কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি (56 টি প্রশ্ন )
স্প্রিং-এর কৃতকাজের সূত্র:
কৃতকাজ = (1/2) kx²

যেখানে:
k = স্প্রিং ধ্রুবক
x = স্প্রিং-এর সংকোচন

প্রথম ক্ষেত্রে (x সংকোচন):
W = (1/2) × k × x²

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে (2x সংকোচন):
নতুন কৃতকাজ = (1/2) × k × (2x)²
= (1/2) × k × 4x²
= 4 × [(1/2) × k × x²]
= 4W

সঠিক উত্তর:
B) 4W
- বৈদ্যুতিক ঘণ্টায় বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।
- বৈদ্যুতিক বাল্বে বিদ্যুৎ শক্তি আলোক শক্তি ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।
- বৈদ্যুতিক কোষে বিদ্যুৎশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।
- বৈদ্যুতিক মোটরে বিদ্যুৎশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।
- শর্করার প্রধান কাজ হল শক্তি উৎপাদন। শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। গ্লুকোজ হল আমাদের শরীরের প্রধান শক্তির উৎস। এটি মস্তিষ্ক, পেশী এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।

শর্করার অন্যান্য কাজগুলি হল:
- দেহের বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা।
- দেহের টিস্যুগুলির গঠনে সাহায্য করা।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করা
আমরা জানি,
বল = ভরবেগের পরিবর্তন / সময়
⇒ ভরবেগের পরিবর্তন = বল × সময়
= ৮ × ২ kgms-1
= ১৬ kgms-1
কৌণিক গতির ক্ষেত্রেও নিউটনের  তিনটি সূত্র আছে । নিম্নে সূত্রগুলো বর্ণনা করা হলো :

প্রথম সূত্র: বস্তুর ওপর বাহ্যিক টর্ক ক্রিয়া না করলে, স্থির বস্তু স্থির থাকবে এবং ঘূর্ণনরত বস্তু সমকৌণিক বেগে ঘুরতে থাকবে।

দ্বিতীয় সূত্র: ঘূর্ণনরত বস্তুর কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তনের হার ঐ বস্তুর ওপর প্রকুক্ত টর্কের সমানুপাতিক এবং কৌণিক ভরবেগের এই পরিবর্তন প্রযুক্ত টর্কের দিকেই ঘটে ।

তৃতীয় সূত্র: ঘূর্ণনরত বস্তুর ক্ষেত্রে প্রত্যেক ক্রিয়ামূলক টর্কের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ামূলক টর্ক আছে ।
বিভবশক্তি হচ্ছে বস্তুর স্থিতিজনিত শক্তি। কোন বস্তু তার অবস্থা বা অবস্থানে স্থিতিশীল থাকার ফলে যে শক্তি প্রাপ্ত হয় তাই বস্তুটির বিভশক্তির পরিমাপক।আবার বস্তুও বিভিন্ন অংশের পরিবর্তনের ফলে বস্তু যে শক্তি প্রাপ্ত হয় তাই হচ্ছে বস্তুর বিভব শক্তি।

উদাহরণ-পানির ট্যাংকে রক্ষিত পানি এবং দেয়ালে ঝুলানো ছবি যে শক্তি প্রাপ্ত হয় তাই হচ্ছে এদের বিভবশক্তি।
একইভাবে একটি বস্তুকে টান টান করলে এর মধ্যে বিভব শক্তি জমা থাকে।    
- কাজের একক হল জুল।
- ১ নিউটন বল প্রয়োগে বলের প্রয়োগ বিন্দু বল অভিমুখে ১ মিটার সরলে যে পরিমাণ কাজ সম্পাদিত হয়, সম্পাদিত কাজের সেই পরিমাণকে ১ জুল বলা হয়।

- ওয়াট হল ক্ষমতার একক।
- নিউটন হল বলের একক।
ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তুকণার অবস্থান ভেক্টর এবং কণাটির ওপর প্রযুক্ত বলের ভেক্টর গুণফলকে টর্ক বলে।
-দুটি বস্তু অতি অল্প সময়ের জন্য কাছাকাছি আসলে যখন একে অপরের ওপর বৃহৎ বল প্রয়োগ করে এবং এদের গতির হঠাৎ ও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে, তখন এই ঘটনাকে সংঘর্ষ বলে ।

