|
|
- 'বেনের মেয়ে' উপন্যাসের রচয়িতা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। - এটি প্রকাশিত হয় ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে। - এর চরিত্রগুলি প্রায় সবই কাল্পনিক কিন্তু এর পরিবেশ ঐতিহাসিক। - দশম-একাদশ শতাব্দীর বাংলাদেশ, বৌদ্ধধর্মের অবসান ও হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানের কালে সপ্তগ্রামের এর বৌদ্ধ পরিবারকে নিয়ে কাহিনিটি রচিত হয়েছে।
- 'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীমউদ্দীন। - 'আগুনের মেয়ে' নামক উপন্যাসটির রচয়িতা আল মাহমুদ। - 'একটি কালো মেয়ের কথা' নামে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস রয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
ইসমাইল হোসেন সিরাজী একজন লেখক ও কৃষক নেতা। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, এ কারণেই তিনি তাঁর নামের সঙ্গে ‘সিরাজী’ উপাধি যুক্ত করেন ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য গ্রন্থ অনল প্রবাহ (১৯০০), আকাঙ্ক্ষা (১৯০৬), উচ্ছ্বাস (১৯০৭), সঙ্গীত সঞ্জীবনী (১৯১৬), প্রেমাঞ্জলি (১৯১৬), উদ্বোধন (১৯০৭), নব উদ্দীপনা (১৯০৭), স্পেন বিজয় কাব্য (১৯১৪)।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ফিরোজা বেগম (১৯১৮), নূরুদ্দীন (১৯১৯), রায়নন্দিনী (১৯১৫), তারাবাঈ (১৯১৬),
|
|
| |
|
|
|
- উইলিয়াম কেরী রচিত বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ এবং বাংলা ভাষার কথ্যরীতির প্রথম নিদর্শন ‘কথোপকথন’ (১৮০১)। - একাধিক মানুষের মুখের সাধারণ কথা বা কথোপকথন বা ডায়লগ এ গ্রন্থের উপজীব্য।
- কেরী রচিত বাংলা ভাষার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ইতিহাসমালা’ (১৮১২)।
- প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন 'চর্যাপদ';
- মধ্যযুগের সাহিত্যিক নিদর্শন ‘মঙ্গলকাব্য';
- প্যারীচাঁদ মিত্র রচিত ‘আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
সৈয়দ মুজতবা আলী একজন বিংশ শতকী বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা। তিনি তাঁর ভ্রমণকাহিনির জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। তাঁর রচিত ভ্রমণকাহিনী- দেশে বিদেশে (১৯৪৯), জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০)।
|
|
| |
|
|
|
- মুহম্মদ আবদুল হাই শিষ্ট কথ্য বাংলা ভাষার ধ্বনি এবং ধ্বনিতত্ত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণে ব্রতী হন এবং তাঁর গবেষণালব্ধ ফল ‘ধ্বনি বিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ (১৯৬৫) নামক গ্রন্থে প্রকাশ করেন। - মুহম্মদ আবদুল হাই-এর এই গ্রন্থটি অধ্যাবধি বাংলা ভাষায় রচিত বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব পর্যালোচনার সর্বাধিক গভীর বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ। - আবদুল হাই এ গ্রন্থে বাংলা স্বরধ্বনির সংখ্যা, দ্বিস্বর এবং অর্ধস্বরের গঠন, ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোর ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিচয়, বাক্প্রবাহে ধ্বনির রূপ, সন্ধি ও সামগ্রিকীভবন, ধ্বনিগুণ এবং স্বরতরঙ্গ বিষয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছেন।
বাংলা ভাষা সংক্রান্ত বই: • বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত - ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ • ভাষার ইতিবৃত্ত - সুকুমার সেন • বাংলা ভাষার সংস্কার, মুসলিম বাঙলা সাহিত্য, মনীষা মঞ্জুসা - মুহাম্মদ এনামুল হক • সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ভাষা ও সাহিত্য, ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব - মুহাম্মদ আব্দুল হাই।
|
|
| |
|
|
|
