বিশ্বযুদ্ধ (94 টি প্রশ্ন )
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রধান দুটি পক্ষ ছিল মিত্রশক্তি এবং অক্ষশক্তি। মিত্রশক্তির মধ্যে ছিল ফ্রান্স, ব্রিটেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন প্রভৃতি দেশ। অন্যদিকে, জাপান ছিল অক্ষশক্তির একটি প্রধান দেশ, যা জার্মানি ও ইতালির সাথে জোটবদ্ধ ছিল। জাপান ১৯৪১ সালে পার্ল হারবার আক্রমণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের মধ্যে টেনে আনে এবং মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্র শক্তি (Allied Powers):
মৈত্রী আঁতাতের পক্ষসমূহের সাথে ৬টি দেশ প্রধান সদস্য ছিল:
ক. জার সাম্রাজ্য (রাশিয়া) [১৯১৭ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়]
খ. ফ্রান্স
গ. ব্রিটিশ সাম্রাজ্য
ঘ. ইতালি [১৯১৫ সালে যোগ দেয়]
ঙ. জাপান
চ. যুক্তরাষ্ট্র [১৯১৭ সালে যোগ দেয়] সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো ও বেলজিয়াম মিত্রশক্তির সহযোগী সদস্য ছিল । এছাড়াও, চীন মিত্রশক্তিকে সমর্থন করেছিল ।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War II, Second World War, WWII, WW2) মানব সভ্যতার ইতিহাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।
- ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
- তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জার্মানি, ইটালি এবং জাপান ছিল অক্ষশক্তির প্রধান সদস্য।
- এই দেশগুলো একে অপরের সাথে জোট বাঁধে এবং মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, যার মধ্যে ছিল গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র।
রেড আর্মি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বাহিনী, যা সোভিয়েত ইউনিয়নে Great Patriotic War নামেও পরিচিত। রেড আর্মি ইস্ট্রান ফ্রন্টে জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা ছিল যুদ্ধের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নৃশংস ঘটনা।

রেড আর্মি প্রাথমিকভাবে ১৯৪১ সালের জুনে জার্মান আক্রমণের দ্বারা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল এবং যুদ্ধের প্রথম মাসগুলিতে বেশ কয়েকটি বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। তবে, রেড আর্মি শেষ পর্যন্ত পুনরায় সংগঠিত হয় এবং পাল্টা আক্রমণের একটি সিরিজ চালু করে যা জার্মান বাহিনীকে পিছনে ঠেলে দেয়, অবশেষে 1942-1943 সালে স্ট্যালিনগ্রাদের যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়, যা ব্যাপকভাবে যুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। রেড আর্মি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং 1945 সালে নাৎসি জার্মানির চূড়ান্ত পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রেড আর্মি জাতিগত রাশিয়ান, ইউক্রেনীয়, বেলারুশিয়ান, মধ্য এশীয় এবং অন্যান্য সহ বিভিন্ন পটভূমির লক্ষ লক্ষ সৈন্য নিয়ে গঠিত। কিছু প্রাথমিক বিপত্তি সত্ত্বেও, রেড আর্মি শেষ পর্যন্ত একটি অত্যন্ত কার্যকরী যোদ্ধা বাহিনীতে পরিণত হয়, উদ্ভাবনী কৌশল এবং ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি এবং বিমান সহ অস্ত্রের একটি শক্তিশালী অস্ত্রাগার।

যুদ্ধের সময় রেড আর্মির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, অনুমান অনুযায়ী ৮.৭ মিলিয়ন থেকে ১০ মিলিয়ন সৈন্য নিহত, আহত বা অ্যাকশনে নিখোঁজ হয়েছিল। রেড আর্মি এবং সামগ্রিকভাবে সোভিয়েত জনগণের আত্মত্যাগ নাৎসি জার্মানির পরাজয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।  জাপানের 'রেড আর্মি' কোন কোন দল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। 

