Wars & Conflicts (188 টি প্রশ্ন )
*১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধকে "ভুলে যাওয়া যুদ্ধ" বলা হয়, কারণ এটি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের অংশ হিসেবে উপেক্ষিত হয়।
*১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ পর্যন্ত চলা আমেরিকান গৃহযুদ্ধের মূল কারণ ছিল দাসপ্রথার বিষয়ে উত্তেজনা, বিশেষ করে দক্ষিণী রাজ্যগুলোর দাসপ্রথার রক্ষার প্রচেষ্টা।
*ইয়োম কিপুর যুদ্ধে মিসর এবং সিরিয়া একযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে
*এই যুদ্ধের সময় ইসরায়েল সিনাই উপদ্বীপ, গোলান উচ্চভূমি, পশ্চিম তীর এবং গাজা স্ট্রিপ দখল করে।
*১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধ, যেখানে ইসরায়েল খুব কম সময়ে (ছয় দিনে) প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে বড়সড় বিজয় অর্জন করে।
*১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর আশেপাশের আরব দেশগুলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, কারণ তারা এই নতুন রাষ্ট্রকে বৈধতা দেয়নি।
*প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ ১৯৪৮ সালে শুরু হয়, যখন ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আরব দেশগুলি এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
*১৯৪৭ সালের যুদ্ধের সময় লিয়াকত আলি খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর পর সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
*১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তাশকন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা যুদ্ধের অবসান ঘটায় এবং দুই দেশকে তাদের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
*১৯৬৫ সালের যুদ্ধের মূল কারণ ছিল কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ। পাকিস্তান কাশ্মীরে হামলা চালায়, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়।
*প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭ সালে কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের ফলে শুরু হয়েছিল, যখন ভারত স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত বিরোধ শুরু হয়।
*১৯৭৩ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস শান্তি চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়, যা যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পথ সুগম করে।
*ভিয়েতনাম যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৫ সালে শেষ হয়েছিল, যখন উত্তর ভিয়েতনামি বাহিনী দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গন দখল করে এবং ভিয়েতনামকে একত্রিত করে।
*Ho Chi Minh ছিলেন উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট নেতা, যিনি স্বাধীন ভিয়েতনামের জন্য লড়াই করেছিলেন এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের সাথে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
*মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিউনিজমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণ ভিয়েতনামকে সমর্থন করেছিল। তারা চেয়েছিল দক্ষিণ ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক থাকুক এবং উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট দল দ্বারা আক্রান্ত না হয়।
*ভিয়েতনাম যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৫ সালে শুরু হয়েছিল। যদিও এর আগেও বিভিন্ন সংঘাত ছিল, দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকার এবং কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন উত্তর ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বন্দ্ব এই সময় থেকে শুরু হয়।
*পলাশীর যুদ্ধ (The Battle of Plassey) অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে। এই যুদ্ধটি ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনী এবং বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে। বাংলার নবাবের সেনাবাহিনীর প্রধানদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ব্রিটিশরা জয়লাভ করে, যা ভারতবর্ষে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।
*শত বছরের যুদ্ধ (Hundred Years' War) ছিল একটি দীর্ঘকালীন সংঘাত, যা ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে ১৩৩৭ সাল থেকে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত চলে। এই যুদ্ধে মূলত ফ্রান্সের সিংহাসন নিয়ে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে বিতর্ক এবং অধিকার দাবির ফলস্বরূপ যুদ্ধ শুরু হয়। এটি কয়েকটি পৃথক যুদ্ধে বিভক্ত ছিল এবং এর ফলে ফ্রান্সে এবং ইউরোপের অন্যান্য অংশে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটে।
*প্রথম আফিম যুদ্ধ (1839-1842) সংঘটিত হয়েছিল চীন এবং যুক্তরাজ্য (UK)-এর মধ্যে। এই যুদ্ধের মূল কারণ ছিল ব্রিটিশদের চীনে আফিম ব্যবসা। চীন আফিম আমদানি বন্ধ করতে চাইলে যুক্তরাজ্য এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নানকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ফলে হংকং ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে আসে এবং চীনের ওপর একাধিক বাণিজ্যিক শর্ত আরোপ করা হয়।
*নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা ৯ আগস্ট, ১৯৪৫ তারিখে ঘটে। এই হামলার আগে ৬ আগস্ট, ১৯৪৫-এ হিরোশিমা শহরে প্রথম পারমাণবিক বোমা "লিটল বয়" নিক্ষিপ্ত হয়। এরপর, তিন দিন পর, ৯ আগস্টে নাগাসাকিতে "ফ্যাট ম্যান" নামক দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