- শূন্যপুরাণ বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগের একটি সাহিত্যকর্ম। এর রচয়িতা রামাই পন্ডিত। - এটি একটি চম্পুকাব্য, যাতে পদ্য ও গদ্য উভয়ই মিশ্রিত রয়েছে। - শূন্যপুরাণের রচনাকাল ১৪শ শতাব্দীর মধ্যভাগে ধারণা করা হয়। - এটি হিন্দু দেবতা শিবের জীবন ও কর্মকীর্তি নিয়ে রচিত একটি ধর্মীয় মহাকাব্য। - শূন্যপুরাণ বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এই যুগে বাংলা সাহিত্যে হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রভাব ব্যাপকভাবে দেখা যায়। - শূন্যপুরাণে রামাই পন্ডিত শিবের জীবন ও কর্মকীর্তিকে বর্ণনা করেছেন একটি কল্পিত দ্বীপ শূন্যপুরের পটভূমিতে। - কাব্যটিতে পদ্য ও গদ্য উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে। পদ্যগুলি মূলত শিবের গুণগান ও বীরত্বের বর্ণনা করে, যখন গদ্য অংশগুলি কাহিনী বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- সেলিনা হোসেনের জন্ম ১৪ জুন, ১৯৪৭, রাজশাহী শহর । - পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন রাজশাহী রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক ছিলেন। মাতার নাম মরিয়মন্নেসা বকুল । - ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে লেখালেখির সূচনা। সেই সময়ের লেখা নিয়ে প্রথম গল্পগ্রন্থ 'উৎস থেকে নিরন্তর' প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। - তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয় সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংকটের সামগ্রিকতা। - সাহিত্যসাধনার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮০), একুশে পদক (২০০৯) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৮) অর্জন করেন। - এছাড়া ১৯৯৪-৯৫ সালে তিনি তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ রচনার জন্য ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। - ২০১০ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট উপাধি পান। - ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, কানাড়ি, রুশ, মালে, ফরাসি প্রভৃতি ভাষায় তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প অনূদিত হয়েছে। - ১৯৮৭ সালে 'হাঙর নদী গ্রেনেড এবং ১৯৮৩ সালে 'নীল মহূরের যৌবন' এবং ১৯৯৯ সালে "টানাপোড়েন" উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ পায়। - পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ‘যাপিত জীবন' এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নিরস্তর ঘণ্টাধ্বনি' উপন্যাস পাঠ্যসূচিভুক্ত।
|
|
| |
|
|
|
কায়কোবাদ ১৮৫৭ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার অধীনে আগলা-পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৩২ সালে, তিনি কলকাতাতে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলন-এর প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তার বিখ্যাত কবিতাগুলো হলঃ - সায়াহ্নে - বিদায়ের শেষ চুম্বন - নিবেদন বঙ্গভূমিও বঙ্গভাষা - প্রেম -প্রতিমা - কে তুমি - সুখ - দেশের বাণী - প্রণয়ের প্রথম চুম্বন
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- ঋগ্বেদ, যা প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, মূলত বিভিন্ন ঋষি বা মুনিদের দ্বারা রচিত। - এই গ্রন্থে মোট ১০২৮টি সূক্ত এবং ১০,৫৫২টি মন্ত্র (ঋক) রয়েছে। - প্রতিটি সূক্ত বা মন্ত্রের রচয়িতা হিসেবে বিভিন্ন ঋষির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। - ঋগ্বেদের রচয়িতাদের সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যায় যে, মোট ৩৭৮ জন ঋষি এই গ্রন্থের রচনায় অবদান রেখেছেন। - এই ঋষিদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি এবং কিছু গোত্র বা পরিবারও অন্তর্ভুক্ত। যেমন, বিশ্বামিত্র, ভরদ্বাজ, অত্রি, কশ্যপ, এবং বাসিষ্ঠ প্রমুখ ঋষিরা ঋগ্বেদের রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
