মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা (554 টি প্রশ্ন )
- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে "সংবাদ পরিক্রমা" উপস্থাপন করতেন দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
- তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত সংবাদ পাঠক ও বাচিক শিল্পী, যাঁর কণ্ঠস্বরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাপ্রাণ মানুষের অনুপ্রেরণা ছিল।
- তাঁর সংবাদ পাঠের জন্য তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও তাঁর সেবা ও সম্মান স্বীকৃত হয়েছে, তিনি ১৯৭২ সালে ভারতীয় সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
অপারেশন সার্চলাইট ঃ
- সার্বিক তত্ত্বাবধানে: গভর্নর লে. জে টিক্কা খান
- ঢাকা শহরের দায়িত্বে: জেনারেল রাও ফরমান আলী ।
- ঢাকার বাইরে দায়িত্বে: মেজর খাদিম হোসেন রাজা
- ১৬ মার্চ, ১৯৭১: ইয়াহিয়া সরকার পূর্ব পাক স্তানে গোলাবারুদ ও অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে
- ১৮ মার্চ, ১৯৭১: টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী ও মেজর খাদিম হোসেন নীলনকশা তৈরি করে
- ১৯ মার্চ, ১৯৭১: বাঙালি সেনাদের নিরস্ত্রীকরণ শুরু এবং সার্চ লাইটের নীল নকশা অনুমোদন।
- ২৪ মার্চ, ১৯৭১: চট্টগ্রাম বন্দরে এমভি সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস শুরু করে।
- ২৫ মার্চ, ১৯৭১: গণহত্যা চালাতে পাকিস্তান সেনাদের উদ্দেশ্যে টিক্কা খান বলে, “ এদেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই ।
• তমদ্দুন মজলিস' ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।
• পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলার মাধ্যমে তমদ্দুন মজলিশ প্রথম বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।
• এ সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' প্রকাশিত হয়।

প্রকাশক: তমদ্দুন মজলিশ
প্রকাশের তারিখ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর
লেখক: কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমদ এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম
সম্পাদক: অধ্যাপক আবুল কাশেম
বিষয়: বাংলা ভাষার রাষ্ট্রভাষার দাবি
মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ:

- ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে আরও কার্যকর করার জন্য আওয়ামী লীগসহ পাঁচটি দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৮ সদস্যের একটি 'সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ' গঠন করা হয়।
- এই পরিষদের নেতারা মূলত মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন।
- সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবি বাঙালির সার্বজনীন দাবি; এটি কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর একক দাবি নয়।
- ভারতের কলকাতায় 'জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি' নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা পরে 'সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ' নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই ৮ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন:
- আহ্বায়ক: তাজউদ্দীন আহমেদ
- চেয়ারম্যান: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

অন্যান্য সদস্যরা:
- অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মস্কোপন্থী ন্যাপ এর প্রতিনিধি)
- মনিসিংহ (কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি)
- মনোরঞ্জন ধর (কংগ্রেস দলের নেতা)
- ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (আওয়ামী লীগ দলের প্রতিনিধি)
- এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান (আওয়ামী লীগ দলের প্রতিনিধি)
- খন্দকার মোশতাক আহমদ (মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি)
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে গড়ে ওঠা কিছু উল্লেখযোগ্য মুক্তিবাহিনী:
আফসার বাহিনী – ভালুকা, ময়মনসিংহ অঞ্চল।
কাদেরিয়া, বাতেন বাহিনী – টাঙ্গাইল অঞ্চল।
লতিফ মীর্জা বাহিনী – সিরাজগঞ্জ ও পাবনা।
জিয়া বাহিনী – সুন্দরবন এলাকা।
হেমায়েত বাহিনী – গোপালগঞ্জ।
হালিম বাহিনী – মানিকগঞ্জ।
আকবর বাহিনী – মাগুরা।
- ২৪ এপ্রিল, ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার্স (আইএজিএস) ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জেনোসাইড, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে ঘোষণা দেন।
- সংস্থাটির সদস্যদের ভোটাভুটিতে ২০৮টি ভোেট প্রস্তাব গ্রহণের পক্ষে এবং ৪টি বিপক্ষে পড়ে।
- আইএজিএস ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বৈশ্বিক, আন্তঃবিভাগীয়, নির্দলীয় সংস্থা যা গণহত্যার প্রকৃতি, কারণ, পরিণতি সম্পর্কে গবেষণা, শিক্ষা ও প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করে।

