বৈষ্ণব সাহিত্য ৩ প্রকার। যথাঃ জীবনীকাব্য, বৈষ্ণবশাস্ত্র, পদাবলি। অন্যদিকে প্রণয়োপাখ্যান হলো মুসলিম সাহিত্যিকদের দ্বারা অনূদিত রোমান্টিক কাব্য।
- বৈষ্ণব পদাবলির অধিকাংশই রচিত হয়েছে ব্রজবুলি নামে এক কৃত্রিম মিশ্র কবি ভাষায়।
- বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলির আদি রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মানবতাবাদী কবি চণ্ডীদাস। “এমন পিরীতি কভু নাহি দেখি স্তনি। পরানে পরাণ বান্ধা আপনা আপনি।”
- বাঙ্গালি বৈষ্ণব সাহিত্যের রস ও আনন্দের সংবাদ পেয়েছে চণ্ডীদাসের পদাবলি থেকে।
- চৈতন্যদেব তাঁর পদাবলি শুনে মোহিত হতেন।
- বৈষ্ণব পদাবলী মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল।
উল্লেখযোগ্য পঙক্তি :
- কলঙ্কের ডালি মাথায় করিয়া আনল ভেজাই ঘরে।
- তোমার লাগিয়া কলঙ্কের হার গলায় পরিতে সুখ।
- সই কে শুনাইল শ্যাম নাম।
- সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই
- সই কেমনে ধরিব হিয়া আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া।
- দুহুঁ কোরে দুহুঁ কাঁদে বিচ্ছেদ ভাবিয়া আধ তিল না দেখিলে যায় যে মরিয়া।