|
|
| |
|
|
|
-‘মন্দির’ শরৎচন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত রচনা ও গল্প। -এই গল্পের জন্য তিনি কুন্তলীন (১৯০৩) পুরস্কার লাভ করেন।
-তার রচিত অন্যান্য গল্পঃ মহেশ, বিলাসী, মামলার ফল, রামের সুমতি, মেজদিদি, বিন্দুর ছেলে ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
● পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ১ জানুয়ারি, ১৯০৩ সালে ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস: ফরিদপুরের গোবিন্দপুর (বর্তমান নাম: আম্বিকাপুর) । তিনি ১৩ মার্চ, ১৯৭৬ সালে মারা যান। তাঁর অন্তিম ইচ্ছানুসারে ১৪ মার্চ ফরিদপুরের আম্বিকাপুরে দাদীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলো: - নক্সীকাঁথার মাঠ, - ধানক্ষেত, - রূপবতী, - রাখালী, বালুচর, - মাটির কান্না ইত্যাদি। শিশুতোষ গ্রন্থগুলো হলো: - হাসু, এক পয়সার বাঁশি ও ডালিম কুমার। তার রচিত নাটকগুলো: - মধুমালা, - বেদের মেয়ে, - পল্লীবধূ ও গ্রামের মায়া।
|
|
| |
|
|
|
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ আগস্ট, ১৮৯৮ সালে বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। - ১৯৫২ সালে তিনি বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং আট বছর বিধানসভা ও ছয় বছর রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। - তিনি 'পদ্মশ্রী' ও 'পদ্মভূষণ' উপাধি লাভ করেন। - তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সালে কলকাতায় মারা যান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার শোকবার্তা প্রেরণ করে।
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসসমূহঃ চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩১), ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯), কালিন্দী (১৯৪০), কবি (১৯৪২), গণদেবতা (১৯৪২), আরোগ্য নিকেতন (১৯৫৩), যতিভঙ্গ (১৯৬২), অরণ্যবহ্নি (১৯৬৬), জলসাঘর (১৯৪২), পঞ্চগ্রাম (১৯৪৩), অভিযান (১৯৪৬), হাঁসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৪৭), পঞ্চপুণ্ডলী (১৯৫৬), রাধা (১৯৫৭), সুতপার তপস্যা।
- তার ত্রয়ী উপন্যাসঃ ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯), গণদেবতা (১৯৪২), পঞ্চগ্রাম (১৯৪৩)।
- ছোটগল্পসমূহঃ 'রসকলি' (১৯২৮): এটি তাঁর রচিত প্রথম ছোটগল্প যা ১৯২৮ সালে 'কল্লোল' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 'জলসাঘর' (১৯৩৭): এটি ১১টি গল্পের সংকলন। 'বেদেনী' (১৯৪০), 'পাষাণপুরী', 'তারিণী মাঝি', 'নীলকণ্ঠ', 'ছলনাময়ী', 'ডাক হরকরা', 'বেদে', 'পটুয়া', 'মালাকার', 'লাঠিয়াল', 'চৌকিদার', 'অগ্রদানী'।
- তার অন্যান্য সাহিত্যকর্মসমূহ: নাটক: 'পথের ডাক' (১৯৪৩), 'দুই পুরুষ' (১৯৪৩), 'দীপান্তর' (১৯৪৫)। প্রহসন: চকমকি (১৯৪৫)। কাব্যগ্রন্থ: 'ত্রিপত্র' (১৯২৬), এর মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য সাধনার হাতেখড়ি। ভ্রমণকাহিনী: 'মস্কোতে কয়েক দিন' (১৯৫৯)।
|
|
| |
|
|
|
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ আগস্ট, ১৮৯৮ সালে বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। - ১৯৫২ সালে তিনি বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং আট বছর বিধানসভা ও ছয় বছর রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। - তিনি 'পদ্মশ্রী' ও 'পদ্মভূষণ' উপাধি লাভ করেন। - তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সালে কলকাতায় মারা যান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার শোকবার্তা প্রেরণ করে।
