Solution
Correct Answer: Option A
বিদ্যুৎ কোষ
বিদ্যুৎ কোষ প্রধানত দুই প্রকার—
- সাধারণ বিদ্যুৎ কোষ
- শুষ্ক বিদ্যুৎ কোষ
শুষ্ক বিদ্যুৎ কোষ
শুষ্ক বিদ্যুৎ কোষে দুটি প্রধান ইলেক্ট্রোড ব্যবহৃত হয়—
অ্যানোড (ঋণ মেরু): দস্তার খোল, যা ইলেকট্রন দান করে (অক্সিডেশন ঘটে)।
ক্যাথোড (ধন মেরু): কার্বন দন্ড, যার সাথে পিতলের টুপি লাগানো থাকে।
- দস্তার চোঙের ভেতর নিশাদল (অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড), কয়লার গুড়া ও ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইডের মিশ্রণ সামান্য পানি দিয়ে লেই বা কাদার মতো করে ভরা হয়। এই মিশ্রণ ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে।
- কার্বন দন্ডটি চোঙের ভেতরে এমনভাবে বসানো হয় যাতে তা দস্তার খোলকে স্পর্শ না করে। কার্বন দন্ডের চারপাশে গালা বা পিচ দিয়ে সিল করা থাকে।
কার্যপ্রণালী
- দস্তার খোল (Zn) ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে এবং ইলেকট্রন দান করে।
- উৎপন্ন ইলেকট্রন বাইরের বর্তনী হয়ে কার্বন দন্ডে প্রবাহিত হয়।
- কার্বন দন্ডের চারপাশের ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড (MnO₂) ইলেকট্রন গ্রহণে সাহায্য করে।
ভোল্টেজ
এই কোষ থেকে সাধারণত প্রায় ১.৫ ভোল্ট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।