- মুঘল সুবেদার ইসলাম খান চিশতি ১৬১০ সালে বাংলার রাজধানী বিহারের রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। - সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে তিনি এই নতুন রাজধানীর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। - এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার বিদ্রোহী জমিদার 'বারো ভূঁইয়াদের' দমন করা এবং মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের প্রতিহত করা। - ইসলাম খান চিশতি সফলভাবে বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁ-র পুত্র মুসা খাঁ-কে পরাজিত করেছিলেন। - রাজধানী স্থানান্তরের ফলে ঢাকা একটি গুরত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং মসলিন শিল্পের বিকাশ ঘটে। - পরবর্তীতে ১৬৬০ সালে বাংলার আরেক সুবেদার মীর জুমলা পুনরায় ঢাকাকে বাংলার রাজধানীতে রূপান্তর করেন।
- বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি। - তিনি ছিলেন জাতিতে তুর্কি, বংশে খলজি এবং আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশত-ই-মার্গ এর অধিবাসী। - ১২০৪ সালে তিনি মাত্র ১৮ জন অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলা (নদিয়া) জয় করেন। - বখতিয়ার খলজির এই বিজয়ের মাধ্যমেই বাংলায় মধ্যযুগের এবং মুসলিম শাসনের সূত্রপাত ঘটে। - তিনি বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে লখনৌতি বা গৌড়ে তার রাজধানী স্থাপন করেন।
- আমির খসরু ছিলেন সুলতানি যুগের একজন প্রখ্যাত সুফি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ ও পণ্ডিত। - তাঁর সুমধুর কণ্ঠ ও পাণ্ডিত্যের জন্য তাঁকে 'তুত-ই-হিন্দ' বা 'ভারতের তোতা পাখি' বলা হয়। - তিনি কাওয়ালি সঙ্গীতের প্রবর্তক এবং উর্দু সাহিত্যের অন্যতম জনক হিসেবে বিবেচিত হন। - ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে 'খেয়াল' প্রবর্তনে এবং সেতার ও তবলা বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভাবনে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে।
'অন্ধকূপ হত্যা' (Black Hole Tragedy) একটি বহুল প্রচারিত সেনা হত্যাকাণ্ড, যা ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় সংঘটিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা আছে। সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ফোর্ট উইলিয়াম হামলায় হত্যার অভিযোগ উঠে ১২৩ জন ইংরেজকে হত্যার। ইংরেজ সেনা হলওয়েল এর এ মিথ্যা কাহিনী ইতিহাসে পরিচিত 'অন্ধকূপ হত্যা' নামে। এতে বলা হয়ে থাকে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ১৪.১০ ফুট প্রয় ছোট একটি ঘরে ১৪৬ জন ইংরেজকে বন্দি করে রাখা হয় এবং তাদের মধ্যে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়।
- সিরাজউদ্দৌলার প্রকৃত নাম মির্জা মুহাম্মদ (পুরো নাম- মির্জা মুহাম্মদ আলী)। তার পিতার নাম জয়েনউদ্দিন। নবাব অলীবর্দী খান ছিলেন সিরাজউদ্দৌলার নানা। তিনি বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে স্থানান্তর করেন কোলকাতা (আলী নগর)। - সিরাজউদ্দৌলা বাংলার নবাব হন ১৭৫৬ সালে (২২/২৩ বছর বয়সে) - সিরাজউদ্দৌলা ফোর্ট উইলিয়াম দখল করেন ২০ জুন, ১৭৫৬। - নবাব সিরাজউদ্দৌলার ‘যৌবরাজ্যাভিষেক’ ঘটে ১৭ বছর বয়সে। - নবাব ও ইংরেজদের মধ্যে সন্ধি হয় ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি (ইহা ইতিহাসে ‘আলীনগর সন্ধি’ নামে খ্যাত] - পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে। - বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৭৬৪ সালে।
- নবাব মুর্শিদকুলী খান ছিলেন বাংলায় নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম স্বাধীন নবাব, তিনি বাল্যকালে ছিলেন ইস্পাহান, ইরান। - ১৭০০ সালে আওরঙ্গজেব তাকে বাংলায় দেওয়ান নিযুক্ত করেন তার কাজ ছিল: সুবার রাজস্ব আদায় ও অর্থব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা, - ১৭০৩ সালে মুর্শিদ কুলি উপাধি পান - ১৭১৬ সালে বাংলার নাজিম হন - ১৭১৭ সালে ঢাকা মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করেন - ১৭২২ সালে রাজা টোডরমল ও শাহ্ সুজার ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত পদ্ধতির সংস্কার করেন এবং ‘মাল জমিনী’ নামক রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন। তিনি দিল্লিতে বার্ষিক ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাঠাতেন - ১৭২৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। - তার উপাধি করতলব খান, জাফর খান এবং ‘মুতামিন-উল-মুলক আলা-উদ-দৌলা জাফর খান নাসির জঙ্গ বাহাদুর' - তাকে ‘করতলব খান’ উপাধি দেন আওরঙ্গজেব - তিনি নির্মাণ করেন মুর্শিদাবাদে ‘চেহেল সেতুন’ দুর্গ এবং ঢাকার বেগমবাজারে ‘করতলব খান মসজিদ'।
- সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২) খ্রিষ্টাব্দ । তারপর রাজধানী স্থানান্তর হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫) খ্রিস্টাব্দ - মুঘল আমলের মধ্যেভাগে ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন শুরু হয়। - ১৫৭৬ সালে সম্রাট আকবর বাংলা জয় করে এর নাম দেন সুবা বাংলা। এই সময় বাংলায় বারো ভূঁইয়াদের আগমন ঘটে। - সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি সুবেদার ইসলাম খান চিশতি চূড়ান্ত ভাবে বারো ভূঁইয়াদের দমন করে ১৬১০ সালে ঢাকাকে বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং এর নাম দেন জাহাঙ্গীরনগর। - এর পরে ১৬৬০ সালে মীর জুমলা পুনরায় বাংলার রাজধানী করে ঢাকা। - কলকাতা শহরের গোড়াপত্তন হয় ১৬৯০ সালে।
- আওরঙ্গজেব (১৬৫৮-১৭০৭) উত্তরাধিকার যুদ্ধে জয়লাভের পর ‘আলমগীর পাদশাহ গাজী’ উপাধি গ্রহণ করে দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। - তাঁর রাজত্বকালে উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণে মুগল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটে। - উত্তর-পূর্বে আসাম এবং চট্টগ্রামে মুগল সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। - আওরঙ্গজেব ১২০০ টাকার বিনিময়ে কলকাতাকে জব চার্নকের কাছে বিক্রি করে দেন। - আওঙ্গজেব বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেছিলেন।। - তিনি মীর জুমলাকে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবেদার করে পাঠান । - সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
- দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। - তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী আগ্রা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে এই দুর্গটি নির্মাণ করেন। - দুর্গটির নির্মাণকাজ ১৬৩৮ সালে শুরু হয়ে ১৬৪৮ সালে শেষ হয়। - এর প্রধান স্থপতি ছিলেন ওস্তাদ আহমদ লাহোরি, যিনি তাজমহলেরও প্রধান স্থপতি ছিলেন। - দুর্গটি মূলত লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি বলে এর নাম হয়েছে 'লালকেল্লা'। - এর আসল নাম ছিল 'কিলা-ই-মুবারক', যার অর্থ 'আশীর্বাদপুষ্ট দুর্গ'। - স্থাপত্যশিল্পে অবদানের জন্য সম্রাট শাহজাহানকে 'প্রিন্স অফ বিল্ডার্স' বলা হয়।
- ১৬১৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের দূত হিসেবে স্যার টমাস রো মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে আসেন। - তিনি প্রায় তিন বছর মুঘল দরবারে অবস্থান করেন। - তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য ভারতে বাণিজ্য করার এবং সুরাটে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের বিশেষ অধিকার ও অনুমতি (ফরমান) আদায় করা, যাতে তিনি সফল হয়েছিলেন।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁর ন্যায়পরায়ণতার জন্য ইতিহাসে বিখ্যাত। - তিনি আগ্রা দুর্গের শাহ-বুরুজ থেকে যমুনা নদীর তীর পর্যন্ত একটি সোনার শিকল ঝুলিয়েছিলেন, যা 'জিঞ্জির-ই-আদল' বা 'ন্যায়বিচারের শিকল' নামে পরিচিত। - এতে ৬০টি ঘণ্টা যুক্ত ছিল। - নিপীড়িত প্রজারা দিনের যে কোনো সময়ে এই শিকল টেনে সরাসরি সম্রাটের কাছে ন্যায়বিচার চাইতে পারত।
- রাজা টোডরমল ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবরের অর্থমন্ত্রী (দেওয়ান) এবং নবরত্ন সভার অন্যতম সদস্য। - তিনি তৎকালীন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করেন। - ১৫৮০ সালে তিনি 'দহশালা' বা 'জাবতি' প্রথা প্রবর্তন করেন। - এই ব্যবস্থায় জমির উর্বরতা ও উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কর নির্ধারণ করা হতো, যা মুঘল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছিল।