তবে জাপানের 'রেড আর্মি' নামে গেরিলা সংগঠন ছিল।
- এর প্রতিষ্ঠাতা ফুসেকা শিজেনবো নামে একজন নারী। ১৯৭১ সালে লেবাননে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
- এই সংগঠন ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় জাপানের বিমান ছিনতাই করে নিয়ে আসা।
- ২০০০ সালে ফুসেকা জাপানে গ্রেফতার হলে রেড আর্মি এর কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়ে এবং ২০০১ সালে এটি বিলুপ্ত হয়।
- ম্যাজিনো লাইন ছিল ফ্রান্সের পূর্ব সীমান্তে নির্মিত একটি দুর্গ। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির আক্রমণ থেকে ফ্রান্সকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। লাইনটি ১৯২৯ থেকে ১৯৩৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি বিশাল প্রকল্প। লাইনটিতে অসংখ্য দুর্গ, ব্যারিকেড এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল।

- ১৯৪০ সালে, জার্মানি পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ফ্রান্স আক্রমণ করেছিল এবং ম্যাজিনো লাইন ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল। ফ্রান্স পরাজিত হয়েছিল এবং ম্যাজিনো লাইন ব্যর্থ হয়েছিল।

- ম্যাজিনো লাইনের ব্যর্থতা ফরাসি সামরিক কৌশল সম্পর্কে একটি বড় ধাক্কা ছিল। এটি দেখায় যে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই নিখুঁত নয় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি আক্রমণাত্মক কৌশলও থাকা উচিত।

- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War II, Second World War, WWII, WW2) মানব সভ্যতার ইতিহাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।
- ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
- তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি।
দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তির অফিসিয়াল নাম: Treaty of Peace between the Allied and Associated Powers and Germany
স্বাক্ষর: ২৮ জুন, ১৯১৯
স্বাক্ষরস্থল: প্যারিসের ভার্সাই প্যালেসের হল অব মিররে
স্বাক্ষরকারী: ২৮টি দেশ
চুক্তির অছি/ তত্ত্বাবধায়ক: ফরাসি পার্লামেন্ট
চুক্তির অংশ: ১৫টি
চুক্তির ধারা: ৪৪০টি 
চুক্তির ফল: আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি [অনানুষ্ঠানিক সমাপ্তি: ১১ নভেম্বর, ১৯১৮]
চুক্তি কার্যকর: ১০ জানুয়ারি ১৯২০ জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে
১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় আসেন এবং ১৯৩৫ সালে ভার্সাই চুক্তি বাতিল করেন।
- ট্রিটি অব ভার্সাই হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর 1919 সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি।
- এই চুক্তিতে জার্মানিকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করা হয় এবং তাদের উপর কঠোর ক্ষতিপূরণের শর্ত আরোপ করা হয়।
- এটিই ছিল জার্মানির উপর আরোপিত মূল ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা।
- ১৮ জুন ১৯১৪ অষ্ট্রিয়ার যুবরাজ ফার্ডিন্যান্ড আততায়ীর গুলিতে স্ত্রীসহ নিহত হওয়ার ১ মাস পর ২৮ জুলাই ১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।
- ১১ নভেম্বর ১৯১৮ দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।
- তবে ২৮ জুন ১৯১৯ ভার্সাই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) যে সকল দেশ মিত্র শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, তাদের সাধারণভাবে অক্ষশক্তি নামে অভিহিত করা হয়।
- অক্ষশক্তির প্রধান তিনটি দেশ ছিল জার্মান, জাপান ও ইতালি
- এই বিষয়টি সর্বপ্রথম উত্থাপন করেছিল হাঙ্গেরীর ফ্যাসিবাদী প্রধানমন্ত্রী গাইওলা গমবোস ।
- তিনি জার্মানি, হাঙ্গেরি, এবং ইতালিকে নিয়ে একটি জোট গঠনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি জার্মানি এবং ইতালীর মাঝে মতভিন্নতা দূর করার কাজে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
- কিন্তু ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মিউনিখে জার্মানির সাথে আলোচনায় গিয়ে তাঁর হঠাৎ মৃত্যু হয়।
- পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এলে, হাঙ্গেরি এই ত্রিদেশীয় জোট থেকে সরে আসে। এই কারণে, এই জোটে জার্মানি এবং ইতালি স্বাক্ষর করে এবং একটি দ্বিপাক্ষিক অক্ষশক্তি গঠিত হয়।
- সঠিক উত্তর ট্রিটি অব ভার্সাই। ট্রিটি অব ভার্সাই হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর 1919 সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি। এই চুক্তিতে জার্মানিকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করা হয় এবং তাদের উপর কঠোর ক্ষতিপূরণের শর্ত আরোপ করা হয়। এটিই ছিল জার্মানির উপর আরোপিত মূল ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা।