-যে সংঘর্ষে ভরবেগ সংরক্ষিত হয়, কিন্তু গতিশক্তি সংরক্ষিত হয় না, তাকে অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।
উদহরণ হিসেবে বলা যায় - যখন একটি গুলি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে লক্ষ্যবস্তুর ভেতরে ঢুকে পড়ে, তখন গুলি ও লক্ষ্যবস্তুর সংঘর্ষ হলো অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- বলের একককে সরণের একক দিয়ে গুণ করলে কাজের একক পাওয়া যায়।
- বলের একক হচ্ছে নিউটন (N) এবং সরণর একক হচ্ছে (m)।
- অতএব, কাজের একক হবে নিউটন মিটার (Nm)। নিউটন মিটারকে জুল (J)বলা হয়।
- এটি কাজের আন্তর্জাতিক একক।
- কোন বস্তুর উপর এক নিউটন বল প্রয়োগ করা হলে যদি বস্তুটি বলের দিকে এক মিটার সরণের সৃষ্টি হয় তবে সম্পন্ন কাজ হবে এক জুল।
-বলের একক নিউটন । 
-কাজের একক নিউটন-মিটার (N-m), এর অপর নাম জুল (J)।
-চাপের একক প্যাসকেল ।
-তাপ পরিমাপের একক ক্যালরি

কাজের মাত্রা = বল × সরণ
= ভর × ত্বরণ × সরণ
= ভর × বেগ/সময় × সরণ
= ভর × সরণ/সময়² × সরণ
= ML2T-2
স্কেলার রাশি: যে সকল ভৌত রাশি প্রকাশের জন্য শুধু মান অর্থাৎ সংখ্যা ও একক ব্যবহার করা হয়
তাদের স্কেলার রাশি বলে। 
এদের দিক থাকে না বলে অদিক রাশিও বলা হয়। 
যেমন বস্তুর ভর, দৈর্ঘ্য, কাজ, ক্ষমতা, শক্তি, ঘনত্ব, তাপমাত্রা ইত্যাদি।

এক ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনাে তড়িৎ যন্ত্রে মধ্যে দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তড়িৎ প্রবাহিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয় সেটি হচ্ছে এক ওয়াট-ঘণ্টা।
১ ওয়াট-ঘণ্টা = ১ ওয়াট × ১ ঘণ্টা

আবার,
১ কিলােওয়াট-ঘণ্টা = ১০০০ ওয়াট × ৩৬০০ সেকেন্ড
= ৩৬,০০,০০০ ওয়াট সেকেন্ড
= ৩্‌৬,০০,০০০ জুল
অর্থাৎ শক্তির এককে এটি ৩.৬ মেগা জুল।
নিউটনের তৃতীয় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । অর্থাৎ, যখন একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করে, তখন সেই বস্তুটিও প্রথম বস্তুটির ওপর বিপরীত দিকে সমান বল প্রয়োগ করে। যেমন: ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার বিষয়টা টের পাবে এক নৌকা থেকে আরেক নৌকায় লাফ দিতে গেলে।




ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

অধিকাংশ ফটোকপি মেশিন সত্যিই স্থির বৈদ্যুতিক পদ্ধতি (জেরোগ্রাফি বা xerography) ব্যবহার করে কাজ করে। সহজ ভাষায় কাজের ধাপগুলো এভাবেই বুঝবে:

প্রথমে মেশিনের ভিতরের ড্রাম বা বেলনটি একটি সমান উচ্চভোল্টেজ দিয়ে চার্জ করা হয়। এরপর কাগজের ওপর থাকা মূল ডকুমেন্টের ছবি লেন্স ও আলোর মাধ্যমে ওই চার্জ করা ড্রামের উপর পড়ানো হয়। যেখানে আলো পড়ে, সেখানে ড্রামের চার্জ হঠাৎ মিটে যায়; যেখানে আলো পড়ে না (অর্থাৎ লেখার কালো অংশ), সেখানে চার্জ থাকে — ফলে ড্রামের ওপর একটি অদৃশ্য ল্যাটেন্ট ইমেজ তৈরি হয়।