সম্রাট জালালউদ্দিন আকবরে সময়কাল ছিল ১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ। তিনি ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। - তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা। পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। - তিনি ১৫৭৬ সালে বাংলা বিজয় করেন। তাঁর সময়ে সমগ্র বঙ্গ দেশ ‘সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত ছিল। - তিনি বাংলা সনের প্রবর্তক ছিলেন। বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’ চালু করেন। - তিনি ‘অমৃতসর স্বর্ণমন্দির’, ‘বুলন্দ দরওয়াজ’ নির্মাণ করেন। - ‘জিজিয়া কর’ ও ‘তীর্থ কর’ স্থগিত করেন সম্রাট আকবর। - তিনি মনসবদারী প্রথার প্রচলন করেন, ‘মনসবদারি প্রথা’ হলে সেনাবাহিনী সংস্কার পরিকল্পনা - তিনি দীন-ই-ইলাহী নামে একেশ্বরবাদ ধর্মমত প্রচলন করেন যার অনুসারী ছিলেন ১৭ (মতান্তরে ১৯ জন) জন। - বাংলায় বার ভূঁইয়াদের অভ্যুত্থান ঘটে আকবরের আমলে। - সম্রাট আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন— টোডরমল - সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন - আকবরের সমাধি হল সেকেন্দ্রায়।
- শেরশাহ, যিনি ফরিদ খান নামেও পরিচিত, ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ শাসক হিসেবে পরিচিত। - তিনি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন এবং সুর বংশের প্রতিষ্ঠাতা। - শেরশাহের প্রধান কৃতিত্ব ছিল তার ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার। - তিনি কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি কার্যকরী ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। - তার রাজস্ব নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের উপর অত্যাচার কমানো এবং তাদের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে রাজস্ব নির্ধারণ করা। - তিনি জমির উৎপাদনশীলতা অনুযায়ী রাজস্বের হার নির্ধারণ করতেন, যা সাধারণত উৎপন্ন ফসলের এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশ ছিল। - শেরশাহ ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করে এবং কৃষকদের জন্য "কবুলিয়ত" ও "পাট্টা" নামে দলিল প্রবর্তন করেন, যা তাদের জমির মালিকানা নিশ্চিত করত। - এই ব্যবস্থা কৃষকদের মধ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এনে দেয় এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
- আলাউদ্দিন হোসেন শাহ প্রতিষ্ঠিত হোসেন শাহী আমলকে (১৪৯৩-১৫৩৮ খ্রি.) মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়। - এই সময়ে রাজ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছিল। - এই রাজবংশের উদার ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বজায় ছিল এবং বাংলা সাহিত্যের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। - শ্রীচৈতন্যদেবের বৈষ্ণব আন্দোলন এবং মহাভারত-রামায়ণের বাংলা অনুবাদ এই সময়েই হয়।
- বাংলার স্বাধীন সুলতানদের মহদজে হুসেন শাহি আমল ছিল সবচেয়ে গৌরবময় । - সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্ ছিলেন হুসেন শাহী যুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান । - তাঁর ২৬ বছরের শাসনকালে বাংলায় জ্ঞান -বিজ্ঞান ও শিল্পকলার অভাবিত উন্নতি সাধিত হয়েছিল। - এজন্য তাঁর শাসনকালকে বাংলায় মুসলমান শাসনের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয় । - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ ১৩৪২ থেকে ১৪১২ পর্যন্ত সমগ্র বাংলায় প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন । - গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্ ১৩৯৩ থেকে ১৪১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন । - নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ্ ১৪৩৫ থেকে ১৪৫৯ পর্যন্ত বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান ছিলেন । - তিনি বাংলার তিনটি প্রধান জনপদ (লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও) একত্রিত করে সমগ্র বাংলার অধিপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। - এই ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' বা 'বাঙালির শাহ' উপাধি গ্রহণ করেন, যা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি স্থাপন করে।
- পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দের ২১ এপ্রিল ইব্রাহিম লোদী ও বাবরের মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করেন এবং ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়।
- পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৫৫৬ সালে আকবরের সেনাপতি বৈরাম খান ও আফগান নেতা হিমুর মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে হিমু পরাজিত ও নিহত হন, যা মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি সুদৃঢ় করে।
- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ ১৪ই জানুয়ারি ১৭৬১ সালে মারাঠাদের এবং আহমেদ শাহ আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হয়, যা উত্তর ভারতে মারাঠা প্রভাব হ্রাস করে।
- মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা(১৩০৪ থেকে ১৩৭৮), ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সফর করেন। - তাঁর পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ। - তাঁর বাংলা সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল কামরূপের পার্বত্য অঞ্চলে সুপরিচিত সুফি সাধক শেখ জালালউদ্দিনের (যিনি হযরত শাহজালাল মুজার্রদ-ই-ইয়েমেনী নামেও পরিচিত) সাথে সাক্ষাৎ করা। এই উদ্দেশ্যটির কথা তিনি নিজেই তাঁর ভ্রমণকাহিনীতে উল্লেখ করেছেন। - ইবনে বতুতা ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে যখন একুশ বছর বয়সে ছিলেন, তখন তিনি বিশ্ব ভ্রমণে বের হন। আট বছরের মধ্যে তিনি উত্তর আফ্রিকা, আরব, পারস্য, ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূল এবং কনস্টান্টিনোপলসহ বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ভারতে আসেন এবং ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে পৌঁছান। - দিল্লির সুলতান মুহাম্মদ বিন তুগলক তাঁকে দিল্লির কাজী পদে নিয়োগ দেন এবং তিনি প্রায় আট বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সুলতান তাঁকে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেরণ করেন (১৩৪২ খ্রিস্টাব্দে)। কিন্তু যাত্রা পথে জাহাজডুবির কারণে তাঁর চীন যাওয়া সম্ভব হয়নি। এর পরিবর্তে তিনি মালয় দ্বীপপুঞ্জে যান এবং সেখানে এক বছর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন
- মুহাম্মদ বিন তুঘলক ছিলেন দিল্লি সালতানতের একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শাসক। তার রাজত্বকালে তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রতীক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করা। - তুঘলকের সময় দেশে রূপার অভাব দেখা দিয়েছিল এবং প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছিল। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি তামার পাত দিয়ে তৈরি মুদ্রা চালু করেন, যা স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার প্রতীক হিসেবে কাজ করবে। - তামার মুদ্রার মূল্য তামার ধাতব মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল। - এটি আধুনিক মুদ্রার মতো কাজ করত। - মুদ্রার নকশা ছিল জটিল, যাতে জালিয়াতি রোধ করা যায় । - সাম্রাজ্যের কেন্দ্র থেকে শাসনকার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে তিনি রাজধানী দিল্লি থেকে দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন এবং নাম রাখেন 'দৌলতাবাদ'। - এছাড়াও তিনি সোনা-রুপার ঘাটতি পূরণে তামার তৈরি প্রতীকী মুদ্রা চালু করেন, কিন্তু জাল মুদ্রার প্রকোপে তাঁর এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
- খলজি বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান আলাউদ্দিন খলজি। - তিনি মুদ্রায় নিজেকে দ্বিতীয় আলেকজান্ডার হিসেবে উল্লেখ করতেন।
তাঁর সংস্কারকাজের মধ্যে অন্যতমঃ - মূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রবর্তন, - ভূমি জরিপ, - রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার, - জায়গির বা ভূমিদান প্রথার অব্লুপ্তি ইত্যাদি।
