উদ্ভিদবিদ্যা (359 টি প্রশ্ন )
- উদ্ভিদের বিভিন্ন জৈব অম্ল থাকে।
- এগুলো দুই ধরনের হতে পারে: নাইট্রোজেনযুক্ত এবং নাইট্রোজেনবিহীন।
- অ্যামাইনো অ্যাসিড, নিউক্লিক অ্যাসিড ও ইউরিক অ্যাসিড সবই নাইট্রোজেনযুক্ত।
- সাইট্রিক এসিড হলো একটি নাইট্রোজেনবিহীন জৈব অম্ল, যা মূলত ফল এবং উদ্ভিদে উপস্থিত থাকে। এটি উদ্ভিদের শক্তি উৎপাদন ও অন্যান্য বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
অতএব, নাইট্রোজেনবিহীন জৈব অম্ল হলো সাইট্রিক এসিড।
- ছোলা একটি দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ।
- দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, যা অঙ্কুরোদ্গমের সময় চারাকে খাদ্য সরবরাহ করে।
- ধান, গম, এবং ভুট্টা হলো একবীজপত্রী উদ্ভিদ, কারণ এদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে।
- যে সকল উদ্ভিদের বীজ ফলের ভেতরে ঢাকা থাকে, তাদের আবৃতবীজী উদ্ভিদ বলা হয়।
- আমের বীজ ফলের মাংসল অংশের ভেতরে আবৃত থাকে, তাই আম একটি আবৃতবীজী উদ্ভিদ।

অন্যদিকে,
- সাইকাস ও পাইনাস হলো নগ্নবীজী উদ্ভিদ, কারণ এদের বীজ অনাবৃত থাকে।
- মস অপুষ্পক উদ্ভিদ।
সঠিক উত্তর: প্রাথমিক উৎপাদক
- সপুষ্পক উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।
- বাস্তুতন্ত্রে এরা উৎপাদক হিসেবে কাজ করে এবং খাদ্য শৃঙ্খলের ভিত্তি তৈরি করে।
- অন্যান্য প্রাণীরা এদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। একারণে সপুষ্পক উদ্ভিদকে প্রাথমিক উৎপাদক বলা হয়।
- Funaria একটি মস জাতীয় (Moss) উদ্ভিদ, যা ব্রায়োফাইটা (Bryophyta) বিভাগভুক্ত।
- এ ধরনের উদ্ভিদের ফুল ও ফল হয় না, এবং এরা স্পোরের মাধ্যমে প্রজনন করে।
- Funaria সাধারণত স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্মায়।

অন্য বিকল্পগুলো —
- Agaricus → একটি ছত্রাক (Fungus),
- Spirogyra → একটি শৈবাল (Algae),
- Pteris → একটি ফার্ন বা টেরিডোফাইট (Pteridophyte)।
- বাঁশ (Bamboo) পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। কিছু প্রজাতির বাঁশ দিনে প্রায় ৯১ সেন্টিমিটার (প্রায় ৩ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
- এটি একটি ঘাসজাতীয় (Gramineae) উদ্ভিদ, যা কাঠের মতো শক্ত হলেও আসলে ঘাসের পরিবারভুক্ত।
- দ্রুত বৃদ্ধি, দৃঢ়তা ও পরিবেশবান্ধব গুণের জন্য বাঁশকে “Green Gold” বা “সবুজ সোনা” বলা হয়।
- উদ্ভিদের পাতায় প্রকাশ-সংস্লেশন (Photosynthesis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শর্করা (Sugar) তৈরি হয়।
- এই প্রক্রিয়ায় পাতা সূর্যালোক, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি ব্যবহার করে গ্লুকোজ (শর্করা) উৎপন্ন করে এবং অক্সিজেন নির্গত করে।
- পাতার ক্লোরোফিল (Chlorophyll) নামক সবুজ রঞ্জক পদার্থই সূর্যালোক শোষণ করে এই প্রক্রিয়াকে সম্ভব করে তোলে।
- সাইকাস (Cycas) উদ্ভিদকে ‘পাম ফার্ন’ (Palm Fern) বলা হয়, কারণ এর চেহারা দেখতে তালের মতো (Palm-like) হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে একটি অপুষ্পক উদ্ভিদ (Gymnosperm)
- এর পাতাগুলো ফার্নের পাতার মতো এবং গঠনগতভাবে প্রাচীন যুগের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য বহন করে।
- তাই একে “পাম ফার্ন” নামে অভিহিত করা হয়।
- সাইকাস (Cycas) কে ‘লিভিং ফসিল’ বা জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়, কারণ এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম উদ্ভিদগুলোর একটি, যা ডাইনোসরের যুগেও (মেসোজোয়িক যুগ) বিদ্যমান ছিল।
- এখনও এর গঠন ও বৈশিষ্ট্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
- অর্থাৎ, এটি লুপ্তপ্রায় প্রাগৈতিহাসিক উদ্ভিদের জীবন্ত প্রতিনিধি হিসেবে টিকে আছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস (Chlorosis) বলা হয়।
- এটি ঘটে যখন পাতায় ক্লোরোফিলের পরিমাণ কমে যায়, ফলে পাতা তার সবুজ রঙ হারিয়ে হলুদ বা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
- এর কারণ হতে পারে পুষ্টির ঘাটতি (যেমন নাইট্রোজেন, আয়রন, বা ম্যাগনেসিয়ামের অভাব), পানির অভাব, রোগ, বা পরিবেশগত চাপ।


