খাদ্য অধিদপ্তর (সহকারী পরিচালক)- ০৩-০৮-২০০১ (40 টি প্রশ্ন )
- সঠিক বাক্যটি হলোঃ This watch belongs to my friend .

- "Belong" ক্রিয়াপদটি সাধারণত Simple Present Tense-এ ব্যবহৃত হয় যখন কোনো জিনিসের মালিকানা বা সম্পর্ক বোঝানো হয়।
- এই ক্ষেত্রে, ঘড়িটি বর্তমানে আপনার বন্ধুর সম্পত্তি, তাই Simple Present Tense ব্যবহার হয়েছে।
- "Belong" ক্রিয়াপদটি তৃতীয় পুরুষ একবচনে (third person singular) "belongs" হয়ে যায়।
A) I was disappoint with the film. - এটি ভুল, কারণ 'disappoint' একটি ক্রিয়া। এখানে আমাদের একটি বিশেষণ দরকার।

B) I was disappointed with the film.
- 'disappointed' হল 'disappoint' ক্রিয়ার past participle form, যা এখানে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

C) I was disappointing with the film. - এটি ভুল, কারণ 'disappointing' মানে হল "হতাশাজনক" বা "যা হতাশ করে"। এটি ব্যবহার করা হয় কোনো কিছু বা কারও সম্পর্কে বলার জন্য, যে/যা অন্যদের হতাশ করে।
D) I was disappoints with the film. - এটি ভুল, কারণ 'disappoints' হল বর্তমান কালের তৃতীয় পুরুষের একবচন রূপ (he/she/it disappoints)। এটি এই বাক্যের কাঠামোর সাথে মানানসই নয়।

সুতরাং, সঠিক বাক্যটি হবে: I was disappointed with the film. - যার অর্থ "আমি সিনেমাটি দেখে হতাশ হয়েছিলাম।"
এই বাক্যে সঠিক verb form হবে "is covered"। এটি passive voice এর present simple tense।
- সাধারণত একটি principal clause এবং একটি sub-ordinate clause দ্বারা complex sentence গঠিত হয়।
- Complex sentence-এ who, whom, if, what, that, as, because, since, so that, till, until, though, lest ইত্যাদি conjunction দ্বারা দুটি clause যুক্ত হয়।

- Compound sentence হলো "You have got a first division and I am glad to know it."
- একটি compound sentence দুটি বা তার বেশি independent clause নিয়ে গঠিত হয়।
এখানে,
- "You have got a first division" - এটি একটি independent clause
- "I am glad to know it" - এটিও একটি independent clause

- এই দুটি independent clause "and" conjunction দ্বারা যুক্ত হয়েছে।
A) Alim received good educations in some private institutions.
- এটি ভুল,
- কারণ 'education' এখানে অগণনীয় বিষয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই বহুবচন ('educations') ব্যবহার করা যাবে না।

B) Alim received a good education in some private institutions.
- এটি সঠিক।
- 'a good education' ব্যবহার করা হয়েছে, যা নির্দিষ্ট একটি শিক্ষা প্রক্রিয়াকে বোঝায়। 'some private institutions' ব্যবহার করে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করা হয়েছে।

C) Alim received good education in an private institutions.
- এটি ভুল,
- কারণ 'an' শুধুমাত্র vowel sound দিয়ে শুরু হওয়া একবচন শব্দের আগে ব্যবহৃত হয়। 'private' consonant sound দিয়ে শুরু হয়, তাই 'a' ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া 'institutions' বহুবচন, তাই 'an' বা 'a' ব্যবহার করা যাবে না।

D) Alim received an good education in the private instution.
এটি ভুল, কারণ 'good' consonant sound দিয়ে শুরু হয়, তাই 'a' ব্যবহার করতে হবে, 'an' নয়। এছাড়া 'institution' বানানটি ভুল।

সুতরাং,সঠিক  বাক্যটি- Alim received a good education in some private institutions.- আলিম কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো শিক্ষা লাভ করেছে।
"Complied" এর পরে সাধারণত "with" prepositionটি ব্যবহৃত হয়।
- before এর পূর্বে past perfect tense হয় এবং before এর পরে past indefinite হবে।
- সঠিক বাক্যটি হলোঃ The train had left before we reached the station.