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসসমূহঃ চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩১), ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯), কালিন্দী (১৯৪০), কবি (১৯৪২), গণদেবতা (১৯৪২), আরোগ্য নিকেতন (১৯৫৩), যতিভঙ্গ (১৯৬২), অরণ্যবহ্নি (১৯৬৬), জলসাঘর (১৯৪২), পঞ্চগ্রাম (১৯৪৩), অভিযান (১৯৪৬), হাঁসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৪৭), পঞ্চপুণ্ডলী (১৯৫৬), রাধা (১৯৫৭), সুতপার তপস্যা।
- তার ত্রয়ী উপন্যাসঃ ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯), গণদেবতা (১৯৪২), পঞ্চগ্রাম (১৯৪৩)।
- ছোটগল্পসমূহঃ 'রসকলি' (১৯২৮): এটি তাঁর রচিত প্রথম ছোটগল্প যা ১৯২৮ সালে 'কল্লোল' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। 'জলসাঘর' (১৯৩৭): এটি ১১টি গল্পের সংকলন। 'বেদেনী' (১৯৪০), 'পাষাণপুরী', 'তারিণী মাঝি', 'নীলকণ্ঠ', 'ছলনাময়ী', 'ডাক হরকরা', 'বেদে', 'পটুয়া', 'মালাকার', 'লাঠিয়াল', 'চৌকিদার', 'অগ্রদানী'।
- তার অন্যান্য সাহিত্যকর্মসমূহ: নাটক: 'পথের ডাক' (১৯৪৩), 'দুই পুরুষ' (১৯৪৩), 'দীপান্তর' (১৯৪৫)। প্রহসন: চকমকি (১৯৪৫)। কাব্যগ্রন্থ: 'ত্রিপত্র' (১৯২৬), এর মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য সাধনার হাতেখড়ি। ভ্রমণকাহিনী: 'মস্কোতে কয়েক দিন' (১৯৫৯)।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমধিক খ্যাত। - আধুনিক ঔপন্যাসিকদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক জনপ্রিয়। - তাঁর সংলাপপ্রধান গল্প ও উপন্যাসে খুব অল্প বাক্যে তিনি একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারতেন এবং অতিবাস্তব বিষয়গুলি এমনভাবে অনায়াসে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করতেন যেন মনে হয় যাদু বাস্তবতা। - হুমায়ূন আহমেদ ১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে কৃষ্ণপক্ষের শনিবার রাত ১০.৩০ মিনিটে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনার কুতুবপুর। - তাঁর ডাক নাম কাজল। পিতৃপ্রদত্ত নাম শামসুর রহমান। - কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব তাঁর ভাই। - তিনি পলিমার কেমিস্ট্রি বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। - তিনি ১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌতরসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে যোগ দেন। - বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ হুমায়ূন আহমেদ। 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা' (১৯৭৩) প্রথম বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য। - হুমায়ুন আহমেদ এর সৃষ্ট লজিক ও অ্যান্টি লজিক নিয়ে কাজ করা দুটি অমর চরিত্র মিসির আলী ও হিমু। মিসির আলী বাস্তববাদী, যুক্তিনির্ভর ও রহস্যময় চরিত্র। - মিসির আলী চরিত্রের প্রথম উপন্যাস 'দেবী' (১৯৮৫)। হিমুর আসল নাম হিমালয়। পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী তার পোশাক। নব্বইয়ের দশকে 'ময়ূরাক্ষী' (১৯৯০) উপন্যাসের মধ্য দিয়ে হিমুর আত্মপ্রকাশ। - গাজীপুরের 'নুহাশ পল্লী' তাঁর নির্মিত বাগানবাড়ি। - তিনি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৮১), 'একুশে পদক' (১৯৯৪) লাভ করেন। - তিনি ১৯ জুলাই, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশ পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
- তার উপন্যাস সমূহঃ নন্দিত নরকে (১৯৭২), কে কথা কয় (২০০৬), কোথাও কেউ নেই (১৯৯২), 'দেয়াল' (২০১২): এটি রাজনৈতিক উপন্যাস ।(সর্বশেষ উপন্যাস) 'আমার আছে জল' (১৯৮৫), 'নিশিথিনী' (১৯৮৭), 'সম্রাট' (১৯৮৮), 'রজনী' (১৯৮৯), 'বহুব্রীহি' (১৯৯০), 'এইসব দিনরাত্রি' (১৯৯০), 'ময়ূরাক্ষী' (১৯৯০), 'অয়োময়' (১৯৯০), 'শ্রাবণ মেঘের দিন' (১৯৯৪), 'গৌরিপুর জংশন' (১৯৯৫), 'কবি' (১৯৯৬), 'দূরে কোথাও' (১৯৯৭), 'ইস্টিশন' (১৯৯৯), 'বৃষ্টিবিলাস' (২০০০), 'নক্ষত্রের রাত' (২০০৩), 'এপিটাফ' (২০০৪), 'লীলাবতী' (২০০৫), 'মধ্যাহ্ন' (২০০৮) ইত্যাদি।
- তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থসমূহঃ আমার ছেলেবেলা (১৯৯১), বলপয়েন্ট (২০০৯), কাঠপেন্সিল (২০১০), রংপেন্সিল (২০১১), লীলাবতীর মৃত্যু (২০১৪)।
তার কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ - জোছনা ও জননীর গল্প (২০০৪), - শ্যামল ছায়া (২০০৩), - আগুনের পরশমণি (১৯৮৬), - নির্বাসন, - সৌরভ, - সূর্যের দিন।
|
|
| |
|
|
|
- আহমদ ছফা একজন প্রতিবাদী লেখক, প্রগতিপন্থি সাহিত্যকর্মী ও সংগঠক। - ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। - আহমদ ছফা ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল লেখক। - ষাটের দশকে তাঁর সাহিত্য-জীবনের সূচনা হয়। - বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে তিনি এক সফল লেখক। - জীবনের বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে তিনি গল্প-উপন্যাস রচনায় কাজে লাগিয়েছেন। - গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবেই তাঁর পরিচিতি সর্বাধিক। - আহমদ ছফার গবেষণার বিষয় ছিল বাঙালি মুসলমান সমাজ। - তাঁর মৃত্যু ২০০১ সালের ২৮ জুলাই।
তাঁর রচিত উপন্যাস সমূহ: - সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭), - উদ্ধার (১৯৭৫), - একজন আলী কেনানের উত্থান পতন (১৯৮৯), - অলাতচক্র (১৯৯০), - ওঙ্কার (১৯৯৩), - গাভীবৃত্তান্ত (১৯৯৪), - অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬), - পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬)
গল্পগ্রন্থ: নিহত নক্ষত্র (১৯৬৯)
কাব্যগ্রন্থ: জল্লাদ সময়, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমোবে এবার ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য রচনা: নতুন বিন্যাস (১৯৭৩) ও বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৭৬)
|
|
| |
|
|
|
কাজী আবদুল ওদুদ - প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ কাজী আবদুল ওদুদ ছিলেন মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আধুনিক বাংলা সাহিত্যধারায় আবদুল ওদুদের প্রধান পরিচয় চিন্তাশীল লেখক হিসেবে। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সাহিত্য সমাজের 'শিখা' (১৯২৭) পত্রিকায় লেখার জন্য নওয়াব পরিবার কর্তৃক নিগৃহীত হন এবং ঢাকা ত্যাগ করে কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। সাহিত্য সমাজের নেতৃত্বে পরিচালিত বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। - কাজী আবদুল ওদুদ ২৬ এপ্রিল, ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজবাড়ী (তৎকালীন ফরিদপুর) জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাময়িক 'সংকল্প' (১৯৫৪) পত্রিকার সম্পাদক এবং 'তরুণ পত্র' (১৯৬৫) পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। - তিনি 'ব্যবহারিক শব্দকোষ' (১৯৫৩) নামে একটি অভিধান সংকলন করেন। - তিনি ১৯ মে, ১৯৭০ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
|
|
| |
|
|
|
জাহানারা ইমাম - জাহানারা ইমাম শহীদ জননী হিসেবে খ্যাত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়করূপে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামের এক রক্ষণশীল পরিবারে ১৯২৯ সালের ৩ মে জাহানারা ইমাম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পিতা আবদুল আলীর তত্ত্বাবধানে রক্ষণশীলতার বাইরে এসে আধুনিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন। - ১৯৪৫ সালে কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে তিনি বিএ পাস করেন। - তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। - ফুলব্রাইট স্কলার জাহানারা ইমাম আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১৯৬৬ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬৮-র দিকে সে চাকরি ছেড়ে দেন। - পরে তিনি নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ব্যক্তিত্বময়ী জাহানারা ইমাম ষাটের