অপরদিকে,
- The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization (UNESCO) বা ইউনেস্কো জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসার ও উন্নয়নে কাজ করে।
- International Cricket Council (ICC) ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সর্বোচ্চ ক্রিকেট পরিচালনা পরিষদ ।
- জাতিসংঘের কাজ হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। এটি বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে গড়ে ওঠা কিছু উল্লেখযোগ্য মুক্তিবাহিনী:
আফসার বাহিনী – ভালুকা, ময়মনসিংহ অঞ্চল।
কাদেরিয়া, বাতেন বাহিনী – টাঙ্গাইল অঞ্চল।
লতিফ মীর্জা বাহিনী – সিরাজগঞ্জ ও পাবনা।
জিয়া বাহিনী – সুন্দরবন এলাকা।
হেমায়েত বাহিনী – গোপালগঞ্জ।
হালিম বাহিনী – মানিকগঞ্জ।
আকবর বাহিনী – মাগুরা।
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র "যুদ্ধশিশু" (Children of War) এর পরিচালক হলেন ভারতীয় নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত। এই চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায়।

- ছবিটিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত নারীদের কথা এবং যুদ্ধের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ভিক্টর ব্যানার্জি, ফারুক শেখের মতো অভিনেতারা।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য স্থাপিত 'গোবরা ক্যাম্প' ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত ছিল।
- এই ক্যাম্পে নারীদের জন্য সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, নার্সিং, সিভিল ডিফেন্স ইত্যাদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
- এটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা সৈয়দা বেগম সাজেদা চৌধুরী।
- প্রায় ৩০০ তরুণী ও কিশোরী সংগঠক এখানে অস্ত্র চালনা এবং গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন।
- গেরিলা কর্মসূচির পাশাপাশি তারা রাজনৈতিক এবং দেশপ্রেমভিত্তিক প্রশিক্ষণও পেতেন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- সিপাহি মোস্তফা কামাল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭ বরিশাল জেলার মৌটুসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ।
- ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ ব্রাক্ষণবাড়িয়ার দরুইল গ্রামে যুদ্ধরত অবস্থায় বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম শহিদ হন।
- আশির দশকে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে নিয়ে সাতটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন সৈয়দ শামসুল হক।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল এবং প্রত্যেক সেক্টরের জন্য একজন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়েছিল।
- ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর আবু তাহের এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম. হামিদুল্লাহ খান।
- ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১১ নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
- এরপর, নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেজর আবু তাহের। পরবর্তীতে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম. হামিদুল্লাহ খান সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের কলকাতায় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ।

- তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় সরকারের কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানি কারাগারে বন্দী ছিলেন, তাই তাজউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন।
- বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ৮ মে, ১৯৪৩ সালে ফরিদপুর জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি ১৯৬৩ সালে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) যোগদান করেন।
- ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইপিআর-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
- ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় চিংড়ি খালের পাড়ে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হন।
- এরপর তাঁকে রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটের একটি টিলার উপরে সমাহিত করা হয়

- বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১নং সেক্টরের অধীনে অংশগ্রহণ করেন।
- তিনি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি)-এর সদস্য ছিলেন এবং চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি-মহালছড়ি জলপথে পাকিস্তানি বাহিনীর অগ্রযাত্রা প্রতিরোধে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন।
- ২৫ মার্চের পর তিনি চট্টগ্রামে অবস্থানরত ই.পি.আর-এর সৈনিকদের নিয়ে ৮নং সেক্টরে যুক্ত হন এবং অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ করেন।
- তার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি মৃত্যুর পর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান "বীরশ্রেষ্ঠ" উপাধিতে ভূষিত হন।