- Lest দ্বারা দুটি clause যুক্ত হলে পরবর্তী clause এর verb এর আগে should/might বসে ।
- অতএব, উত্তর হবে I told her everything lest she should misunderstand me. ও I told her everything lest she might misunderstand me.
'Benevolent' একটি ইংরেজি adjective (বিশেষণ) যা কাউকে বা কিছুতে সদয়, দয়ালু বা সহানুভূতিশীল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটি সাধারণত এমন ব্যক্তিদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যারা অন্যদের মঙ্গল কামনা করে এবং সাহায্য করতে ইচ্ছুক। উদাহরণস্বরূপ, "He is a benevolent person who always helps those in need." এখানে 'benevolent' শব্দটি সেই ব্যক্তির সদয় এবং সহানুভূতিশীল স্বভাবকে নির্দেশ করছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
"Die in harness" একটি ইংরেজি idiom যার অর্থ হলো "কাজ করতে করতে মৃত্যুবরণ করা" বা "অবসর না নিয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়া"। এই idiom এর মূল অর্থের সাথে সবচেয়ে কাছাকাছি অর্থ হলো "die in business"।

"Harness" শব্দটি এখানে metaphorically (রূপকার্থে) ব্যবহৃত হয়েছে, যা কাজের সাথে সম্পর্কিত। তাই "die in harness" মানে হলো কাজের মাঝেই মৃত্যুবরণ করা, যা "die in business" এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

অন্য অপশনগুলো কেন সঠিক নয়:

অপশন B (die in peace): এটি সঠিক নয় কারণ "die in harness" এর অর্থ শান্তিতে মৃত্যুবরণ করা নয়, বরং সক্রিয় ও কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।

অপশন C (die in bed): এটিও সঠিক নয় কারণ বিছানায় মৃত্যুবরণ করা সাধারণত বিশ্রাম বা অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত, যা "die in harness" এর অর্থের বিপরীত।

অপশন D (die in honour): যদিও কাজের মাঝে মৃত্যুবরণ করা সম্মানজনক হতে পারে, কিন্তু এটি idiom টির মূল অর্থকে সঠিকভাবে প্রকাশ করে না। "Die in harness" মূলত কাজের সাথে সম্পর্কিত, সম্মানের সাথে নয়।
- The boy was run over by a car.
- এই বাক্যটিতে "over" preposition হবে।


Fascination - মুগ্ধ করা, মোহিনীশক্তি। 
- সুনির্দিষ্ট সময় বুঝাতে on time বসে। 
- Train একটি সুনির্দিষ্ট সময়ে চলে তাই on time হবে।
- নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বা পরে বোঝাতে in time বসে।
- যে বাক্যে main clause ও subordinate clause নিয়ে গঠিত হয়, তাকে Complex Sentence বলে।
- Complex sentence এ Subordinate clause টি সাধারণত subordinating conjunctions ( though, although, till, until, before, which, what, when, who, whom, after, unless, since, if, as, because, that) ইত্যাদি দ্বারা শুরু হয়।
- সুতরাং complex sentence টি হলো: He bought the library which belonged to his uncle.
♦ dejection- বিষণ্ণতা; বিমর্ষতা; বিষাদ।
♦ joy- আনন্দ; খুশি।
♦ sadness- বিষণ্ণতা; বিমর্ষতা; বিষাদ।
♦ happiness- সুখ, আনন্দ।
♦ disease- অসুখ; রোগ।
♦ ‘আমড়া কাঠের ঢেঁকি’ এর অর্থ হলো অকেজো। 

গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগধারা ও প্রবাদ প্রবচনঃ

♦ আলাভোলা - সাদাসিধে
♦ কূপমণ্ডূক - সীমিত জ্ঞানের মাুষ
♦ কাঁঠালের আমসত্ত্ব - অসম্ভব ব্যাপার
♦ গাঁয়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো - কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা
♦ বড়োর পিরিত বালির বাঁধ - ভঙ্গুর
♦ কত ধানে কত চাল - টের পাওয়ানো
♦ পায়াভারী - অহংকারী
♦ আমড়া কাঠের ঢেঁকি - অকেজো
♦ তেলও কম ভাজাও মচমচে - অল্প উপকরণে ভাল ব্যবস্থা
♦ ঝাঁকের কই - একই দলের লোক
♦ ঝিকে মেরে বউকে শেখানো - একজনকে বকা দিয়ে অপরকে শিক্ষা দেওয়া
♦ পটল তোলা - মারা যাওয়া
♦ দস্ত-ব-দস্ত - হাতে-হাতে
♦ ডুমুরের ফুল - বিরল বস্তু
♦ লেফাফাদুরস্ত - বাইরের ঠাট বজায় রেখে চলা
♦ গুড়ে বালি - আশায় নৈরাশ্য। 

• ‘পরাজয়ের’ - এ শব্দটিতে পরা উপসর্গ। 

• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ মোট ২০ টি। যথা- প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।


• ‘পাগলামী’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হলোঃ পাগল + আমি

আরও কিছু সন্ধিবিচ্ছেদঃ
দুঃ + ঊহ্‌ = দুরূহ,
দুঃ+উক্তি = দুরুক্তি,
দুঃ+আশা = দুরাশা, 
নৈ + অক = নায়ক,
গৈ + অক = গায়ক,
পৌ + অক = পাবক,
পো + অন = পবন,
গো + এষণা = গবেষণা,
ভো + অন = ভবন,
পো + ইত্র = পবিত্র,
গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি। 


• তিনি এ গ্রামের ‘মাথা’ -এ বাক্যে ‘মাথা’ বলতে গ্রামের প্রধান বুঝানো হয়েছে।

• বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে যাদের আভিধানিক অর্থের সাথে ব্যবহারিক অর্থের যথেষ্ট প্রভেদ আছে । বহুভাবে এ ধরনের পার্থক্য দৃষ্ট হয়ে থাকে।
• যেমন -
- মাথা ধরা = রোগবিশেষ ,
- গাঁয়ের মাথা = মোড়ল ,
- মাথা খাওয়া = শপথ করা ,
- মাথাপিছু = জনপ্রতি ইত্যাদি ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• বাংলা ভাষায় "করেছে", "করেছো", "করেছেন" এই তিনটি রূপ মর্যাদাভেদের কারণে ব্যবহৃত হয়।
- যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকেই কর্মকারক বলে।
- ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্মকারক। যেমনঃ ডাক্তার ডাক।
এখানে যদি প্রশ্ন করা হয়, কাকে ডাক? তাহলে উত্তর পাই ‘ডাক্তার’ । সুতরাং, ‘ডাক্তার’ কর্মকারক ।
এরুপ,
- আমাকে একখানা বই দাও।
- করিমকে রহিম গতকাল মেরেছে। 

সুতরাং, করিমকে রহিম গতকাল মেরেছে - কর্মকারকসূচক শব্দ হলো করিমকে
• ‘একদা মরণ-সমুদ্রের বেলা ভূমিতে দাঁড়াইয়া কোন এক আরবীয় সাধক বলিয়াছিলেন’ - এ বাক্যাংশটি সাধু রীতিতে লিখিত। 


সাধুভাষা ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুবির্দিষ্ট , তাই এ ভাষায় সাহিত্যের গাম্ভীর্য প্রকাশ পায়।

সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য:

১: সাধু ভাষায় সমাপিকা ও অসমাপিকা, এই দুই প্রকার ক্রিয়াপদের‌ই পূর্ণ রূপ ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া অনেকগুলি সর্বনাম পদের‌ও পূর্ণ রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আসিতেছে, করিয়াছিলাম, দেখিয়াছি, বলিয়া থাকিব, শুনিতাম, ইহা, উহা, তাহারা, যাহার ইত্যাদি।

২: সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের আধিক্য দেখা যায়। যেমন: গৃহ, ভবন, গগন, বাটী, তৃণ, ঘৃত, মৃগয়া, বৎস, হস্ত, পদ, বৃক্ষ, কুজ্ঝটিকা, মৃত্তিকা ইত্যাদি।

৩: সাধু ভাষায় অনুসর্গগুলির পূর্ণ রূপ দেখা যায় এবং কিছু তৎসম অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। যেমন: হ‌ইতে, চাহিয়া, থাকিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি।

৪: সাধু ভাষা অনেকটা সংস্কৃত ভাষার অনুসরণে গঠিত হ‌ওয়ার কারণে এই ভাষার ধ্বনিঝংকার অপেক্ষাকৃত বেশি। 

৫: সন্ধিবদ্ধ ও সমাসবদ্ধ শব্দের ব্যবহার সাধু ভাষায় তুলনামূলক ভাবে বেশি দেখা যায়।

৬: সাধু ভাষায় সংস্কৃত সংখ্যাবাচক শব্দের কিছু কিছু ব্যবহার দেখা যায়। যেমন: দ্বাদশ, চতুর্দশ, পঞ্চদশ ইত্যাদি।

৭: সাধু ভাষা মানুষের মুখে প্রচলিত ভাষার উপর নির্ভর করে গঠিত হয়নি, তাই এই ভাষা অপেক্ষাকৃত দুর্বোধ্য।


• জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়- সোনালী কাবিন। 
সোনালী কাবিন আল মাহমুদ রচিত কাব্যগ্রন্থ

• আল মাহমুদ রচিত কাব্যগ্রন্থঃ 
- পাখির কাছে ফুলের কাছে,
- লোক লোকান্তর,
- কালের কলস,
- অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না ইত্যাদি ।

জীবনানন্দ দাশঃ 
- কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক।

- ছাত্রাবস্থায় তাঁর প্রথম কবিতা ‘বর্ষ-আবাহন’ ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯) প্রকাশিত হয়।

- মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন।
- তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলি হচ্ছে- 
- ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬),
- বনলতা সেন (১৯৪২),
- মহাপৃথিবী (১৯৪৪),
- সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮),
- রূপসী বাংলা (রচনাকাল ১৯৩৪, প্রকাশকাল ১৯৫৭),
- বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)।
- এছাড়াও বহু অগ্রন্থিত কবিতা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

- তাঁকে বাংলা ভাষার 'শুদ্ধতম কবি' বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
- এছাড়াও তিনি 'রূপসী বাংলার কবি', 'নির্জনতার কবি', 'তিমির হননের কবি', 'ধূসরতার কবি' প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
- ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।



- বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
- তিনিই বাংলায় প্রথম সনেট রচনা করেন এবং তার নাম দেন ‘চতুর্দশপদী’।
- বাংলা সনেটের আদি গ্রন্থ ‘চতুর্দশপদী কবিতা’ (১৮৬৬)।
- তাঁর ছদ্মনাম টিমোথি পেনপোয়েম।
- তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।

তাঁর রচিত নাটক ও প্রহসনঃ
- শর্মিষ্ঠা নাটক (১৮৫৯)
- কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১)
- মায়া-কানন (১৮৭৪)
- একেই কি বলে সভ্যতা? (১৮৬০)
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
- পদ্মাবতী নাটক (১৮৬০)। 