- দীর্ঘ দিবা দৈর্ঘ্যের উদ্ভিদের ফুল ফোটার প্রক্রিয়া (photoperiodism) নির্ভর করে দিনের আলোর সময়কালের উপর। এই উদ্ভিদগুলি যখন দিনের আলোর সময়কাল তাদের প্রয়োজনীয় সীমার চেয়ে বেশি হয়, তখন তারা ফুল ফোটানো শুরু করে।

- এটি বিপরীত হলো স্বল্প দিবা দৈর্ঘ্যের উদ্ভিদ (Short-day plants, যেমন ধান, তুলা) এবং দিবা নিরপেক্ষ উদ্ভিদ (Day-neutral plants, যেমন টমেটো, শসা), যারা দিনের আলোর সময়কালের উপর নির্ভর করে না।
ধানের অঙ্কুরোদগম সবচেয়ে মৃদগত হয়।

- ধান বীজ অঙ্কুরোদগমে অন্যান্য উদ্ভিদের তুলনায় সময় বেশি নেয়।
- ধানের বীজের বাইরের আবরণটি কঠিন হওয়ার কারণে ভিজে তার নরম হওয়ার জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়।
- এটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ থেকে শুরু করে পূর্ণ চারা গজানোর জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়।
- অন্য উদ্ভিদ যেমন মটরশুঁটি, ছোলা ও সরিষার বীজ সাধারণত দ্রুত অঙ্কুরোদগম করে, কারণ তাদের বীজ তুলনামূলক নরম বা সহজে গজানো যায়।
প্রতিটি চোখ থেকে একটি নতুন স্বাধীন উদ্ভিদ জন্ম দেয় এমন উদ্ভিদটি হলো আলু। আলুর কাণ্ডে (আলুর গুটি বা চোখ) প্রতিটি চোখ থেকে একটি নতুন আলুর গুটি বা নতুন উদ্ভিদ জন্মগ্রহণ করতে পারে। পেঁয়াজ, আদা এবং রসুন প্রভৃতি উদ্ভিদ পরিবর্তিত কাণ্ড বা গোলে নতুন উদ্ভিদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আলুর মত চোখ থেকে স্বতন্ত্র নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।
- শৈবালের দেহকোষে প্রধান রঞ্জক পদার্থ হিসেবে ক্লোরোফিল থাকে।
- শৈবালগুলো মূলত সালোকসংশ্লেষণকারী (photosynthetic) জীব, যার কারণে তাদের কোষে ক্লোরোফিল থাকে যা আলোশোষণ করে খাদ্য তৈরি করতে সাহায্য করে।
- ক্লোরোফিল শৈবালের প্রধান সবুজ রঞ্জক এবং এটি উদ্ভিদের মতই শৈবালের কোষে পাওয়া যায়।
- উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন, যেগুলিকে অবশ্যিক পুষ্টি উপাদান (essential nutrients) বলা হয়।
- এই পুষ্টি উপাদানগুলোকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়:
 ১) ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (Macronutrients)
 ২) মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট (Micronutrients)

- ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হল এমন পুষ্টি উপাদান যা উদ্ভিদ তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে।
- এদের সংখ্যা হলো ১০টি, এবং এগুলো হলো:
১। নাইট্রোজেন (N)
২। ফসফরাস (P)
৩। পটাশিয়াম (K)
৪। ক্যালসিয়াম (Ca)
৫। ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
৬। সালফার (S)
৭। কার্বন (C)
৮। হাইড্রোজেন (H)
৯। অক্সিজেন (O)
১০। ক্লোরিন (Cl) (কখনো কখনো ক্লোরিনকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ধরা হয়, তবে অনেক আধুনিক বইয়ে একে ম্যাক্রো হিসাবে ধরা হয়)

তবে মূল ছয়টি — N, P, K, Ca, Mg, S — কে অনেক সময় "primary এবং secondary macronutrients" হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।

তাই পরীক্ষায় নির্দিষ্টভাবে "ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের সংখ্যা" জানতে চাইলে সঠিক উত্তর ১০টি।
- ফসফরাস ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে: ক্লোরোফিল হলো এক ধরণের রঞ্জক পদার্থ যা সূর্যালোকের শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ফসফরাসের অভাবে ক্লোরোফিলের উৎপাদন কমে যায়, ফলে পাতা বেগুনি রং ধারণ করে।
- ফসফরাস শিকড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে: ফসফরাসের অভাবে শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়, ফলে গাছ মাটি থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণ করতে পারে না।
- ফসফরাস প্রোটিন সংশ্লেষণে সাহায্য করে: ফসফরাসের অভাবে প্রোটিন সংশ্লেষণ কমে যায়, ফলে পাতার রঙ পরিবর্তিত হয়।
- ধান বায়ুপরাগী উদ্ভীদ।
- দিনের প্রথম ভাগে ধানের স্পাইকলেট উন্মুক্ত হয়।
- এ অবস্থায় পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডের উপর ঝরে পড়ে এবং প্রকৃতিগতভাবেই পরাগায়ন ঘটে।
- ডিনাইট্রিফিকেশন হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া (যেমন Pseudomonas এবং Clostridium) মাটিতে বা পানির মধ্যে নাইট্রেট (NO₃⁻) কে নাইট্রোজেন গ্যাস (N₂) এ রূপান্তরিত করে। এটি একটি অ্যানএ্যারোবিক প্রক্রিয়া (অক্সিজেনের অভাবে ঘটে), যেখানে ব্যাকটেরিয়া নাইট্রেটকে গ্রহন করে এবং এর মাধ্যমে নাইট্রোজেন গ্যাস মুক্ত করে।
- এটি নাইট্রোজেন চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ এটি মাটিতে জমে থাকা অতিরিক্ত নাইট্রোজেনকে মুক্ত করে এবং বাতাসে ফিরিয়ে আনে। এটি এমনভাবে ঘটে যে, পরিবেশে নাইট্রোজেনের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
- নাইট্রোজেন ফিক্সেশন (A) বা নাইট্রাইট রিডাকশন (B) প্রক্রিয়াগুলিতে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীব নাইট্রোজেন বা নাইট্রাইটকে অন্য আণবিক রূপে রূপান্তরিত করে, কিন্তু ডিনাইট্রিফিকেশন মূলত নাইট্রোজেন গ্যাসের রূপে নাইট্রোজেন ক্ষুদ্রায়ন ঘটায়।
- অভিস্রবণ (Osmosis) হলো একটি ভৌত প্রক্রিয়া, যেখানে একই দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণের দিকে প্রবাহিত হয়।
- এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে যতক্ষণ না উভয় দ্রবণের ঘনত্ব সমান হয়।

অভিস্রবণ প্রধানত দুই প্রকার:

- অন্তঃঅভিস্রবণ (Endosmosis): যখন দ্রাবক কোষের বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করে। উদাহরণ: কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে ওঠা।
- বহিঃঅভিস্রবণ (Exosmosis): যখন দ্রাবক কোষের ভেতর থেকে বাইরে চলে যায়। উদাহরণ: আঙ্গুর ঘন চিনির দ্রবণে রাখলে চুপসে যাওয়া।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- কোনো জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগকে জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলা হয়।
- দ্বিপদ নামকরণ: কোনো জীবের গণ (Genus) নামের শেষে একটি প্রজাতিক (Species) পদ যুক্ত করে দু'টি পদের (শব্দের) মাধ্যমে ICN বা ICZN এর নীতিমালা অনুসারে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্যে একটি নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করাকে বলা হয় দ্বিপদ নামকরণ। 
- সুইডিশ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস ১৭৫৩ সালে সর্বপ্রথম Plantarum বইতে বর্ণিত সকল উদ্ভিদ প্রজাতির জন্যে দ্বিপদ নাম প্রদান করেন।

