Solution
Correct Answer: Option D
-মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ও তাঁর বংশধরদের সাথে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধের কাহিনীভিত্তিক রচিত কাব্যই যুদ্ধকাব্য হিসেবে পরিচিত ।
-ইসলাম ধর্মভিত্তিক যেসব যুদ্ধের ঘটনা ও পরিণাম অত্যন্ত করুণ ও মর্মান্তিক, সাধারণত সেসব যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে মধ্যযুগের কবি- সাহিত্যিকেরা যুদ্ধকাব্য রচনা করেছেন।
-দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত যুদ্ধকাব্য ‘জঙ্গনামা”।
-কারবালা প্রান্তরে ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেন এবং তাঁদের পরিবারের সাথে এজিদের মধ্যকার যুদ্ধের বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে ‘জঙ্গনামা’ কাব্যটি রচিত।
-শাহ বারিদ খান রচিত যুদ্ধবিষয়ক কাব্য ‘হানিফা-কয়রাপরী’ ও ‘রসুল বিজয়’ ।
-হজরত আলীর বীরপুত্র হানিফার সঙ্গে সহীরামের রাজকন্যা বীরাঙ্গনা জয়গুনের প্রথম যুদ্ধ, রাজ্যজয় ও ইসলাম প্রচার এবং পরবর্তীতে হানিফা ও জয়গুনের প্রেম-প্রণয়ের কাহিনী ‘হানিফা-কয়রাপরী’ কাব্যে বিধৃত হয়েছে। হ
-যরত মুহাম্মদ (স.) দিগ্বিজয়ে বের হয়ে বহু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং অনেক শত্রুকে পরাভূত করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন, যা ‘রসুল বিজয়' কাব্যের মূল উপজীব্য।
-সৈয়দ সুলতান রচিত যুদ্ধকাব্য ‘জয়কুম রাজার লড়াই।
-মধ্যযুগের ধর্মসাহিত্যের কবি সৈয়দ নুরুদ্দিন মোট ৪টি কাব্য রচনা করেন। তিনি কোনো যুদ্ধকাব্য রচনা করেননি।
-মৃত্যু, আজরাইল, রুহ, গোর-আজাব, ইস্রাফিল, কাফন, সাদকা ইত্যাদি সম্পর্কিত ২২টি অধ্যায়ে সৈয়দ নুরুদ্দিন রচিত কাব্য ‘দাকায়েকুল হেকায়েক'।
-কুরআন, হাদিস ও তাফসির থেকে বিষয় নিয়ে তিনি 'রাহাতুল কুলব' বা 'কেয়ামতনামা' কাব্য রচনা করেন। তাঁর রচিত সুফিতত্ত্ব বিষয়ক কাব্য ‘বুরহানুল আরেফিন' এবং প্রশ্নোত্তরমূলক ক্ষুদ্র কাব্য ‘মুসার সওয়াল।