তাঁর রচিত কাব্যঃ
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০)
- মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫)
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১)
- বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)। 

-  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্প 'ক্ষুধিত পাষাণ' ১৯২০ সালে প্রকাশিত হয়।
- তাঁর রচিত অন্যান্য অতিপ্রাকৃত গল্প- কঙ্কাল, গুপ্তধন, জীবিত ও মৃত, নিশীতে, মণিহার ইত্যাদি।

অন্যদিকে, 
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গল্প - পদ্ম গোখরো।
• জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ- রূপসী বাংলা ।
• সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ রচিত গল্প - একটি তুলসী গাছের কাহিনী।


- কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস এবং এটি একটি রোমান্সধর্মী উপন্যাস।
- ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
- গিরিশচন্দ্র ঘোষ এই উপন্যাসের একটি নাট্যরূপ দেন (১৮৭৩) এবং দামোদর মুখোপাধ্যায় এই উপন্যাসের একটি উপসংহার উপন্যাস রচনা করেন এবং নামকরণ করেন মৃন্ময়ী (১৮৭৪)। 
- নায়িকা কপালকুণ্ডলা নায়ক নবকুমার কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ।

উপন্যাসটির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সংলাপ গুলো হলোঃ
- প্রদীপ নিবিয়া গেল।
- তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন।


• প্যারীচাঁদ মিত্র কর্তৃক রচিত সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস 'আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৮)।
• উপন্যাসটি ইংরেজিতে Spoiled Child নামে অনূদিত।
• এটি বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস, যা তিনি টেকচাঁদ ঠাকুর নামে ১৮৫৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে 'মাসিক পত্রিকায় লিখতেন।
• এটি কথ্য ভাষায় লিখিত, যা 'আলালি ভাষা' নামে পরিচিত।
• ধনাঢ্য বাবুরামের পুত্র মতিলাল কুসঙ্গে মিশে এবং শিক্ষার প্রতি পিতার অবহেলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। পিতার মৃত্যুর পর সব সম্পত্তির বিনাশ সাধন করার পর তার বোধোদয় ঘটে। ফলে হৃদয়-মন পরিবর্তিত হওয়ায় সে সৎ ও ধর্মনিষ্ঠ হয়।
•  চরিত্র: মতিলাল, মোকাজান মিঞা বা ঠক চাচা, পূর্ত উকিল বটলর, অর্থলোভী বাঞ্ছারাম, তোষামোদকারী বক্রেশ্বর। 
• তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থঃ
- 'মদ খাওয়া বড় দায়,
- জাত থাকার কি উপায়' (১৮৫৯),
- 'রামারঞ্জিকা' (১৮৬০),
- 'গীতাঙ্কুর (১৮৬১),
- 'যকিঞ্চিৎ' (১৮৬৫),
- 'অভেদী' (১৮৭১),
- 'ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত (১৮৭৮),
- 'আধ্যাত্মিকা (১৮৮০),
-'বামাতোষিণী' (১৮৮১),
- 'কৃষিপাঠ' (১৮৬১),
- The Zamindar and Royats..
- বিষাদসিন্ধু হল মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস।
- বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
- ৬৮০ সালে সংঘটিত কারবালার যুদ্ধ ও এর পূর্বাপর ঘটনাবলী এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয়।
- বিষাদসিন্ধু ১৮৮৮ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে রচিত হয়।
- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথমদিককার উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
- ঐতিহাসিক উপন্যাস হলেও ইতিহাসের দিক থেকে এতে উল্লেখিত সকল ঘটনা নির্ভরযোগ্য নয়।
- এটি কাব্যিক শৈলীতে রচিত এবং এতে অনেক নাটকীয় পর্ব রয়েছে। এসময় বাংলা উপন্যাস লেখার চল খুব বেশি ছিল না।
- মীর মশাররফ হোসেনসহ অন্যান্য লেখকরা এসময় বাংলা উপন্যাসের ধারা সৃষ্টি করছিলেন।
- তৎকালীন রীতি অনুযায়ী এই উপন্যাস সাধু ভাষায় লেখা হয়েছে। অনেক বাঙালি মুসলিম এই বইকে ধর্মীয় জ্ঞানে শ্রদ্ধা করে থাকেন, বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ঔপন্যাসিক হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
- তিনি ১৮৩৮ সালের ২৭ জুন চবিবশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- উপনিবেশিক সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন।
- তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১৮৯১ সালে ‘রায়বাহাদুর’ এবং ১৮৯৪ সালে ‘Companion of the Most Eminent Order of the Indian Empire’ (CMEOIE) উপাধি প্রদান করে।
- তাঁর প্রথম দিকের বাংলা ও ইংরেজি রচনা (ললিতা, মানস, Adventures of a Young Hindu এবং Rajmohan’s Wife)।
- বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর হিন্দুজাতির পুনরুত্থান বিষয়ক প্রবন্ধ ও গ্রন্থে ‘বন্দে মাতরম্’, ‘মাতৃভূমি’, ‘জন্মভূমি’, ‘স্বরাজ’, ‘মন্ত্র’ প্রভৃতি নতুন শ্লোগান তৈরি করেছিলেন।
- তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
- তার লেখা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫)।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাসঃ
- কপালকুণ্ডলা
- মৃণালিনী
- বিষবৃক্ষ
- ইন্দিরা
- যুগলাঙ্গুরীয়
- রাজসিংহ
- আনন্দমঠ
- দেবী চৌধুরানী,
- চন্দ্রশেখর
- রাধারানী
- রজনী
- কৃষ্ণকান্তের উইল ইত্যাদি।