দশকে ঢাকার সংস্কৃতি মহলে সুপরিচিত ছিলেন। - উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম হলো: অন্য জীবন (১৯৮৫), বীরশ্রেষ্ঠ (১৯৮৫), জীবন মৃত্যু (১৯৮৮), চিরায়ত সাহিত্য (১৯৮৯), বুকের ভিতরে আগুন (১৯৯০), নাটকের অবসান (১৯৯০), দুই মেরু (১৯৯০), নিঃসঙ্গ পাইন (১৯৯০), নয় এ মধুর খেলা (১৯৯০), ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস (১৯৯১) ও প্রবাসের দিনলিপি (১৯৯২)। - তিনি ১৯৯২ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’র আহবায়ক হন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক দল ও কর্মিবৃন্দ, দেশপ্রেমিক তরুণ সমাজ এবং প্রজন্ম ’৭১ তাঁর আহবানে এগিয়ে আসেন। তাঁদের সক্রিয় সমর্থনে জাহানারা ইমাম ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে গণ-আদালত গড়ে তোলেন। - ১৯৮১ সালের দিকে জাহানারা ইমাম মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। - ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। সেখান থেকে ঢাকায় এনে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
- আবুল মনসুর আহমদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও বিদ্রুপাত্মক রচনার লেখক হিসেবেই তিনি সমধিক পরিচিত।
তাঁর বিখ্যাত বিদ্রুপাত্মক রচনা হচ্ছে: - আয়না (১৯৩৬-১৯৩৭) ও - ফুড কনফারেন্স (১৯৪৪)।
তাঁর রচিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে: - সত্যমিথ্যা (১৯৫৩), - জীবন ক্ষুধা (১৯৫৫) ও - আবে-হায়াৎ (১৯৬৪)।
স্মৃতিকথা: - আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১৯৬৯), - শের-ই-বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু (১৯৭২)।
আত্মচরিত: - আত্মকথা (১৯৭৮)।
সোর্সঃ বাংলাপিডিয়া।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- শওকত ওসমান রচিত গ্রন্থাকারে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘জননী' (১৯৫৮)। সন্তানের মঙ্গলাকাঙ্ক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য একজন মা গোপনে যে কোনো পথ অবলম্বন করতে পারেন, শওকত ওসমান সে কথাই এ উপন্যাসে ব্যক্ত করেছেন। মহেশডাঙ্গার দরিয়াবিবি সন্তান মোনাদিকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য ইয়াকুবের শয্যাসঙ্গিনী হয়। ইয়াকুবের ঔরষে তার গর্ভে সন্তান এলেও সামাজিক সকল বিপত্তি এড়িয়ে অসীম মমতায় তাকে লালন-পালন করে।
তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস: - ‘জাহান্নম হইতে বিদায়’ (১৯৭১), - ‘দুই সৈনিক' (১৯৭৩), - 'নেকড়ে অরণ্য' (১৯৭৩), - ‘জলাঙ্গী’ (১৯৭৬), - ‘বনি আদম’, - ‘ক্রীতদাসের (১৯৬২), - ‘আর্তনাদ' (১৯৮৫), - ‘সমাগম', - ‘চৌরসন্ধি’, - ‘রাজা উপাখ্যান’, - ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’, - ‘রাজপুরুষ'।
|
|
| |
|
|
|
- সমরেশ বসু ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক। তার জন্মনাম সুরথনাথ বসু এবং ছদ্মনাম কালকূট। - তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস "উত্তরঙ্গ" ।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- -উত্তরঙ্গ (১৯৫১) -গঙ্গা (১৯৫৭) -বিবর (১৯৬৫) -প্রজাপতি -দেখি নাই ফিরে -সওদাগর -কোথায় পাবো তারে (১৯৬৮) ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬০ সালে রচনা করেন নীল দর্পণ নাটক। এটি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রাথমিক আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক নাটক। দীনবন্ধু মিত্র সাতটি নাটক ও প্রহসন লিখেছিলেন। তাঁর গভীর রসের নাটক হলঃ - নীলদর্পণ'(১৮৬০), - 'নবীন তপস্বিনী'(১৮৬৩), - 'কমলে কামিনী'।
আর চারটি প্রহসন হল - 'বিয়ে পাগলা বুড়ো', - 'সধবার একাদশী' - 'লীলাবতী', - 'জামাই বারিক' ।
|
|
| |
|
|
|
- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহোদর সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সাংবাদিক, লেখক ও পণ্ডিত। - একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইংরেজি সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও আইনে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। - ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাঁকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেয়। - তিনি সামাজিক অসাম্য ও সাংস্কৃতিক অনগ্রসরতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন। - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৪ সালে চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - তিনি Bengali Ryots : Their Pights and Liabilities (১৮৬৪) নামক গ্রন্থ লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। - 'ভ্রমর' (১৮৭৪-৭৫), 'বঙ্গদর্শন' (১৮৭৭-৮২) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। - তিনি ১৮৮৯ সালে মারা যান।
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস: - ‘কণ্ঠমালা’ (১৮৭৭), - ‘জলপ্রতাপ চাঁদ' (১৮৮৩), - ‘মাধবীলতা’ (১৮৮৪)।
তার রচিত গল্পগ্রন্থ: - 'রামেশ্বরের অদৃষ্ট’ (১৮৭৭), - ‘দামিনী’ ।
তার রচিত প্রবন্ধ: - ‘যাত্রা’ (১৮৭৫), - ‘সৎকার ও বাল্য বিবাহ।
- ভ্রমণকাহিনী’ ‘পালামৌ' (১৮৮০-৮২) এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা।
|
|
| |
|
|
|
• আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)। • তার প্রকৃত নাম- কাজেম আল কোরেশী। কায়কোবাদ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম। • তিনি মুসলমান কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম সনেট এবং মহাকাব্য রচনা করেন। • 'মহাশ্মশান' কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ রচনা। এটি একটি মহাকাব্য। • এটি প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালে। • এর উপজীব্য ১৭৬১ সালে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ। • মহাশ্মশান কাব্যের মোট তিনটি খণ্ড রয়েছে এবং ৬০টি সর্গ আছে। • তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ হলোঃ - অশ্রুমালা (গীতিকাব্য), - কুসুমকানন, - শিবমন্দির, - বিরহ বিলাপ, - শ্মশানভষ্ম, - অমিয়ধারা, - মহররম শরীফ, - প্রেম পারিজাত, - মন্দাকিনী ধারা ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। - পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত শ্রেষ্ঠ কাহিনী কাব্য 'নকশী কাঁথার মাঠ' । এ কাব্যের উল্লেখযোগ্য দুটি চরিত্র রুপা ও সাজু।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থঃ - সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৪), - মহরম, - দুমুখো চাঁদ পাহাড়ি (১৯৮৭), - হাসু (১৯৩৮), - রুপবতি (১৯৪৬), - মাটির কান্না (১৯৫১), - এক পয়সার বাঁশী (১৯৫৬), - সখিনা (১৯৫৯), - সুচয়নী (১৯৬১), - ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৬২), - মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩), - হলুদ বরণী (১৯৬৬), - রাখালী (১৯২৭), - নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯), - বালুচর (১৯৩০), - ধানখেত (১৯৩৩), - জলে লেখন (১৯৬৯), - পদ্মা নদীর দেশে (১৯৬৯), - কাফনের মিছিল (১৯৭৮)।
|
|
| |
|
|
|
- রামাই পণ্ডিত রচিত ৫১টি অধ্যায় সম্বলিত সংস্কৃত ভাষায় গদ্য পদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য ‘শূন্যপুরাণ, যা বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগের নিদর্শন। - এতে শূন্যময় দেবতা ধর্মঠাকুরের পূজা পদ্ধতির বর্ণনা আছে বলেই এর নাম রাখা হয় ‘শূন্যপুরাণ’। - এ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ বা ‘নিরঞ্জনের উম্মাত কবিতায় ব্রাহ্মণ্য শাসনের বদলে মুসলিম শাসন প্রচলনের পক্ষে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে। - ত্রয়োদশ শতকে প্রাকৃত ভাষায় শ্রীহর্ষ রচিত গীতিকবিতার ·মহাসঙ্কলন প্রাকৃতপৈঙ্গল, যা অন্ধকার যুগের প্রথম সাহিত্যিক নিদর্শন। - রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ুধ মিশ্র সংস্কৃত ভাষায় গদ্য পদ্যে (চম্পুকাব্য) ২৫টি অধ্যায়ে ‘সেক শুভোদয়া’ রচনা করেন। - শেখের শুভোদয় অর্থাৎ শেখের গৌরব প্রচারই এর মূল উপজীব্য।