অন্যদিকে,
a) ইয়াং প্ল্যান: ইয়াং প্ল্যান 1929 সালে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যা ট্রিটি অব ভার্সাইয়ের ক্ষতিপূরণ শর্তগুলি পুনর্বিবেচনা করার একটি প্রচেষ্টা ছিল। এটি মূল পরিকল্পনা নয়, বরং একটি পরবর্তী সংশোধন।

c) মার্শাল প্ল্যান: এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পরিকল্পনা। মার্শাল প্ল্যান ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে (1948) যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পশ্চিম ইউরোপের পুনর্গঠনের জন্য প্রদত্ত অর্থনৈতিক সহায়তা কর্মসূচি। এর সাথে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণের কোনো সম্পর্ক নেই।

d) ডোজ প্ল্যান: এটিও সঠিক নয়। ডোজ প্ল্যান 1924 সালে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যা ট্রিটি অব ভার্সাইয়ের পরে জার্মানির ক্ষতিপূরণ প্রদানের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল। এটি মূল পরিকল্পনা নয়, বরং ট্রিটি অব ভার্সাইয়ের শর্তগুলি কার্যকর করার একটি প্রচেষ্টা ছিল।
- নরম্যান্ডি আক্রমণ, যাকে অপারেশন ওভারলর্ড বা D-Day বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, পশ্চিম ইউরোপে মিত্রবাহিনীর আক্রমণ, যা ৬ জুন, ১৯৪৪ সালে শুরু হয়েছিল (যুদ্ধের সকল দিবসের মধ্যে এটি বেশি পালিত হয়), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান বাহিনী একযোগে অবতরণের করে ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে পাঁচটি পৃথক সৈকতে।

- ১৯৪৪ সালের আগস্টের শেষের দিকে সমগ্র উত্তর ফ্রান্স মুক্ত করা হয়, এবং আক্রমণকারী বাহিনী জার্মানিতে অভিযানের জন্য পুনর্গঠিত হয়, যেখানে তারা শেষ পর্যন্ত নাৎসি রাইখের অবসান ঘটাতে পূর্ব থেকে অগ্রসর হওয়া সোভিয়েত বাহিনীর সাথে মুখোমুখি হয়।
- ইয়াল্টা কনফারেন্স হলো ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়্লস্তে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলন যেখানে রুজভেল্ট, স্ট্যালিন এবং চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে পরিকল্পনা করেছিলেন।
- এই কনফারেন্স ক্রিমিয়া কনফারেন্স নামে পরিচিত এবং ৪ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ থেকে অনুষ্ঠিত দুঃসাহসী অভিযাত্রী সম্মেলন।
- এই কনফারেন্সের অন্যতম লক্ষ্য ছিল জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা। তবে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়ছিল অনেকদিন আগে থেকে।
- ১৯৪১ সালের ১২ জুন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের জেমস প্রাসাদে ১৪টি দেশের স্বাক্ষরে লন্ডন ঘোষণা গৃহীত হয় এবং ১৪ আগস্ট আটলান্টিক সনদ গৃহীত হয়।
- ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট জাতিসংঘ নামকরণ করেন।
- ১৯৪৪ সালে ওয়াশিংটনের ডাম্বার্টন ওকসে জাতিসংঘ গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
- ম্যাজিনো লাইন ছিল ফ্রান্সের পূর্ব সীমান্তে নির্মিত একটি দুর্গ। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির আক্রমণ থেকে ফ্রান্সকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। লাইনটি ১৯২৯ থেকে ১৯৩৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি বিশাল প্রকল্প। লাইনটিতে অসংখ্য দুর্গ, ব্যারিকেড এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল।