*প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) চলাকালে এবং এর পরপরই একে "The Great War" নামে ডাকা হত। কারণ সেই সময় এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক যুদ্ধ, এবং তখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তাই এটি "প্রথম বিশ্বযুদ্ধ" নামে পরিচিতি পায়নি। পরবর্তীতে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তখন এটিকে "First World War" বলা শুরু হয়।
*হলোকাস্ট ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গণহত্যা, যার মাধ্যমে ৬০ লাখেরও বেশি ইহুদি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার মূল কেন্দ্র ছিল জার্মানি এবং নাৎসি বাহিনী দ্বারা অধিকৃত অঞ্চলগুলো।
*দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯-এ, যখন জার্মানি আক্রমণ করে পোল্যান্ড-এ। এই আক্রমণের ফলস্বরূপ ব্রিটেন এবং ফ্রান্স ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ তারিখে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে।
*দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন Franklin D. Roosevelt। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন এবং তার নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের সময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। যুদ্ধের শেষের দিকে, ১৯৪৫ সালে, তার মৃত্যুর পর Harry S. Truman প্রেসিডেন্ট হন এবং যুদ্ধের শেষ পর্বটি সম্পন্ন করেন।
*জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের উপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপের পর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ৬ আগস্ট ১৯৪৫-এ যুক্তরাষ্ট্র Hiroshima শহরে "Little Boy" নামক পারমাণবিক বোমা ফেলে। এর তিন দিন পর, ৯ আগস্ট ১৯৪৫-এ Nagasaki শহরে "Fat Man" নামক আরেকটি পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়। এই বিধ্বংসী বোমা হামলার ফলে জাপান ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরিস্থিতির চাপে ১৫ আগস্ট ১৯৪৫-এ জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।

*এই আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয় ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫-এ, যখন জাপান আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করে
-Little Boy ছিল সেই পারমাণবিক বোমার নাম যা ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্টে Hiroshima-তে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
-এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত প্রথম পারমাণবিক বোমা এবং এটি শহরটির উপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল।
Blitzkrieg war Policy বা "ব্লিৎজক্রিগ যুদ্ধ নীতি" বলতে দ্রুত, আক্রমণাত্মক এবং অপ্রত্যাশিত আক্রমণ বোঝায়। এই নীতির মাধ্যমে হিটলার খুব কম সময়ের মধ্যে বড় বড় দেশ দখল করতে পেরেছিলেন, যেমন পোল্যান্ড এবং ফ্রান্স। এই যুদ্ধ নীতির মাধ্যমে দ্রুত বিজয় অর্জন করা হয়েছিল, যা হিটলারের প্রথম ৯ মাসের সাফল্যের কারণ।
-Japan ১৯১০ সালে Korea-কে colonize করে।
-এই শাসন চলে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত, যখন World War II শেষ হয়।
*Japan-এর শাসনের প্রভাব:
-Korean culture এবং language-এর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
-Korean resources এবং labor Japan-এর war effort-এ ব্যবহৃত হয়।
-অনেক Korean-কে forced labor হিসেবে Japan-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
*Post-war পরিস্থিতি:
-১৯৪৫ সালে Japan পরাজিত হলে, Korea দুই ভাগে divide হয়।
-North Korea Soviet Union-এর influence-এ আসে।
-South Korea USA-র influence-এ আসে।
*এই division পরবর্তীতে Korean War (১৯৫০-১৯৫৩) এর দিকে নিয়ে যায় এবং দুই Korea-র মধ্যে বর্তমান division-এর ভিত্তি স্থাপন করে।
-রো নাম: Joseph Stalin
-পদবি: Soviet Union-এর General Secretary এবং প্রধান নেতা
-নেতৃত্বকাল: ১৯২২-১৯৫২
*Stalin দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় Soviet Union-কে নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রথমে Nazi Germany-র সাথে অনাক্রমণ চুক্তি করেন, কিন্তু ১৯৪১ সালে Germany যখন Soviet Union আক্রমণ করে, তখন তিনি মিত্রশক্তির সাথে যোগ দেন।
*অন্যান্য নেতাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-Lenin (B): Russian Revolution-এর নেতা ছিলেন, কিন্তু ১৯২৪ সালে মারা যান।
-Roosevelt (C): যুদ্ধের সময় United States-এর President ছিলেন।
-Hitler (D): Nazi Germany-র নেতা ছিলেন, যিনি যুদ্ধ শুরু করেন।
*এখানে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যদিও প্রশ্নে "President of Russia" বলা হয়েছে, তখন Russia স্বতন্ত্র দেশ ছিল না, বরং Soviet Union-এর অংশ ছিল। Stalin-এর আনুষ্ঠানিক পদবি ছিল General Secretary, তবে তিনি কার্যত দেশের একচ্ছত্র শাসক ছিলেন।
*Winston Churchill যুদ্ধের প্রারম্ভিক পর্যায়ে Britain-এর Prime Minister হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি ১০ মে, ১৯৪০ তারিখে Neville Chamberlain-এর স্থলাভিষিক্ত হন, যখন যুদ্ধ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
*Churchill যুদ্ধকালীন Britain-এর নেতৃত্ব দেন এবং মিত্রশক্তির বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি তার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং উদ্দীপনামূলক বক্তৃতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0