প্রাচীন কাল (352 টি প্রশ্ন )
- গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত তার সামরিক দক্ষতা ও রাজ্যজয়ের জন্য ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন।
- তিনি উত্তর ভারতের (আর্যাবর্তের) নয়জন রাজাকে পরাজিত করে তাদের রাজ্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের সরাসরি অধীনে নিয়ে আসেন।
- তার সভাকবি হরিষেণ রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে জানা যায়, তিনি বহু রাজাকে পরাজিত ও উচ্ছেদ করেছিলেন।
- এই ব্যাপক রাজ্যজয়ের কারণে তিনি 'সর্বরাজোচ্ছেত্তা' উপাধি ধারণ করেন, যার অর্থ 'সকল রাজার উচ্ছেদকারী'
- তার সামরিক সাফল্যের জন্য ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ তাকে 'ভারতের নেপোলিয়ন' বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
- মহাস্থানগড়ের ব্রাহ্মী শিলালিপি অনুসারে, মৌর্য বংশই বাংলার প্রথম শাসনকারী রাজবংশ হিসেবে পরিচিত।
- খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের শাসনামলে বাংলা মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে আসে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
- এই শিলালিপিটি প্রমাণ করে যে, উত্তরবঙ্গের পুণ্ড্রবর্ধন (বর্তমান মহাস্থানগড়) মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ ছিল।
- গুপ্ত বংশের শাসনকাল শুরু হয় মৌর্যদের অনেক পরে, চতুর্থ শতকে।
- পাল বংশ হলো প্রথম স্বাধীন ও বাঙালি রাজবংশ, কিন্তু তাদের শাসন শুরু হয় অষ্টম শতকে।
জলপথ আবিস্কারের প্রেক্ষাপট:
- ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে আগমনের জলপথের আবিস্কারক বার্থোলোমিউ দিয়াজ। 
- ১৪৮৬ সালে পর্তুগিজ রাজা দ্বিতীয় জন নাবিক বার্থোলোমিউ দিয়াজকে আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ জয় করার জন্য নিয়োগ দেন।
- ১৪৮৭ সালে উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে ভারতবর্ষে আগমনের পথ আবিস্কার করেন। এর আগে তিনি কেপভার্দে ও উত্তমাশা অন্তরীপ জয় করেন।
- ভাস্কো-দা-গামা ১৪৯৮ সালের ২০ শে মে আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত উত্তমাশা অন্তরীপ (Cape of Good Hope) ঘুরে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছান।
- এটি ছিল সমুদ্রপথে ভারতের প্রথম ইউরোপীয় বাণিজ্যিক অভিযান।
- উত্তমাশা অন্তরীপ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অন্তরীপ যা আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের সংযোগস্থল, যা ভাস্কো দা গামার ভারতের যাত্রাপথে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌসন্ধানিক সোপান ছিল।
- এই অন্তরীপের মাধ্যমে যাত্রা করে তিনি ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেন এবং ভারতবর্ষে প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে পৌঁছান।

- মহীপালের রাজত্বকালে 'অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা' পুঁথিটি রচিত হয়েছিল।

- 'অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা' পুঁথিটি পাল রাজা প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে রচিত হয়েছিল।
- প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী, তালপাতার উপর অঙ্কিত সচিত্র বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ 'অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা' পুঁথিটি প্রথম মহীপালের ষষ্ঠ রাজ্যাঙ্কে (আনুমানিক ৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ) তৈরি করা হয়।
- এই পুঁথিতে থাকা বারোটি রঙিন চিত্রকে বাংলার চিত্রকলার সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।

- বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখার অনুসারীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
- 'অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা'র অর্থ হলো "আট হাজার শ্লোকে প্রজ্ঞার পারমিতা বা পরিপূর্ণতা"।
- পাল শাসনামলে একাধিকবার এই পুঁথিটি অনুলিপি করা হয়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ শতকেও এর বিভিন্ন সংস্করণ তৈরি হয়েছিল।
- তবে প্রাপ্ত সবচেয়ে পুরনো সচিত্র পুঁথিটি প্রথম মহীপালের সময়ের হওয়ায় তাঁকেই এর রচনার সাথে যুক্ত করা হয়।

- বর্তমানে এই মহামূল্যবান পুঁথিটি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে সংরক্ষিত আছে। পাল যুগে রচিত হওয়ায় এই পুঁথির চিত্রকলাকে 'পাল মিনিয়েচার পেইন্টিং' (Pala Miniature Paintings) বলা হয়ে থাকে।


