পলাশির যুদ্ধ বাংলা তথা এ উপমহাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ।১৭৫৭খ্রিষ্টাব্দে ২৩ জুন ভাগিরথী নদীর তীরে পলাশির আমবাগানে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইতোমধ্যে রবার্ট ক্লাইভ তার অবস্থান সুদৃঢ় করে সন্ধিভঙ্গের অজুহাতে সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। নবাবের পক্ষে দেশপ্রেমিক মিরমদন মোহন লাল এবং ফসাসি সেনাপ্রতি সিন ফ্রে প্রানপণ যুদ্ধ করেন।যুদ্ধে মীরমদন নিহত হন। নবাবের বিজয় আসন্ন জেনে মীরজাফর ষড়যন্ত্র মূলকভাবে যুদ্ধ থামিয়ে দেয়। মীর মদনের মৃত্যু ও মীরজাফরের অসহযোগিতা নবাবকে বিচলিত করে। নবাবের সেনাপ্রতি মীরজাফর যুদ্ধক্ষেত্রে সম্পূর্ন অসহযোগিতা করে নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। নবাব কোরআন স্পর্শ করিয়ে শপথ নেওয়ালেন মীরজাফরকে।কিন্তু তারপর ও ষড়যন্ত্র থামেনি।নবাবের সৈন্যরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ।যার অনিবার্য পরিণতি নবাবের পরাজয়।