শের শাহের আমলের কিছু উল্লেখযোগ্য কীর্তিঃ - পাট্টা ও কাবুলিয়াত প্রথা চালু করেন শের শাহ। - শের শাহ বাংলায় ঘোড়ার ডাক ব্যবস্থার প্রচলন করেন। - তিনি 'দাম' নামক মুদ্রার প্রচলন করেন।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের নেতৃত্বে ভারতে স্বাধীন সুলতানদের শাসনের সূচনা হয়। - কুতুবউদ্দিন আইবেক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইসলামের ইতিহাসে তথাকথিত 'দাস বংশ' নামে পরিচিত। - কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতে দাস বংশের প্রতিষ্ঠাতা। - ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটে খ্রিস্টাব্দ ত্রয়োদশ শতকে। - কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির প্রথম স্বাধীন সুলতান এবং দিল্লির কুতুব মিনার নির্মাণ করেন। - দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শামসউদ্দিন ইলতুৎমিশ।
সিন্ধু বিজয়: - সিন্ধু বিজয় দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। - এই বিজয়ের মধ্য দিয়েই উপমহাদেশে মুসলমানদের আনুষ্ঠানিক আগমন শুরু হয়। - আরব সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম এবং সিন্ধুর শাসক রাজা দাহির ছিলেন এই ঘটনার মূল ব্যক্তিত্ব। - প্রথম সিন্ধু বিজয়ী মুসলিম সেনাপতি ছিলেন মুহাম্মদ বিন কাসিম।
আরও কিছু তথ্য - খলিফা প্রথম ওয়ালিদ এর আমলে ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর উদ্যোগে এবং খলিফার নির্দেশে সিন্ধু অভিযানের ব্যবস্থা করা হয়। - সাম্রাজ্যের বিস্তার ও অর্থ-সম্পদ অর্জনই ছিল এই অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য।
- মুহাম্মদ বিন কাসিম সুবিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু আক্রমণ শুরু করেন। - তিনি পর্যায়ক্রমে দাইবুল, নীরুন, সিওয়ান ও সিসাম দখল করে অগ্রসর হন উত্তরের দিকে। - সিন্ধুরাজ দাহির রাওয়ার দুর্গে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন।
- রাওয়ার পতনের পর মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুর রাজধানী আলোর জয় করেন। - পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী মুলতানও মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে আসে।
- পাল বংশ আট শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারে শাসনকারী রাজবংশ। - শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশ বছর বাংলায় অরাজকতা চলে। এই অরাজক অবস্থাকে বলা হয় 'মাৎস্যন্যায়'। - গোপাল নামক একজন শক্তিশালী লোক এই অরাজকতার অবসান ঘটান। - তাঁর প্রতিষ্ঠিত বংশের নাম পালবংশ। - পালবংশের রাজারা প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করেন। - এযুগে বাংলা একটি স্থিতিশীল ও ঐশ্বর্যশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। - পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন। পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম প্রসার লাভ করেছিল তিববত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে।
- চীনা পরিব্রাজক এবং বৌদ্ধ ধর্মযাজক হিউয়েন সাং (Xuanzang) ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে ভারতবর্ষে আসেন। - তাঁর ভারতে আগমনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ সংগ্রহ করা এবং বৌদ্ধধর্মের পবিত্র স্থানগুলো পরিদর্শন করা। - তিনি ভারতবর্ষে প্রায় ১৬ বছর অবস্থান করেন এবং এর অংশ হিসেবে ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলায় প্রবেশ করেন। - তিনি বাংলার সমৃদ্ধ জনপদ যেমন পুণ্ড্রনগর (মহাস্থানগড়), সমতট (বৃহত্তর কুমিল্লা-নোয়াখালী) এবং তাম্রলিপ্তি (তমলুক) ভ্রমণ করেন। - তাঁর ভ্রমণকাহিনী 'সি-ইউ-কি' গ্রন্থ থেকে তৎকালীন বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে 'চর্যাপদ'-এর পুঁথি আবিষ্কার করেন। - এটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। - তিনি ১৯১৬ সালে এটি 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা' নামে প্রকাশ করেন। - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বা সুনীতীকুমার চট্টিরজী চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন, কিন্তু আবিষ্কারক হলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
- বাংলা ভাষা ইন্দো-আর্য (Indo-Aryan) ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য। - মূল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার থেকে বিবর্তিত হয়ে ভারতীয় আর্য (Indo-Aryan) শাখার মাগধী প্রাকৃত ও অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে।