- হিউয়েন সাং ছিলেন একজন বিখ্যাত চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু ও পর্যটক, যিনি ৭ম শতকে বাংলায় আসেন।
- তিনি বাংলার বেশ কয়েকটি জনপদ ভ্রমণ করেন এবং তাঁর ভ্রমণকাহিনীতে সেগুলোর বিশদ বিবরণ দেন।
- তাঁর বর্ণনায় 'সমতট' জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা বর্তমান কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলে অবস্থিত ছিল।
- গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের বিজয় অভিযান সম্পর্কে এলাহাবাদ স্তম্ভলিপিতে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
- এই লিপি অনুসারে, তিনি বাংলার প্রায় সকল জনপদ জয় করে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে নিয়ে আসেন।
- কিন্তু 'সমতট' একটি প্রত্যন্ত বা সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় এটি সরাসরি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
- সমতট গুপ্তদের অধীন একটি করদ রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল।
- দক্ষিণ পূর্ব বাংলার জনপদ সমতট নামটি বর্ণনামূলক এবং এর অর্থ তটের সমান্তরাল।
- চতুর্থ শতকের সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ লিপিতে তাঁর রাজ্যের পূর্ব সীমায় সমতটের উল্লেখ রয়েছে।
- হিউয়েন সাঙ বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিদ্যমান অবস্থার যে বর্ণনা রেখে গেছেন তা থেকে বোঝা যায় যে, কুমিল্লার লালমাই অঞ্চলই সমতট।
- সমতট বঙ্গের পূর্বে অবস্থিত ছিল।
- মেঘনা- পূর্ববর্তী অঞ্চলই সমতট বলে পরিচিত ছিল।
- কেন্দ্র ছিল কুমিল্লার নিকটবর্তী 'লালমাই' এলাকা।
- ত্রিপুরা (কুমিল্লা) ও নোয়াখালী অঞ্চলই নিয়েই ছিল প্রাচীন সমতট।
- পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল (প্রায় ৭৭৫–৮১২ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন এক বিশিষ্ট বৌদ্ধসম্রাট, যিনি বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
- ঐতিহাসিক সূত্র ও গবেষণার ভিত্তিতে জানা যায়, পাল যুগে বিশেষ করে ধর্মপালের রাজত্বকালে ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ (Perfection of Wisdom in 8000 Lines) নামক মহাযান বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের প্রচার ও শৈল্পিক পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়েছিল।
- এই ধর্মগ্রন্থটির রচনার প্রাচীন সূত্র পূর্ববর্তী হলেও, পাল যুগে বিশেষত ধর্মপালের আমলে এই পাঠের প্রচলন ও চিত্রাঙ্কিত পাণ্ডুলিপি নির্মাণ সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
আলেকজান্ডার (Alexander III of Macedon বা Alexander the Great)
- পিতা: ম্যাসিডোনিয়ার রাজা ফিলিপস্
- জাতি: আর্য গ্রিক,
- মেসিডোনিয়ার সিংহাসনে বসেন: ৩৩৫ খ্রিস্টপূর্বে,
- যুদ্ধে অংশগ্রহণ: পুরুর সাথে 'হিদাসপিসের যুদ্ধে'
- মৃত্যু: ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে ব্যাবিলনে। তাঁর মৃত্যুর পর চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য আলেকজান্ডারের সেনাপ্রতি সেলিওকাসকে পরাজিত করে ভারতবর্ষে গ্রিক প্রাধান্যের অবসান ঘটান। প্রতিষ্ঠা হয়- মৌর্য সাম্রাজ্য।
- বাংলার স্বাধীন সুলতানদের মহদজে হুসেন শাহি আমল ছিল সবচেয়ে গৌরবময় ।
- সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্‌ ছিলেন হুসেন শাহী যুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান ।
- তাঁর ২৬ বছরের শাসনকালে বাংলায় জ্ঞান -বিজ্ঞান ও শিল্পকলার অভাবিত উন্নতি সাধিত হয়েছিল।
- এজন্য তাঁর শাসনকালকে বাংলায় মুসলমান শাসনের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয় ।
- শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্‌ ১৩৪২ থেকে ১৪১২ পর্যন্ত সমগ্র বাংলায় প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন ।
- গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্‌ ১৩৯৩ থেকে ১৪১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন ।
- নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ্‌ ১৪৩৫ থেকে ১৪৫৯ পর্যন্ত বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান ছিলেন ।
- পাল সাম্রাজ্যের বিখ্যাত শাসক ধর্মপাল তাঁর দক্ষ প্রশাসনের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
- তাঁর শাসনামলে ধর্মপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গর্গ।
- বহু উৎসে (যেমন Satt Academy, উইকিবই, Brainscape) থেকে জানা যায়, ধর্মপালের মন্ত্রিসভায় গর্গ একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণ ও দক্ষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
- পাল সাম্রাজ্যে গর্গের বংশধররাও পরবর্তী ১০০বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
পাল বংশ (Pala Dynasty)