- ক্লোরোপ্লাস্ট হলো উদ্ভিদ কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু, যেখানে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়।
- সালোকসংশ্লেষণ মূলত দুটি পর্যায়ে বিভক্ত: আলোক পর্যায় এবং অন্ধকার পর্যায়।

আলোক পর্যায়:
- এই পর্যায়ে সূর্যালোকের শক্তি ব্যবহার করে ATP এবং NADPH তৈরি হয়।
- এই প্রক্রিয়া ক্লোরোপ্লাস্টের থাইলাকয়েড মেমব্রেনে ঘটে।
- থাইলাকয়েড হলো ক্লোরোপ্লাস্টের ভেতরে থাকা থলে আকৃতির গঠন, যা একটির উপর আরেকটি স্তূপাকারে সাজানো থাকে। এই স্তূপকে গ্রানা বলা হয়।
- থাইলাকয়েড মেমব্রেনে ক্লোরোফিল এবং অন্যান্য ফটোসিন্থেটিক রঞ্জক পদার্থ থাকে, যা সূর্যালোক শোষণ করে।

অন্ধকার পর্যায় (ক্যালভিন চক্র):
- এই পর্যায় ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমা অংশে ঘটে।
- এখানে আলোক পর্যায়ে উৎপন্ন ATP এবং NADPH ব্যবহার করে কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে গ্লুকোজ তৈরি হয়।
- উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপাদান অপরিহার্য, তবে প্রাথমিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পানি।
- পানি উদ্ভিদের কোষের কার্যকলাপ, খাদ্য পরিবহন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং সামগ্রিক শারীরিক প্রক্রিয়াগুলোর জন্য অত্যাবশ্যক।
- পানির অভাব হলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং শেষ পর্যন্ত তা মারাও যেতে পারে।
ম্যাগনেশিয়ামের কাজ:
- ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরোফিল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ক্লোরোফিল সূর্যালোকের শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
- ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে ক্লোরোফিলের উৎপাদন কমে যায়, ফলে পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে গাছে যেসব লক্ষণ দেখা যায়:
- পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
- পাতার শিরাগুলো স্পষ্টভাবে দেখা যাওয়া
- পাতার প্রান্তে বাদামী দাগ দেখা দেওয়া
- পাতা ঝরে যাওয়া
- গাছের বৃদ্ধি থেমে যাওয়া।
- উদ্ভিদের জন্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হলো এমন পুষ্টি উপাদান যা খুবই সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়, কিন্তু উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ক্লোরিন (Cl) একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা উদ্ভিদের পত্ররন্ধ্রের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে এবং পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- এটি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়ও ভূমিকা রাখে।
- মাশরুমে বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে কিছু প্রজাতি বিষাক্ত।
- বিষাক্ত মাশরুমে মাসকারিন (Muscarine) নামক বিষাক্ত পদার্থ থাকে।
- এটি একটি প্রাকৃতিক বিষাক্ত যৌগ যা স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে এবং বিষক্রিয়া ঘটায়।
- মাসকারিন বিষাক্ত মাশরুম খাওয়ার পর শরীরে স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করে।
- এটি অতিরিক্ত লালা, ঘাম, চোখ দিয়ে পানি পড়া, বমি, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
- মারাত্মক ক্ষেত্রে এটি হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে এবং মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
- ব্রোমেলিয়াড (Bromeliads) হলো পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ।
- পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ হলো সেই উদ্ভিদ যা অন্য উদ্ভিদের উপর বা কোন কাঠামোর উপর জন্মায়, কিন্তু এরা সেই উদ্ভিদ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে না।
- ব্রোমেলিয়াড গাছপালা অন্য গাছের ডালে বা পাথরের ফাটলে জন্মায় এবং বাতাস থেকে জল ও পুষ্টি সংগ্রহ করে।
- এদের মূল প্রধানত গাছ বা পাথরের সাথে আটকে থাকার জন্য ব্যবহৃত হয়, খাদ্য সংগ্রহের জন্য নয়।
- ব্রোমেলিয়াড গাছের পাতাগুলো এমনভাবে বিন্যস্ত থাকে, যা বৃষ্টির জল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- এই জল এবং বাতাসের ধুলাবালি থেকে তারা পুষ্টি সংগ্রহ করে।
- ব্রোমেলিয়াড প্রায় ৩০০০ এরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ।
- ফার্নের জীবনচক্রে প্রধান প্রজন্ম হল স্পোরোফাইট। স্পোরোফাইট হল ডিপ্লয়েড (২n) প্রজন্ম, যা ফার্নের পরিচিত অংশ, অর্থাৎ বড় সবুজ পাতা বা ফ্রন্ডস।
- এই প্রজন্ম স্পোর উৎপাদন করে, যা মেইওসিসের মাধ্যমে তৈরি হয়।
- স্পোরগুলি পরে গ্যামেটোফাইটে পরিণত হয়, যা হ্যাপ্লয়েড (n) এবং এটি গ্যামেট (ডিম এবং শুক্র) উৎপাদন করে।
- ফার্নের স্পোরোফাইট প্রজন্মটি সাধারণত বড় এবং দৃশ্যমান হয়, যা গাছের প্রধান অংশ হিসেবে দেখা যায়।
- গ্যামেটোফাইট প্রজন্মটি ছোট এবং সাধারণত মাটির উপর বা নীচে থাকে, যা স্পোরোফাইটের উপর নির্ভরশীল।
- এই কারণে, ফার্নের মধ্যে স্পোরোফাইট প্রজন্মই প্রধান এবং সবচেয়ে দৃশ্যমান।
- অক্সিন হল একটি গাছের হরমোন যা কোষের দীর্ঘায়নকে উদ্দীপিত করে।
- এটি গাছের বৃদ্ধির বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে শাখাগুলির এবং পাতা কোষের বৃদ্ধিতে।
- অক্সিনের উপস্থিতি কোষের বৃদ্ধি এবং প্রসারণকে ত্বরান্বিত করে, যা গাছের শাখাগুলির এবং পাতা কোষের দৈর্ঘ্য বাড়ায়।
- অক্সিনের কাজের ফলে গাছের শাখাগুলি সূর্যের দিকে বাঁকতে পারে, যা ফটোট্রপিজম নামে পরিচিত।
- এটি গাছের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গাছকে আলো এবং অন্যান্য পরিবেশগত উপাদানের দিকে সাড়া দিতে সাহায্য করে।
- জিমনোস্পার্মস হল সেই গাছের গোষ্ঠী যা বীজ উৎপন্ন করে কিন্তু তাদের বীজগুলি ডিম্বাশয়ে আবদ্ধ থাকে না।
- এই গোষ্ঠীর উদাহরণ হিসেবে পাইন গাছ, সাইপ্রাস এবং অন্যান্য কনিফার গাছগুলি অন্তর্ভুক্ত। জিমনোস্পার্মসের বীজ সাধারণত কনস (cones) এর উপর থাকে, যা তাদের প্রজনন কাঠামো।