সোর্সঃ বাংলা পিডিয়া। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• উক্ত উদ্ধৃতাংশটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের খেয়াপারের তরণী কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। 
- কবিতাটি নিম্নরূপ: 

খেয়াপারের তরণী
কাজী নজরুল ইসলাম

যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার,
বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার?
প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে!
ঝন্‌ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে!

নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ!
মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!
নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,
ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।

তমসাবৃতা ঘোরা 'কিয়ামত' রাত্রি,
খেয়া-পারে আশা নাই ডুবিল রে যাত্রী!
দমকি দমকি দেয়া হাঁকে কাঁপে দামিনী,
শিঙ্গার হুঙ্কারে থরথর যামিনী!

লঙ্ঘি এ সিন্ধুরে প্রলয়ের নৃত্যে
ওগো কার তরী ধায় নির্ভীক চিত্তে-
অবহেলি জলধির ভৈরব গর্জন
প্রলয়ের ডঙ্কার ওঙ্কার তর্জন!

পুণ্য-পথের এ যে যাত্রীরা নিষ্পাপ,
ধর্মেরি বর্মে সু-রক্ষিত দিল্ সাফ!
নহে এরা শঙ্কিত বজ্র নিপাতেও
কাণ্ডারী আহমদ তরী ভরা পাথেয়।

আবুবকর উস্মান উমর আলি হায়দর
দাঁড়ি যে এ তরণীর, নাই ওরে নাই ডর!
কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা,
দাঁড়ি-মুখে সারিগান লা-শরিক আল্লাহ!

- বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
• তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থঃ
- অগ্নিবীণা,
- মরুভাস্কর,
- সঞ্চিতা,
- চিত্তনামা,
- দোলনচাঁপা,
- সন্ধ্যা,
- চক্রবাক,
- চন্দ্রবিন্দু,
- ছায়ানট,
- বিষের বাঁশি,
- সর্বহারা,
- সাম্যবাদী,
- ফনিমনসা ইত্যাদি। 
• কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা ধূমকেতু (১৯২২), দৈনিক নবযুগ (১৯২০), লাঙ্গল (১৯২৫) ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0