বীরশ্রেষ্ঠ ও সেক্টর:
- ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ: ১নং সেক্টর।
- সিপাহী মোস্তফা কামাল: ২নং সেক্টর।
- সিপাহী হামিদুর রহমান: ৪নং সেক্টর।
- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: ৭নং সেক্টর।
- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ৮নং সেক্টর।
- ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন: ১০নং সেক্টর।
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: কোনো সেক্টরের অধীনে ছিলেন না।

তথ্যসূত্র - বাংলাপিডিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।


মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো।
নৌ-বাহিনীর অধীনে ছিল - ১০ নং সেক্টর (সকল নদী ও বঙ্গোপসাগর)।
১০ নং সেক্টরে কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না। যখন যে সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হতো সেই সেক্টরের কমান্ডার ১০ নং সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন।
চট্টগ্রাম - ১নং সেক্টর,
ঢাকা - ২ নং সেক্টর,
মুজিবনগর - ৮ নং সেক্টর,
রাজশাহী - ৭ নং সেক্টর,
সুন্দরবন - ৯ নং সেক্টর।
- বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে।
- এরপর ১৭ এপ্রিল ,১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের পর গঠিত মন্ত্রীসভার সদস্য ৬ জন ।
- প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগ, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ, সংস্থাপন এবং অন্যান্য যেসব বিষয় কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ।
- রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
- উপ-রাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
- অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী এম. মনসুর আলী।
- স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষি মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান এবং
- পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ প্রদান করা হয়।
তারা হলেন—
১. মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর,
২. হামিদুর রহমান,
৩. মোস্তফা কামাল,
৪. রুহুল আমিন,
৫. মতিউর রহমান,
৬. মুন্সি আব্দুর রউফ এবং
৭. নূর মোহাম্মদ শেখ।

- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ৪টি সামরিক জোনে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন।
- পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল ৪টি জোনকে পুনর্গঠিত করে পুরো দেশকে ১১টি সেক্টর ও ৬৪টি সাব সেক্টরে ভাগ করে।
- কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ১১ নং সেক্টর গঠিত।
- এর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম আবু তাহের এং স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল্লাহ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ নামে খ্যাত ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। ছয় দফার প্রথম দফা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানকে একটি সত্যিকারের ফেডারেশন রূপে গড়ে তোলা এবং সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি করেন। ছয় দফার শেষ দফা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জন্য মিলিশিয়া বা প্যারামিলিটারি রক্ষী বাহিনী গঠন।