|
|
| |
|
|
|
- ‘কাঠকয়লার ছবি’ উপন্যাসটি চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনযাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের প্রখ্যাত নারী ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন রচনা করেন। তার রচিত অন্যান্য উপন্যাসঃ - ‘জলোচ্ছ্বাস' (১৯৭২): দক্ষিণ বাংলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আগুনমুখা, কাজল নদীর কূলে প্রতিকূল প্রকৃতি ও সামাজিক ত অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল মানুষের জীবনধারা এক উপন্যাসের আলেখ্য।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১২০১-১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে অন্ধকার যুগ বলে। - ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজি কর্তৃক বাংলা দখলের ফলে সমাজে নানা ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হওয়ার কারণে উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সৃষ্টি হতে পারেনি। - তবে অনেক সাহিত্যিকের মতে, সে সময়ে বিশেষ কোনো সাহিত্য পাওয়া না গেলেও 'প্রাকৃতপৈঙ্গল', 'শূন্যপুরাণ' ও 'সেক শুভোদয়া' সাহিত্য রচিত হয়েছিল। - সংস্কৃত ভাষায় রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ুধ মিশ্র কর্তৃক রচিত ২৫টি অধ্যায়ে গদ্য পদ্যে মিশ্রিত চম্পুকাব্য 'সেক শুভোদয়া'।
|
|
| |
|
|
|
- প্রমথ চৌধুরী ৭ আগস্ট, ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। - পৈতৃক নিবাস- পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রাম। - তাকে বলা হয় বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক। - প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম- বীরবল। - প্রমথ চৌধুরীর প্রথম প্রবন্ধ 'জয়দেব' ১৮৯৩ সালে 'সাধনা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। - 'হালখাতা' ('ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশ- ১৯০২), এ গদ্য/প্রবন্ধ রচনায় তিনি প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ ঘটান। - বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন। - তিনি 'সবুজপত্র' (১৯১৪), 'বিশ্বভারতী পত্রিকা' সম্পাদনা করেন। - তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৮ সালে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন। উল্লেখ্য, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় নিজ মাতার নামে এ পদক প্রবর্তন করেন। - তিনি ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ সালে (১৬ ভাদ্র, ১৩৫৩ বঙ্গাব্দ) শান্তিনিকেতনে মারা যান। প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ: - 'তেল-নুন-লাকড়ি' (১৯০৬), - 'বীরবলের হালখাতা' (১৯১৬), - 'নানাকথা' (১৯১৯), - 'আমাদের শিক্ষা' (১৯২০), - 'রায়তের কথা' (১৯২৬), - 'নানাচর্চা' (১৯৩২), - 'আত্মকথা' (১৯৪৬), - 'প্রবন্ধ সংগ্রহ' (১ম খণ্ড- ১৯৫২, ২য় খণ্ড- ১৯৫৩)।
• কাব্যগ্রন্থ: - 'সনেট পঞ্চাশৎ' (১৯১৩), - 'পদচারণ' (১৯১৯)। • গল্পগ্রন্থ: - 'চার ইয়ারী কথা' (১৯১৬), - 'আহুতি' (১৯১৯), - 'নীললোহিত ও গল্পসংগ্রহ' (১৯৪১)। • প্রবন্ধ: - 'যৌবনে দাও রাজটীকা', - 'বই পড়া', - 'সাহিত্যে খেলা', - 'ভাষার কথা'।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাথ সাহিত্যঃ ১. গোরাক্ষ বিজয় > শেখ ফয়জুল্লাহ ২. গোপীচন্দ্রের সন্যাস > শুকুর মুহম্মদ ৩. মীনচেতন > শ্যামাদাস সেন ৪. ময়নামতির গান > ভবানী দাস ৫. গোর্খবিজয় > ভীমসেন রায়।
|
|
| |
|