তারপর ড্রামের উপর টোনার — কালো পাউডার — ছিটিয়ে দেওয়া হয়; টোনার সেই চার্জ থাকা অংশে আটকে যায় এবং ল্যাটেন্ট ইমেজ দৃশ্যমান হয়। এরপর কাগজকে ড্রামের কাছে নিয়ে আসা হয়; কাগজটি উচ্চ চার্জযুক্ত রোলার দ্বারা টোনারকে আকর্ষণ করে, ফলে টোনার কাগজে স্থানান্তরিত হয়। শেষে কাগজটি গরম রোলারের মধ্যে দিয়ে পাঠিয়ে টোনারকে গলে কাগজে স্থায়ীভাবে চেপে দেয় (ফিউজিং)। আবার ড্রামটি পরিষ্কার করা হয় যাতে পরবর্তী কপির জন্য প্রস্তুত রয়ে যায়।

সংক্ষেপে: চার্জ করা → আলোকপ্রক্ষেপণ (ল্যাটেন্ট ইমেজ) → টোনার দিয়ে ডেভেলপ → কাগজে স্থানান্তর → গরম করে স্থায়ী করা → পরিষ্কার করা।

- ক্ষমতার একক হলো ওয়াট (Watt)।
- ক্ষমতা বলতে প্রতি একক সময়ে কাজ করার হারকে বোঝায়।
- ওয়াট (W) হলো আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি (SI)-তে ক্ষমতার একক। এক ওয়াট ক্ষমতা হলো প্রতি সেকেন্ডে এক জুল কাজ করার সমান। অর্থাৎ, 1W=1J/s।
ক্যালরি (Calorie): এটি তাপশক্তির একক।
আর্গ (Erg): এটি CGS পদ্ধতিতে কাজের একক।
জুল (Joule): এটি আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি (SI)-তে কাজ বা শক্তির একক।

-অশ্বশক্তি একটি শক্তির একক যা এক ঘোড়া প্রায় কত কাজ করতে পারে তা নির্ধারণ করে ।
-এটি ৭৪৬ ওয়াটের সমান।ধারণাটি সর্বপ্রথম জেমস ওয়াট দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল, যিনি বাষ্প ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন।
-যেহেতু মানুষ ঘোড়া ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল, এই শক্তির পরিমাণ সেই সময়ে অধিকাংশ লোক অনুমান করতে পারতেন।

-আর্গ হল সিজিএস পদ্ধতিতে শক্তির একক যা এসআই এককে 10−7 J বা 100 nJ পরিমাণ কাজ বা শক্তির সমান।   
- আর্গ, ক্যালরি এবং ইলেকট্রন ভোল্ট হলো শক্তির বিভিন্ন পুরাতন একক।
- বলের একক নিউটন (N)।
- কাজের একক নিউটন-মিটার (N-m)। এর অপর নাম জুল (J)।
কাজ: বল ও বলের দিকে সরণের উপাংশের গুনফলকে কাজ বলে। কাজের একক জুল।
শক্তি: কোন বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
গতিশক্তি: কোন গতিশীল বস্তু গতিতে থাকার জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলে।
বিভবশক্তি: কোন বস্তুর স্বাভাবিক অবস্থা পরির্তন করে অন্য কোন অবস্থায় আনলে বস্তুর কাজ করার যে সামর্থ অর্জন করে তাকে বিভবশক্তি বলে।
ক্ষমতা: কাজ সম্পাদনকারী কোন ব্যাক্তি বা যন্ত্রের কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে। ক্ষমতার একক ওয়াট। 1 sec এ 1 jule কাজ করার ক্ষমতাকে 1 ওয়াট বলে।
কর্মদক্ষতা: কোন যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্যকর শক্তি এবং যন্ত্রে প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে ঐ যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বলে।
১ অশ্বশক্তি (H.P) = 746 ওয়াট


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0