- শাসনামল: ৭৫৬-১১৬১,
- প্রতিষ্ঠাতা: গোপাল (৭৫৬-৭৮১)
- পিতার নাম ছিল: বপ্যট
- গোপাল ক্ষমতায় ছিল: ২৭ বছর
ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭২-১৭৮৫):
১৭৭২-১৭৭৪:
- কলকাতাকে রাজধানী করেন (১৭৭২)
- দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটান
- পাঁচশালা/পাঁচসনা বন্দোবস্ত (১৭৭২-৭৬) চালু করেন (৫ বছরের জন্য খাজনা ব্যবস্থাপনা)
- ব্রিটিশ Regulating Act বা নিয়ামক আইনের মাধ্যমে প্রথম গভর্নর জেনারেল হন
- আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানকালে বাংলা অঞ্চলের যে জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায়, সেটি হলো গঙ্গারিডি
- আলেকজান্ডার যখন ভারত অভিযান করছিলেন, তখন তিনি গঙ্গারিডির বিশাল সামরিক শক্তি সম্পর্কে অবগত হন এবং এই কারণে তার সৈন্যরা আরও পূর্বে অগ্রসর হতে অনিচ্ছুক ছিল বলে প্রচলিত আছে।
- এই শক্তিশালী রাজ্য এবং এর হস্তিবাহিনীর ভয়ে আলেকজান্ডার পূর্ব দিকে অভিযান না করে ফিরে যান বলে মনে করা হয়।


প্রাচীন বঙ্গ জনপদ মূলত গঙ্গা নদীর একটি শাখা ভাগীরথী ও পদ্মা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। এই অঞ্চলটি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে বিস্তৃত ছিল। প্রাচীন কালে বঙ্গ জনপদটি নদীমাতৃক, উর্বর মাটি ও জলবায়ুর কারণে কৃষি ও বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল।
- কৌটিল্য/চাণক্য/বিষ্ণুগুপ্ত পণ্ডিত ছিলেন প্রাচীন দার্শনিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমরবিদ ভারতের অর্থনীতিবিদ।
- তিনি ছিলেন প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী।
- তিনি তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি পড়িয়েছেন। রচনা করেছেন ‘অর্থশাস্ত্র' ও ‘চাণক্য নীতি' নামক দুটি গ্রন্থ।
- চাণক্যের তত্ত্বগুলি চিরায়ত অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পাণ্ডিত্যের জন্য তাকে ‘ভারতের মেকিয়াভেলি' বলা হয়।
- কৌটিল্য/চাণক্য নীতিতে তিনি বলেছেন যে, শক্তিমান রাজ্যই টিকে থাকতে পারে। তাই শক্তিমান রাজ্যকে সবসময় শত্রুদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং যুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌটিল্য নীতির এই ধারণাটি "শক্তিমান মাত্রই যুদ্ধ করবে ও শত্রু নিপাত করবে" এই বাক্যে প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- লক্ষণ মাণিক্য ছিলেন বার ভূঁইয়াদের অন্যতম।
- ষোড়শ শতকের শেষভাগে তিনি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত ভুলুয়ার শাসনকর্তা ছিলেন।
- তিনি ছিলেন ভুলুয়ার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ শাসক।
- তিনি ত্রিপুরার শক্তিশালী সামন্ত ছিলেন এবং বার ভূঁইয়াদের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত।
- তিনি একজন বীরযোদ্ধা ছিলেন এবং বার ভূঁইয়ার অন্যতম নায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
- লক্ষণ মাণিক্যকে চন্দ্রদ্বীপের রাজা রামচন্দ্র বসু কৌশলে বন্দি করে হত্যা করেন।
- তার মৃত্যুর পর তার পুত্র অনন্তমানিক্য ভুলুয়ার রাজা হন।


- প্রাচীন পুন্ড্র জনপদ বর্তমান বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ছিল।
- এর অন্তর্গত ছিল বর্তমান রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চল।
- কুমিল্লা বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি প্রাচীনকালে সমতট জনপদের অংশ ছিল।
- বরিশাল দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত হলেও ঐতিহাসিকভাবে পুন্ড্র জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মৌর্য বংশ (Maurya Dynasty)

- বাংলায় আগমন: আলেজান্ডার পরবর্তী সময়ে এবং আর্যদের আগমনের পূর্বে।
- শাসনকাল: খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৮৫।
- প্রতিষ্ঠাতা: নন্দ রাজবংশ উচ্ছেদ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠা করে।
- রাজধানী: পালিবোথরা/পাটালিপুত্র।
- বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল: পুণ্ড্রনগর
- সঞ্চারা: মৌর্য যুগে গুপ্তচরদের বলা হত।
- প্রতিষ্ঠা করে: পুণ্ড্র জনপদ।