- ১৯৪০ সালে, জার্মানি পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ফ্রান্স আক্রমণ করেছিল এবং ম্যাজিনো লাইন ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল। ফ্রান্স পরাজিত হয়েছিল এবং ম্যাজিনো লাইন ব্যর্থ হয়েছিল।

- ম্যাজিনো লাইনের ব্যর্থতা ফরাসি সামরিক কৌশল সম্পর্কে একটি বড় ধাক্কা ছিল। এটি দেখায় যে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই নিখুঁত নয় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি আক্রমণাত্মক কৌশলও থাকা উচিত।

- দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী বৃহৎ শক্তিসমূহের মাঝখানে অবস্থিত নিরপেক্ষ দেশকে বলা হয় বাফার স্টেট।
- ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের বাফার স্টেট ছিল বেলজিয়াম।
- সামরিক শক্তিহীন রাষ্ট্র কে বলা হয় Small state.
২২জুন, ১৯৪১ সালে জার্মানি মিত্র ইতালি এবং রোমানিয়াকে নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে আক্রমণ করে। এই অভিযান "অপারেশন বার্বারোসা" নামে পরিচিত।
- জার্মানিকে শাস্তি প্রদানের জন্য ১৯২৪ সালে গঠিত হয় দাওয়েস প্ল্যান। 
- এই পরিকল্পনায় জার্মানিকে ১৩২ বিলিয়ন স্বর্ণমুদ্রা জরিমানা করা হয়। 
-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জাপান, জার্মানি এবং ইতালি একত্রে একটি সামরিক জোট গঠন করে। এই জোটকে বলা হয় অক্ষশক্তি। অক্ষশক্তির লক্ষ্য ছিল বিশ্বকে পুনর্বিন্যাস করা এবং তাদের নিজস্ব আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।

-অন্যদিকে মিত্র শক্তি ছিল ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন ও পোল্যান্ড।
-জার্মানির বিরুদ্ধে 'শান্তি ফ্রন্ট' গড়ে তোলার জন্য ১৯৩৫ সালে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স একটি গোপন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
-এই চুক্তির অধীনে, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে একসাথে যুদ্ধ করবে যদি জার্মানি চেকোস্লোভাকিয়াকে আক্রমণ করে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-নরম্যান্ডি ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি ভূ-খন্ড।
-এটি ফ্রান্সের নীচের নরম্যান্ডি এবং উপরের নরম্যান্ডি নামে দুটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। নরম্যান্ডি তার সুন্দর সৈকত, ঐতিহাসিক শহর এবং উৎকৃষ্ট খাবারের জন্য পরিচিত।
- ১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। অস্ট্রিয়া এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুন সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধে দুদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) সূচনা হয়।

- তবে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ হত্যাকাণ্ডই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একমাত্র কারণ ছিল না। উনিশ শতকে শিল্পে বিপ্লবের কারণে সহজে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য উপনিবেশ স্থাপনে প্রতিযোগিতা এবং আগের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদিও প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কারণ।

- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া। যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি।

- আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা। যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি।
-  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোর বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং এসব দেশে সোভিয়েত কমিউনিজমের বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
- এ পরিকল্পনা ১৯৪৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রণয়ন করা শুরু হয় এবং চার বছর যাবৎ পরিচালিত হয়।
- ১৯৪৫ সালের জুলাই মাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষ হতে চললো। কিছুদিন পূর্বেই (২ মে) বার্লিনের পতন হয়েছে।
- ইতোমধ্যে নাৎসি নেতা এডলফ হিটলার মিত্রবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার চেয়ে আত্মহত্যাকে (৩০ এপ্রিল) শ্রেয় বলে বেছে নিয়েছেন।

