি সংকুচিত অবস্থায় থাকে।
- বাইকাসপিড ও ট্রাইকাসপিড কপাটিকা খুলে যায়।
- ফলে ডান অলিন্দ থেকে CO2 সমৃদ্ধ রক্ত ডান নিলয়ে এবং বাম অলিন্দ থেকে O2 সমৃদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে প্রবেশ করে।
- এই সময় পালমোনারি ও অ্যাওর্টিক সেমিলুনার কপাটিকাগুলো বন্ধ থাকে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0