- 'চর্যাপদ' হলো বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন। - এটি পাল রাজবংশের শাসনামলে (আনুমানিক ৮ম থেকে ১২শ শতক) রচিত হয়েছিল। - চর্যাপদের গানগুলো মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের দ্বারা রচিত হয়েছিল। - এর বিষয়বস্তু হলো বৌদ্ধ ধর্মমতের সাধন ভজনের তত্ত্বপ্রকাশ। - এর কবিরা ছিলেন সহজঘানী বৌদ্ধ। - প্রাচীন বাংলা ভাষার চর্যাপদের মোট ৫০ টি পদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়। - চর্যাপদে আরও একজন পদকর্তার নাম আছে, কিন্তু তার পদটি নেই। সেটি ধরলে চর্যার পদ সংখ্যা ৫১ এবং কবি ২৪ জন। - তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থ 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম আছে। - আর সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে ২৪ জন কবির কথা বলা হয়েছে।
- পাল রাজবংশের শাসকরা প্রধানত বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। - তাঁরা মহাযান এবং বজ্রযান বৌদ্ধধর্মকে বিশেষভাবে সমর্থন ও প্রচার করতেন। - তাঁদের আমলেই নালন্দা ও বিক্রমশিলার মতো বিখ্যাত বৌদ্ধবিহারগুলো সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছায়। - পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা – গোপাল। - গোপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পাল রাজবংশের শাসন বাংলায় প্রায় ‘চারশ' বছর স্থায়ী হয়েছিল। - গোপালের ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে খালিমপুর তাম্রশাসন থেকেও জানা যায়। - গোপালের উত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয় পাল রাজবংশ। - ১৭ জন পাল নৃপতি বাংলা শাসন করেন। - গোপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শাসনের উপর ভিত্তি করে তার পরবর্তী দুই উত্তরাধিকারী ধর্মপাল ও দেবপাল সাম্রাজ্যকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যান।
- বিখ্যাত সোমপুর মহাবিহারটি পাল রাজা ধর্মপালের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল। - এটি বর্তমান বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত। - সোমপুর মহাবিহার ছিল তৎকালীন সময়ের অন্যতম বৃহত্তম বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র। - এটি বর্তমানে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (UNESCO World Heritage Site) হিসেবে স্বীকৃত।
- চন্দ্র রাজবংশ প্রাচীন বাংলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে রাজত্ব করত - এই অঞ্চলটি 'হরিকেল-সমতট' নামে পরিচিত ছিল - আধুনিক বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল - এই রাজবংশের শাসকরাও বৌদ্ধধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং তাঁদের সময়ে এই অঞ্চলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা হতো - চন্দ্রবংশের শাসন কাল ছিল প্রায় ১৫০ বছর - এদের প্রথম শক্তিশালী রাজা ত্রৈলোক্য চন্দ্ৰ - ত্রৈলোক্য চন্দ্রের উপাধি ছিল ‘মহারাজাধিকার’ - চন্দ্র বংশের ক্ষমতার কেন্দ্র স্থল ছিল দেবপর্বত - চন্দ্র রাজবংশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাজা শ্রীচন্দ্র - চন্দ্ৰগণ ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলায় স্বাধীন গৌড় রাজ্যের উত্থান ঘটে। - গুপ্ত শাসকদের দুর্বলতার সুযোগে বাংলায় আঞ্চলিক শক্তির উদ্ভব হয়, যার মধ্যে গৌড় অন্যতম।
গুপ্ত বংশ (Gupta Dynasty)
- প্রতিষ্ঠাতা: মহারাজা শ্রীগুপ্ত। - মহারাজা শ্রীগুপ্তের আদর্শ ছিল: ধ্রুপদী সভ্যতায়। - প্রথম সম্রাট/প্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা: প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। - ভারতবর্ষে শাসনামল: ৩২০ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ। - রাজ্যের সীমা ছিল: বর্তমান ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল। - সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন: সমুদ্রগুপ্ত। - রাজধানী: পাটালিপুত্র। - বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল: পুণ্ড্রনগর।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিশেষত্ব: - ভারতের স্বর্ণযুগ, - হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা - কালিদাস-আর্যভট্ট-বরাহমিহির-বিষ্ণু শর্মার আবির্ভাব ঘটে এই আমলে - আবিষ্কার: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, ধর্ম ও দর্শনে অবদান
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।