১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রস্তাবসমূহ -
প্রস্তাব -১ঃ শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি
প্রস্তাব - ২ঃ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
প্রস্তাব -৩ঃ মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
প্রস্তাব -৪ঃ রাজস্ব ,কর , বা শুল্ক সমন্ধীয় ক্ষমতা
প্রস্তাব -৫ঃ বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা
প্রস্তাব - ৬ঃ আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আজ সারা বিশ্বে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক প্রামাণিক দলিল হিসেবে পরিগণিত, যাকে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।
- ১৯৯২ সালে ইউনেস্কো তার ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর স্বীকৃতি প্রদান কর্মসূচি শুরু করে।
- আমাদের সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিল দ্বারা আমাদের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- উপরন্তু, সংবিধানের ৭(খ) অনুযায়ী, সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদকে সংবিধানের একটি অপরিবর্তনযোগ্য বিধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
- ফলে পঞ্চম তফসিলে উল্লিখিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি আমাদের সংবিধানের একটি অপরিহার্য ও অপরিবর্তনীয় অংশে পরিণত হয়েছে।
September on the Jessore Road মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকান কবি Allen Ginsberg এর রচিত একটি গীতিকবিতা। এটি ১৫২ লাইনের একটি গীতি কবিতা।
- বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)।
- ভুটানের কিছু সময় পর ভারতও ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। 
- চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৩১ আগস্ট ১৯৭৫। 
- নেপাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৬ জানুয়ারি ১৯৭২। 
- সেনেগাল → ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ (প্রথম মুসলিম ও আফ্রিকান)
- ইরাক → ৮ জুলাই, ১৯৭২ (প্রথম আরব)
- মিশর → ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬
- ইরান → ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
- সৌদি আরব → ১৬ আগস্ট, ১৯৭৫
 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত ১৫০ টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ মুজিব নগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য ৪ টি সামরিক জোনে বাংলাদেশকে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন।
- পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর নির্দেশে কর্নেল এম.এ.জি ওসমানী ৪টি সেক্টরকে পুনর্গঠিত করে, পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ও ৬৪ টি সাব সেক্টরে ভাগ করে।
- ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর ৮ জন বাঙালি নৌ- কর্মকর্তা মিলে ১০ নং সেক্টর গঠন করেন। এ সেক্টরে নির্দিষ্ট কোন কমান্ডার ছিল না। এটি সরাসরি প্রধান সেনাপতির নির্দেশনায় পরিচালিত হত।
স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের ছবি ছিল। এ ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক। এটি ২৯ জুলাই, ১৯৭১ সালে একযোগে মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
- এই দিনে ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতন ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে, যাতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকে শহীদ হন।
- এই ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) ১৪৪ ধারা জারি করে।
- এই ১৪৪ ধারা ৩০ দিনের জন্য জারি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে চার বা ততোধিক লোকের একত্রিত হওয়া, মিছিল, সভা-সমাবেশ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
- এই ১৪৪ ধারা জারি করার উদ্দেশ্য ছিল ভাষা আন্দোলনকে দমন করা এবং আন্দোলনকারীদের একত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরই এই পদকগুলো দেয়া হয়।
- ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
- মোট ৬৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়।
- এর মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ (৭ জন), বীর উত্তম (৬৮ জন), বীর বিক্রম (১৭৫ জন) ও বীর প্রতীক (৪২৬ জন)। 

বর্তমানে খেতাবগুলো হলো:
বীরপ্রতীক- ৪২৪ জন
বীরবিক্রম- ১৭৪ জন
বীরউত্তম- ৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধা (মোট ৬৮ জন)
বীরশ্রেষ্ঠ- ০৭ জন
মোট খেতাবধারী- ৬৭২ জন মুক্তিযোদ্ধা (মোট ৬৭৩ জন)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার বা মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল এ সরকার শপথ গ্রহণ করে।
   রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
   উপ-রাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
   প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
   অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী এম মনসুর আলী।
   স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষি মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান এবং
   পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
- ১ মার্চ ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান পূর্ব ঘোষিত ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ডাকা অধিবেশন স্থগিত করলে প্রতিবাদে বাঙালি জনতা রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে।
- জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল এবং ৭ মার্চ রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) ময়দানে জনসভা আহ্বান করেন।
- ৭ মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দেন তা ইতিহাসে '৭ মার্চ ভাষণ' নামে পরিচিত।
- এ ভাষণটির স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ১৯ মিনিট (১৮.৩৯ সেকেন্ড)।
- এ ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো..... 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা এবং ত্রাণ তহবিল গঠনের লক্ষ্যে জর্জ হ্যারিসন ও রবি শঙ্করের উদ্যোগে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। এই কনসার্টের প্রধান শিল্পী ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। এছাড়া পণ্ডিত রবিশঙ্কর, এরিক ক্লাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রিস্টন ও বব ডিলান সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এই কনসার্টে মোট ৪০ হাজার মানুষের সমাগম হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ৪টি সামরিক জোনে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন।
-পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর নির্দেশে কর্নেল (অব.) এম.এ.জি ওসমানী ৪টি সেক্টরকে পুনর্গঠিত করে পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ও ৬৪টি সাব সেক্টরে ভাগ করে।
-এ সময়ে ঢাকা ২ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
-নোয়াখালী, আখাউড়া, ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ২ নং সেক্টর গঠিত হয়।
-এ সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ ও মেজর এটিএম হায়দার।
-৩ নং সেক্টর আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকের কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়।
-৪ নং সেক্টর সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, খোয়াই- শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন থেকে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট- ডাউকি সড়ক নিয়ে গঠিত হয়।
-৫ নং সেক্টর সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ- ময়মনসিংহ সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0