- ৮ মে জার্মানির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে।
- সমগ্র জার্মানি তখন মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
• ব্রিটেনের সহযোগিতায় তৈরি ইহুদিদের গুপ্তবাহিনীর নাম ছিল "হাগানাহ"।
• গুপ্তবাহিনী ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং এর লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনে ইহুদি জনসংখ্যা রক্ষা করা।
• হাগানাহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছিল।
• ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর, হাগানাহ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে একীভূত হয়েছিল।
• 'ব্ল্যাক হ্যান্ড' ঐতিহাসিক গোপন সমিতি, যা ১৯০১ সালে সার্বিয়ার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
• এই সমিতিটির উদ্দেশ্য ছিল সার্বীয় জাতীয়তাবাদের লক্ষ্যগুলি অর্জন করা, বিশেষ করে অস্ট্রো-হাঙ্গেরি থেকে সার্বীয় অঞ্চলগুলিকে মুক্ত করা।
• এই সমিতিটির সাথে ১৯১৪ সালে অস্ট্রিয় আর্চডিউক ফ্রান্স ফার্দিনান্দের হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।
-প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৯১৮ সালে শেষ হয়েছিল।
- এটি ছিল একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ যা ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। 
-যুদ্ধে প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল।

-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, এবং স্টালিন1924 থেকে 1953 সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। 
-তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের ডি ফ্যাক্টো একনায়ক ছিলেন এবং দেশের সামরিক ও সরকারের উপর তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। 
 
-লেনিন ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম নেতা, কিন্তু তিনি 1924 সালে মারা যান। 
-রুজভেল্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং 
-হিটলার ছিলেন নাৎসি জার্মানির নেতা।

-যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জাপানে প্রথম পারমাণবিক বোমা ফেলে। 
-1945 সালের 6 আগস্ট, মার্কিন সামরিক বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরে একটি পারমাণবিক বোমা ফেলে। 
-লিটল বয় নামক বোমাটি এনোলা গে নামক একটি B-29 বোমারু বিমান থেকে ফেলা হয়েছিল। 
-বোমাটি আনুমানিক 140,000 লোককে হত্যা করেছে এবং আরও 60,000 জন আহত হয়েছে। 
-তিন দিন পরে, 9 আগস্ট, 1945-এ, মার্কিন সামরিক বাহিনী জাপানের নাগাসাকি শহরে আরেকটি পারমাণবিক বোমা ফেলে। 
-ফ্যাট ম্যান নামক বোমাটি বক্সকার নামক একটি B-29 বোমারু বিমান থেকে ফেলা হয়েছিল। 
-বোমাটি আনুমানিক 80,000 জন নিহত এবং আরও 35,000 জন আহত হয়। 
-হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলার ফলে 15 আগস্ট, 1945 সালে জাপান আত্মসমর্পণ করে। বোমা হামলাকে যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার বলে মনে করা হয়।

- রাশিয়া ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাপান সাম্রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলে এশিয়াতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
- আত্মসমর্পণের ঘটনাটি ইউরোপে অক্ষ বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রায় চার মাস পরে ঘটে এবং এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ১৯১৭ সালে ২ নভেম্বর ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব সার বেলফোর প্রখ্যাত ব্রিটিশ ইহুদি লর্ড রথচাইল্ডের কাছে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে চিঠি লেখেন , সেটিই ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত ।
- এই চিঠিতে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে সার বেলফোর রথচাইল্ডের জানান যে , ব্রিটিশ সরকার ইহুদেদের নিজ আবসভুমির আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেন ।
- তিনি আরও লেখেন যে , ফিলিস্তিনে ইহুদিদের আবাসভূমির ব্যাপারে ব্রিটেন পূর্ণ সমর্থন প্রদান করে ।
- তবে এই শর্তে যে , এই রাষ্ট্রে ইহুদিদের নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকারকে খর্ব করা হবে না ।
- এই ঘোষণা বিশ্ব ইহুদী কংগ্রেসের কাছেও পোঁছে দেয়ার জন্য বেলফোর রথচাইল্ডের কাছে অনুরোধ জানান ।
- এই ঘোষণা প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন গ্রহণ করা হয় ।
- ফ্রান্স ও ইতালি যথাক্রমে ১৯১৮ সালের ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে সরকারিভাবে এই ঘোষণার প্রতি অনুমোদন প্রদান করে ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0