নিচের কোনটি মুনীর চৌধুরীর রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক?
Solution
Correct Answer: Option D
- মুনীর চৌধুরী ২৭ নভেম্বর, ১৯২৫ সালে মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পৈতৃক নিবাস- নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার গোপাইরবাগ গ্রামে।
- পুরো নাম আবু নায়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। অধ্যাপক কবীর চৌধুরী তার ভাই এবং ফেরদৌসী মজুমদার তার বোন।
- ২২ জুন, ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও বেতারমন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন জাতীয় পরিষদে এক বিবৃতিতে রেডিও ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
- ১৯৬৮ সালে বাংলা বর্ণমালা সংস্কার পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন।
- তিনি নাটকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬২), দাউদ পুরস্কার (১৯৬৫) পান।
- তিনি ১৯৬৬ সালে 'সিতারা- ই-ইমতিয়াজ' খেতাব লাভ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক আহূত অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে এ খেতাব বর্জন করেন।
- ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এবং আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।
• তাঁর রচিত নাটকসমূহ:
- 'রক্তাক্ত প্রান্তর' (১৯৬২): এটি তাঁর রচিত প্রথম নাটক। ১৭৬১ সালের পানিপথের ৩য় যুদ্ধের কাহিনী এর উপজীব্য। নাট্যকার ইতিহাস থেকে এর কাহিনী গ্রহণ করেনান, কায়কোবাদ রচিত 'মহাশ্মশান' থেকে এর কাহিনী গ্রহণ করেছেন। এই নাটকটির জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডোম পুরস্কার পান।
চরিত্র: জোহরা, ইব্রাহীম কাদি।
- 'কবর' (১৯৬৬): এটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত।
- 'মানুষ' (১৯৪৭): ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে রচিত।
- 'নষ্ট ছেলে' (১৯৫০): এটি রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক।
- 'দণ্ডকারণ্য' (১৯৬৬): এতে তিনটি নাটক আছে। যথা: দণ্ড, দণ্ডধর, দণ্ডকারণ্য।
- 'রাজার জন্মদিন' (১৯৪৬),
- 'চিঠি' (১৯৬৬),
- 'পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য' (১৯৬৯)।
• তাঁর অনূদিত নাটকসমূহ:
- 'কেউ কিছু বলতে পারে না' (১৯৬৭): এটি জর্জ বার্নাড শ'র You never can tell এর অনুবাদ।
- রূপার কৌটা' (১৯৬৯): এটি গলস ওয়ার্দির The Silver ' Box থেকে অনূদিত।
- 'মুখরা রমণী বশীকরণ' (১৯৭০): এটি শেক্সপিয়রের Taming of the Shrew এর অনুবাদ।
• তাঁর রচিত প্রবন্ধসমূহ:
- 'মীর মানস' (১৯৬৫): এর জন্য তিনি ১৯৬৫ সালে দাউদ পুরুষ্কার লাভ করেন।
- 'তুলনামূলক সমালোচনা' (১৯৬৯),
- 'বাংলা গদ্যরীতি' (১৯৭০)।