|
|
- ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব প্রদান করেন। - মুক্তিযুদ্ধের খেতাব ৪ পর্বে বিভক্ত। যথা: ১. বীরশ্রেষ্ঠ, ২. বীর উত্তম, ৩. বীর বিক্রম, ৪. বীর প্রতীক।
|
|
| |
|
|
|
- ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। - মুক্তিসেনাদের উদ্দীপ্ত করা ও মুক্তিকামী মানুষকে দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত রাখার জন্য এ কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের গান, চরমপত্র, বজ্রকন্ঠ, জল্লাদের দরবার, অগ্নিশিখা, ধর্মীয় কথিকা ও রক্তের আখরে লিখি প্রভৃতি অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। - এর মধ্যে বিদ্রুপ ও শ্লেষাত্মক ‘চরমপত্র' অনুষ্ঠানটি রচনা ও উপস্থাপনা করেছিলেন সাংবাদিক ও লেখক এম আর আকতার মুকুল।
|
|
| |
|
|
|
- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশকে ৪টি সামরিক জোনে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন।
- পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর নির্দেশে কর্নেল (অব.) এম.এ.জি ওসমানী ৪টি সেক্টরকে পুনর্গঠিত করে পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ও ৬৪টি সাব সেক্টরে ভাগ করে।
|
|
| |
|
|
|
- মুজিবনগর সরকার গঠন: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড তথা প্রধান নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সরকার গঠিত হয়।
- ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুক্তাঞ্চল বৈদ্যনাথতলায় সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
- মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার নেতৃত্ব দেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
- শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এম.এন.এ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন- অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ।
- নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে এখানে একদল আনসার বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করেন
|
|
| |
|
|
|
Operation Kilo Flight: - পরিচয়: নবগঠিত (৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম ইউনিটের নাম কিলো ফ্লাইট। - অভিযান: বাংলার বিমান সেনাদের এই ইউনিট চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ করেছিল - ইউনিট প্রধানের দায়িত্বে: স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ।
|
|
| |
|
|
|
১৯৭১ সালের ৪ মার্চঃ - পাকিস্তান রেডিওর নাম বাংলাদেশ বেতার এবং পাকিস্তান টিভির নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ টিভি।
১৯৭১ সালের ৬ মার্চঃ - লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খানের পরিবর্তে লে. জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হন। (প্রধান বিচারপতি বিএ সিদ্দিকী টিক্কা খানকে শপথ পড়াতে অস্বীকার করেন) - ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন, সংসদের অধিবেশন ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৭১ সালের ৮ মার্চঃ - ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার। - 'পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ' তাদের দলের নামকরণ করে 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'।
১৯৭১ সালের ৯ মার্চঃ - পল্টন ময়দানে সমাবেশ থেকে ভাসানী শেখ মুজিবুর রহমানকে সমর্থন করেন। - আন্দোলন পরিচালনার জন্য সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। - আন্দোলনের পরিচালনার জন্য চার নেতা হলেন: আ স ম আবদুর রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ এবং আব্দুল কুদ্দুস মাখন।
|
|
| |
|
|
|
অপারেশন সার্চলাইট ঃ
- সার্বিক তত্ত্বাবধানে: গভর্নর লে. জে টিক্কা খান। - ঢাকা শহরের দায়িত্বে: জেনারেল রাও ফরমান আলী । - ঢাকার বাইরে দায়িত্বে: মেজর খাদিম হোসেন রাজা - ১৬ মার্চ, ১৯৭১: ইয়াহিয়া সরকার পূর্ব পাক স্তানে গোলাবারুদ ও অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে- ১৮ মার্চ, ১৯৭১: টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী ও মেজর খাদিম হোসেন নীলনকশা তৈরি করে - ১৯ মার্চ, ১৯৭১: বাঙালি সেনাদের নিরস্ত্রীকরণ শুরু এবং সার্চ লাইটের নীল নকশা অনুমোদন। - ২৪ মার্চ, ১৯৭১: চট্টগ্রাম বন্দরে এমভি সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস শুরু করে। - ২৫ মার্চ, ১৯৭১: গণহত্যা চালাতে পাকিস্তান সেনাদের উদ্দেশ্যে টিক্কা খান বলে, “ এদেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় (১৯৭১ সালে) ভারতের প্রেসিডেন্ট ছিলেন শ্রী ভি ভি গিরি (V. V. Giri)। - শ্রী ভি ভি গিরি ২৪ আগস্ট ১৯৬৯ থেকে ২৪ আগস্ট ১৯৭৪ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। - মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। - মুহাম্মদ হিদায়াতউল্লাহ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিছু সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। - ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রপতি হন।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
ছয়দফা কর্মসূচি পাকিস্তানের দু অংশের মধ্যকার বৈষম্য এবং পূর্ব বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশিক শাসনের অবসানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি। ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রস্তাবসমূহ - প্রস্তাব -১: শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি প্রস্তাব -২: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা প্রস্তাব -৩: মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা [অর্থনীতি বিষয়ক] প্রস্তাব -৪ : রাজস্ব ,কর, বা শুল্ক সমন্ধীয় ক্ষমতা [অর্থনীতি বিষয়ক] প্রস্তাব -৫ : বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা [অর্থনীতি বিষয়ক] প্রস্তাব -৬: আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা
|
|
| |
|
|
|
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি ইপিআর-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসকে সংক্ষেপে ইপিআর বলা হয়। এই বাহিনীর বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষক। এটি একটি আধা সামরিক বাহিনী। ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন এই বাহিনী 'রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন' নামে যাত্রা শুরু করে।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। - এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি (পদাধিকার বলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক) এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম কে উপ-রাষ্ট্রপতি (বঙ্গবন্ধু অনুপস্থিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, সশস্ত্র ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক) নিযুক্ত করা হয়। - তাজউদ্দিন আহমদকে মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। - ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ-বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য ৪টি সামরিক জোনে বাংলাদেশকে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন।
- পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর নির্দেশে কর্ণেল এম.এ.জি ওসমানী ৪টি সেক্টরকে পুনর্গঠিত করে পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ও ৬৪টি সাব সেক্টরে ভাগ করে।
|
|
| |
|
|
|
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফ্রেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধি দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
|
|
| |
|
|
|
মোট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিলঃ ১২টি সচিব ছিলঃ ১০ জন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলঃ এইচ.টি ইমাম, সিএইচপি অর্থ সচিব ছিলঃ খন্দকার আসাদুজ্জামান পররাস্ট্র সচিবঃ জনাব মাহবুবুল আলম চাষী সোর্সঃ বেসিক ভিউ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনা প্রায় তিন মাস বাংলাদেশে অবস্থান করেছিল। - ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। - ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। - ১২ মার্চ ১৯৭২ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
|
|
| |
|
|
|
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। - পাকিস্তান সরকার মতিউর রহমানের মৃতদেহ করাচির মাসরুর ঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করে। - পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার ২৫ বছর পর, ২০০৬ সালের ২৪ জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান হতে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। - তাকে পূর্ণ মর্যাদায় ২৫শে জুন শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়। - এই গোরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানকেও সমাহিত করা হয়।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- স্বাধীনতা লাভের ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। - এরই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার এবং তাদের অপরাধের বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেয় ট্রাইব্যুনাল। - এই ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার বিচার শুরু করে। - ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। - প্রথম মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়: আবদুল কাদের মোল্লা। - এ অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় । যথা- (১) কাদের মোল্লা (২) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান (৩) সালেহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী (৪) আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ (৫) মতিউর রহমান নিজামী (৬) মীর কাসেম
|
|
| |
|
|
|
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে। - এটি ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। - মন্ত্রণালয়টি মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নির্ধারণে কাজ করে। - ২০২২ সালের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সসীমা এবং সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। - নতুন সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
কে-ফোর্স: - কে-ফোর্স বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিগ্রেড যার নামকরণ করা হয়েছে লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফের নামানুসারে। - সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে গঠিত হয় এই বিগ্রেড যার নাম করা হয় কে ফোর্স। - এই ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ৯ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ১ ফিল্ড ব্যাটারি (মুজিব ব্যাটারি) আর্টিলারি ও একটি
|
|
| |
|
|
|
- ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা করে। - শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর দেশ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করে। - ৫ আগস্ট ২০২৪, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেন। - তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ভারতের দিল্লিতে পালিয়ে যান। - এর ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
|
|
| |
|
|
|
- ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। - এটি ছিল ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থান, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটায়। - এই আন্দোলন কেবল একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা করেনি, বরং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। - আন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা সরকার ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। - ৫ আগস্ট, ২০২৪, লাখো মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসে। - গণভবন অভিমুখে মিছিলের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। এর ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং দেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ে।
আন্দোলনের মূল স্লোগান আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের মুখে শোনা যায় কিছু শক্তিশালী স্লোগান, যেমন:
- "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার।" - "চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার।" - "লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না।"
|
|
| |
|
|
|
- গণঅভ্যুত্থানের মূল সূত্রপাত হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। - ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। - যদিও সরকার তখন কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়, ২০২৪ সালে হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহাল করা হয়। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। - ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ের পর শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামে। - সরকারের দমন-পীড়ন এবং ছাত্রলীগের সহিংস হামলার কারণে এই আন্দোলন দ্রুত একটি বৃহত্তর গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
|
|
| |
|
|
|
- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। - এই সরকার ১০ এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে যা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী পাঠ করেন। - এই ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে ঘোষিত হয়।
- এই ঘোষনাপত্রে ৪জন ব্যক্তির নাম ছিল। তারা হলে- জেনারেল ইয়াহিয়া খান, শেখ মুজিবর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী। এদের মধ্যে শেষের ৩ জন ছিলেন আওয়ামীলিগের নেতা।
|
|
| |
|
|
|
মুজিবনগর সরকারের কাঠামো: রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তানে বন্দি থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন)। উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন)। প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দীন আহমদ। অর্থমন্ত্রী: ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
|
|
| |
|
|
|
মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন: - মুজিবনগর সরকার মুক্তাঞ্চলে বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করে। - ১১টি আঞ্চলিক প্রশাসনিক জোন গঠন করা হয়, যেখানে স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য জোনাল - প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন করা হয়। - প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
শান্তি কমিটি: - ৪ঠা এপ্রিল '৭১ জনাব নুরুল আমিনের নেতৃত্বে অধ্যাপক গোলাম আযম ও খাজা খয়েরউদ্দীন টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে সর্বপ্রকার রাজনৈতিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং "নাগরিক কমিটি" গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন। - ৬ই এপ্রিল '৭১ অধ্যাপক গোলাম আযম ও হামিদুল হক চৌধুরী টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে "নাগরিক শান্তি কমিটি" গঠনের প্রস্তাব দেন। - ৯ই এপ্রিল '৭১ ঢাকায় ১৪০ সদস্য নিয়ে "নাগরিক শান্তি কমিটি" গঠিত হয়। - ১৭ই এপ্রিল '৭১ এই কমিটির নাম পরিবর্তন করে "শান্তি কমিটি" রাখা হয় এবং জেলা ও মহকুমা পর্যায়ে এই কমিটি গঠিত হয়। - রাজাকার নির্বাচন, নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ এই কমিটির অন্যতম দায়িত্ব ছিল।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
কে-ফোর্স: - কে-ফোর্স বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিগ্রেড যার নামকরণ করা হয়েছে লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফের নামানুসারে। - সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে গঠিত হয় এই বিগ্রেড যার নাম করা হয় কে ফোর্স। - এই ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ৯ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ১ ফিল্ড ব্যাটারি (মুজিব ব্যাটারি) আর্টিলারি ও একটি সিগন্যাল কোম্পানি। - কে ফোর্সের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সমূহ ছিল দেউশ মন্দভাগ অভিযান, শালদা নদী অভিযান, পরশুরাম, চিতলিয়া, ফুলগাজী, নিলক্ষ্মীর যুদ্ধ, বিলোনিয়ার যুদ্ধ, চাপিলতার যুদ্ধ, কুমিল্লা শহরের যুদ্ধ, নোয়াখালীর যুদ্ধ, কশবার যুদ্ধ, বারচরগ্রাম যুদ্ধ, মিয়াবাজার যুদ্ধ, গাজীপুর যুদ্ধ, সলিয়াদীঘি যুদ্ধ, ফেনী যুদ্ধ, চট্টগ্রাম বিজয় ও ময়নামতি বিজয়। 1
|
|
| |
|