অন্যদিকে,
- অ্যাঞ্জিওস্পার্মস হল সেই গাছের গোষ্ঠী যা ফুল এবং ফল উৎপন্ন করে, যেখানে বীজগুলি ডিম্বাশয়ে আবদ্ধ থাকে।
- ব্রায়োফাইটস এবং পটারিডোফাইটস হল নন-ভাস্কুলার এবং ভাস্কুলার গাছের গোষ্ঠী, যথাক্রমে, কিন্তু তাদের বীজ নেই।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- উদ্ভিদের বংশ বিস্তার প্রধানত বীজ দ্বারা হয়।
- বীজ হলো একটি পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদের নতুন জীবন সৃষ্টির পদ্ধতি, যা ফুলের পরিণতি হিসেবে তৈরি হয়।
- ফুলে পুরুষ ও মহিলা অংশের সংমিশ্রণ ঘটলে বীজ উৎপন্ন হয়।

- বীজের মধ্যে জীবন্ত পুঁই বা এমব্রিও থাকে, যা পরিবেশের অনুকূল পরিস্থিতিতে গাছের নতুন চারা গঠন করতে পারে।
- বীজের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং শক্তি থাকে, যা প্রাথমিকভাবে চারা গঠনে সহায়তা করে এবং গাছের জীবনের শুরু হয়।

অন্যদিকে,
- ফুল এবং পাপড়ি শুধুমাত্র উজ্জ্বলতা এবং পরাগায়নের জন্য ভূমিকা রাখে, কিন্তু বংশ বিস্তারের জন্য সেগুলি সরাসরি দায়ী নয়।
- ফল মূলত বীজ ধারণের জন্য তৈরি হয়, তবে ফল নিজেই বংশ বিস্তার নয়।


সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0