মৌর্য সাম্রাজ্যের বিশেষত্ব:
- প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র
- ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্য
- লৌহ যুগ
- সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী এই সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল।
- শাসকগণ: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য>বিন্দুসার>সম্রাট অশোক>দশরথ>সম্প্রতি>শালিশুক>দেববর্মণ>শতধানবান> বৃহদ্রথা।
-সোমপুর বিহার বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
-এ বিহারটি পাল বংশের ২য় রাজা ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) নির্মাণ করেন।
-১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল বিহারটি আবিষ্কার করেন এবং ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
- পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের সূচনা হয়।
- সেন বংশের শাসনের প্রতিষ্ঠাতা হেমন্ত সেন হলেও বিজয় সেনের সময়েই বাংলায় সেন বংশের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
- সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণ সেন ১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজীর আক্রমণে নদীয়া ত্যাগ করেন।
- তবে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় (বিক্রমপুর) অবস্থান করে লক্ষ্মণ সেন আরও ২-৩ বছর রাজত্ব করার পর ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১২০৫) মৃত্যুবরণ করেন।
- তিনি মূলত সেন বংশের সর্বশেষ সার্বভৌম রাজা ছিলেন। তাঁর শাসনকাল ১১৭৮-১২০৪।
- লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন এবং কেশব সেন আরো কিছু সময় (১২০৫-১২৩০) বিক্রমপুর থেকে বাংলার অন্যান্য অংশ শাসন করেন।
- কেশব সেনের শাসনের মধ্য দিয়ে বাংলায় সেন বংশের শাসনের অবসান ঘটে।
- উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যা নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলায় অবস্থিত।
- উয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম দু’টি দীর্ঘদিন থেকে প্রাচীন ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থান হিসেবে পরিচিত।
- এই প্রত্নস্থলে গবেষণা ও খননকার্যে আড়াই হাজার বছরের পুরানো দুর্গনগরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
- মার্কো পোলো (১২৫৪-১৩২৪ খ্রি.) মধ্যযুগের ইউরোপীয় ভূ-পর্যটকদের একজন।
- তার বর্ণনাকৃত ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই ইউরোপবাসী চীন, তিব্বত, ভারত, সিংহল, ব্রহ্মদেশ ও শ্যামদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের জীবনযাপন সম্পর্কে প্রথম জানতে পারে।
- ইতালীয় পরিব্রাজক মার্কো পোলো ১২৭১ থেকে ১২৯৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপ থেকে সিল্ক রোডে এশিয়া ভ্রমণ করে প্রথম প্রাচ্যকে পাশ্চাত্যের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
বাংলায় ভ্রমণকারী পরিব্রাজক:
- চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন গুপ্ত যুগে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনকালে (৩৮০-৪১৩ খ্রিস্টাব্দ) বাংলায় আসেন। তার পরবর্তীতে আরেক চীনা পরিব্রাজক মা হুয়ান গিয়াস উদ্দীন আজম শাহের শাসনামলে বাংলায় ভ্রমণ করেন।
- চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং ভারতের হর্ষবর্ধনের শাসনকালে ভারতভ্রমণ করেন।
- অন্যদিকে, গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস রাজকীয় দূত হিসেবে ভারতে আসেন এবং তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের (স্যান্ড্রাকোট্টাস) দরবারে দায়িত্ব পালন করেন।
- সপ্তম শতাব্দীতে চীনা পরিব্রাজক ই-সিং (Yijing) ভারতে আসেন এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
- তার বিখ্যাত ভ্রমণ বিবরণের নাম হলো "A Record of Buddhist Practices Sent Home from the Southern Sea"।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২) খ্রিষ্টাব্দ । তারপর রাজধানী স্থানান্তর হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫) খ্রিস্টাব্দ
- মুঘল আমলের মধ্যেভাগে ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন শুরু হয়।
- ১৫৭৬ সালে সম্রাট আকবর বাংলা জয় করে এর নাম দেন সুবা বাংলা। এই সময় বাংলায় বারো ভূঁইয়াদের আগমন ঘটে।
- সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি সুবেদার ইসলাম খান চিশতি চূড়ান্ত ভাবে বারো ভূঁইয়াদের দমন করে ১৬১০ সালে ঢাকাকে বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং এর নাম দেন জাহাঙ্গীরনগর।
- এর পরে ১৬৬০ সালে মীর জুমলা পুনরায় বাংলার রাজধানী করে ঢাকা।
- কলকাতা শহরের গোড়াপত্তন হয় ১৬৯০ সালে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0