নিম্নলিখিত কোন কাব্যের প্রকাশনার পর বাংলা সাহিত্যে 'চন্ডীদাস সমস্যা' দেখা দেয়?
Solution
Correct Answer: Option A
- ১৯১৬ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার পোড়া গ্রাম থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুথিটি আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের পরই বাংলা সাহিত্যে 'চন্ডীদাস সমস্যা' নামে একটি জটিল বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
- চন্ডীদাস (আনু.১৪শ শতক) মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রসিদ্ধ কবি।
- এ নামে চারজন কবির পরিচয় পাওয়া যায়; তাঁরা হলেন: বড়ু চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চন্ডীদাস ও চন্ডীদাস। এঁদের রচিত পদের ভণিতায় এ নামগুলি পাওয়া যায়।
- এ চারজন পরস্পর পৃথক ব্যক্তি, নাকি একজনেরই চারটি নাম; পৃথক হলে কে কখন আবির্ভূত হয়েছিলেন, একজন হলেই বা তাঁর সঠিক সময় কোনটা এসব নিয়ে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, যা ‘চন্ডীদাস সমস্যা’ নামে পরিচিত। আজ অবধি এ সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে এঁদের মধ্যে বড়ু চন্ডীদাসকে মোটামুটিভাবে চিহ্নিত করা গেছে।
- বড়ু চন্ডীদাসকে মধ্যেযুগের প্রথম কবি বলে।
চারজন চন্ডীদাসের পরিচয়:
1. বড়ু চন্ডীদাস:
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা
- নানাজন কর্তৃক প্রামাণিক চন্ডীদাস হিসেবে স্বীকৃত
- চতুর্দশ শতাব্দীর কবি বলে মনে করা হয়
2. দ্বিজ চন্ডীদাস:
- পদাবলী সাহিত্যের রচয়িতা
- "দ্বিজ" উপাধিধারী
- বৈষ্ণব পদাবলীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
3. দীন চন্ডীদাস:
- কিছু পদের শেষে "দীন চন্ডীদাস" ভণিতা পাওয়া যায়
- এর পরিচয় নিয়ে বিতর্ক আছে
- কেউ কেউ মনে করেন এটি দ্বিজ চন্ডীদাসেরই অন্য নাম
4. চন্ডীদাস:
- শুধু "চন্ডীদাস" নামে পদ রচনা করেছেন
- কোনো বিশেষণ ছাড়া এই নামে পদ পাওয়া যায়
- এর পরিচয় নিয়েও মতভেদ রয়েছে